শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০১৯ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুতে অসাধারণ চোখ অপারেশন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুতে অসাধারণ চোখ অপারেশন

মোবারক মাহে রমজান। নাজাত বা মুক্তির সবচাইতে বড় মাধ্যম নামাজ, রোজা। রোজা পশুত্ব ধ্বংস করে মনুষ্যত্বের জন্ম দেয়। সেই রহমত, বরকতের রোজা হলো প্রত্যেক মুসলমানের জন্য স্রষ্টার এক শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের মাহে রমজানের রোজা কবুল ও মঞ্জুর করুন।

অনেক দিন নিয়মিত লেখা হয়নি। এক. পরিবেশ দুই. শারীরিক অসুবিধা। বহুবার বলেছি, লেখকের কাছে পাঠক সন্তানের থেকেও প্রিয়। এ কদিন কতজনের কত প্রশ্ন, কতজন কতভাবে জানার চেষ্টা করেছেন তারা লেখা পান না কেন। পাঠক বন্ধুরা আকুল। আমার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছে কতজনের কত আকুতি- তাই লিখছি। কত জায়গায় কত মানুষ কতভাবে বলার চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী দিনগুলো নিয়ে লিখতে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ভারতে নির্বাসিত দিনগুলো নিয়ে যাতে লিখি, অনেক অজানা তথ্য যাতে তারা জানতে পারেন। এ ধরনের কত বায়না- বলে-কয়ে শেষ করতে পারব না। গত ২৮ এপ্রিল চোখের ছানি কেটেছি। ১৫-২০ বছর হবে চোখে ছায়া দেখতাম। পড়তে অসুবিধা হতো। কিছুক্ষণ পড়লেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসত, মাথায় তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করতাম। খুনিদের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে চোখ ও চশমা সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। চশমার মাহাত্ম্য বুঝেছিলাম ’৭৬-এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তখন আমরা জোরকদমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। চান্দভূই নামে এক পাহাড়ি টিলায় ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামী জাতীয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে রাজা দীপঙ্কর, শাহ আজিজ, এম এ জলিল, সুলতান মনসুর, গৌর, বৌদ্ধ, মাহবুব, নাসিম ওসমান; নড়াইলের জিন্নাহ; যশোরের এমপি রওশন আলী, বিশেষ করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ডা. এস এ মালেক, বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, ইসমত কাদির গামা, ফরিদপুরের শামসুদ্দিন মোল্লা, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এ রকম আরও অনেকে ছিলেন। একেবারে গভীর জঙ্গল। প্রয়োজনীয় জামা-কাপড়-জুতা-মোজা নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে মাটি খুঁড়ে তার মধ্যে দলবদ্ধভাবে শীতের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা। এই যখন অবস্থা ঠিক তখন একদিন হঠাৎই নারায়ণগঞ্জের নাসিমের মোটা কাচের চশমা ভেঙে গেল। ওর দু-এক দিন আগে নারায়ণগঞ্জের মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর চশমা ভেঙেছিল। তা নিয়ে কেউ তেমন গা করেনি, আমাকেও বলেনি। নাসিমের চশমা আমার সামনেই ভেঙেছিল। কিন্তু তেমন কিছু মনে করেনি। ভেঙেছে সময়-সুযোগ মতো তৈরি করে আনলেই হবে। প্রথমত চশমা তৈরি করার টাকা নেই। তা ছাড়া ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে চশমা কেনা বা মেরামত করার কোনো জায়গা নেই। পরদিন বা তার পরদিন কী কাজে নাসিম ওসমানকে ডেকেছি। সামনে আসতেই দেখি চোখ লাল টকটকে বড় বড়। নাসিম তথ্য বিভাগে কাজ করত। সুলতান, জ্যোতির্ময়, রাজা দীপঙ্কর, বারহাট্টার রহমান মাস্টার আরও অনেকেই ছিল তথ্য বিভাগের সঙ্গে। নাসিম ওসমানের হাতের লেখা ভালো ছিল না। কিন্তু ধারণক্ষমতা আর নিষ্ঠা ছিল অসাধারণ। কলম-কাগজ হাতেই ছিল। কী যেন বলছিলাম, নাসিম নোট নিচ্ছিল। এমনিতে ওর হাতের লেখা খারাপ। আমাদের নওশের আলী নশুর চাইতেও অনেক বেশি খারাপ। তার ওপর দুই দিন আগে চশমা ভেঙেছে। চোখ যেন জবা ফুলের মতো টকটকে লাল হয়ে বেরিয়ে পড়তে চাচ্ছে। হঠাৎ হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর লেখা কোন দিকে যাচ্ছে ও নিজেও জানে না। শুধু অনুমানের ওপর হাত চালাচ্ছে। তখন এখনকার মতো অবস্থা ছিল না। সেখানে দায়দায়িত্ব, মান্য-গণ্য ছিল। হঠাৎ জিজ্ঞাসা করি নাসিম, একই লাইনের ওপর লিখছ? তোমার কি দেখতে কষ্ট হচ্ছে? আমার প্রশ্নে সে যেন কেমন হয়ে গেল।

- না স্যার, তেমন কিছু হচ্ছে না।

- তোমার চোখ এত লাল কেন?

- চশমা নেই তো তাই বোধহয় লাল হয়েছে।

- তোমার কি অসুবিধা হচ্ছে?

- না, তেমন অসুবিধা হচ্ছে না।

- আচ্ছা ওটা রাখো।

একটা বই হাতে দিয়ে বললাম, পড় তো। নাসিম এক শব্দও পড়তে পারল না। পড়বে কি, সে তো তেমন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। কে যেন একজন বলল, এ দুই রাত নাসিম একটুও ঘুমাতে পারেনি। সে সময় মঞ্জুকে ডাকা হলো। মঞ্জুও তথ্য দফতরে কাজ করে। খুব ভালো কর্মী। নারায়ণগঞ্জের যারা ’৭৫-এর প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তার মধ্যে মনে হয় সব থেকে ভালো। মঞ্জুর চশমা ভেঙেছে আরও আগে। নাসিমের মতোই মোটা কাচের চশমা। তাই মঞ্জুর চোখ ফুলেছে আরও বেশি। লাল হয়েছে বলার মতো না। বোঝা গেল চশমা ছাড়া তাদের চলবে না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো, গাড়ি চাই, লোক চাই- চশমা বানাতে হবে। পরদিন সকালে গাড়ি এলে চান্দভূই থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে শহরে গিয়ে সন্ধ্যায় নতুন চশমা নিয়ে এলো। পরদিন চোখ ফোলা মুখ ফোলা সব ঠিক হয়ে গেল। বুঝলাম মোটা কাচের চশমার মাহাত্ম্য। নতুন চশমা চোখে নাসিম আর মঞ্জুর কাজের উদ্দীপনাই বেড়ে গেল শতগুণ। এরপর এলো ভারতের সাধারণ নির্বাচন। সর্বোদয় নেতা শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে গঠিত হলো জনতা পার্টি। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ, ডান-বাম, নরম-গরম সবাই শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে একজোট। সে এক অসাধারণ নির্বাচন। স্বাধীন ভারত একটানা কংগ্রেস শাসন করেছে। ১৯৪৭-’৭৭ এই ৩০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কেউ বা কোনো দল কখনো কোনো দিন শাসন করতে পারেনি। আর সত্য কথা বলতে কি, আঞ্চলিক দল থাকলেও তখন পর্যন্ত ভারতে কংগ্রেস ছাড়া আর কোনো সর্বভারতীয় দল ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, ত্রিপুরা ও আরও কয়েকটি রাজ্যে সিপিএম, কোথাও সিপিআই। আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দল রাজ্য সরকার গঠন করলেও সর্বভারতীয় কোনো দল ছিল না। সিপিআই যদিও সর্বভারতীয় দল, কিন্তু খুব বেশি সিট পেত না। তাই বলতে গেলে একমাত্র কংগ্রেসই ছিল সর্বভারতীয় দল। এখনো কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। অন্যদিকে শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে গঠিত জনতা পার্টি ভাগ হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি গঠন করে। পরবর্তী নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয়লাভ করে; যার ১টি ছিল অটল বিহারি বাজপেয়ির আসন। সে যাক, নির্বাচনে কংগ্রেস পরাজিত হলে জনতা পার্টির মোরারজি দেশাই হন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে এক চুক্তিতে তিনি আমাদের সবকিছু তছনছ করে দেন। প্রায় ছয় হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাকে জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চার-পাঁচ হাজার যোদ্ধা এদিক-ওদিক গা-ঢাকা দেয়। আমাদের হাজারখানেক যোদ্ধাকে বন্দী করা হয়। নেতাজি সুভাষ বোসের সহকর্মী ফরোয়ার্ড ব্লকের সভাপতি শ্রীসমর গুহ এবং ইটনার ভূপেশ দাশগুপ্ত এমপি ভারতীয় পার্লামেন্ট নাড়িয়ে ফেলেন। লোকসভার প্রায় ৫০ জন সদস্য প্রতিবাদের ঝড় তুললেন। মোরারজি দেশাই কিছুটা শান্ত হন। আমাদের জল্লাদের হাতে তুলে দেওয়া থেকে বিরত হন। ইল্লি-দিল্লি-কলকাতা ঘুরিয়ে আমাকে আনা হয় শিলিগুড়ি। প্রায় ছয় থেকে আট মাস পর মা-বাবা, ভাইবোনদের মাঝে এসে অনেকটা স্বস্তিবোধ করি। দিন কাটতে থাকে। এর মধ্যে কী কারণে বাবা কলকাতায় যান। একদিন শুনি তিনি বাংলাদেশে চলে গেছেন। সময়টা ’৭৭-এর নভেম্বর-ডিসেম্বর। দেশে ফিরে সোজা জেলে প্রায় তিন বছর। হঠাৎ একদিন দেয়ালের দিকে চোখ পড়তে ছায়া দেখি। কয়েক দিন ছায়া দেখে একদিন গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার বিকাশ মুখার্জি শিলিগুড়িতে নামকরা চক্ষু বিশেষজ্ঞ। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক। সরকারি লোকেরাই তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিল। গিয়ে দেখি আমাদের কালিহাতী মুন্সীপাড়ার লোক। তিনি জানতেন বাঘা সিদ্দিকী শিলিগুড়িতে। কিন্তু কোথায় তা জানতেন না। আমি চোখ দেখাতে যাব এটা শুনে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো অবস্থা তার। এক ঘণ্টা রোগী দেখা বন্ধ। চেম্বারে গিয়ে দেখি কোনো রোগী নেই। দুটি মেয়ে, ছোট্ট ছেলে আর বউ নিয়ে ডাক্তার বসে আছেন। আমি যেতে যেতেই একগাদা ফুল দিয়ে স্বাগত জানালেন। মিষ্টি খাওয়ালেন। মিষ্টির প্রতি আমার কোনো দিনই লোভ ছিল না। তবু আবদার রক্ষার জন্য একটু খেলাম। তারপর কথা শুরু হলো। এ দেখি আমার বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টি চেনেন! জিজ্ঞাসা করলাম, এ কী করে সম্ভব? বললেন, ’৫০ সালের দিকে কালিহাতীর মুন্সীপাড়া থেকে তারা শিলিগুড়ি এসেছেন। তারপর এখানেই লেখাপড়া, এখানেই ডাক্তারি। বললেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই আপনার কথা শুনেছি। বাঘা সিদ্দিকীর সঙ্গে আমার দেখা হবে এটা ছিল কল্পনার বাইরে।’ এরপর চোখ দেখলেন। দেখে ওষুধ দিলেন। বললেন, চোখে ছয়টা ইনজেকশন দিতে হবে। চোখে ইনজেকশন দিতে হবে বা দেওয়া যায় এ আমার জানা ছিল না। পরদিন বাসায় এসে গরুর ইনজেকশনের মোটা সুইয়ে চোখের নিচে ইনজেকশন দিলেন। জীবনে অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করেছি। কিন্তু সেই ইনজেকশনের জ্বালা ভাবা যায় না। প্রায় ১৫ মিনিট কোনো জ্ঞান থাকে না। সারা শরীর ঘেমে ভিজে যায়। তারপর আস্তে আস্তে শান্তি। মনে হয় সাত দিন পরপর ইনজেকশন দেওয়ার কথা ছিল। ছয়টার জায়গায় পাঁচটা দিয়েই শেষ করেছিলেন। কারণ দরকার পড়েনি। আর চোখে ছায়া পড়ে না। মাস তিনেক পর চশমা দিলেন। দূরে ১.৭৫, কাছে ১.২৫, একচেইঞ্জ ১৮০০। যেদিন প্রথম চশমা চোখে দিলাম তখন মনে হলো এত দিন আমি কিছুই দেখতাম না। দূরে যেমন ঝকঝক করছে, বইপত্রের লেখা তেমন চকচকে তকতকে।

সেই যে ’৭৭ সালে শিলিগুড়িতে চশমা নিয়েছিলাম তা আজো নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে। তারপর কত কিছু হলো। ২০০২ সালে দিল্লিতে ফেকো করিয়েছি। ডায়াবেটিস ধরেছে প্রায় ২০ বছর। কিন্তু চশমার পাওয়ার অদলবদল হয়নি। সেই যে শিলিগুড়িতে যে পাওয়ার ছিল এখনো তা-ই আছে। চার বছর আগে আগারগাঁও চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলাম। নাসিম ওসমান আর মঞ্জুর মতো চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। চোখ দেখে ডাক্তার বলেছিলেন, আপনার ডান চোখ ভালো। কিন্তু বাঁ চোখে ছানি আছে। তাড়াতাড়ি অপারেশন করে নেবেন। না হলে খারাপ হতে পারে। ছানি শক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় অসুবিধা হয়। এক দুই করে চার-পাঁচ বছর কেটে গেছে। ছেলেমেয়ে বড় হয়েছে। তারা গোয়েন্দাদের চাইতেও বেশি চৌকস। কার কাছে শুনেছে আমার ছানি অপারেশন দেরি হলে খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে কুঁড়ি উঠতে-বসতে তাগাদা দিচ্ছিল। অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আমাদের খুবই প্রিয়। আমার স্ত্রী তো তার পরামর্শ ছাড়া একটা নাপাও মুখে তোলেন না। স্ত্রীকে নিয়ে কদিন আগে আবদুল্লাহ ভাইয়ের ওখানে গিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, চোখে অসুবিধা। বলুন তো কী করা যায়। তিনি বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাফর খালেদ বেশ ভালো ডাক্তার। তার হাত ভালো। এক দিন পরই তার কাছে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছে তার ব্যবহার। অন্যান্য ডাক্তার, নার্স, জুনিয়ররা অসাধারণ। রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি অনেক কিছু করে ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখের অপারেশন করিয়েছি। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের ওপরের দিক পুরোটাই প্রায় চমৎকার ঝকঝকে তকতকে অপারেশন থিয়েটার। ভিসি প্রাণ গোপালের সময় আরও ঝকঝকে ছিল। ২৮ এপ্রিল রবিবার অধ্যাপক জাফর খালেদ আমাকে দিয়েই সেদিনের অপারেশন শুরু করেছিলেন। ১৮-২০ বছর আগে দিল্লিতে সুখদা হসপিটালে ডা. দীপঙ্কর বসু ডান চোখের অপারেশন করেছিলেন। দীপঙ্কর বসুর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন লন্ডন থেকে পড়ে আসা শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সাব্বির। সাব্বির আবার আমার খুবই প্রিয় অধ্যাপক ডা. সমীর কুমার সাহার বন্ধু। সমীর যখন বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে গিয়েছিল তখন বেশ কয়েকবার আমার বর্ধমানের সদরঘাটের ঠিকানায় গেছে। বড় ভালো মানুষ, মেধাবী ছাত্র। সমীরই সাব্বিরের কাছে পাঠিয়েছিল। সাব্বির পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। এবার আর ইল্লি-দিল্লি করতে ইচ্ছা হয়নি। চিকিৎসা শাস্ত্রে দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদের হাতে অস্ত্রের নিচে চোখ দিয়েছিলাম। দিল্লিতে অজ্ঞান করে অপারেশন করিয়েছিল। অজ্ঞান করলেও চোখের সামনে জোনাকি পোকার মতো এটাওটা জ্বললেও মনে হয় সমস্ত অপারেশন বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু চোখে কোনো বোধ ছিল না। এবার দেখলাম নতুন পদ্ধতি। অবশ করার কোনো নাম-নিশানা নেই। আগের দিন থেকে কী এক ওষুধ দেওয়া শুরু করেছিল, অপারেশনের দিন ১০-১৫ মিনিট পরপর ড্রপ দিচ্ছিল। যখন অপারেশন টেবিলে গিয়ে শুলাম তখনো দিচ্ছিল। শোয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক। শুধু চোখের ওপর আঠাওয়ালা এক মাস্ক লাগিয়ে দিল। সবই বুঝতে পারছিলাম। দু-তিন বার একটু একটু ব্যথা পাচ্ছিলাম। ব্যথা-বেদনার চাইতে অস্বস্তি একটু বেশি। আর চোখের ওপর এক আলো জ্বলছিল। একসময় কী যেন সরিয়ে নিল। ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, নিম্নচাপে গোধূলি আকাশ ঢেকে থাকলে যেমন হয় আমার চোখ তেমনই ছিল। কিন্তু যেই পর্দা সরিয়ে নিল ঝলমলে আকাশে সূর্যকিরণের মতো আলো এসে পড়ল। এরপর এদিক-ওদিক নাড়াচাড়া করে ডাক্তার বললেন, এখন লেন্স বসাচ্ছি। মাঝে মাঝেই চোখে পানি নাকি অন্য কিছু দিচ্ছিল বলতে পারব না। কিন্তু একটা কিছু চোখের মধ্যে অনুভব করলাম। কিন্তু কিছু বুঝতে পারলাম না। চোখের চারদিকে হাত চালানো বোঝা গেল। মিনিট বিশেকে অপারেশন শেষ। কে একজন উঠে বসতে বললেন। উঠতে গিয়ে ভালো লাগছিল না। নিচের দিকে তাকাতে বারণ করলেন। মিনিট দশেক পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ৫০ গজের মধ্যে আইসিইউতে এসে নির্ধারিত বেডে শুয়ে পড়লাম। পরে শুনলাম, ওই বেডে ওর আগেও একদিন কয়েক ঘণ্টা ছিলাম। দীপের আম্মুকে ডাকতে বললাম। দীপের আম্মুসহ ফরিদ, আলমগীর, সোহাগ এলো। দীপের মা আমার বুকের ওপর হাত রেখে বসে রইল। ১০টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরলাম। চোখে পানি দেওয়া বন্ধ। নিচে সিজদা দিয়ে নামাজ পড়া যাবে না, চেয়ারে বসে পড়তে হবে- সেই সই।

আজ ১০ দিন অপারেশন হয়েছে। ভালোই আছি। অত্যাধুনিক চিকিৎসায় আমাদের দেশ যে অনেক এগিয়ে গেছে এটা  মরমে মরমে উপলব্ধি করছি। এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী তাঁর চোখে সফল অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তিনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন কায়মনে তা-ই কামনা করি। তারও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অসাধারণ অপারেশন হলে দেশের চিকিৎসা শাস্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের গর্বে বুক কতটাই না ফুলে যেত।

 

                লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় দোয়া ও খাবার বিতরণ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন
হারপিকের উদ্যোগে বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপন

১৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

৫৩ মিনিট আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

শূন্যতা-পূর্ণতা
শূন্যতা-পূর্ণতা

সাহিত্য

নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে
নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল বাগানে

দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে
তত্ত্বাবধায়কে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির
সেতুর নিচে পাওয়া লাশ জিয়া দর্জির

দেশগ্রাম

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়
দ্বারপ্রান্তে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু
ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু

প্রথম পৃষ্ঠা

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন কাল

দেশগ্রাম

শিলাকে বলছি
শিলাকে বলছি

সাহিত্য

ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা

সাহিত্য

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

যদি তুমি
যদি তুমি

সাহিত্য

আমাদের চাওয়ায় ভুল ছিল
আমাদের চাওয়ায় ভুল ছিল

সাহিত্য

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

পেছনের পৃষ্ঠা

লেনদেন
লেনদেন

সাহিত্য

হেমন্তবন্দনা
হেমন্তবন্দনা

সাহিত্য