বগুড়া জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি এবং মেলার নিরাপত্তা ছাড়াই শুরু হতে যাচ্ছে পোড়াদহের মেলা। বুধবার লক্ষাধিক মানুষের মিলনমেলা ঘটবে এই মেলায়। মেলাতে উঠবেনা মহাবিপন্ন প্রজাতির বাঘাইড় মাছ। মেলার অনুমতি না থাকলেও এলাকার জামাই, বউ, ঝি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মহিষাবান ইউনিয়ের পোড়াদহ মেলায় আমন্ত্রনে মঙ্গলবার পোড়াদহের মেলার আশেপাসে পৌঁছে গেছে।
জানা যায়, প্রায় দেড়শত বছর আগে থেকে জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নে এ মেলা হয়ে আসছে। ঐতিহ্যবাহি পোড়াদহ মেলাকে ঘিরে গাবতলী উপজেলাসহ আশপাশের আরো ৪টি উপজেলায় মেলার ধুম পড়ে যায়। মেলাকে ঘিরে উপজেলাগুলোতে ঈদের উৎসব পড়ে যায়। এবার মেলাকে কেন্দ্র করে ১০ একর জুড়ে আয়োজন চলছে। মেলায় স্টল বসেছে মিষ্টান্ন, খেলনা, কাঠের আসবাব পত্র, মাছের দোকানীরা। এবার মেলা বাঘাইড় মাছ বিক্রি, প্রদর্শন বন্ধ ঘোষণার পর বন বিভাগ, উপজেল প্রশাসন ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। বসেছে বিশাল আকৃতির মিষ্টি। মৎস্য আকৃতির ৭ থেকে ১০ কেজি ওজনের মিষ্টি মেলা জন্য তৈরী করা হয়েছে। বড় মাছের আকৃতি মিষ্টি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বলে জানান মেলার দোকানীরা।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মন্ডল জানান, এবারের মেলায় বিক্রি হবেনা বাঘাইড় মাছ। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন মেলার কোন অনুমতি দেয়নি। তবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকারাই নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সার্বক্ষনিক কাজ করবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়উল হক জানান, করোনার দাপটের কারনে পোড়াদহ মেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। তা ছাড়া এই মেলা যেভাবে লোক সমাগম হবে হবে তাতে করোনা স্বাস্থ্য বিধিমানা খুবই কঠিনকাজ। মেলা কোন বাঘাইড় মাছ বিক্রি, প্রদর্শন করা যাবে না। এ ব্যাপার উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে আছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, যেহেতু করোনার কারনে জেলা প্রশসান কোন অনুমতি দেয়নি, তাই মেলার দায়িত্ব মেলার উদ্যোক্তাদের নিতে হবে। জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট দিলে পুলিশ প্রশাসন তা পালন করবে। মেলায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেই দায়ভার তাদের নিতে হবে। পুলিশ অনুমোদন বিহীন মেলায় নিরাপত্তা দেবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএ