শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাস্তবতা

প্রফেসর ড. শাহিদা রফিক
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাস্তবতা

পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রাণ এবং প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল পরিবেশ ও প্রকৃতির মহাসাম্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে। এই ভারসাম্য বজায় রাখছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। আজ মানুষের হাতে এই পরিবেশ দূষিত হচ্ছে আর দূষিত পরিবেশ প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট করছে। বিপন্ন হচ্ছে মানুষসহ গোটা জীব জগতের অস্তিত্ব। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাড়তি জনসংখ্যার জন্য শক্তি উৎপাদন। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ পানি, মাটি এবং বাতাসের ওপর পড়ছে বাড়তি চাহিদার চাপ। ক্রমবর্ধমানহারে বিদ্যুত্শক্তি উৎপাদনের জন্য শুরু হয়েছে বন সম্পদ বিনষ্টি কর্মকাণ্ড। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উদ্ভিদ এবং প্রাণী জগৎ। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের প্রাকৃতিক, ভৌগোলিক, আইনগত, অর্থনৈতিক, জনস্বাস্থ্যসহ সামগ্রিক পরিবেশে। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এর একটি উত্কৃষ্ট উদাহরণ।

সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্ট বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এর অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে, পূর্বে বলেশ্বর নদী এবং পশ্চিমে হরিণডাঙার মধ্যবর্তী স্থানে, বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে। এর মোট আয়তন ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার। মোট সম্পত্তির শতকরা ৬০ ভাগ বাংলাদেশের এবং বাকিটা ভারতের। উন্মুক্ত বালুতটসহ মোট জমির পরিমাণ ৪১৪.২৫৯ হেক্টর (৭০ ভাগ) এবং পানি দারা আচ্ছাদিত জমির পরিমাণ ৩০ ভাগ (১৮৭.৪১৩ হেক্টর)। দক্ষিণে ১৩৯.৭০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বন্যপ্রাণীর তিনটি অভয়ারণ্য রয়েছে। এলাকাটি বিপন্ন প্রজাতির জন্য মূল প্রজনন এলাকা হিসেবে পরিচিত। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে একটি টিপিক্যাল ভৌগোলিক অবস্থানে সুন্দরবন একটি অনন্য জৈব জলবায়ু অনুকূল অঞ্চল। প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে ভরপুর এই সুন্দরবন আন্তর্জাতিকভাবে ন্যাশনাল হেরিটেজ নামে স্বীকৃত। বাংলাদেশের এই সুন্দরবন ফরেস্ট রিজার্ভ, যুগ যুগ ধরে লোনা পানির জোয়ার-ভাটার অবিরাম ঘাত-প্রতিঘাতে বিধৌত এক একটি মোজায়িক, প্রকৃতির এক অসাধারণ শিল্পকর্ম। স্থানটি জলজ ও স্থলজ এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের আবাসস্থল, মাইক্রো এবং ম্যাক্রো উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের অভয়ারণ্য। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, গঙ্গা এবং ঈশ্বরদীর ডলফিন, মোহনার কুমির এবং বিপন্ন নদী-চরকচ্ছপসহ প্যানথারাটাইগ্রস প্রজাতির আন্তর্জাতিকমানের একমাত্র নিরাপদ আবাসস্থল।    

ক্রমপরিবর্তনশীল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সুন্দরবনের কুশলী ভূমিকা রয়েছে। ব-দ্বীপ গঠন এবং গঠিত ব-দ্বীপের সুরক্ষা বর্ম এ সুন্দরবন। এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি সুরক্ষাবাঁধ। এর সুরক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মৌসুমি বৃষ্টিপাত, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ব-দ্বীপ সংরক্ষণ, জোয়ার-ভাটার অনুকূলে উদ্ভিদ ও প্রাণী জগতের উপনিবেশ রচনা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ব-দ্বীপ তিনটি বড় নদী যেমন— গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার পলল জমা থেকে গঠিত, বঙ্গীয় অববাহিকার একটি পলল আচ্ছাদন। বিশ্বের ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে এটি প্রকৃতির এক অনন্য স্থাপনা। এখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ হলে বিপর্যস্ত হবে আমাদের প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশ, বিপন্ন হবে জনস্বাস্থ্য এবং প্রাণী জগৎ। আমাদের অর্থনীতিতেও এটি একটি বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানি দহনের ফলে নির্গত হয় জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দূষণ নানা রাসায়নিক পদার্থ। এসব রাসায়নিক পদার্থ দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ। এতে বাতাস, খাদ্যদ্রব্য দূষিত হচ্ছে। কয়লা দহনের ফলে দূষণকারী পদার্থগুলোর মধ্যে রয়েছে— কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, সিসা, পারদ এসব। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম সম্ভব হলো বাতাস।

ঝুলজাতীয় কার্বন কণা, বিষাক্ত ধাতু, জটিল জৈব ও যৌগ নিউক্লিয় আবর্জনা, জীবাশ্ম জ্বালানি অর্থাৎ কয়লা তেল এসব পুড়িয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড এসব বাতাসে ছড়িয়ে দেওয়া, নাইট্রাইস অক্সাইড, আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা সবই বাতাস দূষণের প্রধান উপকরণ। বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক আবহাওয়ার তাপমাত্রা। এটিই গ্লোবাল ওয়ার্মিং। কয়লা ও তেল দহনের ফলে নির্গত গ্যাসের মিশ্রণের সৃষ্টি হয় ধোঁয়াশা। এ ধোঁয়াশা মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুসের ক্যান্সার এসবের জন্য দায়ী। অক্সাইড ও হাইড্রো কার্বনের বিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় ওজোন গ্যাস ও পারক্সি এসিটাল নাইট্রাইট। এসব বায়ুদূষক বাতাসে ছড়িয়ে থাকে। কয়লা চালিত বিদ্যুেকন্দ্র বিশ্বের কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণের প্রধান উৎস এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

পানির দূষণ : পানির দূষণ সভ্যতার এক অভিশাপ। পানির দূষণ হচ্ছে কয়লা বিদ্যুৎ প্লান্ট থেকে ভারী ধাতু, হ্যালোজেন নিষিক্ত হাইড্রোকার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, পেট্রোলিয়াম, কৃত্রিম তেজস্ক্রিয়তা সর্বোপরি বিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন নির্গম নালি বেয়ে আসা দূষিত তরল আবর্জনা দ্বারা। কয়লা বিদ্যুৎ প্লান্ট কর্তৃক পানি দূষণ নিয়ে বিশ্ব সমাজ আজ চিন্তিত। পানি দূষণের ফলে ছড়িয়ে পড়ছে নানা সংক্রামক রোগ। বর্তমানে বাতাস দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহূত প্রযুক্তিসমূহ এই বিষাক্ত গ্যাস নিগর্মণ করতে যথেষ্ট পরিণত নয়। একটি টিপিক্যাল কয়লাচালিত বিদ্যুেকন্দ্র থেকে বছরে প্রায় ১২৫০০০ টন ছাই এবং ১৯৩০০০ টন বিষাক্ত কর্দন উৎপাদিত হয় যা পরিবেশ দূষণ করে। এই বর্জ্য থেকে বিষাক্ত পদার্থসমূহের মধ্যে রয়েছে আর্সেনিক, পারদ, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি। এগুলো পানি ও এর উৎসকে যেমন— পুকুর, নদী, হ্রদ পানিকে কলুষিত করে এবং এই পানি পান করা মানুষের অত্যাবশ্যক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০০ শিশু যারা কয়লাচালিত বিদ্যুেকন্দ্রের বর্জ্য থেকে উত্পন্ন আর্সেনিক দূষিত ভূগর্ভস্থ পানি পান করেছে তারা প্রত্যেকেই ক্যান্সারের ঝুঁকিতে রয়েছে। কয়লা প্লান্টের নিঃসরিত বর্জ্য ইকো ইস্টেমকে আংশিক বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কয়লা প্লান্টে শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহূত ৭০-১৮০ বিলিয়ন গ্যালন পানি বিদ্যুেকন্দ্রে প্রবাহিত হয়ে জলাশয়, হ্রদ, নদী বা সমুদ্রে এসে পড়ে। প্লান্টে ব্যবহূত এই পানি নদী, জলাশয় বা সমুদ্রের পানির স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে উষ্ণ, ২০০-২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় পানির তাপ দূষণ করে। এতে সামুদ্রিক প্রজাতির প্রজনন ও কর্মক্ষমতা লোপ পায়। এমনকি এদের হার্টের সমস্যা ও শ্বসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পানির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে সামুদ্রিক প্রাণীর প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায়।

-কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রে শীতলীকরণ পানিতে শ্যাওলা বৃদ্ধি-হ্রাস করার জন্য ক্লোরিন এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ যোগ করা হয়। এসব বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিত্যক্ত পানির সঙ্গে নদী বা সমুদ্রে এসে পড়ে এবং পরিবেশ দূষিত করে।   

পরিবেশ দূষণের কবলে সুন্দরবন : সুন্দরবন বিশ্বের বিপন্ন জলজ ও স্থলজ প্রজাতির বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের একটি নিরাপদ আবাসস্থল। এক বাঘশুমারি অনুযায়ী এখানে বাঘের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৪৫০ থেকে হ্রাস পেয়ে ১০০ পর্যন্ত পৌঁছেছে। সুন্দরবনে ৩৩৪টি উদ্ভিদ প্রজাতি, ২৪৫টি প্রজন্মের ৭৫টি উদ্ভিদ প্রজাতি, ১৬৫ প্রজাতির শ্যাওলা গুল্ম, ১৩টি প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ৬৯৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, ৫৯ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। এ ছাড়া ৮টি প্রজাতির উভয়চর প্রাণী, ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া এবং নানা প্রজাতির মলাস্কা। স্থানটি বিরল প্রজাতির পক্ষীকুলের জন্যও একটি অভয়ারণ্য। এখানে রয়েছে নানা রঙের, নানা ধরনের, জলপথ ধরে বিচরণকারী অসংখ্য পক্ষীকুল। বিচিত্র পাখি দর্শনের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় স্থান। সর্বাধিক আকর্ষণীয় পাখির প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ৩১৫ ধরনের জলকুক্কুট, র‌্যাপ্টার্স, ৯টি প্রজাতির মাছরাঙ্গা, ম্যাগনিফিসেন্ট সাদা পেটের সমুদ্র ঈগলসহ জানা-অজানা বন্যপাখি। এখানে বিদ্যুেকন্দ্র হলে বিপন্ন হবে এসব বন্য পক্ষীকুল।

সুন্দরবনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রচলিত আইনের খেলাপ

আইনগত সুরক্ষা নীতিমালা : ঐতিহাসিকভাবেই উনিশ শতক থেকে এ ভূমির জমি, বনভূমি এবং জলজ পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আইন কার্যকর রয়েছে। এর নাম ‘বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সংশোধন আইন’। যে তিনটি অভয়ারণ্য নিয়ে সুন্দরবন গঠিত হয়েছে সে তিনটি অভয়ারণ্যই ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সংশোধন ১৯৭৪ সালের আইন অনুযায়ী এটি পরিচালিত হচ্ছে। তবে এরও আগে ১৮৭৪ সালে প্রথম ফরেস্ট রিজার্ভ আইন প্রণীত হয়। ১৯২৭ সালে সংশোধিত এটি ‘বনসম্পদ নিয়ন্ত্রণ’, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ’ আইন নামে পরিচিত এবং ১৯৭৪ সালে এটি পুনঃসংশোধিত হয়। বর্তমানে এ বনসম্পদের কার্যক্রম উক্ত আইন দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ আইনগুলো হলো রিজার্ভ ফরেস্টে অনধিকার প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, নিয়ন্ত্রিত মত্স্য সম্পদ আহরণ, মধু আহরণ এবং বন্যপ্রাণী শিকার ও বনজ উত্পন্ন সম্পদ আহরণ। উক্ত আইন অনুযায়ী এ রিজার্ভ ফরেস্ট ধ্বংস হয় এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। এসব বিদ্যমান আইন থাকা সত্ত্বেও সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনার জন্য ২০১০ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুেকন্দ্রের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ২০০০ একর খামার জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। অভিযোগ রয়েছে যে, এটি ‘রামসার কনভেনশন’ চুক্তির বরখেলাপ। ‘বৈশ্বিক পরিবেশবান্ধব রামসার চুক্তি’ অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং সংবেদনশীল জলাভূমিতে কোনো প্রকল্প স্থাপন করা যাবে না। যেটি জলাভূমি এবং বনাঞ্চলের ক্ষতিসাধন করে। বাংলাদেশ এ চুক্তিতে ১৯৯২ সালে স্বাক্ষর করে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পটি দেশের বিদ্যমান নীতির সঙ্গে সঙ্গতিশীল নয় বলে এর অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ছাড়াও তহবিল সংগ্রহ এবং প্লান্টটির মালিকানার বিষয়টিও চুক্তিতে স্পষ্ট নয়। ফলে এ প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপরন্তু হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রিজার্ভ ফরেস্টের ২৫ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রকল্প স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু উক্ত প্রকল্পটি নির্ধারিত স্থানটি সুন্দরবন থেকে মাত্র ৯ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।   

স্বাস্থ্যগত কারণ : কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে নিঃসরিত সালফার ডাই-অক্সাইড ছোট ছোট আম্লিক বস্তু কণার আকারে নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে রক্তস্রোতে শোষিত হয় যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এটি এসিড বৃষ্টি ঘটায় যা ফসল, বনভূমি ও মাটির মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে এবং মাটির উর্বরতা কমায়। নাইট্রোজেন অক্সাইড ভূমিতে ওজোন স্তর বা ধোঁয়াশা তৈরি করে যেটি ফুসফুসের টিস্যু বার্ন করে দেয় অ্যাজমা বা হাঁপানি তৈরি করে এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে দেয়। একটি টিপিকাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে বছরে প্রায় ৩০০০ নাইট্রোজেন পার অক্সাইড নির্গত হয়। সিলেকটিভ বা কেটালেটিব প্রযুক্তিতে এটি সম্পূর্ণভাবে নিঃসরণ বন্ধ করা যায় না। নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ বস্তুকণা ক্রনিক, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, ঝাপসা দৃষ্টি এমনকি অকাল মৃত্যুও ঘটাতে পারে। কয়লা প্লান্টে নিঃসরিত পারদ মস্তিষ্কের এবং হার্টের ক্ষতি করে।

অর্থনৈতিক কারণ : আইইইএফএ ২০১৬ প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রকল্প থেকে উত্পন্ন বিদ্যুতের দাম বর্তমানে গড় বিদ্যুতের দামের চেয়ে ৩২% শতাংশ বেশি হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটি সাশ্রয়ী নয়। এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের ভর্তুকি সত্ত্বেও এ প্রকল্প থেকে উত্পন্ন বিদ্যুতের দাম গড়পড়তা বেশি।

পশুর নদীর তীরে ফসলি জমিতে বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। উল্লেখ্য, ২.৫ মিলিয়ন বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ এলাকাটিতে বসবাস করে এবং সুন্দরবনের ওপর জীবিকানির্বাহ করে। এদের মধ্যে রয়েছে— কাঠুরিয়া, জেলে, মধু সংগ্রহকারী মৌয়াল এবং বনসম্পদ উত্পন্ন সম্পদ আহরণকারী মানুষ ইত্যাদি।  বিদ্যুৎ প্রকল্পটি হলে এর সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এটি একটি বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

লেখক : প্রাক্তন ডিন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং প্রাক্তন ডিরেক্টর, নবায়নযোগ্য শক্তি

ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা

৪৯ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান
তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত
ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে
বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক
আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান
বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর
কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত
রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে প্রতি ১০ শিশুর চারজনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সিসা
দেশে প্রতি ১০ শিশুর চারজনের রক্তে ‘উদ্বেগজনক’ মাত্রায় সিসা

২ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাইফ
আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলার সুযোগে উচ্ছ্বসিত সাইফ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ
চায়ের আড্ডায় টুকুর গণসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি গুলি
লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর ফের ইসরায়েলি গুলি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বান্দরবানে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
বান্দরবানে পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে সরকার
প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছে সরকার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেট ফাঁপা কমানো এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
পেট ফাঁপা কমানো এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ঢেঁড়স ভেজানো পানি কি সত্যিই এত উপকারী?
ঢেঁড়স ভেজানো পানি কি সত্যিই এত উপকারী?

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা
মোংলায় লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের প্রচারণা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭০০

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে
সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে

নগর জীবন

গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ
গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ

নগর জীবন

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

অবহিতকরণ সভা
অবহিতকরণ সভা

দেশগ্রাম

বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম
বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম

নগর জীবন

নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক
নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক

নগর জীবন

চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে
চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে

পূর্ব-পশ্চিম

লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ
লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ

দেশগ্রাম

বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

দেশগ্রাম

বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা
বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রবীণ ও অসহায় গণি জমাদ্দার দম্পতির পাশে তারেক রহমান
প্রবীণ ও অসহায় গণি জমাদ্দার দম্পতির পাশে তারেক রহমান

নগর জীবন

তিন মাসে পাঁচ বার চুরি
তিন মাসে পাঁচ বার চুরি

দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষাক্রম
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষাক্রম

নগর জীবন

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই
ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই

পূর্ব-পশ্চিম

আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য
আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

পূর্ব-পশ্চিম

জলবায়ু অর্থায়ন দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না
জলবায়ু অর্থায়ন দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না

নগর জীবন

ব্যবসায়ীরা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের শাস্তি চান
ব্যবসায়ীরা বন্ডের অপব্যবহারকারীদের শাস্তি চান

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম