সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় চাঁদার দাবিতে ইউপি চেয়ারম্যানের মেয়ের ভবন ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম শাহরিয়ার শহীদ বাপ্পী এ আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, সলঙ্গা থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ (৪০), থানা আওয়ামী লীগের তথ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফ, থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন (৩০), সলঙ্গা থানা লোড-আনলোড সমিতির সভাপতি কুঠিপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হক ওরফে তোজাম সর্দার (৬২), সলঙ্গা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ছানোয়ার (৪৮) এবং ভেকু মেশিনের চালক নুরুল ইসলামের ছেলে সুজন (৩৫)।
সিরাজগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক মো: মোস্তফা কামাল জানান, মামলার আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা সলঙ্গা বাজারে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন।
এ অবস্থায় থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদুল ইসলাম ফরিদ ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ১৪ মে আসামিরা একজোট হয়ে এসে নির্মাণাধীন ভবনটি ভেকু মেশিন দিয়ে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় জাকিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে। তদন্ত শেষে পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন