বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভেষজ

আম্রপালি

ফল হিসেবে আমের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা সর্বত্র। দেশের সর্বত্র আমের চাষ হলেও রাজশাহী অঞ্চলে আম চাষ হয় বেশি। আম গাছ প্রচণ্ড খরা ও বৃষ্টিপাত সহ্য করতে পারে। ঊর্বর নিচু জমি বা মাঝারি ধরনের টিলা জমিতে ও আমের চাষ করা যায়। আম্রপালি নামের আম ইদানীং বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে এবং এটা আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় ভালো ফলন দেয়। এ জাতের আম কিছু গুণের জন্য জনপ্রিয়। এর বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে— গাছের আকার ছোট ও বেঁটে। কম জমিতে বেশি গাছ লাগানো যায়। অধিক ফলনশীল। চারা রোপণের তিন বছর পরই ফলন শুরু হয়। ফল সুমধুর ও আঁশবিহীন। আমের আঁটি অত্যন্ত ছোট হওয়ায় মাংসল অংশ বেশি হয়। গাছের আকার ছোট হওয়ায় পরিচর্যা ও ফল তোলা সহজ হয়। আম্রপালি আমের জাত ছোট ও বেঁটে হওয়ায় আজকাল শহরাঞ্চলে অনেকেই নিজের বাসঘরের সামনে ফুলের বাগানেই এটা রোপণ করতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার বাড়ির ছাদের ওপর বড় ড্রামেও আম্রপালি জাতের আম গাছ লাগিয়ে ফল পেতে সক্ষম হয়েছেন। আম্রপালি চাষে ইচ্ছুক চাষি ভাইয়েরা রোপণের জন্য কলম দেওয়া গাছের চারা সংগ্রহ করতে পারেন। একসঙ্গে অনেক কলমচারা সংগ্রহ করতে না পারলে প্রথমে কিছু চারা সংগ্রহ করে তাকে মাতৃগাছ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে সব সময়ই এ কলম ভালো নার্সারি থেকে সংগ্রহ করা উচিত।

কলম রোপণের পদ্ধতি : আম্রপালি জাতের গাছের আকার ছোট ও বেঁটে হওয়ায় ঘন ঘন করে একে রোপণ করা যায়। অবশ্য গাছ সব সময়ই সঠিক দূরত্বে রোপণ করা উচিত। বেশি ঘন ঘন করে গাছ লাগালে পরবর্তী সময়ে গাছের ডালপালা পাশের দিকে না ছড়িয়ে ওপরের দিকে লম্বা হতে থাকে। এতে বাগানে প্রয়োজনীয় রোদ ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। রোগ-পোকার আক্রমণ বেশি হয় ও উৎপাদন কমে যায়। এজন্য আম্রপালি জাতের আমের জন্য দুটি সারির মধ্যে দূরত্ব হতে হবে ৪ মিটার। এ হিসেবে রোপণ করলে প্রতি বিঘা জমিতে মোট ৮৩টি গাছ রোপণ করা সম্ভব। আমের কলম বর্ষা মৌসুমেই রোপণ করা দরকার। জমি নির্বাচন করার পর নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা রোপণের জন্য গর্ত তৈরি করতে হয়।

            আফতাব চৌধুরী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর