শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০১৯ আপডেট:

বঙ্গবন্ধুতে অসাধারণ চোখ অপারেশন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
বঙ্গবন্ধুতে অসাধারণ চোখ অপারেশন

মোবারক মাহে রমজান। নাজাত বা মুক্তির সবচাইতে বড় মাধ্যম নামাজ, রোজা। রোজা পশুত্ব ধ্বংস করে মনুষ্যত্বের জন্ম দেয়। সেই রহমত, বরকতের রোজা হলো প্রত্যেক মুসলমানের জন্য স্রষ্টার এক শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের মাহে রমজানের রোজা কবুল ও মঞ্জুর করুন।

অনেক দিন নিয়মিত লেখা হয়নি। এক. পরিবেশ দুই. শারীরিক অসুবিধা। বহুবার বলেছি, লেখকের কাছে পাঠক সন্তানের থেকেও প্রিয়। এ কদিন কতজনের কত প্রশ্ন, কতজন কতভাবে জানার চেষ্টা করেছেন তারা লেখা পান না কেন। পাঠক বন্ধুরা আকুল। আমার নিজের কাছেও খারাপ লেগেছে কতজনের কত আকুতি- তাই লিখছি। কত জায়গায় কত মানুষ কতভাবে বলার চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী দিনগুলো নিয়ে লিখতে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ভারতে নির্বাসিত দিনগুলো নিয়ে যাতে লিখি, অনেক অজানা তথ্য যাতে তারা জানতে পারেন। এ ধরনের কত বায়না- বলে-কয়ে শেষ করতে পারব না। গত ২৮ এপ্রিল চোখের ছানি কেটেছি। ১৫-২০ বছর হবে চোখে ছায়া দেখতাম। পড়তে অসুবিধা হতো। কিছুক্ষণ পড়লেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসত, মাথায় তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করতাম। খুনিদের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে চোখ ও চশমা সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। চশমার মাহাত্ম্য বুঝেছিলাম ’৭৬-এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তখন আমরা জোরকদমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। চান্দভূই নামে এক পাহাড়ি টিলায় ’৭৫-এর প্রতিরোধ সংগ্রামী জাতীয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে রাজা দীপঙ্কর, শাহ আজিজ, এম এ জলিল, সুলতান মনসুর, গৌর, বৌদ্ধ, মাহবুব, নাসিম ওসমান; নড়াইলের জিন্নাহ; যশোরের এমপি রওশন আলী, বিশেষ করে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ডা. এস এ মালেক, বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী, ইসমত কাদির গামা, ফরিদপুরের শামসুদ্দিন মোল্লা, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এ রকম আরও অনেকে ছিলেন। একেবারে গভীর জঙ্গল। প্রয়োজনীয় জামা-কাপড়-জুতা-মোজা নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে মাটি খুঁড়ে তার মধ্যে দলবদ্ধভাবে শীতের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা। এই যখন অবস্থা ঠিক তখন একদিন হঠাৎই নারায়ণগঞ্জের নাসিমের মোটা কাচের চশমা ভেঙে গেল। ওর দু-এক দিন আগে নারায়ণগঞ্জের মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর চশমা ভেঙেছিল। তা নিয়ে কেউ তেমন গা করেনি, আমাকেও বলেনি। নাসিমের চশমা আমার সামনেই ভেঙেছিল। কিন্তু তেমন কিছু মনে করেনি। ভেঙেছে সময়-সুযোগ মতো তৈরি করে আনলেই হবে। প্রথমত চশমা তৈরি করার টাকা নেই। তা ছাড়া ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে চশমা কেনা বা মেরামত করার কোনো জায়গা নেই। পরদিন বা তার পরদিন কী কাজে নাসিম ওসমানকে ডেকেছি। সামনে আসতেই দেখি চোখ লাল টকটকে বড় বড়। নাসিম তথ্য বিভাগে কাজ করত। সুলতান, জ্যোতির্ময়, রাজা দীপঙ্কর, বারহাট্টার রহমান মাস্টার আরও অনেকেই ছিল তথ্য বিভাগের সঙ্গে। নাসিম ওসমানের হাতের লেখা ভালো ছিল না। কিন্তু ধারণক্ষমতা আর নিষ্ঠা ছিল অসাধারণ। কলম-কাগজ হাতেই ছিল। কী যেন বলছিলাম, নাসিম নোট নিচ্ছিল। এমনিতে ওর হাতের লেখা খারাপ। আমাদের নওশের আলী নশুর চাইতেও অনেক বেশি খারাপ। তার ওপর দুই দিন আগে চশমা ভেঙেছে। চোখ যেন জবা ফুলের মতো টকটকে লাল হয়ে বেরিয়ে পড়তে চাচ্ছে। হঠাৎ হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর লেখা কোন দিকে যাচ্ছে ও নিজেও জানে না। শুধু অনুমানের ওপর হাত চালাচ্ছে। তখন এখনকার মতো অবস্থা ছিল না। সেখানে দায়দায়িত্ব, মান্য-গণ্য ছিল। হঠাৎ জিজ্ঞাসা করি নাসিম, একই লাইনের ওপর লিখছ? তোমার কি দেখতে কষ্ট হচ্ছে? আমার প্রশ্নে সে যেন কেমন হয়ে গেল।

- না স্যার, তেমন কিছু হচ্ছে না।

- তোমার চোখ এত লাল কেন?

- চশমা নেই তো তাই বোধহয় লাল হয়েছে।

- তোমার কি অসুবিধা হচ্ছে?

- না, তেমন অসুবিধা হচ্ছে না।

- আচ্ছা ওটা রাখো।

একটা বই হাতে দিয়ে বললাম, পড় তো। নাসিম এক শব্দও পড়তে পারল না। পড়বে কি, সে তো তেমন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। কে যেন একজন বলল, এ দুই রাত নাসিম একটুও ঘুমাতে পারেনি। সে সময় মঞ্জুকে ডাকা হলো। মঞ্জুও তথ্য দফতরে কাজ করে। খুব ভালো কর্মী। নারায়ণগঞ্জের যারা ’৭৫-এর প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তার মধ্যে মনে হয় সব থেকে ভালো। মঞ্জুর চশমা ভেঙেছে আরও আগে। নাসিমের মতোই মোটা কাচের চশমা। তাই মঞ্জুর চোখ ফুলেছে আরও বেশি। লাল হয়েছে বলার মতো না। বোঝা গেল চশমা ছাড়া তাদের চলবে না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো, গাড়ি চাই, লোক চাই- চশমা বানাতে হবে। পরদিন সকালে গাড়ি এলে চান্দভূই থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে শহরে গিয়ে সন্ধ্যায় নতুন চশমা নিয়ে এলো। পরদিন চোখ ফোলা মুখ ফোলা সব ঠিক হয়ে গেল। বুঝলাম মোটা কাচের চশমার মাহাত্ম্য। নতুন চশমা চোখে নাসিম আর মঞ্জুর কাজের উদ্দীপনাই বেড়ে গেল শতগুণ। এরপর এলো ভারতের সাধারণ নির্বাচন। সর্বোদয় নেতা শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে গঠিত হলো জনতা পার্টি। পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ, ডান-বাম, নরম-গরম সবাই শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে একজোট। সে এক অসাধারণ নির্বাচন। স্বাধীন ভারত একটানা কংগ্রেস শাসন করেছে। ১৯৪৭-’৭৭ এই ৩০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কেউ বা কোনো দল কখনো কোনো দিন শাসন করতে পারেনি। আর সত্য কথা বলতে কি, আঞ্চলিক দল থাকলেও তখন পর্যন্ত ভারতে কংগ্রেস ছাড়া আর কোনো সর্বভারতীয় দল ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, ত্রিপুরা ও আরও কয়েকটি রাজ্যে সিপিএম, কোথাও সিপিআই। আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দল রাজ্য সরকার গঠন করলেও সর্বভারতীয় কোনো দল ছিল না। সিপিআই যদিও সর্বভারতীয় দল, কিন্তু খুব বেশি সিট পেত না। তাই বলতে গেলে একমাত্র কংগ্রেসই ছিল সর্বভারতীয় দল। এখনো কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। অন্যদিকে শ্রীজয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে গঠিত জনতা পার্টি ভাগ হয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি গঠন করে। পরবর্তী নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্যে মাত্র ২টিতে জয়লাভ করে; যার ১টি ছিল অটল বিহারি বাজপেয়ির আসন। সে যাক, নির্বাচনে কংগ্রেস পরাজিত হলে জনতা পার্টির মোরারজি দেশাই হন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে এক চুক্তিতে তিনি আমাদের সবকিছু তছনছ করে দেন। প্রায় ছয় হাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাকে জিয়াউর রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চার-পাঁচ হাজার যোদ্ধা এদিক-ওদিক গা-ঢাকা দেয়। আমাদের হাজারখানেক যোদ্ধাকে বন্দী করা হয়। নেতাজি সুভাষ বোসের সহকর্মী ফরোয়ার্ড ব্লকের সভাপতি শ্রীসমর গুহ এবং ইটনার ভূপেশ দাশগুপ্ত এমপি ভারতীয় পার্লামেন্ট নাড়িয়ে ফেলেন। লোকসভার প্রায় ৫০ জন সদস্য প্রতিবাদের ঝড় তুললেন। মোরারজি দেশাই কিছুটা শান্ত হন। আমাদের জল্লাদের হাতে তুলে দেওয়া থেকে বিরত হন। ইল্লি-দিল্লি-কলকাতা ঘুরিয়ে আমাকে আনা হয় শিলিগুড়ি। প্রায় ছয় থেকে আট মাস পর মা-বাবা, ভাইবোনদের মাঝে এসে অনেকটা স্বস্তিবোধ করি। দিন কাটতে থাকে। এর মধ্যে কী কারণে বাবা কলকাতায় যান। একদিন শুনি তিনি বাংলাদেশে চলে গেছেন। সময়টা ’৭৭-এর নভেম্বর-ডিসেম্বর। দেশে ফিরে সোজা জেলে প্রায় তিন বছর। হঠাৎ একদিন দেয়ালের দিকে চোখ পড়তে ছায়া দেখি। কয়েক দিন ছায়া দেখে একদিন গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার বিকাশ মুখার্জি শিলিগুড়িতে নামকরা চক্ষু বিশেষজ্ঞ। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক। সরকারি লোকেরাই তার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিল। গিয়ে দেখি আমাদের কালিহাতী মুন্সীপাড়ার লোক। তিনি জানতেন বাঘা সিদ্দিকী শিলিগুড়িতে। কিন্তু কোথায় তা জানতেন না। আমি চোখ দেখাতে যাব এটা শুনে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো অবস্থা তার। এক ঘণ্টা রোগী দেখা বন্ধ। চেম্বারে গিয়ে দেখি কোনো রোগী নেই। দুটি মেয়ে, ছোট্ট ছেলে আর বউ নিয়ে ডাক্তার বসে আছেন। আমি যেতে যেতেই একগাদা ফুল দিয়ে স্বাগত জানালেন। মিষ্টি খাওয়ালেন। মিষ্টির প্রতি আমার কোনো দিনই লোভ ছিল না। তবু আবদার রক্ষার জন্য একটু খেলাম। তারপর কথা শুরু হলো। এ দেখি আমার বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টি চেনেন! জিজ্ঞাসা করলাম, এ কী করে সম্ভব? বললেন, ’৫০ সালের দিকে কালিহাতীর মুন্সীপাড়া থেকে তারা শিলিগুড়ি এসেছেন। তারপর এখানেই লেখাপড়া, এখানেই ডাক্তারি। বললেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই আপনার কথা শুনেছি। বাঘা সিদ্দিকীর সঙ্গে আমার দেখা হবে এটা ছিল কল্পনার বাইরে।’ এরপর চোখ দেখলেন। দেখে ওষুধ দিলেন। বললেন, চোখে ছয়টা ইনজেকশন দিতে হবে। চোখে ইনজেকশন দিতে হবে বা দেওয়া যায় এ আমার জানা ছিল না। পরদিন বাসায় এসে গরুর ইনজেকশনের মোটা সুইয়ে চোখের নিচে ইনজেকশন দিলেন। জীবনে অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করেছি। কিন্তু সেই ইনজেকশনের জ্বালা ভাবা যায় না। প্রায় ১৫ মিনিট কোনো জ্ঞান থাকে না। সারা শরীর ঘেমে ভিজে যায়। তারপর আস্তে আস্তে শান্তি। মনে হয় সাত দিন পরপর ইনজেকশন দেওয়ার কথা ছিল। ছয়টার জায়গায় পাঁচটা দিয়েই শেষ করেছিলেন। কারণ দরকার পড়েনি। আর চোখে ছায়া পড়ে না। মাস তিনেক পর চশমা দিলেন। দূরে ১.৭৫, কাছে ১.২৫, একচেইঞ্জ ১৮০০। যেদিন প্রথম চশমা চোখে দিলাম তখন মনে হলো এত দিন আমি কিছুই দেখতাম না। দূরে যেমন ঝকঝক করছে, বইপত্রের লেখা তেমন চকচকে তকতকে।

সেই যে ’৭৭ সালে শিলিগুড়িতে চশমা নিয়েছিলাম তা আজো নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে। তারপর কত কিছু হলো। ২০০২ সালে দিল্লিতে ফেকো করিয়েছি। ডায়াবেটিস ধরেছে প্রায় ২০ বছর। কিন্তু চশমার পাওয়ার অদলবদল হয়নি। সেই যে শিলিগুড়িতে যে পাওয়ার ছিল এখনো তা-ই আছে। চার বছর আগে আগারগাঁও চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলাম। নাসিম ওসমান আর মঞ্জুর মতো চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। চোখ দেখে ডাক্তার বলেছিলেন, আপনার ডান চোখ ভালো। কিন্তু বাঁ চোখে ছানি আছে। তাড়াতাড়ি অপারেশন করে নেবেন। না হলে খারাপ হতে পারে। ছানি শক্ত হয়ে গেলে অনেক সময় অসুবিধা হয়। এক দুই করে চার-পাঁচ বছর কেটে গেছে। ছেলেমেয়ে বড় হয়েছে। তারা গোয়েন্দাদের চাইতেও বেশি চৌকস। কার কাছে শুনেছে আমার ছানি অপারেশন দেরি হলে খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে কুঁড়ি উঠতে-বসতে তাগাদা দিচ্ছিল। অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আমাদের খুবই প্রিয়। আমার স্ত্রী তো তার পরামর্শ ছাড়া একটা নাপাও মুখে তোলেন না। স্ত্রীকে নিয়ে কদিন আগে আবদুল্লাহ ভাইয়ের ওখানে গিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, চোখে অসুবিধা। বলুন তো কী করা যায়। তিনি বললেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাফর খালেদ বেশ ভালো ডাক্তার। তার হাত ভালো। এক দিন পরই তার কাছে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছে তার ব্যবহার। অন্যান্য ডাক্তার, নার্স, জুনিয়ররা অসাধারণ। রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি অনেক কিছু করে ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখের অপারেশন করিয়েছি। বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের ওপরের দিক পুরোটাই প্রায় চমৎকার ঝকঝকে তকতকে অপারেশন থিয়েটার। ভিসি প্রাণ গোপালের সময় আরও ঝকঝকে ছিল। ২৮ এপ্রিল রবিবার অধ্যাপক জাফর খালেদ আমাকে দিয়েই সেদিনের অপারেশন শুরু করেছিলেন। ১৮-২০ বছর আগে দিল্লিতে সুখদা হসপিটালে ডা. দীপঙ্কর বসু ডান চোখের অপারেশন করেছিলেন। দীপঙ্কর বসুর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন লন্ডন থেকে পড়ে আসা শিশু চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সাব্বির। সাব্বির আবার আমার খুবই প্রিয় অধ্যাপক ডা. সমীর কুমার সাহার বন্ধু। সমীর যখন বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে গিয়েছিল তখন বেশ কয়েকবার আমার বর্ধমানের সদরঘাটের ঠিকানায় গেছে। বড় ভালো মানুষ, মেধাবী ছাত্র। সমীরই সাব্বিরের কাছে পাঠিয়েছিল। সাব্বির পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। এবার আর ইল্লি-দিল্লি করতে ইচ্ছা হয়নি। চিকিৎসা শাস্ত্রে দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ডা. জাফর খালেদের হাতে অস্ত্রের নিচে চোখ দিয়েছিলাম। দিল্লিতে অজ্ঞান করে অপারেশন করিয়েছিল। অজ্ঞান করলেও চোখের সামনে জোনাকি পোকার মতো এটাওটা জ্বললেও মনে হয় সমস্ত অপারেশন বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু চোখে কোনো বোধ ছিল না। এবার দেখলাম নতুন পদ্ধতি। অবশ করার কোনো নাম-নিশানা নেই। আগের দিন থেকে কী এক ওষুধ দেওয়া শুরু করেছিল, অপারেশনের দিন ১০-১৫ মিনিট পরপর ড্রপ দিচ্ছিল। যখন অপারেশন টেবিলে গিয়ে শুলাম তখনো দিচ্ছিল। শোয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক। শুধু চোখের ওপর আঠাওয়ালা এক মাস্ক লাগিয়ে দিল। সবই বুঝতে পারছিলাম। দু-তিন বার একটু একটু ব্যথা পাচ্ছিলাম। ব্যথা-বেদনার চাইতে অস্বস্তি একটু বেশি। আর চোখের ওপর এক আলো জ্বলছিল। একসময় কী যেন সরিয়ে নিল। ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, নিম্নচাপে গোধূলি আকাশ ঢেকে থাকলে যেমন হয় আমার চোখ তেমনই ছিল। কিন্তু যেই পর্দা সরিয়ে নিল ঝলমলে আকাশে সূর্যকিরণের মতো আলো এসে পড়ল। এরপর এদিক-ওদিক নাড়াচাড়া করে ডাক্তার বললেন, এখন লেন্স বসাচ্ছি। মাঝে মাঝেই চোখে পানি নাকি অন্য কিছু দিচ্ছিল বলতে পারব না। কিন্তু একটা কিছু চোখের মধ্যে অনুভব করলাম। কিন্তু কিছু বুঝতে পারলাম না। চোখের চারদিকে হাত চালানো বোঝা গেল। মিনিট বিশেকে অপারেশন শেষ। কে একজন উঠে বসতে বললেন। উঠতে গিয়ে ভালো লাগছিল না। নিচের দিকে তাকাতে বারণ করলেন। মিনিট দশেক পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ৫০ গজের মধ্যে আইসিইউতে এসে নির্ধারিত বেডে শুয়ে পড়লাম। পরে শুনলাম, ওই বেডে ওর আগেও একদিন কয়েক ঘণ্টা ছিলাম। দীপের আম্মুকে ডাকতে বললাম। দীপের আম্মুসহ ফরিদ, আলমগীর, সোহাগ এলো। দীপের মা আমার বুকের ওপর হাত রেখে বসে রইল। ১০টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরলাম। চোখে পানি দেওয়া বন্ধ। নিচে সিজদা দিয়ে নামাজ পড়া যাবে না, চেয়ারে বসে পড়তে হবে- সেই সই।

আজ ১০ দিন অপারেশন হয়েছে। ভালোই আছি। অত্যাধুনিক চিকিৎসায় আমাদের দেশ যে অনেক এগিয়ে গেছে এটা  মরমে মরমে উপলব্ধি করছি। এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী তাঁর চোখে সফল অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তিনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন কায়মনে তা-ই কামনা করি। তারও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অসাধারণ অপারেশন হলে দেশের চিকিৎসা শাস্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের গর্বে বুক কতটাই না ফুলে যেত।

 

                লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
প্রখ্যাত মার্কিন কোচ জন বিমকে গুলি করে হত্যা
প্রখ্যাত মার্কিন কোচ জন বিমকে গুলি করে হত্যা

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফাহাদ-নীড়দের জন্য গ্রান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট
ফাহাদ-নীড়দের জন্য গ্রান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডেভিস কাপ টেনিসে ভালো ফলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের
ডেভিস কাপ টেনিসে ভালো ফলের প্রত্যাশা বাংলাদেশের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পরীক্ষার্থীদের জন্য নীরব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখল দক্ষিণ কোরিয়া
পরীক্ষার্থীদের জন্য নীরব পরিবেশ নিশ্চিতে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখল দক্ষিণ কোরিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি
সুপার সাইক্লোন সিডর দিবস, বাগেরহাটে এখনো আতঙ্ক কাটেনি

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৯ দিনে এনসিপির ১০১১ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
কলকাতায় বুমরাহর পেসে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন
ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে ভোটের রাজনীতিতে ফিরে আসুন: মোশারফ হোসেন

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার
অসুস্থ ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, হাসপাতালের কর্মী গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা
পুসকাস মনোনয়নে আছেন যারা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত
রাশিয়ায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২ পাইলট নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট
সাড়ে ১৮ হাজার শ্রমিক পাঠিয়ে ৩১৪ কোটি টাকা লুট

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১৩ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ
সংবিধান সংশোধনে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পদত্যাগ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হল উমরের পুলওয়ামার বাড়ি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা
এক লাখ গাড়ি ফেরত নেবে টয়োটা

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত
জেমস ও পাকিস্তানের আলী আজমতের কনসার্ট স্থগিত

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার
যুক্তরাষ্ট্রে প্রশংসিত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কাদের
সেই কাদের

শোবিজ

আমন খেতে ইঁদুরের হানা
আমন খেতে ইঁদুরের হানা

দেশগ্রাম

মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ
মেহেরপুর সীমান্তে ১২ জনকে ফেরত দিল বিএসএফ

পেছনের পৃষ্ঠা