বিরলের ফরক্কাবাদ দেওয়ানজি দিঘীর মাছ প্রকাশ্যে দিবালোকে চুরির অভিযোগ উঠেছে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মাছ চাষী।
শনিবার সকালে হঠাৎ করে কয়েক গ্রামের হাজারো সুযোগ সন্ধানি মানুষ এ মাছ ধরতে নেমে পড়ে।
জানা যায়, স্থানীয়ভাবে কে বা কারা ওই পুকুরটি সরকারি এই দাবিতে মাছ ধরার জন্য শনিবার সকাল থেকে উৎসুক জনতা জাল নিয়ে পুকুরে নেমে মাছ ধরতে শুরু করে। সময় গড়িয়ে দুপুর হতে হতে একের পর এক আশপাশের গ্রামের লোকজনও সরঞ্জাম নিয়ে পুকুরে নেমে মাছ ধরা শুরু করে। এভাবে দিনব্যাপী চলে মাছ ধরার নামে পুকুর চুরির উৎসব।
বিরলের ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের এ দীঘিটি সিএস রেকড র্মতে মালিক তমিজউদ্দিন। পরবর্তীতে পৈত্রিক সূত্র বলে বতর্মান মালিক তার ছেলে আখতার আলম ও তরিকুল ইসলাম।
ফরক্কাবাদ গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আফছার আলী’র সঙ্গে পুকুরটি নিয়ে বিরল সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং ৪৮/২০১৮।
কিন্তু মালিক পক্ষের দাবি, দলিল মতে জনগণ শুধু এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারবে। মাছ ভোগ করবে মালিক পক্ষ।
মূল মালিকের কাছ থেকে চুক্তি নিয়ে ওই পুকুরে মাছ চাষাবাদকারী একই গ্রামের জর্জিস আলম, কায়সার আলী, আরমান আলী ও আলম রহমান সাংবাদিকদের জানান, পুকুরটিতে প্রতি বছর মাছ চাষ হয়ে আসছে। বার্ষিক ইজারা নিয়ে মাছ চাষাবাদ করছি। আমরা ৫০ লাখ টাকার অধিক পোনা মাছ ও ফিড ব্যয় করেছি পুকুরটিতে।
এ ব্যাপারে আফছার আলী সাংবাদিকদের জানান, জনসাধারণ নিজেদের প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করছেন। এখানে কেউ কাউকে পানিতে নামায়নি বা মাছ ধরতে বলেনি।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল আহমেদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। হাজারো মানুষ ওই পুকুরে মাছ ধরেছে। উভয়পক্ষকে মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম