গাজীপুরে চলন্ত বাস থেকে সালাউদ্দিন নামে এক যাত্রীকে ফেলে তার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকায়। সালাউদ্দিন তার স্ত্রী পারুলকে নিয়ে বাঘেরবাজার এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানার গাড়ি চালাত।
নিহতের ছোট ভাই জামাল উদ্দিন জানান, ঈদের ছুটিতে স্ত্রীকে নিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে গাজীপুরে কর্মস্থলে ফেরার পথে ‘আলম এশিয়া’ বাসে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় এ ঘটনা ঘটে। মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বাসের ভেতরে চালকের সহযোগীকে ‘ড্রাইভার’ পরিচয় দিয়ে সালাউদ্দিন ভাড়া কিছু টাকা কম রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এই নিয়ে সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে চালকের সহযোগীর বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে চালকের সহযোগী লাথি মেরে সালাউদ্দিনকে ফেলে দেবে বাসের ভেতরে প্রকাশ্যেই হুমকি দেয়। ভয় পেয়ে সালাউদ্দিন তার ভাই জামালকে টেলিফোনে বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়াতে বলেন। পরে জামাল আরো ৫-৬ জন লোক নিয়ে বাঘের বাজার দাঁড়িয়ে থাকেন। সালাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে বহনকারী আলম এশিয়ার দ্রুতগামী বাসটি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা কিছু বোঝে উঠার আগেই সালাউদ্দিনকে বাস থেকে ফেলে দেয়। কিন্তু তার স্ত্রীকে নিয়ে বাস চলে যেতে থাকে। স্ত্রীকে না নামিয়ে বাস চলে যেতে থাকলে সালাউদ্দিন সড়ক থেকে উঠে গাড়ির সামনে গিয়ে গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় স্বজনদের সামনে ঐ বাসটি সালাউদ্দিনের ওপর উঠিয়ে দিলে সে মারা যায়। পরে নিহতের স্ত্রীকে বেশ দূরে নিয়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে নামিয়ে দিয়ে বাসটি রেখে চালক ও অন্যরা পালিয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক