বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক

আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে বিরাজ করুক

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনালগ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জাপান সফরকালে তাঁকে যে অবিস্মরণীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়, তা দুই দেশকে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের ভূমিকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। সহযোগিতার এ ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত জাপানের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ বিষয়ক মন্ত্রী তোশিমিতসু মোটেগি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মতো দায়িত্বভার গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের চলমান মেয়াদে বাংলাদেশ এবং জাপানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং প্রতিটি গ্রামকে শহরের নাগরিক সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী আইটি পার্কগুলোয় তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ ও গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণে জাপানের সহযোগিতার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবিকা নেওয়ার আহ্বান জানালে জাপানের মন্ত্রীও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনরুল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপানের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ বিষয়ক মন্ত্রীর সাক্ষাৎ একটি আশাজাগানিয়া ঘটনা। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের দুর্দিনে যেসব দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে জাপানের স্থান সবার ওপরে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দ্রুত উন্নয়নের পথ দেখাবেÑ আমরা এমনটিই আশা করতে চাই। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি ও সমুদ্রসম্পদ আহরণে জাপানি সহযোগিতা নিশ্চিত হলে তা হবে এক বড় অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর