২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১৪:৪৮

শিক্ষার্থীদের রশি টেনে নৌকায় পারাপার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের রশি টেনে নৌকায় পারাপার

 পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রশি টানা নৌকায় পার হয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে হচ্ছে। উপজেলার চম্পাপুর ও ধানখালী এ দুই ইউনিয়নের এপারে পশ্চিম পাঁচজুনিয়া, ওপারে পুর্ব দেবপুর গ্রাম। দুপারের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ‘দেবপুর’ নামক একটি খাল। মাঝিবিহীন এ নৌকাটির দু’প্রান্তে বাঁধা রয়েছে রশি। আর প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে রশি টানা নৌকায় আসা-যাওয়া করছে তারা। এছাড়া পায়রাবন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকসহ এলাকার অন্তত চার হাজার মানুষকে রশিটানা নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। এভাবে পারাপার হতে গিয়ে কখনো তারা বই-পুস্তক নিয়ে খালে পড়ছে। আবার কখনো ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওইসব শিক্ষার্থীরা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই খালের অবস্থান উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিম পারে পাঁচজুনিয়া আর পূর্বপারে দেবপুর গ্রাম। পশ্চিম পারে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। তাই সেখানকার ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে হয় রশি টানা নৌকায়। তবে এ নৌকায় নির্ধারিত কোনো  মাঝি নেই। রশি টেনে পারাপার হতে হয়। এতে শিশুদের ঝুঁকি অনেক  বেশি। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার বলে, প্রতিদিন নৌকার রশি টেনে পার হয়ে আমরা স্কুলে যাই। এতে করে অনেক সময় বই খাতা ভিজে যায়। শিক্ষক মোসা. মেহেরুন নেছা বলেন, দক্ষিণ দেবপুরে প্রায় ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী আমাদের স্কুলে নিয়মিত ক্লাশ করে। নৌকায় পারাপারে ঝুঁকি থাকায় অনেকে স্কুলে আসে না। কিন্তু খালটিতে একটি সেতু থাকলে রশি টানা নৌকায় পারাপার হতে হতো না।

চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, পাঁচজুনিয়া ও  দেবপুর দুই গ্রামের মাঝখানে এই নদী। এখানে একটি ব্রিজ হলে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ গ্রামবাসীদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিজের তালিকা করে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর