ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই সন্তানের জননী স্মৃতি আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্মৃতির স্বামী ও স্বজনরা বলছেন এটা আত্মহত্যা। তবে স্মৃতির বড় ভাই রাসেল বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, শাখাইতি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে দরিদ্র পরিবারের সন্তান আল-আমিন। ঢাকায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ৬/৭ বছর আগে বিয়ে করেন স্মৃতিকে। স্মৃতি বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার মধ্যভাঙ্গা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের মেয়ে। অভাব অনটনের সংসারে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। তাদের ঘরে মীম (০৪) ও আরাফাত (১০ মাস) নামের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামী ঢাকায় থাকলেও স্ত্রী স্মৃতি দুই সন্তানসহ গত ৪-৫ বছর ধরে শাখাইতি গ্রামেই বসবাস করছেন। এখানে রয়েছে তার শাশুড়ি ও ননদ। সম্প্রতি ঈদ করার জন্য বাড়িতে আসেন আল-আমিন। গত শুক্রবার সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কাটাকাটি হয়। স্বামী বাহিরে চলে গেলে স্মৃতি ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। স্বামী ও শাশুড়ি তাকে নিয়ে আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
সরাইল থানা পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার মর্গে পাঠিয়েছেন। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছি। গৃহবধূর বড় ভাই রাসেল বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক