শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইতিহাস

ক্রুসেডারদের আগ্রাসন

১০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান বিজয় ও শাসন ছিল অব্যাহত। এ সময়ের মধ্যে ইসলাম ও ইসলামের চর্চা, ধর্মীয় শিক্ষা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজ্য প্রসার, সেনাবাহিনী গঠনে মুসলমানরা অসামান্য ভূমিকা রাখে। এরপর শুরু হয় ইসলামের ওপর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র। যার মাত্রা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। ইউরোপিয়ান শাসকরা একে একে মুসলমানদের কাছে রাজ্য হারিয়ে, তাদের পবিত্র ভূমি জেরুজালেমে ইসলামের ব্যাপক চর্চায় যেমন ছিল বিচলিত তেমন আক্রোশে ছিল জর্জরিত। এহেন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তারা গ্রহণ করল এক মহাকূটকৌশল; যার প্রধানতম উদ্দেশ্য হলো মুসলিম সাম্রাজ্য ধূলিসাৎ করা। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে তারা গঠন করল গুপ্তচর বাহিনী, শুরু করল মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা, নকল ইসলামী রীতি, মদ, জুয়া, নারীর ব্যবহার। অশ্লীলতা আর ব্যভিচার মুসলমানদের মধ্যে সুকৌশলে ছড়িয়ে দিতে ইসলাম-বিদ্বেষীরা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করে এগোতে থাকল অত্যন্ত গোপনে আর প্রকাশ্যে শুরু করল ক্রুসেড। ক্রুসেডের প্রথম যুদ্ধেই জেরুজালেম মুসলমানদের হাতছাড়া হয়। এর প্রায় ২০০ বছর পর জেরুজালেম আবার পুনরুদ্ধার করেন মুসলিম সেনাপতি, অকুতোভয় সেনানায়ক সুলতান গাজি সালাহউদ্দিন আল আইয়ুবি। ঝড়ের গতিসম্পন্ন, আপসহীন অকুতোভয় আইয়ুবি যখন ইসলামের তরবারি হাতে আবির্ভূত হন তখন ক্রুসেডের সাজানো কৌশল বারে বারে কেঁপে ওঠে। চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে জেরুজালেম ছিনিয়ে এনে শত বছর পর আবার মুসলমানদের হৃদয়ে প্রশান্তি নিয়ে আসেন গাজি সালাহউদ্দিন আইয়ুবি। বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদের মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে ওঠা মেসোপটেমিয়ার তিকরিতে ১১৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সালাহউদ্দিন ইউসুফ ইবনে আইয়ুব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর