চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেট এলাকায় মছের আড়ৎ গড়ে ওঠার ফলে রাস্তা দখল করে মাছবাহী ট্রলি, পিকআপে আড়তগুলোতে মাছ উঠানামা করানো হচ্ছে। এতে করে রাস্তাটি যেমন সংকুচিত হয়ে পড়ছে, তেমনি দিন দিন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এছাড়া মাছবহনকারি যানগুলোতে থাকা পানি ও মাঝের বর্জ্য রাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় ফেলে দেওয়ায় বিকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে পথচারীসহ মার্কেটে আসা ক্রেতারা বিপাকে পড়ছেন।
মাছ বিপণনে সুবিধার্থে পূর্বের জেলা প্রশাসক এ জেড এম নুরুল হক মাছ বাজারটি হটিয়ে নতুন হুজরাপুর এলাকায় স্থায়ীভাবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তিনি বদলি হয়ে চলে যাবার পর সেটি এখন অধরায় রয়ে গেছে। জানা গেছে, সকাল ৬ টার পর থেকে নিউ মার্কেট এলাকায় মাছের আড়তের সামনে মাছবহনকারি যানগুলোতে থাকা পানি ও মাঝের বর্জ্য রাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। এবং সেগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পর বিকট দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে করে ওই পথে চলাচালকারী মানুষজন দুর্ভোগে পড়ছেন। এছাড়া মাছ বহনকারী যানবাহনের পানি রাস্তার ওপর ফেলায় রাস্তাগুলোর অনেকাংশ দেবে যাওয়ায় তা দিন দিন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে পথচারীসহ অন্যান্য পেশার মানুষকে পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে।
এমনকি গণপূর্ত দপ্তরের আবাসিক ভবনের মূল ফটক ও নিউ মার্কেটের মূল ফটকের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে ভ্যান ও সাইকেল রেখে খুচরা ব্যবসায়ীরা মাছের আড়ত থেকে মাছ ক্রয় করায় ওই এলাকার পরিবেশ থাকে অপরিচ্ছন্ন। এর আশপাশের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, মাছের আড়তটি স্থানান্তরের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কেননা সকালে যেভাবে মাছের পানি ফেলা হচ্ছে, তাতে পুরো এলাকা দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে। এছাড়া অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা। তাই দ্রুত মাছ বাজারটি স্থানান্তর করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ