রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক যুবকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বিকেলে জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রথম দফা পিটিয়েও রাগ না কমায় হাসপাতালে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় ওই রোগীর উপর হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত যুবকের নাম নিলয় হোসেন (২৮)। তিনি নগরীর মথুরডাঙা এলাকার সাবদুল আমিনের ছেলে। তাকে হাসপাতালের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা জব্দ করেছে।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, নগরীর হেতেমখাঁ এলাকার রাকিব হোসেন (৩০) নামে এক ব্যক্তির অধীনে কাজ করতেন নিলয়। কিন্তু রাকিব কয়েকমাস ধরে তার মজুরি পরিশোধ করছিলেন না। এনিয়ে গত মাসে রাকিবের সঙ্গে নিলয়ের মারামারি হয়। এ ঘটনায় রাকিব থানায় মামলা করেন। পরে আজ দুপুরে নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকায় তাদের দু’জনের দেখা হয়। এ সময় তাদের ফের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। এতে নিলয় আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এরপর বিকেলে তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার স্বজনরা। কিন্তু জরুরি বিভাগের সামনে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন রাকিব ও তার ৬-৭ জন সহযোগী। নিলয়কে নিয়ে তার স্বজনরা জরুরি বিভাগের সামনে পৌঁছালে তারা নিলয়ের উপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালান। এতে নিলয়ের শরীরের কয়েকটি স্থানে জখম হয়। পরে হাসপাতাল পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা হামলাকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় তারা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি চাকুসহ কয়েকটি লাঠি জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনা কারণে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকে ছোঁটাছুটি শুরু করেন। পরে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, মারামারির খবর পেয়ে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। আহত নিলয়ের কাছ থেকে হামালাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
