ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে গত দুইদিন যাবত কুড়িগ্রামে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার (২১ মে) মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর প্রচন্ড বাতাস ও বৃষ্টিপাত হয়। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড় বৃষ্টি আর প্রবল বাতাসে ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেনি মানুষজন।
বাতাস ও বৃষ্টির কারনে বৃহস্পতিবার সারাদিন জেলায় বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। ফলে এখানকার মানুষকে রোজায় অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। এদিকে,বৃষ্টির কারনে নদনদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় গত এক সপ্তাহে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৯৪ মিলিমিটার। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় এ জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। এছাড়া বাতাসের গতি ৩০ থেকে ৪৫ কি.মি. প্রবাহিত হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানায়। তবে আরো দুই তিন দিন এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
অন্যদিকে,ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বাতাসের কারনে জেলার ৯ উপজেলার অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে রাস্তায় পড়ে যায়, গাছের কাঁচা আম ও লিচু ঝরে পড়ে, উঠতি ফসল বোরো ধানসহ শাকসবজি ও অন্যান্য ফসলের অনেকটা ক্ষতি হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপপরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বোরোর ক্ষতির কথা স্বীকার করে বলেন, এ জেলায় ইতোমধ্যেই কৃষকরা ৬০ ভাগ ধান কেটে নিয়েছেন। বাতাসে কোন কোন স্থানে নিচু জমির ধান মাটিতে পড়ে গেলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ