সাগরের তাণ্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া ভবনের ভগ্নাংশ পড়ে রয়েছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে নামার প্রবেশ দ্বারে। এসব অপসারন না করায় জোয়ারের সময় পর্যটকরা গোসল করতে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থার শিকার হচ্ছে। সৈকতের শূন্য পয়েন্টর প্রায় এক শ’ মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গা ভবনের বড় বড় অংশ পড়ে রয়েছে। এর ফলে পর্যটকরা নিজের অজান্তেই সৈকতে নামতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে এমন আভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৭/৮ বছর আগে সৈকত লাগোয়া এলজিইডির বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট কাম বাংলোর ভবন সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে বিলীনের শঙ্কায় ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলামক্রেতা ভবনটি ভেঙ্গে নেয়। কিন্তু পড়ে থাকে ভবনের নিচের অংশের বড় বড় স্লাব, সিমেন্ট-খোয়ায় বানানো পিলার, ফ্লোরের অংশ। ভবনের ভাঙ্গা অংশের অসংখ্য খন্ড পড়ে থাকায় এখন পর্যটকদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
কুয়াকাটায় আসা ঢাকার ব্যবসায়ি কামরুল ইসলাম জানান, এসব ভগ্নাংশ খুবই বিপদজ্জনক। অনেকে না বুঝে সাগরে নামতে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হতে পারে। এ ভগ্নাংশ গুলো অচিরেই অপসারণ করা দরকার বলে তিনি জানিয়েছেন।
সৈকতে একাধিক ফটোগ্রাফার জানান, তারা ইতোপূর্বে নিজেদের উদ্যোগে ঝুকিপূর্ণ এরিয়ায় বাঁশ পুতে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছিলেন। এখন তা নেই। কিন্তু পর্যটকের স্বার্থে এসব ভগ্নাংশ অপসারণে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে ওখানকার ফটোগ্রাফাররা জানিয়েছেন।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও কলাপাড়া নির্বাহী অফিসার এবিএম সাদিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পর্যটকদের সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।