বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে প্রতিবারের মতো এবারও দুই বাংলার মিলন মেলা বসেছে। শনিবার ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার ডাবরী সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে দুই বাংলার এই মিলন মেলা বসে। ঠাকুরগাঁও ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ান ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ'র উদ্যোগে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার ডাবরী সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ ও ভারতের হাজার হাজার মানুষের এই মিলন মেলা বসে। মিলন মেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের সীমান্তে পর্যাপ্ত বিজিবি ও বিএসএফ মোতায়ন করা হয়। কঠোর পাহারায় কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে স্বজনদের একদৃষ্টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লাখো মানুষের ঢল নামে। এই ক্ষণিক মিলনে অনেকেই আবেগে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
দুই দেশের ভৌগলিক সীমারেখা আলাদা করা হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে। কিন্তু সে কাঁটাতার আলাদা করতে পারেনি দুই দেশের মানুষের ভালোবাসার টান। সুযোগ পেলেই এ টানেই তারা ছুটে যায় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে, মিশে যান একে অন্যের সঙ্গে। অনেকদিন পর আপনজনের দেখা পেয়ে আবেগে কেঁদেকেটে বুক ভাসান আর বুক হালকা করেন অনেকে। বিনিময় হয় মনের জমানো হাজারো কথা।
হরিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, হরিপুর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির আগে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিল। এ কারণে দেশ বিভাগের পর আত্মীয় স্বজনেরা দুই দেশে ছড়িয়ে পড়েন। তাই সারা বছর এদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারেন না। অপেক্ষায় থাকেন এই দিনের।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার