ঢাকার ধামরাইয়ে মক্তবে আরবি পড়তে যাওয়ার পথে এক মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। এ ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোরে সূয়াপুর ইউনিয়নের ‘করিম-কাইয়ূম-তারা’ গ্রামে। ধর্ষণের শিকার শিশু রৌহা দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার থেকে জানা গেছে, শনিবার ভোর সাড়ে ছয়টারদিকে ‘কারিম-কাইয়ূম-তারা’ গ্রামের শিশু শিক্ষার্থী মসজিদ মাদ্রাসায় আরবি পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে কিছু দূর যাওয়ার পরই ঘন কুয়াশার মধ্যে একই গ্রামের ঘরজামাই শিপার হোসেন (৩০) ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে পরিত্যাক্ত এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে শিপার হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ধামরাই থানার এস আই ফাহাদ হোসেন। তিনি এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, শিপার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে যা এলাকাবাসী বলছেন।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা বলেন, ওই শিশু শিক্ষার্থীকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশু ছাত্রীকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন আসলেই মামলা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম