রাঙামাটিতে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা এ কে এম মামুনুর রশিদ। রবিবার রাঙামাটি দূর্গম উপজেলার প্রায় ২১টি কেন্দ্রে হেলিকাপ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম পৌঁছানো হয়েছে।
একই সাথে বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ভিডিপি ও সেনা সদস্যদের। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতার ঘটনা এড়াতে পুরো রাঙামাটি জেলায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদাড় করা হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা এস এম শফি কামাল।
তিনি বলেন, রাঙামাটির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এর মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।রাঙামাটিবাসীকে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিটি উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া আনসার ভিডিপি ও অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটন বিজিবি, ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট নির্বাচন চলাকালে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিটানিং কর্মকর্তাদের স্ব স্ব কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে।
সড়ক পথে রাঙামাটি ৬টি উপজেলায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যেদিয়ে নির্বাচনীয় কেন্দ্রগুলোতে বাসে করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতেও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্তা করা হয়েছে। যাতে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন, রাঙামাটির জন্য এটা ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবার রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলায় পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ২২ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট লড়াই হবে স্থানীয় আঞ্চলিক রাজনৈতীক দল সন্তু লারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে জাতীয় ও প্রধান রাজনৈতীক দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে। তাই নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষা করার জন্য পুরো ধমে মাঠে অবস্থান করছে উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে নির্বাচনের আগে রাঙামাটির কাপ্তাই ও লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর জানান, ২টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচীত হলেও আরও ৬টি উপজেলা নিয়ে শঙ্কাই রয়েছি। কারণ অন্যান্য উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থন থাকলেও অঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব বেশি। তাই নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী দেওযা সম্ভব হয়নি। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও ২টি ছাড়া বাকি সব উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচীত হবে।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটির ১০টি উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি মিলে এবার ভোটা দিবেন প্রায় ৪ লাখ ১৮ হাজার ২১৮ জন নারী-পুরুষ। পুরো জেলার প্রায় ২০৮টি কেন্দ্রে ভোট কার্যক্রম চলবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার