রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায় রশি পেঁচানো ছিলো। পুলিশ ধারণা করছে এটি হত্যাকাণ্ড। খুনিরা তাকে হত্যার পর গলায় রশি বেঁধে ঝুলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে ঘরের মেঝেতে ফেলে গেছে। নিহত ওই যুবকের নাম জিয়া (২৮)।
তিনি কাঁঠালবাড়ীয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জাহের আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, জিয়ার দুই বোন বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। তার আরও দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে নিরুদ্দেশ থাকায় বাড়িটিতে জিয়া একাই বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বাড়িটি দখলের জন্য স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি চেষ্টা করছিলেন। তারা বাড়িটিতে তালা ঝুলিয়ে জিয়াকে বাড়িটিতে প্রবেশ করতেও বাঁধা দিয়েছেন। তারপরও জিয়া ওই বাড়িটিতে থাকতেন। রবিবার রাতে তাকে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাকে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে খুনিরা। এরপর লাশটি মাটিতে ফেলে তারা চলে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ঘরের মেঝেতে জিয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
নিহত জিয়ার বোন মাজেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, বাড়িটি দখলের জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তি চেষ্টা করছিলেন। তিনিই তাকে হত্যা করেছেন। তবে তার নাম বলতে চাননি তিনি। মাজেদা বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নাম আমি পুলিশের কাছে বলবো।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া জানান, লাশটি মাটিতে পড়ে ছিল। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। সেখান থেকে রক্তপাত হয়েছে। কেউ তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করতে পারে, আবার আত্মহত্যাও হতে পারে। মৃতের পাশে একটি সুইসাইড নোট আছে। তাতে লেখা আছে ‘একটি মৃত বার্তা। আমার কবরে আমার দুই ভাই ও দুই বোন মাটি দিতে যেনো না আসে।’ তিনি আরও জানান, পুলিশ সুইসাইড নোটটি এখনই আমলে নিচ্ছে না। তদন্ত করে দেখছে। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা জানতে ময়না তদন্ত করে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন