শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

চা পানে নাহি দোষ-চা করে চিত্ত পরিতোষ

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
চা পানে নাহি দোষ-চা করে চিত্ত পরিতোষ

১৬৬২ সালের ১৪ মে ঝকঝকে রৌদ্রের পড়ন্ত এক বিকালে ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লস গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন একজন রমণীর জন্য- যিনি শীঘ্রই হতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ রানী বা কুইন। তিনি বিশেষ দূত মারফত আগেভাগেই খবর পেয়েছেন, আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজদরবারে পদার্পণ করবেন পূর্তগালের রাজকুমারী ক্যাথেরিন ব্রাগেঞ্জা। রাজা চার্লস ক্যাথেরিনকে দেখতে এতটাই ব্যাকুল হয়ে আছেন যে, তিনি যেন নিজেকে আর কিছুতেই ধরে রাখতে পারছেন না। যদিও লোকমুখে তিনি জানতে পেরেছেন যে, ক্যাথেরিন দেখতে অতীব সুন্দরী ও একজন বিদূষী নারী। তার পরও তিনি মুখিয়ে আছেন রাজকুমারীর মুখ দর্শনের জন্য। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাজকুমারীর শুভাগমনে রাজদরবার প্রাঙ্গণ বাদ্য-বাজনার ঐশ্বরিক সুর মূর্ছনার ঝঙ্কারে চারপাশ আমদিত হয়ে উঠল। রাজা বিলক্ষণ বুঝলেন এই সুর মূর্ছনার যথার্থ কারণ। রাজদরবারের অন্যান্য সভাসদ ও রাজ আমর্ত্যরাও সচেতন ও সটান দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ রইলেন আগত রাজকুমারীর জন্য। ক্যাথেরিন রাজদরবারে প্রবেশ করেই মাথাটি ঈষৎ ন্যুব্জ করে রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও অভিবাদন জানালেন। রাজা চার্লসও দাঁড়িয়ে রাজকুমারীর উদ্দেশে তার শুভেচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রকাশ করলেন। চার্লস এবার রানীকে জিজ্ঞেস করলেন যাত্রাপথের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে তিনি কী ধরনের পানীয় পান করতে ইচ্ছুক? রানী কিছুটা লাজুক কিন্তু সপ্রতিভ ভঙ্গিতে রাজাকে বললেন, আমার আপাতত এক গেলাস (কারণ তখনো পর্যন্ত পেয়ালায় চা পানের সংস্কৃতি চালু হয়নি) চা হলেই চলবে।

শুধু রাজা চার্লসই নয়, রাজদরবারে সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিরা অবাক হলেন। কারণ চা পানীয়টি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত তারা যৎসামান্যই অবগত। বিশেষ করে রাজা চার্লস মনেও করতে পারলেন না চা বস্তুটি তিনি জীবনে আদৌ দেখেছেন কিনা? ইতিমধ্যে একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী রাজার কানে ফিসফিস করে কী যেন বললেন। রাজা এবার রাজকুমারী ক্যাথেরিনকে বললেন- আমরা দুঃখিত সম্রাজ্ঞী। আমাদের এখানে চা পানীয়টির একেবারেই প্রচলন নেই। আপনি আপনার ক্লান্তি দূর করতে এক গ্লাস উৎকৃষ্ট বিয়ার পান করতে পারেন। এই হলো ইংল্যান্ডে প্রথম চা প্রচলন কাহিনী। সম্রাজ্ঞী ক্যাথেরিন ব্রেগেঞ্জা ইংল্যান্ডে অনেক ভালো ভালো জিনিস প্রবর্তন করেছিলেন। ইংল্যান্ডে চায়ের প্রচলন তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যদিও জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা আমাদের জানিয়েছেন যে, ডাচ্ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিই প্রথম প্রতিষ্ঠান যে কিনা ইউরোপে চা প্রচলন করেছিল। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এই তথ্যকে সমর্থন করি না। আমি মনে করি, পূর্তগিজরাই প্রথম ভারত, চীন ও জাপানে এসেছিলেন। তারাই সম্ভবত প্রথম ভারত কিংবা চীন থেকে চা আমদানি করেছিলেন ইউরোপে এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস পূর্তগিজ নাবিক ভাস্কোদা গামাই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভারত থেকে চা প্রথম ইউরোপে নিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ দার্জিলিং ও আসামে চা উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে কেরালাতেও সেই প্রাচীন যুগেও চায়ের বাগান ছিল। আর ভারতে অতি প্রাচীনকালেই যে চা জন্মাতো আমার তার প্রমাণ পাই রামায়ণে। রামায়ণে চা গাছের উল্লেখ আছে, তবে তখন হয়তো এভাবে চা পান করা হতো না। চা গাছ ব্যবহৃত হতো ঔষধি গাছ হিসেবে। চা কে ফরাসিরা চিনে ছিল ১৬৩৫ সালে। চা রাশিয়ায় পৌঁছল ১৬৩৮ সালে। ইংরেজরা চা-কে স্বাগত জানাল ১৬৫০ সালে। আর তার প্রশস্তি গাইল এই বলে- 'সকল চিকিৎসকের ছাড়পত্র পাওয়া এই সেই অপূর্ব চৈনিক নির্যাস। চীনারা যাকে বলে চা, আর পূর্তগিজ ভাষায় সেটিকে বলে তে, এবং ইংরেজরা বলে টি।'

পৃথিবীতে চা পানের সূত্রপাত কিভাবে ঘটেছিল সে বিষয়ে চীন দেশটিতে এমটি মিথ ও কিংবদন্তি চালু আছে। খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালের দিকে চীনের বিখ্যাত সম্রাট শেনং যিনি চীনা ঔষধ ও কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তিনি একবার জনগণের উদ্দেশে একটি ফরমান জারি করলেন যে, শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে তার রাজ্যের প্রজারা দিনে অন্তত এক পেয়ালা করে গরম পানি পান করবেন। সন্দেহ নেই রাজা শেনং নিজেও সেই অনুশাসন মেনে চলতেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। একদিন ঝড়ো বাতাসে দূরের চা গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে পড়লো রাজার গরম পানির পেয়ালায়। অমনি সেই পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ গেল সম্পূর্ণ বদলে। রাজা শেনং অভিভূত হলেন সেই পানীয় পান করে। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত পান করতে শুরু করলেন সেই চায়ের পাতাযুক্ত পানীয়। পরে অবশ্য চা নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। দুধ সহযোগে হালকা তামাটে রঙের চায়ের প্রচলন সম্ভবত ইউরোপিয়ানদের হাতেই হয়েছিল ১৬০০ শতকের দিকে। পাঠকবৃন্দের মনে হয়তো একটি প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে যে, এত গুরুগম্ভীর বিষয় থাকতে চায়ের মতো এমন একটি তরল ও লঘু বিষয় নিয়ে লিখতে কেন আগ্রহী হলাম সেটা একটু বলি- প্রথমত, মাঝে মধ্যেই চোয়াম নমস্কি, মিশেল ফুকো, জ্যাক দেরিদা প্রমুখ ব্যক্তির গুরুগম্ভীর ও খটমটে লেখাগুলো পড়তে পড়তে, মাথাটি যখন একেবারে ধরে ও এলোমেলো হয়ে যায় (আমি একজন বহুযুগের গ্রন্থ ভক্ষণকারী উইপোকা। তারপরও বেশির ভাগ সময়ই এ সব বইয়ের বিষয়বস্তুর অনেক কিছুতেই দন্তস্ফূট করতে পারি না) তখনই হাতে তুলে নেই কিছু লঘু ধরনের বই, যেমন- 'কী খাবেন, কেন খাবেন?' 'রঙ্গপ্রিয় বিদ্যাসাগর' ইত্যাদি টাইপের বই। ঠিক এমনিভাবে একবার হাতে তুলে নিলাম জাপানি লেখক কাকুজো ওকাকুরা প্রণীত 'চা চরিত' বইটি। কিন্তু বইটির কয়েকটি পাতা উল্টোনোর পর মাথাটা যেন পুনরায় ধরে গেল। বইটি ছুড়ে ফেলে দিলাম শেলফের এক কোণায়। মনে মনে ভাবলাম এতদিন বিভিন্ন বইপত্র পড়তে গিয়ে চা সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি এবং স্মৃতিতে যতটুকু ধরে রেখেছি সেখান থেকেই লিখব চায়ের ওপর একটি নিবন্ধ। এ জন্যই আজকের এ আয়োজন। চায়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া কত অদ্ভুত কাণ্ড, কত ঘটনা, অঘটন ও বৈচিত্র্যময় কাহিনী। স্থান সংকুলানের অভাবে সেগুলোর কতটুকুই বা এখানে লিখতে পারব জানি না। আমার প্রথমেই মনে পড়ছে, ফরাসি বিশ্ববিখ্যাত লেখক মার্সেল প্রস্তের কথা। আত্দস্মৃতি বিষয়ে কালজয়ী ফরাসি উপন্যাস 'হারানো সময়ের খোঁজে'-এর প্রথম খণ্ডে এক জায়গায় প্রস্ত বলেছেন, কীভাবে একদিন তিনি চায়ে এক টুকরো কেক ডুবিয়ে খেতে গিয়ে তার মন অপ্রত্যাশিতভাবে বাল্যকালে গ্রামের জীবনের অনুরূপ স্মৃতিতে আবিষ্ট হলো এবং কালক্রমে তিনি লিখে ফেললেন পাঁচ খণ্ডের ঢাউস সাইজের এক কালজয়ী উপন্যাস।

আরেক শ্রুতকীর্ত ফরাসি লেখক বালজাক ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রমাণ সাইজের মগে কফি পান না করে কোনো লেখা শুরুই করতে পারতেন না। সূর্য অস্তমিত যেতে না যেতেই ঘুমিয়ে পড়তেন বালজাক। রাত ১১টা কিংবা ১২টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেই একটি বৃহৎ পেয়ালায় ল্যাটিন আমেরিকান থেকে আমদানিকৃত অতি উৎকৃষ্ট জাতের কফি পান করতেন তিনি। তারপর শুরু করতেন লেখালেখি। ইংরেজ লেখক অস্কার ওয়াইল্ড যেমন অতি দামি ও দুষ্প্রাপ্য সব পোশাক-পরিচ্ছদ কিনে দেওলিয়া হয়েছিলেন- ঠিক তেমনি বালজাকও অনেকটাই ফতুর হয়েছিলেন দামি কফি পান করতে গিয়ে। আর সেসব কথাই তিনি লিখেছেন তার- 'দ্য প্লেজার অ্যান্ড পেইনস অব কফি' অর্থাৎ 'কফি পানের আনন্দ ও বেদনা' নামক নিবন্ধে।

পাঠকবৃন্দ শুনে অবাক হবেন যে, আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে চা। কী ভাবে? সেটি বলছি- ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ সরকার ব্রিটেন থেকে চায়ের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু তাদের ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র আমেরিকাতে কিন্তু চায়ের ওপর শুল্ক ঠিকই বহাল থাকে। যেহেতু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আমেরিকার কোনো সংসদ সদস্য থাকার সুযোগ ছিল না- তাই তারা পার্লামেন্টে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও করতে পারলেন না। বরং তারা প্রতিবাদ করলেন অন্য একটি উপায়ে। বিষয়টি কাকতালীয় হলেও সত্যি যে, আমাদের যেদিন বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর সালটি যদিও ১৭৭০-বোস্টন নৌবন্দরে তিনটি চা বোঝাই জাহাজ থেকে আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষ সমস্ত চায়ের পেটি ছুড়ে ফেলে দিলেন সাগরে। আর এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল আমেরিকার স্বাধীন অর্জনের সংগ্রাম।

অন্যদিকে এক আরব পর্যটকের বর্ণনার সূত্রে জানা যায় যে, ৮৭৯ সালের দিকে চীনের ক্যান্টন শহরের প্রধান আয়ের উৎস ছিল লবণ এবং চায়ের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক। মার্কো পোলো তার বইতে লিখে গেছেন ১২৮৫ সালে বেপরোয়াভাবে চায়ের শুল্ক বাড়ানোর অপরাধে এক চৈনিক অর্থমন্ত্রীর পদচ্যুতির কথা। চা সংস্কৃতির প্রথমদিকে চায়ের দাম ছিল বেশ বেশি। পাউন্ড প্রতি প্রায় ১৫-১৬ শিলিং, তাই সবার নাগালের মধ্যে ছিল না এই মহার্ঘ পদটি; এ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছিল যেন আমেরি চালের প্রতীক হোমড়া চোমড়া আর রাজকন্যাদের জন্য কোনো দামি উপঢৌকন। তবুও এতসব বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও চা খাওয়া বেশ চমৎকার বেগেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল। আঠারো শতকের প্রথমার্ধে লন্ডনের কফি হাউসগুলো যেন হয়ে উঠল আসলে চায়ের আড্ডা। এডিসন আর স্টিলের মতন বিদগ্ধ রসিকদের আখড়া। লেখক-সাহিত্যিক কবিরাও জড়ো হতেন সেই কফি শপে। তাদের মধ্যে কে নেই জর্জ বার্নার্ড শ, ওয়েলস, চার্লসল্যাম। তারা যেন চায়ের পত্তরে রসদ পেতেন লেখার উপকরণ কিংবা চিত্তবিনোদনের। অন্যদিকে প্যারিসের ক্যাফেগুলোতেও বসত লেখক সাহিত্যিকদের আসর। বিখ্যাত ফরাসি লেখক জ্যাঁ পল সার্ত্র অনেকটা সময় ব্যয় করতেন ক্যাফেতে বসে লিখে। অন্যদিকে 'ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সি' লেখক- অ্যার্নেস্ট হেমিংওয়ে শত সহস্র ঘণ্টা ব্যয় করেছেন কফিশপে। প্রচণ্ড শীতে কফি ও গরমের সময় ঠাণ্ডা বিয়ার পান করে লিখতেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের কফি হাউসের কথাও বিখ্যাত ও সুবেদিত- আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও শরৎ উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সাহিত্য আন্দোলনটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার কফি হাউস। কে নেই সেই আড্ডায়। বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, সৈয়দ মুজতবা আলী, কমলকুমার মজুমদার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শিবরাম চক্রবর্তী আরও কত শত নাম। তবে সবচেয়ে কনিষ্ঠ লেখক হিসেবে সেখানে থাকতেন আমার অতি প্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বাঙালিদের মধ্যে সর্ব প্রথম চা পান করেছিলেন জ্ঞান তাপস অতীশ দীপঙ্কর। সম্ভবত ১০২০ সালে তিনি তিব্বত ভ্রমণ করার সময় চা পান করেছিলেন। এ তথ্যটি আমাকে জানিয়েছেন আমার এক অগ্রজ ও কনিষ্ঠ পাঠক খাজা ওয়ালি্লউল্লাহ মাসুদ। আঠারশ' শতকের দিকে ব্রিটিশরা আমাদের চা পানে উৎসাহ জোগাতে বিনাপয়সায় আমাদের চা খাওয়াতেন। সে উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে একটি বিজ্ঞাপন এই তো বেশ কিছুদিন আগেও আমি দেখেছি- 'চা পানে নাহি দোষ, চা করে চিত্ত পরিতোষ।' এবার একটু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চা পানের প্রসঙ্গে আসি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সকালে উঠে তার বিশ্বস্ত বনমালীর হাতে তৈরি এককাপ চা পান না করে লিখতে পারতেন না। এই প্রিয় ভৃত্য বনমালীকে নিয়েই তিনি লিখেছেন 'পুরাতন ভৃত্য' কবিতা খানি। কবি রবীন্দ্রনাথ মারা গিয়েছিলেন ৭ আগস্ট, ১৯৪১, ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ মৃত্যুর দুই দিন আগে অর্থাৎ ৪ আগস্ট কবি ফিডিং কাপ থেকে সামান্য কফি খেয়েছিলেন। এই কফিটুকুই তার শেষ খাওয়া। এরপর তিনি আর কিছুই খাননি। এই মুহূর্তে আমার আরেক বিখ্যাত কবির কথা মনে পড়ছে- তার নাম বুদ্ধদেব বসু। ১৯৭৪ সালের কোনো এক রবিবার সন্ধ্যায় তিনি চা পান করছিলেন তার খানিক পরেই স্ট্রোক, সঙ্গে সঙ্গেই সংজ্ঞালুপ্তি। মৃত্যুর কারণ সেরিব্রেল থ্রমবোসিস। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডায়ামন্ড হারবার রোডের ক্যালকাটা হাসপাতালে। সেখানে রাত পৌনে ৩টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবি নজরুলের চা খাওয়ার একটি কাহিনী দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। এ ঘটনাটি আমি পড়েছিলাম কবি জসীমউদ্দীনের 'ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়' নামক বইটিতে।

'রাত্রিবেলা এক মুশকিলে পড়া গেল। চা না পাইয়া কবি অস্থির হইয়া উঠিলেন। এই পাড়াগাঁয়ে চা কোথায় পাইব? নদীর ওপারে গিয়া যে চা লইয়া আসিব, তাহারও উপায় নাই। রাত্রিকালে কে সাহস করিয়া এত বড়ো পদ্মা নদী পাড়ি দিবে? তখন তিন-চার গ্রামে লোক পাঠানো হইল চায়ের অনুসন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আলিম মাতব্বরের বাড়ি হইতে কয়েকটা চায়ের পাতা বাহির হইল। তিনি একবার কলিকাতা গিয়া চা খাওয়া শিখিয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওয়াইয়া তাজ্জব বানাইয়া দিবার জন্য কলিকাতা হইতে তিনি কিছু চা-পাতা লইয়া আসিয়াছিলেন। গ্রামের লোকদের খাওইয়া চা-পাতা যখন কম হইয়া আসিত, তখন তাহার সহিত কিছু শুকনা ঘাসপাতা মিশাইয়া চায়ের ভাণ্ডার তিনি অফুরন্ত রাখিতেন। তিনি অতি গর্বের সহিত তাহার কলিকাতা-ভ্রমণের আশ্চর্য কাহিনী বলিতে বলিতে সেই চা-পাতা আনিয়া কবিকে উপঢৌকন দিলেন। চা-পাতা দেখিয়া কবির তখন কী আনন্দ। এই মহামূল্য চা এখন কে জ্বাল দিবে?

এ বাড়ির বড় বউ ও বাড়ির ছোট বউ সকলে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া যাহার যত রন্ধনবিদ্যা জানা ছিল সমস্ত উজাড় করিয়া সেই অপূর্ব চা-রন্ধন-পর্ব সমাধা করিল। অবশেষে চা বদনায় ভরতি হইয়া বৈঠকখানায় আগমন করিল। কবির সঙ্গে আমরাও তাহার কিঞ্চিৎ প্রসাদ পাইলাম। কবি তো মহাপুরুষ। চা পান করিতে করিতে চা-রাঁধুনীদের অজস্র প্রশংসা করিতেছিলেন। আমরাও কবির সঙ্গে ধুয়া ধরিলাম। বলাই বাহুল্য যে, গ্রাম্য-চাষির বাড়িতে যত রকমের তরকারি রান্না হইয়া থাকে, সেই চায়ের মধ্যে তাহার সবগুলোরই প্রসাদ মিশ্রিত ছিল।'

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

২১ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য: জালালুদ্দীন আহমদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র
ক্লিন সিটি গড়তে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনা হবে: মেয়র

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল
আলোচনা ছাড়া কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস
বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল মাত্র ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ
ভারতে গেল মাত্র ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা
পাকা ফল থেকেই বিয়ারের সমান অ্যালকোহল খাচ্ছে শিম্পাঞ্জিরা: গবেষণা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন