- হোম
- দেশগ্রাম
- গাছের ডালে ঝুলছিল কিশোরীর লাশ...
অনলাইন ভার্সন
গাছের ডালে ঝুলছিল কিশোরীর লাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে আম গাছের ডালে ঝুলছিল কিশোরীর মরদেহ। সেই ঝুলন্ত মরদেহের খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবা-মা, দাদা-দাদি ও ভাইসহ পাঁচজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গণ্ডগোহালি গ্রামে।
শনিবার দুপুরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে নিহত ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত ওই কিশোরীর নাম হোসনে আরা প্রান্তি (১৬)। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালি গ্রামের হাসানুজ্জামান বাবুর মেয়ে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, কিশোরী মেয়েটির মৃত্যু রহস্যজনক বলেই মনে হচ্ছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এছাড়া মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তার মুখমণ্ডলটি বালুমাখা ছিল। এখন কেউ তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছে-না সে আত্মহত্যা করেছে, তা বলা যাচ্ছে না। এজন্য নিহতের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কিশোরীর মা-বাবা, দাদা-দাদি ও ভাইসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রান্তির বয়স ১৬ হলেও তার বিয়ে হয়েছিল। অভিভাবকরা বলছেন, তার মেয়ে প্রান্তিকে গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) তার স্বামী তালাক দিয়ে দিয়েছেন। নিহতের বাবা হাসানুজ্জামান বাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, গত বছর পরিবারের অমতে তার মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে একই উপজেলার কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলামকে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর উভয় পরিবার তাদের বিয়ের বিষয়টি মেনে নেয়নি। তবে প্রান্তি তার দাদার বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। আর এ ঘটনাটি তার দাদার বাড়িতেই ঘটেছে। এ জন্য প্রান্তির মা-বাবা, দাদা-দাদি ও ভাইসহ পাঁচজনকেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এএম