শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

এসবের শেষ কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এসবের শেষ কোথায়?

চার-পাঁচ মাস ধরে কয়েকটি বই নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা করছি। কেন যেন বার বার একের পর এক সমসাময়িক ঘটনার কারণে কিছুতেই বইগুলো নিয়ে লিখতে পারছি না। বইগুলো পড়ে বেশ শিহরণ জেগেছে, অপার তৃপ্তি পেয়েছি, উজ্জীবিত হয়েছি দারুণভাবে। কিন্তু লেখাগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। সমসাময়িক ঘটনার শক্তি এত তীব্র ও প্রবল যে অন্য কিছু খড়কুটোর মতো যেন ভেসে যাচ্ছে। তিন-চার বছর আগে মুহাম্মদ আতাউর রহমান খানের ‘আমার জীবন ও রাজনীতি’ এক শ কয়েক পৃষ্ঠার একটি বই পড়েছিলাম। মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান প্রখ্যাত রাজনৈতিক আতোয়ার রহমান খান নন, সিলেটের লন্ডনপ্রবাসী আতাউর রহমান খান। ঠিক একই রকম ‘রাজনীতি আমার জীবন’ রংপুরের কাজী মহাম্মদ এহিয়া কোনো লেখক নন, আজীবনের একজন রাজনৈতিক নেতা/কর্মী। তার অসাধারণ লেখা আমাকে অভিভূত করেছে। একসময়ের বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের মহাপরিচালক, নাট্যকার, লেখক, সাহিত্যিক কাজী মাহমুদুর রহমান - সামিয়া রহমানের বাবা - কয়েক মাস আগে বেশ কটি বই নিয়ে হঠাৎই আমার মোহাম্মদপুরের বাড়ি এসেছিলেন। সব কটি পড়তে পারিনি। ‘মুক্তিযুদ্ধের দশটি নাটক’-এর ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’ মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুবই ছোট্ট একটি নাটক লেখক তার মতো করে সাজিয়েছেন। দুষ্ট চরিত্রের নাদের আলীকে উপস্থাপন আমার কাছে খুব একটা হৃদয়গ্রাহী হয়নি। কিন্তু তার ‘লাইফ অব এ রিস্ক পেইন্টার’ খুবই সাড়া জাগানো লেখা। অন্যদিকে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রচনাসমগ্র’ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে অন্য জগতে চলে গেছি। বইটি দিয়েছিলেন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। বলেছিলেন, ‘চমৎকার বই’। এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু যতটুকু পড়েছি অসাধারণ। পাকিস্তান আমলের বঞ্চনা, আইয়ুব-মোনায়েমের অত্যাচার, রাস্তায় মিছিল, একের পর এক জীবনদান, রিকশার বস্তির পরিবেশ, আবার বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের উত্তেজনা অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক নোংরা শব্দ এত সহজে ব্যবহার করেছেন যা বস্তিতে ব্যবহার করে। তাই নোংরামি মনে হয়নি বরং শিল্প হয়ে ফুটে উঠেছে। এসব নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পারছি কই?

ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিতাড়িত হতে হতেই যুবলীগের পালা; আবার কবে আওয়ামী লীগ আসবে সে শুধু আলেমুল গায়েবই জানেন। বিস্মিত হই জি কে শামীমের বাড়িতে টাকা আর টাকা। একজনের কোম্পানির ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ভাবতে অবাক লাগে। ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সুপারিশে সোনার বাংলা প্রকৌশলিক সংস্থা (প্রা.) লি. জয়েনস্টকের রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আমলে তিন বছর আর খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনার আমলে ১৫ বছরে ২৫০-৩০০ কোটি টাকার কাজ করেছে। তাতে আমাদের লাভ হয়েছিল ৩৫-৪০ কোটি। তা-ই অনেকের চোখে লেগেছে। ব্যাংকের জালিয়াতির শেষ নেই। ’৯৪ সালে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলাম। তখন এমডি-চেয়ারম্যানরা পীর মানতেন। অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বমোট টাকা নিয়েছি ২ কোটি ৯৪ লাখ। আমরা এ পর্যন্ত ব্যাংকে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ফেরত দিয়েছি। ২০১৪ সালে তারাই বলেছিল তাদের মূল পাওনা ৩ কোটি ১৯ লাখ। ২০১৮ সালে আমরা একবারে ৩ কোটি ২৫ লাখ পরিশোধ করেছি। তার পরও খাই মেটেনি। সে এক অভাবনীয় ব্যাপার। বাংলাদেশ ব্যাংক অতিসম্প্রতি ২% ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ হার সুদে ১০ বছরের জন্য যে কোনো ঋণ পুনঃ তফসিলের একটি পরিপত্র জারি করেছে। তঞ্চকতার শেষ নেই। আমরা ব্যাংকের ঋণ স্থিতি হিসেবে তাদের চাওয়ামতো ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণটি পুনঃ তফসিলের অনুরোধ করেছি। সেখানে ডিজিএম পদের কয়েকজন একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের অস্পষ্টতা স্পষ্ট করে চিঠি দিয়েছেন। ব্যাংকের স্থিতি অনুসারে নয়, অনারোপিত সুদ ধরে ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের ২-এর (ক)-তে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘ঋণ স্থিতির উপরে ২% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদনকারীর অনারোপিত সুদ সুদবিহীন ব্লকড থাকবে এবং ঋণ শোধ হয়ে গেলে তা আপনাআপনি মওকুফ বা বাতিল বলে গণ্য হবে। ব্যাংকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতি অনুসারে অনারোপিত সুদ যদি ব্লকড থাকে তাহলে তার ওপর ডাউন পেমেন্ট হবে কী করে? মর্জির শেষ নেই। তার পরও তাদের মর্জিমতোই চলবে। এ রকম দুরবস্থায় যখন জি কে শামীমের মায়ের নামে ১৬৫ কোটি, বাড়িতে নগদ ২ কোটি, ১০ হাজার কোটির চলতি কাজ তার মধ্যে ৫৫০ কোটি র‌্যাব সদর দফতরে, ৪৫০ কোটি পূর্তভবনে, ৫০০-৭০০ কোটি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে তখন বিস্মিত না হয়ে পারি না। পত্রিকায় দেখলাম, তিনি নাকি ২-৩ হাজার কোটি টাকা লোকজনকে ঘুষ দিয়েছেন। পূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীকেই দিয়েছেন ৪০০ কোটি। ৪ কোটি হলে আমরা উতরে যাই। অথচ স্বাধীনতা না এলে যারা পায়ে জুতা পরতে পারত না, তারা আজকাল হাজার কোটি ঘুষ দেয়। রাজনীতির শত্রুতায় পড়ে কত কথা শুনেছি, এখনো শুনি। ভরসা করি একমাত্র আল্লাহকে। তিনিই এসবের বিচার করবেন। করছেন না যে তেমনও নয়। এই জগৎ সংসারে তিনি অনেক কিছুর বিচার করেন, করছেন। তবে বর্তমান এই উত্তেজনায় বড় অস্বস্তিতে পড়েছি। আওয়ামী লীগ করি না প্রায় ২০-২২ বছর। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পারিনি, পারবও না। কারণ তিনিই আমার ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। সেদিন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ক্যাসিনো চালু করেছে জিয়াউর রহমান।’ জিয়াউর রহমান করেছেন তাতে মাহবুব-উল আলম হানিফের কী। জিয়াউর রহমানের খারাপ কাজ কি তাকে বয়ে বেড়াতে হবে? জনাব হানিফের বড় ভাই আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। বেশ ভালো মানুষ ছিলেন। তার ভাই হিসেবে মাহবুব-উল আলম হানিফকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখি। কিন্তু এসব কথায় তো গুরুত্ব দিতে পারি না। মাহবুব-উল আলম হানিফ তো বিএনপি করেন না, জিয়াউর রহমানের অনুসারী নন; তাহলে তার কাজ কেন বয়ে বেড়াবেন? ক্যাসিনো অপরাধের কাজ এটা কি পুলিশ জানে না, তারা সহযোগিতা করেনি, সহযোগিতা নেয়নি? যুবলীগ-ছাত্রলীগ কতল হলে কিছু পুলিশেরও তো কতল হওয়া উচিত। অন্তত ঢাকার ২০-২৫টি থানার ওসির গ্রেফতার হওয়া উচিত। যে যাই বলুক, পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এখন আর তেমন কোনো কুকাজ হয় না বা করা যায় না। ছোট হোক বড় হোক, সব কাজেই পুলিশের সহায়তা লাগে। কিছু পুলিশ রাস্তাঘাটে যে অমানুষিক কষ্ট করে তার রহমতেই হয়তো এখনো পুলিশ বিভাগ টিকে আছে। ব্যক্তিপর্যায়ে পুলিশরা হাজার কোটির মালিক হতে পারে। কিন্তু মানুষের আস্থার মূল্য তার চেয়ে বেশি। তাই তাদের সুনামের কথা মনে রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সুনাম একেবারে শেষ হয়ে গেলে তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না।

যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক এক দিনেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এটা কেন? দুর্নীতিবাজ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া-জি কে শামীমদের পক্ষ নেওয়া যেমন ঠিক হয়নি, এখন ঘুরে যাওয়াও ঠিক হয়নি। সম্রাট আকবর-শাহজাহান-হুমায়ুন-বাবরের মতো ঢাকা সিটির ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট যদি এ রকম হাজার হাজার কোটি টাকার অপরাধ করতে পারেন তাহলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকেরা কত করেছেন? আর এটা তো এখন ওপেন সিক্রেট। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের কোনো মর্যাদা নেই। সিভিল প্রশাসনের কথা অতটা বলতে পারব না, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-এমপি-মন্ত্রীর কথা শোনে না। মন্ত্রীদেরও তেমন গুরুত্ব ও সম্মান নেই। সত্যিই একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। বড় তুফানের আগে গুমোট ভাব। অন্যদের জন্য তেমন ভাবী না, সভানেত্রীর জন্য ভাবী। তাদের কষ্ট, দুর্ভাবনা, দুশ্চিন্তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই বড় বেশি বুকে বাজে। আমরা কোথায় যাচ্ছি আর দু-চার দিনের মধ্যে কোথায় যাব। বিজোড় বছর বাঙালি জাতির জন্য সব সময় একটা ঝঞ্ঝা-বিক্ষোভের। ব্রিটিশ গেছে ’৪৭-এ, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ’৭১-এ, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ’৭৫-এ। তাই বিজোড় বছরে আমার বড় ভয় হয়।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রফিকুল ইসলামের আগে পূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আমার বাসাইলের টিপু মুন্সী। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে চিনি-জানি তাই তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তিনিও চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। তখন এই রফিকুল ইসলামকে প্রধান প্রকৌশলী করার জন্য রবিউল আলম চৌধুরী অনেক চেষ্টা করেছেন। শোনা যায়, তারই চেষ্টায় নাকি প্রধান প্রকৌশলী হয়েছিলেন। আর তিনি যদি একজনের কাছ থেকেই ৪০০ কোটি ঘুষ নিতে পারেন তাহলে অন্যদের কাছ থেকেও তো যৎকিঞ্চিৎ নিয়েছেন। এ রকম একটি লোককে আমাদের রবিউল আলম চৌধুরী, যে সারা জীবন ছাত্রলীগ করেছেন, আমার চাইতেও কঠিন মুজিবভক্ত তিনি কী করে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার, গোলাম আযমের শিষ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের জন্য তদবির করেন ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে। শত্রুর জন্য জীবনদানের অনেক ইতিহাস আছে আমাদের। আগে ছাত্রলীগে-আওয়ামী লীগে অনেকে ঢুকেছে, ভিতরে ঢুকে চরম ক্ষতি করেছে। কেন জানি শিকড় কাটার শেষ হলো না। জি কে শামীমের যে কর্মকা- এ কি আজকের ব্যাপার? যে লোকটি একসময় অবলীলায় বিএনপি করেছেন, নানা পদ-পদবি অলঙ্কিত করেছেন, তিনি কী করে যুবলীগের এত বড় নেতা হলেন? আমি কিন্তু বিএনপি করা কোনো দোষের মনে করি না। আমার কথা হলো দিন-রাত সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করা নেতা-কর্মীরা তাদের বউয়ের জন্য শাড়ি কিনতে পারে না, ছেলেমেয়ে ভালো স্কুলে পাঠাতে পারে না অথচ উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের এমন পাখনার বাড়ি এ তো ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। বছর ২০-২২ আগে এক সেনা দিবসে ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে গিয়েছিলাম। মনে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ সালাউদ্দিনের নামে তখনো ঘাটাইল সেনানিবাসের নামকরণ করা হয়নি। গিয়ে দেখি গোলাম আযমের ছেলে স্টেশন কমান্ডার অথবা সহকারী কমান্ডার। আমি তখনো তাকে চিনতাম না। সেখানেই প্রথম পরিচয়। আমার হৃদয় কেঁপে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত গোলাম আযমের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তারা যদি পরাজিত হতাম আমাদের কী হতো। ফাঁসি ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। তাহলে পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল যারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়ে লাখো মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে, জীবনহানি করেছে, ঘর-দুয়ার জ্বালিয়েছে তাদের জন্য এত ভালোবাসা কেন? নিশ্চয় জামায়াতিদের ছেলেমেয়ে বাংলাদেশকে মেনে সুন্দর জীবনযাপন করবে তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তাই বলে গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে জোর করে শাসনক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানিরা যা করেছিল তাই করবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। অথচ তাই কিন্তু হতে চলেছিল। কয়েক বছর আগে তাকে অবসরে না পাঠালে এখন তিনিই হয়তো সেনাপ্রধান থাকতেন এবং অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করতেন। ভাবতে চাই না তবু কীভাবে কীভাবে যেন এসব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। ঝেড়ে ফেলতে চাই, কিন্তু পারি না। যে যত কথাই বলুন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, প্রশাসনের অবস্থা আরও খারাপ। সেদিন কালিহাতী থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা বল্লার নজরুলের ছোট ভাই বজলুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নিয়ে বল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হাশেম ও কমান্ডার মজনু বা মিন্টু কারও নাম শুনিনি- তারা একসময় টাকা চেয়েছে। পরে এসে কালিহাতী সমাজকল্যাণ অফিসারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে। তারা বজলুর বাড়ি গিয়ে টাকা চেয়েছে এবং রবিবারে অফিসে আসতে বলেছিল। কিন্তু সমাজকল্যাণ অফিসার তাদের সারা দিন অফিসে বসিয়ে রেখে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। যাদের জন্য চকিদারি, এখন দেখছি চকিদারই মনিবের চাইতে বেশি বাহাদুরি করে; উপায় কী। ভাবছি নিজেই একদিন গিয়ে ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করব। শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলা হয় অথচ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অফিসের পিয়ন-কর্মচারীরা যে অসম্মানজনক আচরণ করে, তা বলার মতো নয়। আমার তো মনে হয় এজন্য শুধু নিরীহ মুক্তিযোদ্ধাই অসম্মানিত হন না, অসম্মান হয় দেশের, অসম্মান হয় স্বাধীনতার। কোথায় এসবের প্রতিকার ভেবে পাই না। বজলু মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়েছে সেই শুরু থেকে। বজলুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ভাতা তুলেছে নির্বিবাদে। মাঝে কিছু টাউট কিছু কিছু টাকা নিয়েছে। এখন তাদের দাবি দেড় লাখ। একজন মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ স্ত্রী ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে দেড় লাখ ঘুষ দেবেন কীভাবে- তাই এসেছিলেন আমার কাছে। সত্যিই আমি সব মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি না। কিন্তু নজরুল, তার ছোট ভাই বজলু এদের চিনি সেই যুদ্ধের সময় থেকে। ওদের বাড়ির বিড়ালটাও যদি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমার আপত্তি করার কোনো উপায় নেই। এতটা ওতপ্রোতভাবে বল্লার নজরুলের পরিবার-পরিজন মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিল। অযথাই বেঁচে আছি তাই এসব দেখে বড় কষ্ট হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলম চন্দনের এখনো মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নেই। অথচ রক্ষীবাহিনী গঠনের প্রথম ব্যাচে ছিল লায়েক আলম চন্দন। প্রথম ব্যাচে প্রথম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে বুকে চেপে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। সাভারের সেই রক্ষীবাহিনীর কুচকাওয়াজে সেদিন বঙ্গবন্ধু আমাকেও অনেক প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বার বার আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘তুই জিনিয়াস, তোর দলের সব জিনিয়াস। দেখ, রক্ষীবাহিনীর অফিসার্স কোর্সে প্রথম ব্যাচে তোর দলের যোদ্ধা প্রথম হয়েছে।’ নাদানের অপবাদ পেতে পেতে সেই ছোটকাল থেকে কোনো শাবাশি বা প্রশংসা গায়ে মাখতাম না। কিন্তু পিতার সেদিনের সেই স্নেহভরা প্রশংসা আমাকে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত বা আলোড়িত করেছিল। কাদেরিয়া বাহিনী থেকে লায়েক আলম রক্ষীবাহিনীতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তিতাসের জিএমের দায়িত্ব পালন করে হঠাৎই পরপারে চলে যায়। তার স্ত্রী তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। আমি মন্ত্রী মহোদয়কে তিন-চার বার বলেছি। কাকের মাংস কাকে খায় না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতারিত করে মুক্তিযোদ্ধারা টাকা খায়। লায়েক আলম চন্দনের স্ত্রীর কাছ থেকেও কেউ কেউ টাকা খেয়েছে। যারা খেয়েছে তাদের অনেকেই এখন পরপারে। তাই বেঁচে থাকার এই জ্বালা থেকে মুক্তি কোথায়? পথ খুঁজি কিন্তু পাই না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

এই মাত্র | নগর জীবন

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত

৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাগড়াছড়িতে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বাস সার্ভিস উদ্বোধন
খাগড়াছড়িতে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বাস সার্ভিস উদ্বোধন

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী গ্রেপ্তার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

৯ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ হাইক‌মিশনের সতর্কবার্তা
ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ হাইক‌মিশনের সতর্কবার্তা

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

কালীগঞ্জে গাছের সাথে ইজিবাইকের ধাক্কা, যুবক নিহত
কালীগঞ্জে গাছের সাথে ইজিবাইকের ধাক্কা, যুবক নিহত

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ
শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকারী অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক নারী জেলহাজতে
সরকারী অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক নারী জেলহাজতে

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের নিয়ে দোয়া ও মধ্যাহ্নভোজ
তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের নিয়ে দোয়া ও মধ্যাহ্নভোজ

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাবি প্রেস ক্লাবের ৪ দশক পূর্তি উদযাপিত
রাবি প্রেস ক্লাবের ৪ দশক পূর্তি উদযাপিত

৩৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমানের জন্মদিনে কসবায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা
তারেক রহমানের জন্মদিনে কসবায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫১ বছর পর বিশ্বকাপে হাইতি
৫১ বছর পর বিশ্বকাপে হাইতি

৪৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২২ নভেম্বর
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২২ নভেম্বর

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির
বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কঙ্গোতে নৌকা ডুবে ৭০ জন নিখোঁজ
কঙ্গোতে নৌকা ডুবে ৭০ জন নিখোঁজ

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা
ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৫৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

গুয়াহাটি টেস্টে নেই গিল, ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন পন্ত
গুয়াহাটি টেস্টে নেই গিল, ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন পন্ত

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জমির ড্রেন খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড
জমির ড্রেন খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি
ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে মেডিকেল ক্যাম্প ও হুইল চেয়ার বিতরণ
নারায়ণগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে মেডিকেল ক্যাম্প ও হুইল চেয়ার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এক বছরে ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন ইলন মাস্ক
এক বছরে ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন ইলন মাস্ক

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা