অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে ১৪ দলের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে মাঠে নেমেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। শনিবার বিকেলে নগরীর আলুপট্টি থেকে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। এসময় প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশাও উপস্থিত ছিলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার জানান, আগের সবগুলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অথবা ১৪ দলের পক্ষে কমিটি গঠন করা হয়। তারাই নির্বাচন পরিচালনা করেন। কিন্তু এবার নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল নৌকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমানের কাঁচি প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হয়েছেন। তারা এতোদিন অপেক্ষা করেছেন, হয়তো তার বোধোদয় হবে। তিনি নৌকার বিরোধিতা থেকে নিজেকে ফিরিয়ে আনবেন। তাই এককভাবে তিনি নৌকার পক্ষে নগরীতে প্রচারণায় নামেননি। কিন্তু ভোটগ্রহণের এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও মোহাম্মদ আলী কামাল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে বিভ্রান্ত করে নৌকার বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছেন।
ডাবলু সরকার বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। কিন্তু নগর সভাপতি সেই প্রতীক বদলে ফেলেছেন। এখন নাকি কাঁচি আওয়ামী লীগের প্রতীক। সেই বিভ্রান্তি দূর করতে তিনি মাঠে নেমেছেন।
১৪ দলের প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জোটের প্রার্থী হিসেবে তাকে নৌকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার ইন্ধনে তারাই এখন নৌকার বিরোধিতা করছেন। যারা নৌকার বিরুদ্ধে, তারাও শিগগিরই মাঠে নামবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘রাগ-ক্ষোভ নিয়ে আলোচনা হবে দলীয় ফোরামে। এখন নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার সময়। বিএনপি-জামায়াত এই নির্বাচনকে ইস্যুকে করে ১৪ দলের ঐক্যে ভাঙন ধরাতে চায়। যার সঙ্গে কেউ কেউ মিলে গেছেন। তাদের বোধোদয় হবে। তারাও নৌকার পক্ষেই কাজ করবেন।’
শনিবার বিকেলে নগরীর আলুপট্টি থেকে প্রচারণা শুরু হয়ে সাহেববাজার, মনিচত্বর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর ইকবাল, বদিউজ্জামান খায়ের ও রেজাউল ইসলাম বাবলু, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ, মুকিদুজ্জামান জুরাত, বরিউল ইসলাম রবি, পঙ্কজ দে, সিদ্দিক আলম।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল