ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফানের’ প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে রাবনাবাদ ও আন্ধারমানিক নদীর পানি চার-পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। পানির চাপ বাড়লে এ বাঁধের খাজুরা-মাঝিবাড়ি পয়েন্ট ছুটে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নিচকাটা জলকপাট আন্ধারমানিক নদীর পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুয়াকাটার আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, বঙ্গোপসাগর প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। সাগর থেকে উঠে আসা ৪-৫ ফুট উচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে কিনারায়।
এদিকে কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকাসহ উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের গঙ্গামতি, চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, বালিয়াতলী খেয়াঘাটের বাহির পাশের মানুষজনের কাঁচা ঘর-বাড়ি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুধবার সকাল থেকে মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেন। তবে কলাপাড়া পৌর শহরের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় মানুষজনের ভোগান্তি হয়েছে। শহরের মঙ্গলসুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ জনের মতো নারী, পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও রান্না করা কোনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি।
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সিপিসি টিম লীডার মো. শাহ আলম মীর (৫৪) প্রচার কাজের সময় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল