শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

চা পানে নাহি দোষ-চা করে চিত্ত পরিতোষ

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
চা পানে নাহি দোষ-চা করে চিত্ত পরিতোষ

১৬৬২ সালের ১৪ মে ঝকঝকে রৌদ্রের পড়ন্ত এক বিকালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন একজন রমণীর জন্য- যিনি শীঘ্রই হতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রানী বা কুইন। তিনি বিশেষ দূত মারফত আগেভাগেই খবর পেয়েছেন, আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজদরবারে পদার্পণ করবেন পূর্তগালের রাজকুমারী ক্যাথেরিন ব্রাগেঞ্জা। রাজা চার্লস ক্যাথেরিনকে দেখতে এতটাই ব্যাকুল হয়ে আছেন যে, তিনি যেন নিজেকে আর কিছুতেই ধরে রাখতে পারছেন না। যদিও লোকমুখে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ক্যাথেরিন দেখতে অতীব সুন্দরী ও একজন বিদূষী নারী। তার পরও তিনি মুখিয়ে আছেন রাজকুমারীর মুখ দর্শনের জন্য। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাজকুমারীর শুভাগমনে রাজদরবার প্রাঙ্গণ বাদ্য-বাজনার ঐশ্বরিক সুর মূর্ছনার ঝঙ্কারে চারপাশ আমদিত হয়ে উঠল। রাজা বিলক্ষণ বুঝলেন এই সুর মূর্ছনার যথার্থ কারণ। রাজদরবারের অন্যান্য সভাসদ ও রাজ আমর্ত্যরাও সচেতন ও সটান দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ রইলেন আগত রাজকুমারীর জন্য। ক্যাথেরিন রাজদরবারে প্রবেশ করেই মাথাটি ঈষৎ ন্যুব্জ করে রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও অভিবাদন জানালেন। রাজা চার্লসও দাঁড়িয়ে রাজকুমারীর উদ্দেশে তার শুভেচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করলেন। চার্লস এবার রানীকে জিজ্ঞেস করলেন যাত্রাপথের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে তিনি কী ধরনের পানীয় পান করতে ইচ্ছুক? রানী কিছুটা লাজুক কিন্তু সপ্রতিভ ভঙ্গিতে রাজাকে বললেন, আমার আপাতত এক গেলাস (কারণ তখনো পর্যন্ত পেয়ালায় চা পানের সংস্কৃতি চালু হয়নি) চা হলেই চলবে।

শুধু রাজা চার্লসই নয়, রাজদরবারে সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিরা অবাক হলেন। কারণ চা পানীয়টি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত তারা যৎসামান্যই অবগত। বিশেষ করে রাজা চার্লস মনেও করতে পারলেন না চা বস্তুটি তিনি জীবনে আদৌ দেখেছেন কিনা? ইতিমধ্যে একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী রাজার কানে ফিসফিস করে কী যেন বললেন। রাজা এবার রাজকুমারী ক্যাথেরিনকে বললেন- আমরা দুঃখিত সম্রাজ্ঞী। আমাদের এখানে চা পানীয়টির একেবারেই প্রচলন নেই। আপনি আপনার ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস উৎকৃষ্ট বিয়ার পান করতে পারেন। এই হলো ইংল্যান্ডে প্রথম চা প্রচলন কাহিনী। সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন ব্রেগেঞ্জা ইংল্যান্ডে অনেক ভালো ভালো জিনিস প্রবর্তন করেছিলেন। ইংল্যান্ডে চায়ের প্রচলন তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যদিও জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা আমাদের জানিয়েছেন যে, ডাচ্ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিই প্রথম প্রতিষ্ঠান যে কিনা ইউরোপে চা প্রচলন করেছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তথ্যকে সমর্থন করি না। আমি মনে করি, পূর্তগিজরাই প্রথম ভারত, চীন ও জাপানে এসেছিলেন। তারাই সম্ভবত প্রথম ভারত কিংবা চীন থেকে চা আমদানি করেছিলেন ইউরোপে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস পূর্তগিজ নাবিক ভাস্কোদা গামাই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারত থেকে চা প্রথম ইউরোপে নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ দার্জিলিং ও আসামে চা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে কেরালাতেও সেই প্রাচীন যুগেও চায়ের বাগান ছিল। আর ভারতে অতি প্রাচীনকালেই যে চা জন্মাতো আমার তার প্রমাণ পাই রামায়ণে। রামায়ণে চা গাছের উল্লেখ আছে, তবে তখন হয়তো এভাবে চা পান করা হতো না। চা গাছ ব্যবহৃত হতো ঔষধি গাছ হিসেবে। চা কে ফরাসিরা চিনে ছিল ১৬৩৫ সালে। চা রাশিয়ায় পৌঁছল ১৬৩৮ সালে। ইংরেজরা চা-কে স্বাগত জানাল ১৬৫০ সালে। আর তার প্রশস্তি গাইল এই বলে- 'সকল চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়া এই সেই অপূর্ব চৈনিক নির্যাস। চীনারা যাকে বলে চা, আর পূর্তগিজ ভাষায় সেটিকে বলে তে, এবং ইংরেজরা বলে টি।'

পৃথিবীতে চা পানের সূত্রপাত কিভাবে ঘটেছিল সে বিষয়ে চীন দেশটিতে এমটি মিথ ও কিংবদন্তি চালু আছে। খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালের দিকে চীনের বিখ্যাত সম্রাট শেনং যিনি চীনা ঔষধ ও কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তিনি একবার জনগণের উদ্দেশে একটি ফরমান জারি করলেন যে, শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে তার রাজ্যের প্রজারা দিনে অন্তত এক পেয়ালা করে গরম পানি পান করবেন। সন্দেহ নেই রাজা শেনং নিজেও সেই অনুশাসন মেনে চলতেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। একদিন ঝড়ো বাতাসে দূরের চা গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে পড়লো রাজার গরম পানির পেয়ালায়। অমনি সেই পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ গেল সম্পূর্ণ বদলে। রাজা শেনং অভিভূত হলেন সেই পানীয় পান করে। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত পান করতে শুরু করলেন সেই চায়ের পাতাযুক্ত পানীয়। পরে অবশ্য চা নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। দুধ সহযোগে হালকা তামাটে রঙের চায়ের প্রচলন সম্ভবত ইউরোপিয়ানদের হাতেই হয়েছিল ১৬০০ শতকের দিকে। পাঠকবৃন্দের মনে হয়তো একটি প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে যে, এত গুরুগম্ভীর বিষয় থাকতে চায়ের মতো এমন একটি তরল ও লঘু বিষয় নিয়ে লিখতে কেন আগ্রহী হলাম সেটা একটু বলি- প্রথমত, মাঝে মধ্যেই চোয়াম নমস্কি, মিশেল ফুকো, জ্যাক দেরিদা প্রমুখ ব্যক্তির গুরুগম্ভীর ও খটমটে লেখাগুলো পড়তে পড়তে, মাথাটি যখন একেবারে ধরে ও এলোমেলো হয়ে যায় (আমি একজন বহুযুগের গ্রন্থ ভক্ষণকারী উইপোকা। তারপরও বেশির ভাগ সময়ই এ সব বইয়ের বিষয়বস্তুর অনেক কিছুতেই দন্তস্ফূট করতে পারি না) তখনই হাতে তুলে নেই কিছু লঘু ধরনের বই, যেমন- 'কী খাবেন, কেন খাবেন?' 'রঙ্গপ্রিয় বিদ্যাসাগর' ইত্যাদি টাইপের বই। ঠিক এমনিভাবে একবার হাতে তুলে নিলাম জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা প্রণীত 'চা চরিত' বইটি। কিন্তু বইটির কয়েকটি পাতা উল্টোনোর পর মাথাটা যেন পুনরায় ধরে গেল। বইটি ছুড়ে ফেলে দিলাম শেলফের এক কোণায়। মনে মনে ভাবলাম এতদিন বিভিন্ন বইপত্র পড়তে গিয়ে চা সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি এবং স্মৃতিতে যতটুকু ধরে রেখেছি সেখান থেকেই লিখব চায়ের ওপর একটি নিবন্ধ। এ জন্যই আজকের এ আয়োজন। চায়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া কত অদ্ভুত কাণ্ড, কত ঘটনা, অঘটন ও বৈচিত্র্যময় কাহিনী। স্থান সংকুলানের অভাবে সেগুলোর কতটুকুই বা এখানে লিখতে পারব জানি না। আমার প্রথমেই মনে পড়ছে, ফরাসি বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্সেল প্রস্তের কথা। আত্দস্মৃতি বিষয়ে কালজয়ী ফরাসি উপন্যাস 'হারানো সময়ের খোঁজে'-এর প্রথম খণ্ডে এক জায়গায় প্রস্ত বলেছেন, কীভাবে একদিন তিনি চায়ে এক টুকরো কেক ডুবিয়ে খেতে গিয়ে তার মন অপ্রত্যাশিতভাবে বাল্যকালে গ্রামের জীবনের অনুরূপ স্মৃতিতে আবিষ্ট হলো এবং কালক্রমে তিনি লিখে ফেললেন পাঁচ খণ্ডের ঢাউস সাইজের এক কালজয়ী উপন্যাস।

আরেক শ্রুতকীর্ত ফরাসি লেখক বালজাক ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রমাণ সাইজের মগে কফি পান না করে কোনো লেখা শুরুই করতে পারতেন না। সূর্য অস্তমিত যেতে না যেতেই ঘুমিয়ে পড়তেন বালজাক। রাত ১১টা কিংবা ১২টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেই একটি বৃহৎ পেয়ালায় ল্যাটিন আমেরিকান থেকে আমদানিকৃত অতি উৎকৃষ্ট জাতের কফি পান করতেন তিনি। তারপর শুরু করতেন লেখালেখি। ইংরেজ লেখক অস্কার ওয়াইল্ড যেমন অতি দামি ও দুষ্প্রাপ্য সব পোশাক-পরিচ্ছদ কিনে দেওলিয়া হয়েছিলেন- ঠিক তেমনি বালজাকও অনেকটাই ফতুর হয়েছিলেন দামি কফি পান করতে গিয়ে। আর সেসব কথাই তিনি লিখেছেন তার- 'দ্য প্লেজার অ্যান্ড পেইনস অব কফি' অর্থাৎ 'কফি পানের আনন্দ ও বেদনা' নামক নিবন্ধে।

পাঠকবৃন্দ শুনে অবাক হবেন যে, আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে চা। কী ভাবে? সেটি বলছি- ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটেন থেকে চায়ের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তাদের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র আমেরিকাতে কিন্তু চায়ের ওপর শুল্ক ঠিকই বহাল থাকে। যেহেতু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমেরিকার কোনো সংসদ সদস্য থাকার সুযোগ ছিল না- তাই তারা পার্লামেন্টে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও করতে পারলেন না। বরং তারা প্রতিবাদ করলেন অন্য একটি উপায়ে। বিষয়টি কাকতালীয় হলেও সত্যি যে, আমাদের যেদিন বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর সালটি যদিও ১৭৭০-বোস্টন নৌবন্দরে তিনটি চা বোঝাই জাহাজ থেকে আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষ সমস্ত চায়ের পেটি ছুড়ে ফেলে দিলেন সাগরে। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল আমেরিকার স্বাধীন অর্জনের সংগ্রাম।

অন্যদিকে এক আরব পর্যটকের বর্ণনার সূত্রে জানা যায় যে, ৮৭৯ সালের দিকে চীনের ক্যান্টন শহরের প্রধান আয়ের উৎস ছিল লবণ এবং চায়ের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক। মার্কো পোলো তার বইতে লিখে গেছেন ১২৮৫ সালে বেপরোয়াভাবে চায়ের শুল্ক বাড়ানোর অপরাধে এক চৈনিক অর্থমন্ত্রীর পদচ্যুতির কথা। চা সংস্কৃতির প্রথমদিকে চায়ের দাম ছিল বেশ বেশি। পাউন্ড প্রতি প্রায় ১৫-১৬ শিলিং, তাই সবার নাগালের মধ্যে ছিল না এই মহার্ঘ পদটি; এ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছিল যেন আমেরি চালের প্রতীক হোমড়া চোমড়া আর রাজকন্যাদের জন্য কোনো দামি উপঢৌকন। তবুও এতসব বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও চা খাওয়া বেশ চমৎকার বেগেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। আঠারো শতকের প্রথমার্ধে লন্ডনের কফি হাউসগুলো যেন হয়ে উঠল আসলে চায়ের আড্ডা। এডিসন আর স্টিলের মতন বিদগ্ধ রসিকদের আখড়া। লেখক-সাহিত্যিক কবিরাও জড়ো হতেন সেই কফি শপে। তাদের মধ্যে কে নেই জর্জ বার্নার্ড শ, ওয়েলস, চার্লসল্যাম। তারা যেন চায়ের পত্তরে রসদ পেতেন লেখার উপকরণ কিংবা চিত্তবিনোদনের। অন্যদিকে প্যারিসের ক্যাফেগুলোতেও বসত লেখক সাহিত্যিকদের আসর। বিখ্যাত ফরাসি লেখক জ্যাঁ পল সার্ত্র অনেকটা সময় ব্যয় করতেন ক্যাফেতে বসে লিখে। অন্যদিকে 'ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি' লেখক- অ্যার্নেস্ট হেমিংওয়ে শত সহস্র ঘণ্টা ব্যয় করেছেন কফিশপে। প্রচণ্ড শীতে কফি ও গরমের সময় ঠাণ্ডা বিয়ার পান করে লিখতেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কফি হাউসের কথাও বিখ্যাত ও সুবেদিত- আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও শরৎ উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সাহিত্য আন্দোলনটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার কফি হাউস। কে নেই সেই আড্ডায়। বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী, কমলকুমার মজুমদার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শিবরাম চক্রবর্তী আরও কত শত নাম। তবে সবচেয়ে কনিষ্ঠ লেখক হিসেবে সেখানে থাকতেন আমার অতি প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বাঙালিদের মধ্যে সর্ব প্রথম চা পান করেছিলেন জ্ঞান তাপস অতীশ দীপঙ্কর। সম্ভবত ১০২০ সালে তিনি তিব্বত ভ্রমণ করার সময় চা পান করেছিলেন। এ তথ্যটি আমাকে জানিয়েছেন আমার এক অগ্রজ ও কনিষ্ঠ পাঠক খাজা ওয়ালি্লউল্লাহ মাসুদ। আঠারশ' শতকের দিকে ব্রিটিশরা আমাদের চা পানে উৎসাহ জোগাতে বিনাপয়সায় আমাদের চা খাওয়াতেন। সে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে একটি বিজ্ঞাপন এই তো বেশ কিছুদিন আগেও আমি দেখেছি- 'চা পানে নাহি দোষ, চা করে চিত্ত পরিতোষ।' এবার একটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চা পানের প্রসঙ্গে আসি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকালে উঠে তার বিশ্বস্ত বনমালীর হাতে তৈরি এককাপ চা পান না করে লিখতে পারতেন না। এই প্রিয় ভৃত্য বনমালীকে নিয়েই তিনি লিখেছেন 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতা খানি। কবি রবীন্দ্রনাথ মারা গিয়েছিলেন ৭ আগস্ট, ১৯৪১, ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ মৃত্যুর দুই দিন আগে অর্থাৎ ৪ আগস্ট কবি ফিডিং কাপ থেকে সামান্য কফি খেয়েছিলেন। এই কফিটুকুই তার শেষ খাওয়া। এরপর তিনি আর কিছুই খাননি। এই মুহূর্তে আমার আরেক বিখ্যাত কবির কথা মনে পড়ছে- তার নাম বুদ্ধদেব বসু। ১৯৭৪ সালের কোনো এক রবিবার সন্ধ্যায় তিনি চা পান করছিলেন তার খানিক পরেই স্ট্রোক, সঙ্গে সঙ্গেই সংজ্ঞালুপ্তি। মৃত্যুর কারণ সেরিব্রেল থ্রমবোসিস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়ামন্ড হারবার রোডের ক্যালকাটা হাসপাতালে। সেখানে রাত পৌনে ৩টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবি নজরুলের চা খাওয়ার একটি কাহিনী দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। এ ঘটনাটি আমি পড়েছিলাম কবি জসীমউদ্দীনের 'ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়' নামক বইটিতে।

'রাত্রিবেলা এক মুশকিলে পড়া গেল। চা না পাইয়া কবি অস্থির হইয়া উঠিলেন। এই পাড়াগাঁয়ে চা কোথায় পাইব? নদীর ওপারে গিয়া যে চা লইয়া আসিব, তাহারও উপায় নাই। রাত্রিকালে কে সাহস করিয়া এত বড়ো পদ্মা নদী পাড়ি দিবে? তখন তিন-চার গ্রামে লোক পাঠানো হইল চায়ের অনুসন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলিম মাতব্বরের বাড়ি হইতে কয়েকটা চায়ের পাতা বাহির হইল। তিনি একবার কলিকাতা গিয়া চা খাওয়া শিখিয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া তাজ্জব বানাইয়া দিবার জন্য কলিকাতা হইতে তিনি কিছু চা-পাতা লইয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওইয়া চা-পাতা যখন কম হইয়া আসিত, তখন তাহার সহিত কিছু শুকনা ঘাসপাতা মিশাইয়া চায়ের ভাণ্ডার তিনি অফুরন্ত রাখিতেন। তিনি অতি গর্বের সহিত তাহার কলিকাতা-ভ্রমণের আশ্চর্য কাহিনী বলিতে বলিতে সেই চা-পাতা আনিয়া কবিকে উপঢৌকন দিলেন। চা-পাতা দেখিয়া কবির তখন কী আনন্দ। এই মহামূল্য চা এখন কে জ্বাল দিবে?

এ বাড়ির বড় বউ ও বাড়ির ছোট বউ সকলে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া যাহার যত রন্ধনবিদ্যা জানা ছিল সমস্ত উজাড় করিয়া সেই অপূর্ব চা-রন্ধন-পর্ব সমাধা করিল। অবশেষে চা বদনায় ভরতি হইয়া বৈঠকখানায় আগমন করিল। কবির সঙ্গে আমরাও তাহার কিঞ্চিৎ প্রসাদ পাইলাম। কবি তো মহাপুরুষ। চা পান করিতে করিতে চা-রাঁধুনীদের অজস্র প্রশংসা করিতেছিলেন। আমরাও কবির সঙ্গে ধুয়া ধরিলাম। বলাই বাহুল্য যে, গ্রাম্য-চাষির বাড়িতে যত রকমের তরকারি রান্না হইয়া থাকে, সেই চায়ের মধ্যে তাহার সবগুলোরই প্রসাদ মিশ্রিত ছিল।'

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
সালাম প্রদানের ফজিলত
সালাম প্রদানের ফজিলত
অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক
ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেন যুদ্ধ
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
গ্যাস অনুসন্ধান
গ্যাস অনুসন্ধান
শিল্পে স্থবিরতা
শিল্পে স্থবিরতা
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বশেষ খবর
প্রাইভেটকারে গরু নিয়ে পালালো চোর
প্রাইভেটকারে গরু নিয়ে পালালো চোর

১৮ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন, শাবনূরের আর্জি
ভ্রান্ত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকুন, শাবনূরের আর্জি

১ মিনিট আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো অনিয়ম হয়নি : খাদ্য মন্ত্রণালয়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে কোনো অনিয়ম হয়নি : খাদ্য মন্ত্রণালয়

৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন পাঁচজন
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন পাঁচজন

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারে মনোনয়ন দেবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারে মনোনয়ন দেবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী

১২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বায়ুদূষণে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে ঢাকা, শীর্ষে লাহোর
বায়ুদূষণে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে ঢাকা, শীর্ষে লাহোর

২০ মিনিট আগে | নগর জীবন

জয়পুরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জয়পুরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডায় তরুণদের সৃজনচর্চার উন্মেষ
কুয়াকাটায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাহিত্য আড্ডায় তরুণদের সৃজনচর্চার উন্মেষ

২৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

কোরআনে বর্ণিত নবী-রাসুলদের দোয়া
কোরআনে বর্ণিত নবী-রাসুলদের দোয়া

২৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

শ্রীপুরে ঝুট গুদামে আগুন
শ্রীপুরে ঝুট গুদামে আগুন

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেনাপোল সীমান্তে পিস্তলসহ একজন আটক
বেনাপোল সীমান্তে পিস্তলসহ একজন আটক

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রীপুরে ঝুট গুদামে আগুন
শ্রীপুরে ঝুট গুদামে আগুন

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি
সিদ্ধিরগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির ইঙ্গিত: খেলতে চান, তবে শর্ত একটাই!
বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির ইঙ্গিত: খেলতে চান, তবে শর্ত একটাই!

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

খুনের পর লাশ পুঁতে রেখে গাছ লাগালেন মইনুল, শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার
খুনের পর লাশ পুঁতে রেখে গাছ লাগালেন মইনুল, শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি বেলজিয়ামের
মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি বেলজিয়ামের

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটের আগে অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভোটের আগে অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিইউএফটিতে পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত
বিইউএফটিতে পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এআই দিয়ে সামরিক সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলার চেষ্টা চীনের
এআই দিয়ে সামরিক সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলার চেষ্টা চীনের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক বছরে টেকনাফ বিজিবির সাফল্য, বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেফতার ১৭৯
এক বছরে টেকনাফ বিজিবির সাফল্য, বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেফতার ১৭৯

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে পলিথিন কারখানায় অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা
টঙ্গীতে পলিথিন কারখানায় অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
নৌকাসহ চার জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি চলছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেকনাফে পাচারকালে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার
টেকনাফে পাচারকালে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ সালাউদ্দিন
শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ সালাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ : ভারতের উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ : ভারতের উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাকসু বাস্তবায়নে ১৩ সদস্যের কমিশন গঠন
শাকসু বাস্তবায়নে ১৩ সদস্যের কমিশন গঠন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা, রেড অ্যালার্ট
ভারতের অন্ধ্র উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা, রেড অ্যালার্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে শ্রমবাজারের সর্বনাশ
ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে শ্রমবাজারের সর্বনাশ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রেনের ধাক্কায় সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক নিহত
ট্রেনের ধাক্কায় সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!
নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!

২২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব
বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট
মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৮ সালের নির্বাচনে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়বেন না ট্রাম্প
২০২৮ সালের নির্বাচনে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়বেন না ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ
জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট
ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লাখ লাখ টাকা নিয়ে ‘উড়ে গেল’ উড়াও বাংলাদেশ!
লাখ লাখ টাকা নিয়ে ‘উড়ে গেল’ উড়াও বাংলাদেশ!

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় তুর্কি বাহিনীকে মেনে নেওয়া হবে না, মুখ খুললেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজায় তুর্কি বাহিনীকে মেনে নেওয়া হবে না, মুখ খুললেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলবে : অন্তর্বর্তী সরকার
দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলবে : অন্তর্বর্তী সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনের রণাঙ্গনে কেন ব্যর্থ পশ্চিমা ড্রোন?
ইউক্রেনের রণাঙ্গনে কেন ব্যর্থ পশ্চিমা ড্রোন?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঠে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ, তারপরই আইসিইউতে শ্রেয়াস আইয়ার
মাঠে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ, তারপরই আইসিইউতে শ্রেয়াস আইয়ার

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাফিসা কামালের অরবিটালসসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা
নাফিসা কামালের অরবিটালসসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মামলা, ফ্রান্সে ১০ জনের বিচার শুরু
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মামলা, ফ্রান্সে ১০ জনের বিচার শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের সঙ্গে ফের চালু হচ্ছে ইরান ও তুরস্কের সরাসরি ট্রেন সার্ভিস
পাকিস্তানের সঙ্গে ফের চালু হচ্ছে ইরান ও তুরস্কের সরাসরি ট্রেন সার্ভিস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের মাঠ প্রশাসনে রদবদল, ১৩ এসপিকে বদলি
পুলিশের মাঠ প্রশাসনে রদবদল, ১৩ এসপিকে বদলি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১
৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজি নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়
অজি নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইনানী নয়, কক্সবাজার শহর থেকেই সেন্টমার্টিন যাবে জাহাজ
ইনানী নয়, কক্সবাজার শহর থেকেই সেন্টমার্টিন যাবে জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অরুণাচল সীমান্তে চীনের ৩৬ এয়ারক্রাফ্ট শেল্টার, চিন্তায় ভারত
অরুণাচল সীমান্তে চীনের ৩৬ এয়ারক্রাফ্ট শেল্টার, চিন্তায় ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোটেল থেকে জায়নামাজ চুরি করলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী
হোটেল থেকে জায়নামাজ চুরি করলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৯২ বছর বয়সে অষ্টমবারের মতো ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট হলেন পল
৯২ বছর বয়সে অষ্টমবারের মতো ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট হলেন পল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে আওয়ামী লীগই নিশ্চিহ্নের পথে : মঈন খান
বিএনপিকে ধ্বংস করতে গিয়ে আওয়ামী লীগই নিশ্চিহ্নের পথে : মঈন খান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্যামাইকা-কিউবার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে হারিকেন মেলিসা
জ্যামাইকা-কিউবার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে হারিকেন মেলিসা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি
বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক
মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

‘একাধিক বিয়ে’ লজ্জা নয় সাহস
‘একাধিক বিয়ে’ লজ্জা নয় সাহস

শোবিজ

বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা
বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা

নগর জীবন

চোখের জলে শেষ বিদায় আজাদকে
চোখের জলে শেষ বিদায় আজাদকে

প্রথম পৃষ্ঠা

মৎস্য খামারি যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মৎস্য খামারি যখন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

আপৎসীমার কাছাকাছি খাদ্যের মজুত
আপৎসীমার কাছাকাছি খাদ্যের মজুত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিনিময়ের বদলে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম
বিনিময়ের বদলে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম

শিল্প বাণিজ্য

মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম : মাহফুজ
মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম : মাহফুজ

শোবিজ

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস
দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মিঠুনের মেয়ে বিদ্যা
মিঠুনের মেয়ে বিদ্যা

শোবিজ

বিষেই শেষ সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি
বিষেই শেষ সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি

পেছনের পৃষ্ঠা

১৬ মাস পর ঢাকায় আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
১৬ মাস পর ঢাকায় আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির ছয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ময়দানে : জামায়াতের একক
বিএনপির ছয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ময়দানে : জামায়াতের একক

নগর জীবন

হারে সিরিজ শুরু লিটনদের
হারে সিরিজ শুরু লিটনদের

মাঠে ময়দানে

যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’

সম্পাদকীয়

ব্যয়ের লাগাম টানতে পারছে না সরকার
ব্যয়ের লাগাম টানতে পারছে না সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে এনসিপি
শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে শ্রমবাজারের সর্বনাশ
ভুয়া ওয়ার্ক পারমিটে শ্রমবাজারের সর্বনাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জেনে রাখা ভালো
জেনে রাখা ভালো

স্বাস্থ্য

ঢাকায় এসবার ব্যাংকের অফিস খুলতে চায় মস্কো
ঢাকায় এসবার ব্যাংকের অফিস খুলতে চায় মস্কো

শিল্প বাণিজ্য

সালিশের নামে প্রকাশ্যে ন্যাড়া পাঁচ তরুণকে
সালিশের নামে প্রকাশ্যে ন্যাড়া পাঁচ তরুণকে

দেশগ্রাম

গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার বিচার দাবিতে থানায় গ্রামবাসী
গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার বিচার দাবিতে থানায় গ্রামবাসী

দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে নির্ভরতার প্রতীক পার্কভিউ হসপিটাল
চট্টগ্রামে নির্ভরতার প্রতীক পার্কভিউ হসপিটাল

শিল্প বাণিজ্য

নির্যাতনে মৃত্যু কলেজছাত্রের
নির্যাতনে মৃত্যু কলেজছাত্রের

দেশগ্রাম

আউটসোর্সিং স্টাফসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
আউটসোর্সিং স্টাফসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

দেশগ্রাম

খড় কাটা নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত
খড় কাটা নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত

দেশগ্রাম

কেটেছে জটিলতা, গভীর রাত পর্যন্ত আসবে পণ্য
কেটেছে জটিলতা, গভীর রাত পর্যন্ত আসবে পণ্য

দেশগ্রাম

অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক

সম্পাদকীয়