অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগরে পাগলা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। একবছর আগে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এপ্রোচ না হওয়ায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতু পরিত্যক্ত ছিল।
সরজমিনে দেখা গেছে, সেতুর উভয় পাশের এপ্রোচ নির্মাণের কাজ চলছে। সেতুর পূর্ব পাশে বালি ভরাট করে রাস্তা বানানো হয়েছে। পশ্চিম পাশের এপ্রোচ সড়কের ওপর ইটের সলিং করা হয়েছে। ফলে লোকজন পায়ে হেঁটেই এখন চলাচল করতে পারছে। মোটরসাইকেল নিয়েও এপাড় থেকে ওপাড় যাওয়া যাচ্ছে।
কৃষ্ণনগরের মন্নাফ বলেন, এখন আর গোদারা (নদী পারাপারের নৌকা) লাগেনা। সেতুর গোড়ায় বালু ফেলায় আমরা সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করতে পারছি পায়ে হেটে। কাজ চলমান থাকায় কোন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাগলা নদীর ওপর ১৮০ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এলজিইডি’র আরটিআইপি-২ প্রকল্পের অধীনে সেতু নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পায় ‘হাসান এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের মে মাসে। পরে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত নির্মাণ কাজের সময় বাড়ানোর পর এর কাজ শেষ হয়। সেতুর কাজ শেষ হলেও সেতুটির দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ অসম্পন্ন থাকে। ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কোন কাজেই আসছিলো না। এই সেতু নির্মাণ করা ছিল এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি।
জেলা সদরের সাথে নবীনগরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে পাগলা নদীর ওপর এই সেতুটির গুরুত্ব অনেক। এই সেতুটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী হলে জেলা সদর থেকে নবীনগর যাওয়ার পথ যেমন সুগম হবে তেমনি বড়াইল, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মানুষের নবীনগরের সাথে যাতায়ত সহজ হবে। সেতু হওয়ার আগে পাগলা নদী পারি দিতে হতো গোদারা করে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির দুই পাড়ে জায়গা নিয়ে জটিলতা থাকায় এতোদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। সেটা দূর হওয়ায় এখন এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল