সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জেলেরা। দেড় ঘন্টার অবরোধে দেশের ব্যস্ততম এ মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে চরম দুভোর্গে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। পরে সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ
সদস্য দিদারুল আলম ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ স্থগিত করে জেলেরা।
রবিবার সকালে চট্টগ্রামের ৩৮ পল্লীর জেলেরা মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী অংশে এ অবরোধ করে। জানা যায়, প্রতি বছর নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য সাগরে মাছ ধরার বিষয়ে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এবছরও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে বিগত বছরগুলোতে ছোট কাঠের নৌকা দিয়ে মাছ ধরার বিষয়ে কোনো বাধা থাকতো না। কিন্তু এ বছর ছোট ছোট নৌকার ক্ষেত্রেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফলে, দীর্ঘ দুই মাস জীবন ও জীবিকার ওপর চরম প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ১ জুন সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ওই দিনই ৯ জুলাই মহাসড়ক অবরোধ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ৩৮ পল্লীর জেলেরা।
পূর্ব কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার সকালে মহাসড়কের ভাটিয়ারী অংশে অবস্থান নেয় ৩৮ পল্লীর জেলেরা। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে নারী-শিশুসহ রাস্তায় অবস্থান নেয় শত শত জেলে। এ সময় প্রায় দেড় ঘন্টা বন্ধ থাকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাস বলেন, ‘সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সমস্যা সমাধানের বিষয়ে স্থানীয় এমপি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধান না হলে আগামী মঙ্গলবার থেকে আবার মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক