সুপার সাইক্লোন আম্ফান বাগেরহাটের দিকে যতোই এগিয়ে আসছে ঝড়ো হাওয়ার তিব্রতা ততোই বাড়ছে। নদ-নদীর পানি ফুঁসে উঠেছে। ঝড় শুরু হবার আগেই সন্ধ্যায় সুন্দরবন ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যাবার খবর দিয়েছে বন বিভাগ। পানির তোড়ে বিকালে শরণখোলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরাতন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে শরণখোলা গ্রামের ১৫০টি পরিবারের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।
সড়কের উপর দিয়ে পানি উপচে বাগেরহাট সদরের রহিমাবাদ ও চাঁপাতলা গ্রামের ১৫০ পরিবার ইতিমধ্যেই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে থেকে ভারি বৃষ্টি ও অন্ধকারচ্ছন্ন গুমোট আবহাওয়ায় আংকিত হয়ে পড়েছে মানুষ।
বাগেরহাটের সুন্দরবন সন্নিহিত উপজেলা শরনখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা ও রামপাল উপজেলার আতংকিত সাধারণ মানুষ দুপুরের পর থেকে উঠতে শুরু করেছে। জেলা কন্টোল রুমের সর্বশেষ হিসেবে বিকাল পর্যন্ত জেলার ১ হাজার ৩১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ও ২০ হাজার গবাদী পশু আশ্রয় নিয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরে এলার্ট- ৪ জারি করে বন্দরে অবস্থানরত ১০টি জাহাজকে বন্দরের মূল চ্যানেল থেকে সরিয়ে হারবাড়ীয়া পয়েন্টে নিরাপদে আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে জরুরী ত্রান সামগ্রী নিয়ে মোংলা বন্দর জেটিতে অবস্থান নিয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের ৮টি যুদ্ধ জাহাজ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল