ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিঝুমদ্বীপসহ বেশকটি এলাকায় অর্ধশতাধিক গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এসব স্থানে ৪-৫ ফুট পানির নীচে রয়েছে। বৃষ্টির পানি ও জোয়ারে তলিয়ে যায় নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর।
জোয়ারে ভেসে গেছে হাতিয়ার প্রায় পাঁচ হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সাধারণ জোয়ারের চেয়ে ৪/৫ ফুট জোয়ারে তলিয়ে যায় নিঝুমদ্বীপ, চরঈশ্বর, নলচিরা, হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের বিস্তর্ন জনপদ। এছাড়া ও তমরদ্দি ইউনিয়নের জোড়খালি, কোরালিয়া, আঠারবেকী ও ক্ষিরোদিয়া, সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজচরা, পশ্চিম মাইজচরা, হৈইকবাধা এবং জাহাজমারা ইউনিয়নের মোক্তারিয়া ঘাট এলাকা জোয়ারে তলিয়ে যায়। এ সময় প্রবল জোয়ারে নলচিরা ঘাট এলাকা থেকে ২০-২৫টি দোকান ঘর মালামালসহ ভেসে যায়। বৃষ্টির পানি ও জোয়ারে তলিয়ে যায় নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ও অমাবস্যার প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া, ভারী বর্ষণের কারণে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার অব্যাহত থাকায় দ্বীপের নিচু এলাকাগুলোর কিছু অংশ পানির নিচে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল