পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় পুকুর থেকে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আমেনা খাতুন (২৪) আটঘরিয়া উপজেলার চকধলেশ্বর গ্রামের আমিন উদ্দিনের মেয়ে। সোমবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করে।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, ৮ বছর আগে পাবনার আটঘরিয়া পৌর এলাকার ধলেশ্বর গ্রামের আমিন উদ্দিনের মেয়ে আমেনা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় পাশের চক ধলেশ্বর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলের আজিম উদ্দিনের। তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি শিশুকন্যার পর আবারও ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন আমেনা। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে আসছিল তার স্বামী বলে অভিযোগ স্বজনদের। গত বছরেও বিষয়টি নিয়ে পৌরসভায় শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে সুরহা হয়। তারপরেও প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল।
সোমবার ভোর রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমেনাকে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে মারধোর করে। আমেনা খাতুন মারা গেলে বাড়ির পাশের পুকুরে মৃতদেহ ফেলে দেয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনরা।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান জানান, সোমবার সকালে স্থানীয়রা কন্দপপুর এলাকার একটি পুকুরে গৃহবধূ আমেনা খাতুনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল মর্গে পাঠায়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জাহিদ হোসেন ও শাশুড়ি রাশিদা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আমিন উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার