ছোটো থাকতে দেখতাম এলাকায় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। অন্যের জমিতে হাঁস-মুরগির মত গবাদি পশুপাখির প্রবেশ নিয়ে লেগে যেত তুমুল বিবাদ। এর পাশাপাশি চুরি, ডাকাতি, জমি বা বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ, ইত্যাদি ছিলো নিয়মিত ঘটনা। অনেক সময় এসব বিবাদ রূপ নিতো মারামারিতে। এখন আমাদের চরে এসব নেই বললেই চলে।’ কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা জেসমিন আক্তার।
জেসমিনের মতো ভাগ্য ফিরেছে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র চরে অনেকের। চরে বসবাস করেও, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া এবং উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে এখানকার বাসিন্দারা। সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের কল্যাণে চরবাসীর সমাজ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পবির্তন এসেছে বলে জানান তারা।
ফ্রেন্ডশিপ সুশাসন বিভাগের উপ-পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান জানান, মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন যমুনা-ব্রহ্মপুত্র চরাঞ্চলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ছিলো খুবই চ্যালেঞ্জিং কাজ। প্রায় ২০ বছর ধরে এখানকার মানুষের সাথে কাজ করে একটা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। ৯০টি আইনী তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে অর্জিত এ সফলতার অন্যতম দাবিদার ফ্রেন্ডশিপের ৯০ জন প্যারালিগ্যাল। শুধু সুশাসন নয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবেলায় ফ্রেন্ডশিপ স্টাফরা রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।