বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এখন প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
তবে তিন হত্যা মামলায় নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব।
ইউনিয়নের বেইলি ব্রিজ এলাকায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শাহ আলম খান (৬০) নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ এই মামলার এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, শাহ আলম খান নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পরপরই ওই রাতে এজাহারভুক্ত আসামি হারুন সরদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক অহিদুল ইসলামকে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর বেইলি ব্রিজ এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় পাশ্ববর্তী বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের শাহ আলম খান আহত হন। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শাহ আলম খান খাঞ্জাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য পদে পরাজিত মন্টু হাওলাদারের ভায়রা ভাই। এ ঘটনার জন্য ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী সদস্য ফিরোজ মৃধার সমর্থকদের দায়ী করেছেন শাহ আলমের স্বজনরা।
এদিকে নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় খাঞ্জাপুরে বিজয়ী সদস্য প্রার্থীর মিছিলে ককটেল হামলায় নিহত আবু বক্কর হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবু বক্কর হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতারের কথা ওসি স্বীকার করলেও তাদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে নির্বাচনের দিন ককটেল হামলায় নিহত মৌজে আলী হত্যা মামলায় খাঞ্জাপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত সদস্য ফিরোজ মৃধাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ
