শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

চা পানে নাহি দোষ-চা করে চিত্ত পরিতোষ

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
চা পানে নাহি দোষ-চা করে চিত্ত পরিতোষ

১৬৬২ সালের ১৪ মে ঝকঝকে রৌদ্রের পড়ন্ত এক বিকালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন একজন রমণীর জন্য- যিনি শীঘ্রই হতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রানী বা কুইন। তিনি বিশেষ দূত মারফত আগেভাগেই খবর পেয়েছেন, আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজদরবারে পদার্পণ করবেন পূর্তগালের রাজকুমারী ক্যাথেরিন ব্রাগেঞ্জা। রাজা চার্লস ক্যাথেরিনকে দেখতে এতটাই ব্যাকুল হয়ে আছেন যে, তিনি যেন নিজেকে আর কিছুতেই ধরে রাখতে পারছেন না। যদিও লোকমুখে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ক্যাথেরিন দেখতে অতীব সুন্দরী ও একজন বিদূষী নারী। তার পরও তিনি মুখিয়ে আছেন রাজকুমারীর মুখ দর্শনের জন্য। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাজকুমারীর শুভাগমনে রাজদরবার প্রাঙ্গণ বাদ্য-বাজনার ঐশ্বরিক সুর মূর্ছনার ঝঙ্কারে চারপাশ আমদিত হয়ে উঠল। রাজা বিলক্ষণ বুঝলেন এই সুর মূর্ছনার যথার্থ কারণ। রাজদরবারের অন্যান্য সভাসদ ও রাজ আমর্ত্যরাও সচেতন ও সটান দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ রইলেন আগত রাজকুমারীর জন্য। ক্যাথেরিন রাজদরবারে প্রবেশ করেই মাথাটি ঈষৎ ন্যুব্জ করে রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও অভিবাদন জানালেন। রাজা চার্লসও দাঁড়িয়ে রাজকুমারীর উদ্দেশে তার শুভেচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করলেন। চার্লস এবার রানীকে জিজ্ঞেস করলেন যাত্রাপথের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে তিনি কী ধরনের পানীয় পান করতে ইচ্ছুক? রানী কিছুটা লাজুক কিন্তু সপ্রতিভ ভঙ্গিতে রাজাকে বললেন, আমার আপাতত এক গেলাস (কারণ তখনো পর্যন্ত পেয়ালায় চা পানের সংস্কৃতি চালু হয়নি) চা হলেই চলবে।

শুধু রাজা চার্লসই নয়, রাজদরবারে সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিরা অবাক হলেন। কারণ চা পানীয়টি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত তারা যৎসামান্যই অবগত। বিশেষ করে রাজা চার্লস মনেও করতে পারলেন না চা বস্তুটি তিনি জীবনে আদৌ দেখেছেন কিনা? ইতিমধ্যে একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী রাজার কানে ফিসফিস করে কী যেন বললেন। রাজা এবার রাজকুমারী ক্যাথেরিনকে বললেন- আমরা দুঃখিত সম্রাজ্ঞী। আমাদের এখানে চা পানীয়টির একেবারেই প্রচলন নেই। আপনি আপনার ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস উৎকৃষ্ট বিয়ার পান করতে পারেন। এই হলো ইংল্যান্ডে প্রথম চা প্রচলন কাহিনী। সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন ব্রেগেঞ্জা ইংল্যান্ডে অনেক ভালো ভালো জিনিস প্রবর্তন করেছিলেন। ইংল্যান্ডে চায়ের প্রচলন তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যদিও জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা আমাদের জানিয়েছেন যে, ডাচ্ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিই প্রথম প্রতিষ্ঠান যে কিনা ইউরোপে চা প্রচলন করেছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তথ্যকে সমর্থন করি না। আমি মনে করি, পূর্তগিজরাই প্রথম ভারত, চীন ও জাপানে এসেছিলেন। তারাই সম্ভবত প্রথম ভারত কিংবা চীন থেকে চা আমদানি করেছিলেন ইউরোপে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস পূর্তগিজ নাবিক ভাস্কোদা গামাই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারত থেকে চা প্রথম ইউরোপে নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ দার্জিলিং ও আসামে চা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে কেরালাতেও সেই প্রাচীন যুগেও চায়ের বাগান ছিল। আর ভারতে অতি প্রাচীনকালেই যে চা জন্মাতো আমার তার প্রমাণ পাই রামায়ণে। রামায়ণে চা গাছের উল্লেখ আছে, তবে তখন হয়তো এভাবে চা পান করা হতো না। চা গাছ ব্যবহৃত হতো ঔষধি গাছ হিসেবে। চা কে ফরাসিরা চিনে ছিল ১৬৩৫ সালে। চা রাশিয়ায় পৌঁছল ১৬৩৮ সালে। ইংরেজরা চা-কে স্বাগত জানাল ১৬৫০ সালে। আর তার প্রশস্তি গাইল এই বলে- 'সকল চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়া এই সেই অপূর্ব চৈনিক নির্যাস। চীনারা যাকে বলে চা, আর পূর্তগিজ ভাষায় সেটিকে বলে তে, এবং ইংরেজরা বলে টি।'

পৃথিবীতে চা পানের সূত্রপাত কিভাবে ঘটেছিল সে বিষয়ে চীন দেশটিতে এমটি মিথ ও কিংবদন্তি চালু আছে। খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালের দিকে চীনের বিখ্যাত সম্রাট শেনং যিনি চীনা ঔষধ ও কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তিনি একবার জনগণের উদ্দেশে একটি ফরমান জারি করলেন যে, শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে তার রাজ্যের প্রজারা দিনে অন্তত এক পেয়ালা করে গরম পানি পান করবেন। সন্দেহ নেই রাজা শেনং নিজেও সেই অনুশাসন মেনে চলতেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। একদিন ঝড়ো বাতাসে দূরের চা গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে পড়লো রাজার গরম পানির পেয়ালায়। অমনি সেই পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ গেল সম্পূর্ণ বদলে। রাজা শেনং অভিভূত হলেন সেই পানীয় পান করে। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত পান করতে শুরু করলেন সেই চায়ের পাতাযুক্ত পানীয়। পরে অবশ্য চা নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। দুধ সহযোগে হালকা তামাটে রঙের চায়ের প্রচলন সম্ভবত ইউরোপিয়ানদের হাতেই হয়েছিল ১৬০০ শতকের দিকে। পাঠকবৃন্দের মনে হয়তো একটি প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে যে, এত গুরুগম্ভীর বিষয় থাকতে চায়ের মতো এমন একটি তরল ও লঘু বিষয় নিয়ে লিখতে কেন আগ্রহী হলাম সেটা একটু বলি- প্রথমত, মাঝে মধ্যেই চোয়াম নমস্কি, মিশেল ফুকো, জ্যাক দেরিদা প্রমুখ ব্যক্তির গুরুগম্ভীর ও খটমটে লেখাগুলো পড়তে পড়তে, মাথাটি যখন একেবারে ধরে ও এলোমেলো হয়ে যায় (আমি একজন বহুযুগের গ্রন্থ ভক্ষণকারী উইপোকা। তারপরও বেশির ভাগ সময়ই এ সব বইয়ের বিষয়বস্তুর অনেক কিছুতেই দন্তস্ফূট করতে পারি না) তখনই হাতে তুলে নেই কিছু লঘু ধরনের বই, যেমন- 'কী খাবেন, কেন খাবেন?' 'রঙ্গপ্রিয় বিদ্যাসাগর' ইত্যাদি টাইপের বই। ঠিক এমনিভাবে একবার হাতে তুলে নিলাম জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা প্রণীত 'চা চরিত' বইটি। কিন্তু বইটির কয়েকটি পাতা উল্টোনোর পর মাথাটা যেন পুনরায় ধরে গেল। বইটি ছুড়ে ফেলে দিলাম শেলফের এক কোণায়। মনে মনে ভাবলাম এতদিন বিভিন্ন বইপত্র পড়তে গিয়ে চা সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি এবং স্মৃতিতে যতটুকু ধরে রেখেছি সেখান থেকেই লিখব চায়ের ওপর একটি নিবন্ধ। এ জন্যই আজকের এ আয়োজন। চায়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া কত অদ্ভুত কাণ্ড, কত ঘটনা, অঘটন ও বৈচিত্র্যময় কাহিনী। স্থান সংকুলানের অভাবে সেগুলোর কতটুকুই বা এখানে লিখতে পারব জানি না। আমার প্রথমেই মনে পড়ছে, ফরাসি বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্সেল প্রস্তের কথা। আত্দস্মৃতি বিষয়ে কালজয়ী ফরাসি উপন্যাস 'হারানো সময়ের খোঁজে'-এর প্রথম খণ্ডে এক জায়গায় প্রস্ত বলেছেন, কীভাবে একদিন তিনি চায়ে এক টুকরো কেক ডুবিয়ে খেতে গিয়ে তার মন অপ্রত্যাশিতভাবে বাল্যকালে গ্রামের জীবনের অনুরূপ স্মৃতিতে আবিষ্ট হলো এবং কালক্রমে তিনি লিখে ফেললেন পাঁচ খণ্ডের ঢাউস সাইজের এক কালজয়ী উপন্যাস।

আরেক শ্রুতকীর্ত ফরাসি লেখক বালজাক ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রমাণ সাইজের মগে কফি পান না করে কোনো লেখা শুরুই করতে পারতেন না। সূর্য অস্তমিত যেতে না যেতেই ঘুমিয়ে পড়তেন বালজাক। রাত ১১টা কিংবা ১২টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেই একটি বৃহৎ পেয়ালায় ল্যাটিন আমেরিকান থেকে আমদানিকৃত অতি উৎকৃষ্ট জাতের কফি পান করতেন তিনি। তারপর শুরু করতেন লেখালেখি। ইংরেজ লেখক অস্কার ওয়াইল্ড যেমন অতি দামি ও দুষ্প্রাপ্য সব পোশাক-পরিচ্ছদ কিনে দেওলিয়া হয়েছিলেন- ঠিক তেমনি বালজাকও অনেকটাই ফতুর হয়েছিলেন দামি কফি পান করতে গিয়ে। আর সেসব কথাই তিনি লিখেছেন তার- 'দ্য প্লেজার অ্যান্ড পেইনস অব কফি' অর্থাৎ 'কফি পানের আনন্দ ও বেদনা' নামক নিবন্ধে।

পাঠকবৃন্দ শুনে অবাক হবেন যে, আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে চা। কী ভাবে? সেটি বলছি- ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটেন থেকে চায়ের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তাদের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র আমেরিকাতে কিন্তু চায়ের ওপর শুল্ক ঠিকই বহাল থাকে। যেহেতু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমেরিকার কোনো সংসদ সদস্য থাকার সুযোগ ছিল না- তাই তারা পার্লামেন্টে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও করতে পারলেন না। বরং তারা প্রতিবাদ করলেন অন্য একটি উপায়ে। বিষয়টি কাকতালীয় হলেও সত্যি যে, আমাদের যেদিন বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর সালটি যদিও ১৭৭০-বোস্টন নৌবন্দরে তিনটি চা বোঝাই জাহাজ থেকে আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষ সমস্ত চায়ের পেটি ছুড়ে ফেলে দিলেন সাগরে। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল আমেরিকার স্বাধীন অর্জনের সংগ্রাম।

অন্যদিকে এক আরব পর্যটকের বর্ণনার সূত্রে জানা যায় যে, ৮৭৯ সালের দিকে চীনের ক্যান্টন শহরের প্রধান আয়ের উৎস ছিল লবণ এবং চায়ের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক। মার্কো পোলো তার বইতে লিখে গেছেন ১২৮৫ সালে বেপরোয়াভাবে চায়ের শুল্ক বাড়ানোর অপরাধে এক চৈনিক অর্থমন্ত্রীর পদচ্যুতির কথা। চা সংস্কৃতির প্রথমদিকে চায়ের দাম ছিল বেশ বেশি। পাউন্ড প্রতি প্রায় ১৫-১৬ শিলিং, তাই সবার নাগালের মধ্যে ছিল না এই মহার্ঘ পদটি; এ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছিল যেন আমেরি চালের প্রতীক হোমড়া চোমড়া আর রাজকন্যাদের জন্য কোনো দামি উপঢৌকন। তবুও এতসব বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও চা খাওয়া বেশ চমৎকার বেগেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। আঠারো শতকের প্রথমার্ধে লন্ডনের কফি হাউসগুলো যেন হয়ে উঠল আসলে চায়ের আড্ডা। এডিসন আর স্টিলের মতন বিদগ্ধ রসিকদের আখড়া। লেখক-সাহিত্যিক কবিরাও জড়ো হতেন সেই কফি শপে। তাদের মধ্যে কে নেই জর্জ বার্নার্ড শ, ওয়েলস, চার্লসল্যাম। তারা যেন চায়ের পত্তরে রসদ পেতেন লেখার উপকরণ কিংবা চিত্তবিনোদনের। অন্যদিকে প্যারিসের ক্যাফেগুলোতেও বসত লেখক সাহিত্যিকদের আসর। বিখ্যাত ফরাসি লেখক জ্যাঁ পল সার্ত্র অনেকটা সময় ব্যয় করতেন ক্যাফেতে বসে লিখে। অন্যদিকে 'ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি' লেখক- অ্যার্নেস্ট হেমিংওয়ে শত সহস্র ঘণ্টা ব্যয় করেছেন কফিশপে। প্রচণ্ড শীতে কফি ও গরমের সময় ঠাণ্ডা বিয়ার পান করে লিখতেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কফি হাউসের কথাও বিখ্যাত ও সুবেদিত- আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও শরৎ উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সাহিত্য আন্দোলনটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার কফি হাউস। কে নেই সেই আড্ডায়। বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী, কমলকুমার মজুমদার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শিবরাম চক্রবর্তী আরও কত শত নাম। তবে সবচেয়ে কনিষ্ঠ লেখক হিসেবে সেখানে থাকতেন আমার অতি প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বাঙালিদের মধ্যে সর্ব প্রথম চা পান করেছিলেন জ্ঞান তাপস অতীশ দীপঙ্কর। সম্ভবত ১০২০ সালে তিনি তিব্বত ভ্রমণ করার সময় চা পান করেছিলেন। এ তথ্যটি আমাকে জানিয়েছেন আমার এক অগ্রজ ও কনিষ্ঠ পাঠক খাজা ওয়ালি্লউল্লাহ মাসুদ। আঠারশ' শতকের দিকে ব্রিটিশরা আমাদের চা পানে উৎসাহ জোগাতে বিনাপয়সায় আমাদের চা খাওয়াতেন। সে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে একটি বিজ্ঞাপন এই তো বেশ কিছুদিন আগেও আমি দেখেছি- 'চা পানে নাহি দোষ, চা করে চিত্ত পরিতোষ।' এবার একটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চা পানের প্রসঙ্গে আসি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকালে উঠে তার বিশ্বস্ত বনমালীর হাতে তৈরি এককাপ চা পান না করে লিখতে পারতেন না। এই প্রিয় ভৃত্য বনমালীকে নিয়েই তিনি লিখেছেন 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতা খানি। কবি রবীন্দ্রনাথ মারা গিয়েছিলেন ৭ আগস্ট, ১৯৪১, ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ মৃত্যুর দুই দিন আগে অর্থাৎ ৪ আগস্ট কবি ফিডিং কাপ থেকে সামান্য কফি খেয়েছিলেন। এই কফিটুকুই তার শেষ খাওয়া। এরপর তিনি আর কিছুই খাননি। এই মুহূর্তে আমার আরেক বিখ্যাত কবির কথা মনে পড়ছে- তার নাম বুদ্ধদেব বসু। ১৯৭৪ সালের কোনো এক রবিবার সন্ধ্যায় তিনি চা পান করছিলেন তার খানিক পরেই স্ট্রোক, সঙ্গে সঙ্গেই সংজ্ঞালুপ্তি। মৃত্যুর কারণ সেরিব্রেল থ্রমবোসিস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়ামন্ড হারবার রোডের ক্যালকাটা হাসপাতালে। সেখানে রাত পৌনে ৩টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবি নজরুলের চা খাওয়ার একটি কাহিনী দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। এ ঘটনাটি আমি পড়েছিলাম কবি জসীমউদ্দীনের 'ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়' নামক বইটিতে।

'রাত্রিবেলা এক মুশকিলে পড়া গেল। চা না পাইয়া কবি অস্থির হইয়া উঠিলেন। এই পাড়াগাঁয়ে চা কোথায় পাইব? নদীর ওপারে গিয়া যে চা লইয়া আসিব, তাহারও উপায় নাই। রাত্রিকালে কে সাহস করিয়া এত বড়ো পদ্মা নদী পাড়ি দিবে? তখন তিন-চার গ্রামে লোক পাঠানো হইল চায়ের অনুসন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলিম মাতব্বরের বাড়ি হইতে কয়েকটা চায়ের পাতা বাহির হইল। তিনি একবার কলিকাতা গিয়া চা খাওয়া শিখিয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া তাজ্জব বানাইয়া দিবার জন্য কলিকাতা হইতে তিনি কিছু চা-পাতা লইয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওইয়া চা-পাতা যখন কম হইয়া আসিত, তখন তাহার সহিত কিছু শুকনা ঘাসপাতা মিশাইয়া চায়ের ভাণ্ডার তিনি অফুরন্ত রাখিতেন। তিনি অতি গর্বের সহিত তাহার কলিকাতা-ভ্রমণের আশ্চর্য কাহিনী বলিতে বলিতে সেই চা-পাতা আনিয়া কবিকে উপঢৌকন দিলেন। চা-পাতা দেখিয়া কবির তখন কী আনন্দ। এই মহামূল্য চা এখন কে জ্বাল দিবে?

এ বাড়ির বড় বউ ও বাড়ির ছোট বউ সকলে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া যাহার যত রন্ধনবিদ্যা জানা ছিল সমস্ত উজাড় করিয়া সেই অপূর্ব চা-রন্ধন-পর্ব সমাধা করিল। অবশেষে চা বদনায় ভরতি হইয়া বৈঠকখানায় আগমন করিল। কবির সঙ্গে আমরাও তাহার কিঞ্চিৎ প্রসাদ পাইলাম। কবি তো মহাপুরুষ। চা পান করিতে করিতে চা-রাঁধুনীদের অজস্র প্রশংসা করিতেছিলেন। আমরাও কবির সঙ্গে ধুয়া ধরিলাম। বলাই বাহুল্য যে, গ্রাম্য-চাষির বাড়িতে যত রকমের তরকারি রান্না হইয়া থাকে, সেই চায়ের মধ্যে তাহার সবগুলোরই প্রসাদ মিশ্রিত ছিল।'

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু
৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ
ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা
পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা
ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা
কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে
সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার
বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব
কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’
‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’
যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?
এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা
ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম

সাহিত্য

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড
মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি

সম্পাদকীয়

কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল

সাহিত্য

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ

সাহিত্য

শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড

সম্পাদকীয়