হাবিব হোসেনের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। আর সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে হাবিব বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য।
গাজীপুর থেকে লোকাল বাসে কুড়িগ্রাম যাচ্ছিলেন। দীর্ঘ যানজটের ফলে মহাসড়কের সেতুর গোলচত্ত্বর এলাকায় প্রসব বেদনা শুরু হয় তার স্ত্রীর। পরে সড়কের ওপরই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে মা-মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছে। পরে ভুঞাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই নার্স সেতু এলাকায় এসে শিশু সন্তানসহ মাকে চিকিৎসা দেন।
হাবিব হোসন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৩নং ভোগদাঙ্গা ইউনিয়নের পোরার ভিটা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। হাবিব তার মেয়ের নাম রেখেছে স্মরণী।
জানা গেছে, হাবিব হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করতো। গাজীপুরে শহরে কখনও রিকশা, কখনও শ্রমিকের কাজ করতো সে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে স্ত্রীকে নিয়ে কুড়িগ্রামে যাচ্ছিল। মাঝে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সেতুর গোলচত্ত্বর এলাকায় আসলে প্রসব বেদনা শুরু হয়।
হাবিব হোসেন বলেন, গাড়িতে প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে ধরে সড়কের পাশে রাখা হয়। এসময় গাড়ির একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। পরে স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী আফরোজা বেগম কন্যা শিশু জন্ম দেন। এর পর ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নার্সসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। পরে নার্সরা স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা দেন। মা ও মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সাজেদা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থলে আসার আগেই সন্তান প্রসব হয়েছে সড়কের উপরে। এরপর মা-মেয়েকে চেকআপ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৪ জুন ২০১৯/আরাফাত