মৌসুমি বায়ু সরতে না পারায় নভেম্বরেও শীত নেই উত্তরের জেলাগুলোতে। অথচ প্রতিবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে এ অঞ্চলে শীত অনূভূত হলেও এবার হয়েছে উল্টোটা। এধরনের ঘটনা গত কয়েক দশকে হয়নি। এমনটাই ধারণা করছেন আবহাওয়া অফিস। এ অঞ্চল থেকে মৌসুমি বায়ু সরে না যাওয়ার কারণে হিমালয়ের বাতাস প্রবেশ করতে পারছে না বলেই এখন পর্যন্ত শীতের দেখা নেই। তবে খুব দ্রুত মৌসুমি বায়ু সরে গিয়ে শীতের আগমন ঘটবে এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়া অফিস।
জানা গেছে, প্রতিবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় শীত বইতে শুরু করে। এবার অক্টোবর পেরিয়ে নভেম্বর মাস চললেও শীতের দেখা নেই। দিনের বেলা প্রচণ্ড গরম অনূভুত হচ্ছে। ভোরের দিকে কিছুটা কুয়াশা দেখা গেলেও সূর্য উঠার সাথে সাথে তেতে উঠছে পরিবেশ। দুপুরে একটু শীতল পরশের জন্য মানুষকে এসি কিংবা ফ্যানের হাওয়ার জন্য ছটফট করতে হয়।
আবহাওয়া অফিসের মতে এবছর প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চল থেকে মৌসুমি বায়ু সরে যেতে পারেনি। মৌসুমি বায়ু সরে না যাওয়ার কারণে হিমালয় থেকে যে বাতাস আসার কথা ছিল তা আসতে পারছে না। ফলে শীত অনুভূত হচ্ছে না। এ ধরনের আবহাওয়া সচরাচর দেখা যায় না। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে এমন আবহাওয়া এ অঞ্চলে দেখা যায়নি। এটা প্রকৃতির জন্য ভাল লক্ষণ নয় এমনটা মনে করছেন অনেক প্রবীণ ব্যক্তি।
নগরীর কামালকাছনা এলাকার ৮৫ বছর বয়সী নুরেন নাহার বেগম বলেন, তিনি তার জীবনে এমন আবহাওয়া দেখেননি। প্রতিবছর আশ্বিন মাসের শুরুতে শীতের দেখা মিললেও এবার কার্তিক মাসের অর্ধেক চলে যাওয়ার পরেও শীত নেই। তিনি মনে করেন এটা প্রকৃতির বিরূপ আচরণ।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এবার মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের মৌসুমি বায়ু অন্যত্র যেতে পারেনি। ফলে হিমালয় থেকে যে ঠাণ্ডা বাতাস আসার কথা তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন খুব দ্রুত মৌসুমি বায়ু চলে যাবে। এর পরই উত্তরাঞ্চলে শীত অনুভূত হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা