সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রই প্রান্তিক জনতার রক্ষাকবচ

নূরে আলম সিদ্দিকী

গণতন্ত্রই প্রান্তিক জনতার রক্ষাকবচ

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকার কাশ্মীর সফরে গিয়ে সেনাবাহিনীর উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলেছেন, ‘লঙ্কা জয় করে রাম যেমন তা বিভীষণকে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও ভারত তাই করেছে’। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সুদীর্ঘ ইতিহাসের সঙ্গে তার কোনো পরিচয় নেই বলেই তার এই উক্তির মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হয়। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এহেন শিষ্টাচার-বিবর্জিত মন্তব্যের একটি প্রতিবাদ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের কাছ থেকে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি! 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তাদের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের (তখনকার পূর্ব পাকিস্তান) ৭০-এর নির্বাচনের ম্যান্ডেটকে সম্বল করেই বিশ্বজনমতকে বাঙালি জাতির প্রতি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস আক্রমণের দিকটি তুলে ধরেন। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাম্প্রতিক এই উক্তি দাম্ভিকতার প্রকাশ, ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও বাস্তবতাবিবর্জিত। এবং বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার ও স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনের দীর্ঘ পথপরিক্রমণের গৌরবদীপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে ভদ্রলোক একান্তই অজ্ঞ। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথপরিক্রমণে ছাত্রলীগকে তার চেতনার উত্তরাধিকার বানিয়ে বঙ্গবন্ধু যে প্রতীতি ও প্রত্যয় নিয়ে অকুতোভয়ে সংগ্রামের একেকটি সোপান উত্তরণের মধ্য দিয়ে মানুষের চিন্তা-চেতনা ও মননশীলতার যে একটি রাখীবন্ধন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় এবং স্বাধীনতার প্রতীক ৬ দফার প্রতি জনগণের ম্যান্ডেট স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকে বৈধতা প্রদান করে। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলা ও বাঙালির পক্ষে যে কোনো আহ্বান জানানোর একমাত্র অধিকারী হয়ে যান তিনি।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্বন্ধে আমার কোনো ধারণা নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তার বয়স কত ছিল, সেটিও আমার জানা নেই। কিন্তু একটি জিনিস আমার কাছে নিষ্কলুষ সূর্যরশ্মির মতো স্পষ্ট হয়েছে। তখনকার ভারতে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক সংগঠন কংগ্রেস। সেই কংগ্রেসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং কালজয়ী নেতা গান্ধীজী অস্ত্র বা ধ্বংসাত্মক কোনো পন্থায় নয়; অসহযোগ ও অহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভারতকে স্বাধীন করেছেন। প্রতিহিংসার আঁচড়ও লাগতে দেননি তার আন্দোলনের গতিতে। বিশ্বশাসক ব্রিটিশদের রাষ্ট্রে তখনো সূর্য অস্ত যেত না। এমন একটি রাষ্ট্রের সুচতুর নেতৃত্বকেও গান্ধীজীর সৃষ্ট অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়। এসব ইতিহাস সম্বন্ধে তিনি অবগত ও অবহিত থাকলে এ ধরনের শিষ্টাচার-বিবর্জিত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য করতে পারতেন না। তিনি নিশ্চয়ই জানেন, হিন্দু মহাসভার সদস্য নথুরাম গডসে মহাত্মা গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করেছিল। 

 

 

৭০’র নির্বাচনের রায়টিকে পুঁজি করেই ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ববাসীকে বলতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান সেনার নির্যাতনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া ১ কোটি শরণার্থীকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব না; এ যুক্তিতে ইউরোপ থেকে শুরু করে আমেরিকা পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সক্রিয় জনমত গঠনে এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্র এমনকি আমেরিকান কংগ্রেস, সংবাদমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে একাট্টা ও প্রতিবাদী করে তোলেন। নিক্সন সরকারও পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। কোনো অবস্থাতেই নিক্সনের পক্ষে সেন্টো-সিয়েটো চুক্তি থাকা সত্ত্বেও সপ্তম নৌবহর পাঠানো সম্ভব ছিল না। এখানে ইন্দিরা গান্ধী তৎকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ স্টেটসম্যানশিপের পরিচয় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করেছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপি গান্ধীজীকে বাপুজী বা ভারতপিতা মানে কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী হিন্দু মহাসভার সদস্য নথুরাম গডসের মূর্তি বানিয়ে পাদপীঠে অর্ঘ্য প্রদান করে।

এখানে বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীনভারতের লোকসভায় তৎকালীন জনসংঘের খুব সম্ভবত মাত্র তিনজন সদস্য ছিলেন। তাদের সমর্থন বা বিরোধিতা ভারতীয় রাজনীতিতে দৃষ্টিগ্রাহ্য ছিল না। ৭৭ সালে ভারতে যখন নতুন নির্বাচন হয়, তখন জনসংঘের সভাপতি ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভানি। জনসংঘ তখন কংগ্রেসবিরোধী একক দল মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে জনতা পার্টিতে মিশে যায়। ৭৭ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দিল্লির ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস। দেশাই মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন জনসংঘ নেতা অটলবিহারি বাজপেয়ি এবং তথ্যমন্ত্রী হন লালকৃষ্ণ আদভানি। ১৯৮০ সালে জনতা পার্টি ভেঙে গেলে প্রাক্তন জনসংঘ সদস্যরা গঠন করেন ভারতীয় জনতা পার্টি। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে প্রথম অংশগ্রহণ করে মাত্র দুটি আসন পায় বিজেপি। ১৯৮৯ সালে অনুষ্ঠিত নবম লোকসভা নির্বাচনে ভিপি সিং কংগ্রেসের গর্ভজাত একজন উচ্চশিক্ষিত নেতা হওয়া সত্ত্বেও, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও অদূরদর্শিতার ফলে রাজিব গান্ধীকে নির্বাচনে পরাজিত করার লক্ষ্যে বিজেপিকে উল্লেখযোগ্য সিট দেন। সেই থেকেই বিজেপির রাজনৈতিক উত্থানের শুরু। মনোহর পারিকাররা ভারতবর্ষে বিশ্বাস করেন না, বিশ্বাস করেন হিন্দুস্তানে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে মনোহর পারিকারের উক্তিটি অবান্তর, অরাজনৈতিক ও অপাংক্তেয়।

ভারতের ১২০ কোটি গণতান্ত্রিক মানুষের কাছে আমাদের অঙ্গীকার— মুক্তিযুদ্ধে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা আমরা কখনোই বিস্মৃত হব না। ভারত কোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণের শিকার হলে বাংলাদেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে ভারতের পাশে থাকবে। কিন্তু তাদের আধিপত্যবাদকে কখনোই মেনে নেবে না। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় আমরা এতটাই উজ্জীবিত যে, এখানে অমুসলিমরা ৮% হলেও তারা বাংলাদেশে মায়ের কোলে শিশুর মতোই নিরাপদ। যারা ভারতবর্ষকে হিন্দুস্তান ভেবে উগ্র জাতীয়তাবাদী, স্বাধীনচেতা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত।

এখন দেশের কথায় আসা যাক। সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা দল থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। এটা কৌতুক কি-না জানি না। কথাটাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করলে বলা যেতে পারে, সত্যি সত্যিই তিনি সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেও তার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতায় বিন্দুমাত্র চিড় ধরবে না। বঙ্গবন্ধুও স্বাধীনতার পরপরই কামরুজ্জামানকে সভাপতির দায়িত্ব দেন। তাই বলে কি দলের ওপর তার যে অসামান্য প্রভাব ছিল, তাতে তিল পরিমাণ ঘাটতি পড়েছে? বা সমান্তরাল নেতৃত্বের কোনো প্রতিনিধিত্ব গড়ে উঠেছে?

শেখ হাসিনার আজকের এ অপ্রতিরোধ্য শক্তির অন্যতম কারণ, পারমাণবিক শক্তিধর পড়শির নিঃশর্ত আশীর্বাদ ও আদর্শবিচ্যুত মেরুদণ্ডহীন জঙ্গি-সন্ত্রাসের ক্ষয়রোগে আক্রান্ত বিএনপির দুর্বলতা ও নিষ্ক্রিয়তা। মিছিল থেকে সরে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতির গণ্ডিতেই শুধু তারা নিজেদের আবদ্ধ করে রাখেনি, বরং কাঙালের মতো শেখ হাসিনার কাছে প্রতিনিয়ত অধিকার ভিক্ষা চাচ্ছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার কারও করুণা বা অনুকম্পায় পাওয়া যায় না। সন্ত্রাস ও জঙ্গি তত্পরতার মাধ্যমেও তা আসে না। বরং সৃজনশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক ও মৌলিক অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সেই চেতনা ও শক্তিতে বিরোধীদলীয় জোট উজ্জীবিত ও সক্রিয় নয় বলেই রাজনীতিতে আজকের এই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং শেখ হাসিনাকে অপ্রতিরোধ্য ও নিষ্ঠুর দাম্ভিকতায় অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করলে নেতৃত্বের মর্যাদা কমে না, বরং বাড়ে। আমি আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিষ্কলুষ চিত্তে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনার আওয়ামী লীগ আজ ভিন্নমতের ভ্রান্ত-বাম দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছে। বিস্মৃত হলে চলবে না, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। আর আওয়ামী লীগের নিষ্কলুষ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখিয়েই ৭০-এর নির্বাচনে গণতন্ত্রকামী জনতা আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট দিয়েছে। আমি সংসদেও বহুবার বলেছি, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যেভাবে তার সন্তানপ্রতিম শেখ মুজিবকে গণতান্ত্রিক ভাবধারায় উজ্জীবিত করেছিলেন, সেই চেতনার ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রাণের মুজিব ভাই এগিয়ে যেতে পেরেছিলেন বলেই ৭০-এর নির্বাচনে এমন নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেটপ্রাপ্তি সম্ভব হয়েছিল। আজকে সংগঠনটি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, আমার আশঙ্কা হয়, কালে কালে না আওয়ামী লীগ বাম চিন্তাধারায় সম্পূর্ণভাবে অভিষিক্ত হয়ে যায়! অনুপ্রবেশকারীরা সাইবেরিয়ান অতিথি পাখির মতো বাম ঘরানার নেতৃত্বে যেভাবে অক্টোপাসের মতো সবকিছুকে ঘিরে রেখেছে, তাতে তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীরা আজ ভয়ে কম্পমান যে, আওয়ামী লীগের নিষ্কলুষ গণতান্ত্রিক চেতনাটিই না অবলুপ্ত হয়ে যায়! আমি বর্তমানে আদৌ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর চেতনার উত্তরাধিকার, তার বিশ্বাসের অতন্দ্র প্রহরী। আমি গণতন্ত্রের সূর্যস্নাত একজন কর্মী। তাই আওয়ামী লীগের সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও অযাচিতভাবে এ কথাগুলো বলা আমার নৈতিক দায়িত্বের আবর্তে পড়ে। আমলা, প্রশাসন, বিচারিক ব্যবস্থা, এমনকি সব সামাজিক অঙ্গন আজ দুর্নীতির রাহুতে গ্রাস করেছে। আর এসব কিছুর প্রভাবে পুরো সমাজব্যবস্থা আজ অবক্ষয়ের অতলান্তে নিমজ্জিত। আওয়ামী লীগও আজ এর ব্যতিক্রম নয়। দুর্নীতিপরায়ণ, সুবিধাবাদী সুযোগসন্ধানীরা দলে রাঘব বোয়াল। সংগঠনকে তাদের প্রভাববিমুক্ত করা বর্তমান বাস্তবতায় খুবই কঠিন। বেদনাহত চিত্তে আমার বলতেই হয়, এ ব্যাপারে প্রত্যাশিত কোনো উদ্যোগ নিতে শেখ হাসিনাকে আগ্রহী হতে দেখিনি।

দুনিয়াতে অলৌকিক ঘটনা তো ঘটেই; মানুষ ঘনঘোর অন্ধকারের মধ্যেও আশার আলো খুঁজতে থাকে। কোথাও সফল হয়, কোথাও ব্যর্থতার যন্ত্রণায় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। তবুও বাস্তব এটাই, প্রতিবাদী শক্তি সংগঠিত নয়, বরং দুর্বল থেকে ক্রমে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। দেশের সঠিক ও সকরুণ চিত্রটি তুলে ধরার লোক ক্রমেই কমে যাচ্ছে। অথচ সরবে সগৌরবে সব নির্যাতন, নিগ্রহের সবরকম ঝুঁকি মাথায় নিয়ে, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার সব প্রলোভনকে অস্বীকার করে কিছু লোককে সরব হতেই হবে। এটি এখনকার সময়ের দাবি। প্রান্তিক জনতা যখন নীরব, নিথর, নিস্পৃহ; তখন কিছু বিবেকবান মানুষ সরব হলেই ঘনঘোর অন্ধকারের মধ্যেও মানুষ সম্ভাবনার সূর্যরশ্মি দেখার আশায় বুক বাঁধতে পারে। আমি এ নিবন্ধ কবিগুরুর উদ্ধৃতি দিয়েই শেষ করতে চাই। আজকে বিবেকাশ্রিতদের দায়িত্ব— ‘এই-সব মূঢ় ম্লান মূক দিতে হবে ভাষা; এই-সব শ্রান্ত শুষ্ক ভগ্ন বুকে ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা’।  

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম শীর্ষ নেতা

সর্বশেষ খবর