ঝালকাঠির রাজাপুরে ইউপি সদস্য স্বামীর কাছে বাবার বাড়ি যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় রুনা লায়লা (২৬) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার শুক্তাগড় এলাকার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে ইউপি সদস্য কুদ্দুস হোসেনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ।
রুনা লায়লা উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কুদ্দুস হোসেনের স্ত্রী ও মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহশংকর এলাকার মো. নুর হোসেন গাজীর কন্যা।
স্থানীয়রা জানায়, ইউপি সদস্য কুদ্দুসের শ্বশুর বাড়ির সাথে তার সম্পর্ক ভাল না থাকায় ওই বাড়িতে আসা যাওয়া বন্ধ ছিল। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার কুদ্দুসের স্ত্রী রুনা লায়লা তার কাছে বাবার বাড়ি যাওয়ার আবদার করে। এ সময় কুদ্দুস ধমক দিয়ে জানায় এখন না, ঈদের সময় দেখা যাক। এই বলে কুদ্দুস গরু নিয়ে বাড়ির বাহিরে যায়।
কিছুক্ষণ পরে বাহির থেকে বাড়িতে এসে রুনা লায়লাকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে তার শয়ন কক্ষে গিয়ে স্ত্রীকে ওড়না গলায় জড়িয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত দেখতে পায়। বিষয়টি ইউপি সদস্য নিজেই রাজাপুর থানা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়।
রুনা লায়লার মা কুলসুম বেগম তার মেয়ে রুনা লায়লাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে জানায়, আমরা গরীব বলে কুদ্দুসকে টাকা-পয়সা দিতে না পারায় প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করা হতো এবং বাড়িতে আসতে দিত না। ঘটনার দিন আমার মেয়ে রুনা লায়লার সাথে কুদ্দুসের জগড়া হয়। পরে রুনা লায়লা আমাদের বাড়ি আসতে চাইলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যার বিচার চাই।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানোর প্রস্তুুতি চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন