আটকের চারদিন আগে রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের হলদিয়ার মৌছা গ্রামে আশ্রয় নেয়। ঢাকায় নাঈমের পরিচিত পিকআপভ্যান চালক নূরুল ইসলামের শশুর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের মৌছা গ্রামের আকুব আলী মাতবরের বাড়িতে।
সরেজমিনে আকুব আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিনের বাড়িতে এই প্রচন্ড গরমে নাঈম থেকেছে। সে বাড়িতে নেই কোন পাকা বাথরুম বা আরামদায়ক বিছানা। নূরুলের শশুর আকুব আলীর বাড়িতে পুরুষ মানুষ কেউ নেই। তার শ্যালকের স্ত্রী আলেয়া জানান, শশুর শাশুড়ি সবাই ছিল তারা বেড়াতে গেছেন। এ বাড়ির জামাই নুরুল ইসলাম ঢাকায় পিকআপ গাড়ি চালায়। সে-ই গত চারদিন আগে ওই লোককে (নাঈম) নিয়ে বাড়িতে আসে। আমরা জানতামনা ওই লোকটা কোন মামলার আসামি। পুলিশ এসে ধরে নেওয়ার পর জানছি সে একটি মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার একটি মাইক্রোবাসে করে সাদা পোশাকের পুলিশ এক আসামিকে ধরে নিয়ে যায়। বুঝতেই পারিনি ওই সেই চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামি।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের মৌছাগ্রামের আকুব আলী মাতবরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা দল।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, আটকের আগ পর্যন্ত তারা কিছুই জানতেন না। শুধু একটা ম্যাসেজ পেয়েছেন যে, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ তার এলাকায় একটি অভিযান করবে। নাঈমকে আটকের পরেই তিনি বিষয়টি অবগত হন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার