ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য আর উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহাস্নান যাত্রা। সোমবার প্রত্যুষে কৈলাশপতি শিব মুর্র্তিকে স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দু’দিনব্যাপী এই মহাস্নান যাত্রা।
প্রতিবছরের মত এবারও দিনাজপুর শহরের আনন্দ সাগরস্থ শিব মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহাস্নান যাত্রা।
এর আগের রবিবার দিনাজপুর শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বীরগঞ্জ উপজেলার মহুয়াগাঁও গ্রামের পূনর্ভবা নদীর বিপরীতমুখী (উত্তরমুখী) প্রবাহিত স্রোত থেকে জল সংগ্রহ করে নগ্ন পদব্রজে (খালি পায়ে হেটে) ভক্ত ও পূর্ণাথীরা সন্ধ্যায় দিনাজপুরে এসে পৌঁছে।
ওইদিন রাতেই দিনাজপুর শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে সদর উপজেলার সাহেবগঞ্জ হাট সংলগ্ন আত্রাই নদীর বিপরীতমুখি স্রোতের জল সংগ্রহ করে আজ প্রত্যুষে ভক্তরা আবার পদব্রজে আনন্দ সাগরস্থ শিব মন্দিরে পৌঁছায়। এখানে সংগৃহীত এই জল দিয়ে কৈলাশপতি শিব মুর্র্তিকে স্নানের মধ্য দিয়ে মহাস্নান যাত্রার সমাপ্তি হয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহাস্নান যাত্রায় অংশ নেয়া ভক্ত ও পূর্ণার্থীরা জানান, মনের বাসনা পূরণ করতে এবং তাদের পরিবারের মঙ্গল কামনায় মহাস্নান যাত্রায় অংশ নিতে প্রতিবছর তারা এখানে আসেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাত্রিপুরারী কৈলাশপতির মহাস্নান যাত্রায় দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তের সম্মিলন ঘটায় এখানে নেয়া হয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিডি প্রতিদিন/৭ আগস্ট, ২০১৭/হিমেল