সারাদেশের মতো বরিশালেও গত ১৫ মে থেকে শুরু হয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি। বরিশাল নগরীসহ দক্ষিণের ৮ জেলায় ১২১জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিকেজি ছোলা বুট ৭০ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা, চিনি ৫৫টাকা এবং সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা লিটার দরে বিক্রি করছে টিসিবি। পণ্যের গুণগত মান এবং দামে ক্রেতারা খুশী। তবে এই তালিকায় বেঁচে থাকার প্রধান উপকরণ চাল না করায় অসন্তোষ রয়েছে ক্রেতাদের। আবার তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডিলার পণ্য বিক্রি না করায় বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কিনতে হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সকল ক্রেতা। যদিও টিসিবি বলছে, ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫ কেজি থেকে সর্বনিম্ন যেকোন পরিমাণের পন্য বিক্রি করবে বাধ্য ডিলাররা। নইলে ডিলারশীপ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তারা।
নিত্য পণ্য মূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি’র মাধ্যমে ন্যায্য মূলে পণ্য বিক্রি শুরু করে সরকার। প্রাথমিকভাবে বিক্রি হচ্ছে ৪টি পণ্য।
বিভাগের ৬ জেলা ছাড়াও মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর জেলায় টিসিবি’র পন্য সরবরাহ ও বিক্রি কার্যক্রম তদারকি হয় বরিশাল থেকে। ৮ জেলায় পণ্য বিক্রি করছেন ১২১জন ডিলার। নগরীতে ৩৯জন সহ বরিশাল জেলায় ডিলার রয়েছেন ৬০জন। এরমধ্যে নগরীতে ১০টি স্থানে ভ্রাম্যমানভাবে পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৫টি ট্রাকে। নগরীর ২০জন ডিলার পর্যায়ক্রমে ৫টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করছেন।
ডিলার রাজন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আবুল বশার বাদশা বলেন, টিসিবি’র ৪ ধরনের পণ্যের মধ্যে মসুর ডালটা নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। বাইরের বাজারের চেয়ে দাম একটু বেশী হওয়ায় ক্রেতারা মসুর ডাল নিতে চাচ্ছেন না। ৩ ধরনের পন্য বিক্রির পর মসুর ডাল অবিক্রিত থেকে গেলে কি করবেন ? তাই সব পণ্য গছিয়ে দিচ্ছেন ক্রেতাকে।
ক্রেতাকে বাড়তি পণ্য চাপিয়ে দেয়া সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে দায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন টিসিবি বরিশাল আঞ্চলিক অফিস প্রধান হাওলাদার মো. মাসুম। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ৫ কেজি থেকে সর্ব নিম্ন ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করতে ডিলার বাধ্য। সরকার টিসিবি’র মাধ্যমে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে সেই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা বলে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার