বরিশালে ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন রোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার কাজ। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুল প্রতীক্ষিত এই কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিজাইন এন্ড প্লানিং) ক্যাপ্টেন মো. ফারুক।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম প্রান্তে বেলতলা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে চরবাড়িয়া পর্যন্ত ৩ হাজার ৩শ’ ৭ মিটার বেরী বাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং চরবাড়িয়া পয়েন্টে নদীর বুকে জেগে ওঠা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চর অপসারন করা হবে। এর ফলে বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া পর্যন্ত কীর্তনখোলার পশ্চিম তীর এক দর্শনীয় স্থানে পরিনত হবে বলে আশা স্থানীয়দের।
গত কয়েক বছরে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে বহু বাড়িঘর, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, বাজারসহ সরকারী-বেসরকারী বহু স্থাপনা। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর নদী ভাঙন প্রতিরোধে ৩২৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গত সরকারের আমলে একনেকে পাশ হয়। কিন্তু এরপর টানা দুটি বছর কেটে গেলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে নদী ভাঙন রোধ প্রকল্প।
শেখ হাসিনার সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পটি গতি পায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য গত ১৪ জানুয়ারী খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে চুক্তি সাক্ষর করে। ইতিমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন সম্ভাব্যতা যাচাই সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে চড়বাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক জানান, খুলনা শিপইয়ার্ড কাজটি বাস্তবায়ন করলেও কাজের তদারকি করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই প্রকল্পের আওতায় কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীরে ৩ হাজার ৩শ’ ৭ মিটার সিসি ব্লক বেরীবাঁধ নির্মাণ ছাড়াও ড্রেজিং করা হবে কীর্তনখোলা নদীর প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কীর্তনখোলার ভাঙন থেকে বেলতলা ও চড়বাড়িয়াসহ বির্স্তির্ন এলাকা রক্ষা পাবে এবং নির্মল বাতাসের জন্য নদী তীরবর্তী বেরী বাঁধটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে আশা তার।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল