স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে’ রাষ্ট্র বিনির্মাণের আইনগত ও দর্শনগত নির্দেশনা রয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জারিকৃত এই ঘোষণাপত্র জনগণের জন্য ‘সাম্য’, ‘মানবিক মর্যাদা’ ও ‘সামাজিক সুবিচার’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ঘোষণার মাধ্যমে জাতি-রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সকল আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণতা এবং আইনগত ও নৈতিক বৈধতা দিয়েছে। ঘোষণাপত্রটি (Proclamation of Independence) স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রাজনৈতিক দলিল। সুতরাং, রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্মারক হিসেবে ১০ এপ্রিলকে 'প্রজাতন্ত্র দিবস' বা Republic Day ঘোষণা করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে 'প্রজাতন্ত্র দিবস' ঘোষণাই হবে স্বাধীনতার চেতনা ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের অন্যতম পদক্ষেপ। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এই ত্রয়ী আদর্শকে রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি হিসেবে কার্যকর করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের দার্শনিক ভূমিতে দাঁড়িয়ে এখনই বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা শুরু হোক এটাই জাতির প্রত্যাশা।
আজ বিকেলে নোয়াখালী জেলা জেএসডি'র প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সাংবিধানিক সংস্কার, রাষ্ট্র মেরামত, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং ন্যূনতম কর্মসূচিসহ জেএসডি দেশবাসীর সামনে ‘জাতীয় সরকার’ এর প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
নোয়াখালী শহরস্থ এফপিএবির হলরুমে অনুষ্ঠিত নোয়াখালী জেলা জেএসডি'র প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বিএসসি, ইকবাল হোসেন, নুরু রহমান চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রসূল দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের চেয়ারম্যান, আলাউদ্দিন খান চেয়ারম্যান, মোশারফ হোসেন মিন্টু চেয়ারম্যান প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল