বগুড়ায় মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদ ফেলে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আমিনুর রহমান (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাম ঠিকানা বিহীন চতুর আমিনুরকে শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে ছদ্দবেশী আমিনুরকে গ্রেফতার করে বগুড়া সদর থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া আমিনুর রহমান বগুড়া সদরের কাহলা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। রবিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে শহর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। এঘ টনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা। তিনি সদর উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর থেকে অপরিচিত নম্বরে অপরিচিত একজনের সাথে কথা বলে অষ্টম শ্রেণীর মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী। তিনদিনের মাথায় ছেলেটা মেয়েটার সাথে দেখা করতে চায়। ছেলেটা (আমিনুর) তার নাম বলে সাগর। ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে কথিত সাগর কৌশলে বারবার ফোন দিতে থাকে মেয়েটিকে। মাদ্রাসা ছাত্রী এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে কথিত সাগরের সাথে দেখা করতে যায়। পেশায় সিএনজি চালক আটক আমিনুর সিএনজিতে তুলে নিয়ে দাড়িয়াল গ্রামের পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাড়িতে এসে সব কথা মা-বাবাকে জানায়। খবর পেয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃতে অভিযান পরিচালনা হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, রবিবার রাত সাড়ে দশটার সময় ছাত্রীটি তার মা, বাবা এবং মামাসহ তাকে বিষয়টি অবগত করেন। একমাত্র মোবাইল নম্বর ছাড়া তারা কিছুই বলতে পারেনি। সেই নম্বরের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনে বগুড়া শহরের একজন সত্তর বছর বয়সীর নামে। তাকে খুঁজে পাওয়াও সম্ভব না হলেও শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সদর থানার এসআই রায়হান এবং নুর আমিনকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে রবিবার দিবাগত রাতে ধর্ষক আমিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষক আমিনুরকে সনাক্ত করেছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় আমিনুরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ