শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

এসবের শেষ কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এসবের শেষ কোথায়?

চার-পাঁচ মাস ধরে কয়েকটি বই নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা করছি। কেন যেন বার বার একের পর এক সমসাময়িক ঘটনার কারণে কিছুতেই বইগুলো নিয়ে লিখতে পারছি না। বইগুলো পড়ে বেশ শিহরণ জেগেছে, অপার তৃপ্তি পেয়েছি, উজ্জীবিত হয়েছি দারুণভাবে। কিন্তু লেখাগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। সমসাময়িক ঘটনার শক্তি এত তীব্র ও প্রবল যে অন্য কিছু খড়কুটোর মতো যেন ভেসে যাচ্ছে। তিন-চার বছর আগে মুহাম্মদ আতাউর রহমান খানের ‘আমার জীবন ও রাজনীতি’ এক শ কয়েক পৃষ্ঠার একটি বই পড়েছিলাম। মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান প্রখ্যাত রাজনৈতিক আতোয়ার রহমান খান নন, সিলেটের লন্ডনপ্রবাসী আতাউর রহমান খান। ঠিক একই রকম ‘রাজনীতি আমার জীবন’ রংপুরের কাজী মহাম্মদ এহিয়া কোনো লেখক নন, আজীবনের একজন রাজনৈতিক নেতা/কর্মী। তার অসাধারণ লেখা আমাকে অভিভূত করেছে। একসময়ের বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের মহাপরিচালক, নাট্যকার, লেখক, সাহিত্যিক কাজী মাহমুদুর রহমান - সামিয়া রহমানের বাবা - কয়েক মাস আগে বেশ কটি বই নিয়ে হঠাৎই আমার মোহাম্মদপুরের বাড়ি এসেছিলেন। সব কটি পড়তে পারিনি। ‘মুক্তিযুদ্ধের দশটি নাটক’-এর ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’ মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুবই ছোট্ট একটি নাটক লেখক তার মতো করে সাজিয়েছেন। দুষ্ট চরিত্রের নাদের আলীকে উপস্থাপন আমার কাছে খুব একটা হৃদয়গ্রাহী হয়নি। কিন্তু তার ‘লাইফ অব এ রিস্ক পেইন্টার’ খুবই সাড়া জাগানো লেখা। অন্যদিকে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রচনাসমগ্র’ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে অন্য জগতে চলে গেছি। বইটি দিয়েছিলেন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। বলেছিলেন, ‘চমৎকার বই’। এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু যতটুকু পড়েছি অসাধারণ। পাকিস্তান আমলের বঞ্চনা, আইয়ুব-মোনায়েমের অত্যাচার, রাস্তায় মিছিল, একের পর এক জীবনদান, রিকশার বস্তির পরিবেশ, আবার বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের উত্তেজনা অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক নোংরা শব্দ এত সহজে ব্যবহার করেছেন যা বস্তিতে ব্যবহার করে। তাই নোংরামি মনে হয়নি বরং শিল্প হয়ে ফুটে উঠেছে। এসব নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পারছি কই?

ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিতাড়িত হতে হতেই যুবলীগের পালা; আবার কবে আওয়ামী লীগ আসবে সে শুধু আলেমুল গায়েবই জানেন। বিস্মিত হই জি কে শামীমের বাড়িতে টাকা আর টাকা। একজনের কোম্পানির ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ভাবতে অবাক লাগে। ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সুপারিশে সোনার বাংলা প্রকৌশলিক সংস্থা (প্রা.) লি. জয়েনস্টকের রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আমলে তিন বছর আর খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনার আমলে ১৫ বছরে ২৫০-৩০০ কোটি টাকার কাজ করেছে। তাতে আমাদের লাভ হয়েছিল ৩৫-৪০ কোটি। তা-ই অনেকের চোখে লেগেছে। ব্যাংকের জালিয়াতির শেষ নেই। ’৯৪ সালে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলাম। তখন এমডি-চেয়ারম্যানরা পীর মানতেন। অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বমোট টাকা নিয়েছি ২ কোটি ৯৪ লাখ। আমরা এ পর্যন্ত ব্যাংকে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ফেরত দিয়েছি। ২০১৪ সালে তারাই বলেছিল তাদের মূল পাওনা ৩ কোটি ১৯ লাখ। ২০১৮ সালে আমরা একবারে ৩ কোটি ২৫ লাখ পরিশোধ করেছি। তার পরও খাই মেটেনি। সে এক অভাবনীয় ব্যাপার। বাংলাদেশ ব্যাংক অতিসম্প্রতি ২% ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ হার সুদে ১০ বছরের জন্য যে কোনো ঋণ পুনঃ তফসিলের একটি পরিপত্র জারি করেছে। তঞ্চকতার শেষ নেই। আমরা ব্যাংকের ঋণ স্থিতি হিসেবে তাদের চাওয়ামতো ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণটি পুনঃ তফসিলের অনুরোধ করেছি। সেখানে ডিজিএম পদের কয়েকজন একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের অস্পষ্টতা স্পষ্ট করে চিঠি দিয়েছেন। ব্যাংকের স্থিতি অনুসারে নয়, অনারোপিত সুদ ধরে ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের ২-এর (ক)-তে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘ঋণ স্থিতির উপরে ২% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদনকারীর অনারোপিত সুদ সুদবিহীন ব্লকড থাকবে এবং ঋণ শোধ হয়ে গেলে তা আপনাআপনি মওকুফ বা বাতিল বলে গণ্য হবে। ব্যাংকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতি অনুসারে অনারোপিত সুদ যদি ব্লকড থাকে তাহলে তার ওপর ডাউন পেমেন্ট হবে কী করে? মর্জির শেষ নেই। তার পরও তাদের মর্জিমতোই চলবে। এ রকম দুরবস্থায় যখন জি কে শামীমের মায়ের নামে ১৬৫ কোটি, বাড়িতে নগদ ২ কোটি, ১০ হাজার কোটির চলতি কাজ তার মধ্যে ৫৫০ কোটি র‌্যাব সদর দফতরে, ৪৫০ কোটি পূর্তভবনে, ৫০০-৭০০ কোটি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে তখন বিস্মিত না হয়ে পারি না। পত্রিকায় দেখলাম, তিনি নাকি ২-৩ হাজার কোটি টাকা লোকজনকে ঘুষ দিয়েছেন। পূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীকেই দিয়েছেন ৪০০ কোটি। ৪ কোটি হলে আমরা উতরে যাই। অথচ স্বাধীনতা না এলে যারা পায়ে জুতা পরতে পারত না, তারা আজকাল হাজার কোটি ঘুষ দেয়। রাজনীতির শত্রুতায় পড়ে কত কথা শুনেছি, এখনো শুনি। ভরসা করি একমাত্র আল্লাহকে। তিনিই এসবের বিচার করবেন। করছেন না যে তেমনও নয়। এই জগৎ সংসারে তিনি অনেক কিছুর বিচার করেন, করছেন। তবে বর্তমান এই উত্তেজনায় বড় অস্বস্তিতে পড়েছি। আওয়ামী লীগ করি না প্রায় ২০-২২ বছর। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পারিনি, পারবও না। কারণ তিনিই আমার ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। সেদিন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ক্যাসিনো চালু করেছে জিয়াউর রহমান।’ জিয়াউর রহমান করেছেন তাতে মাহবুব-উল আলম হানিফের কী। জিয়াউর রহমানের খারাপ কাজ কি তাকে বয়ে বেড়াতে হবে? জনাব হানিফের বড় ভাই আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। বেশ ভালো মানুষ ছিলেন। তার ভাই হিসেবে মাহবুব-উল আলম হানিফকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখি। কিন্তু এসব কথায় তো গুরুত্ব দিতে পারি না। মাহবুব-উল আলম হানিফ তো বিএনপি করেন না, জিয়াউর রহমানের অনুসারী নন; তাহলে তার কাজ কেন বয়ে বেড়াবেন? ক্যাসিনো অপরাধের কাজ এটা কি পুলিশ জানে না, তারা সহযোগিতা করেনি, সহযোগিতা নেয়নি? যুবলীগ-ছাত্রলীগ কতল হলে কিছু পুলিশেরও তো কতল হওয়া উচিত। অন্তত ঢাকার ২০-২৫টি থানার ওসির গ্রেফতার হওয়া উচিত। যে যাই বলুক, পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এখন আর তেমন কোনো কুকাজ হয় না বা করা যায় না। ছোট হোক বড় হোক, সব কাজেই পুলিশের সহায়তা লাগে। কিছু পুলিশ রাস্তাঘাটে যে অমানুষিক কষ্ট করে তার রহমতেই হয়তো এখনো পুলিশ বিভাগ টিকে আছে। ব্যক্তিপর্যায়ে পুলিশরা হাজার কোটির মালিক হতে পারে। কিন্তু মানুষের আস্থার মূল্য তার চেয়ে বেশি। তাই তাদের সুনামের কথা মনে রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সুনাম একেবারে শেষ হয়ে গেলে তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না।

যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক এক দিনেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এটা কেন? দুর্নীতিবাজ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া-জি কে শামীমদের পক্ষ নেওয়া যেমন ঠিক হয়নি, এখন ঘুরে যাওয়াও ঠিক হয়নি। সম্রাট আকবর-শাহজাহান-হুমায়ুন-বাবরের মতো ঢাকা সিটির ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট যদি এ রকম হাজার হাজার কোটি টাকার অপরাধ করতে পারেন তাহলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকেরা কত করেছেন? আর এটা তো এখন ওপেন সিক্রেট। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের কোনো মর্যাদা নেই। সিভিল প্রশাসনের কথা অতটা বলতে পারব না, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-এমপি-মন্ত্রীর কথা শোনে না। মন্ত্রীদেরও তেমন গুরুত্ব ও সম্মান নেই। সত্যিই একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। বড় তুফানের আগে গুমোট ভাব। অন্যদের জন্য তেমন ভাবী না, সভানেত্রীর জন্য ভাবী। তাদের কষ্ট, দুর্ভাবনা, দুশ্চিন্তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই বড় বেশি বুকে বাজে। আমরা কোথায় যাচ্ছি আর দু-চার দিনের মধ্যে কোথায় যাব। বিজোড় বছর বাঙালি জাতির জন্য সব সময় একটা ঝঞ্ঝা-বিক্ষোভের। ব্রিটিশ গেছে ’৪৭-এ, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ’৭১-এ, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ’৭৫-এ। তাই বিজোড় বছরে আমার বড় ভয় হয়।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রফিকুল ইসলামের আগে পূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আমার বাসাইলের টিপু মুন্সী। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে চিনি-জানি তাই তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তিনিও চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। তখন এই রফিকুল ইসলামকে প্রধান প্রকৌশলী করার জন্য রবিউল আলম চৌধুরী অনেক চেষ্টা করেছেন। শোনা যায়, তারই চেষ্টায় নাকি প্রধান প্রকৌশলী হয়েছিলেন। আর তিনি যদি একজনের কাছ থেকেই ৪০০ কোটি ঘুষ নিতে পারেন তাহলে অন্যদের কাছ থেকেও তো যৎকিঞ্চিৎ নিয়েছেন। এ রকম একটি লোককে আমাদের রবিউল আলম চৌধুরী, যে সারা জীবন ছাত্রলীগ করেছেন, আমার চাইতেও কঠিন মুজিবভক্ত তিনি কী করে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার, গোলাম আযমের শিষ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের জন্য তদবির করেন ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে। শত্রুর জন্য জীবনদানের অনেক ইতিহাস আছে আমাদের। আগে ছাত্রলীগে-আওয়ামী লীগে অনেকে ঢুকেছে, ভিতরে ঢুকে চরম ক্ষতি করেছে। কেন জানি শিকড় কাটার শেষ হলো না। জি কে শামীমের যে কর্মকা- এ কি আজকের ব্যাপার? যে লোকটি একসময় অবলীলায় বিএনপি করেছেন, নানা পদ-পদবি অলঙ্কিত করেছেন, তিনি কী করে যুবলীগের এত বড় নেতা হলেন? আমি কিন্তু বিএনপি করা কোনো দোষের মনে করি না। আমার কথা হলো দিন-রাত সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করা নেতা-কর্মীরা তাদের বউয়ের জন্য শাড়ি কিনতে পারে না, ছেলেমেয়ে ভালো স্কুলে পাঠাতে পারে না অথচ উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের এমন পাখনার বাড়ি এ তো ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। বছর ২০-২২ আগে এক সেনা দিবসে ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে গিয়েছিলাম। মনে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ সালাউদ্দিনের নামে তখনো ঘাটাইল সেনানিবাসের নামকরণ করা হয়নি। গিয়ে দেখি গোলাম আযমের ছেলে স্টেশন কমান্ডার অথবা সহকারী কমান্ডার। আমি তখনো তাকে চিনতাম না। সেখানেই প্রথম পরিচয়। আমার হৃদয় কেঁপে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত গোলাম আযমের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তারা যদি পরাজিত হতাম আমাদের কী হতো। ফাঁসি ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। তাহলে পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল যারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়ে লাখো মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে, জীবনহানি করেছে, ঘর-দুয়ার জ্বালিয়েছে তাদের জন্য এত ভালোবাসা কেন? নিশ্চয় জামায়াতিদের ছেলেমেয়ে বাংলাদেশকে মেনে সুন্দর জীবনযাপন করবে তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তাই বলে গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে জোর করে শাসনক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানিরা যা করেছিল তাই করবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। অথচ তাই কিন্তু হতে চলেছিল। কয়েক বছর আগে তাকে অবসরে না পাঠালে এখন তিনিই হয়তো সেনাপ্রধান থাকতেন এবং অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করতেন। ভাবতে চাই না তবু কীভাবে কীভাবে যেন এসব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। ঝেড়ে ফেলতে চাই, কিন্তু পারি না। যে যত কথাই বলুন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, প্রশাসনের অবস্থা আরও খারাপ। সেদিন কালিহাতী থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা বল্লার নজরুলের ছোট ভাই বজলুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নিয়ে বল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হাশেম ও কমান্ডার মজনু বা মিন্টু কারও নাম শুনিনি- তারা একসময় টাকা চেয়েছে। পরে এসে কালিহাতী সমাজকল্যাণ অফিসারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে। তারা বজলুর বাড়ি গিয়ে টাকা চেয়েছে এবং রবিবারে অফিসে আসতে বলেছিল। কিন্তু সমাজকল্যাণ অফিসার তাদের সারা দিন অফিসে বসিয়ে রেখে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। যাদের জন্য চকিদারি, এখন দেখছি চকিদারই মনিবের চাইতে বেশি বাহাদুরি করে; উপায় কী। ভাবছি নিজেই একদিন গিয়ে ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করব। শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলা হয় অথচ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অফিসের পিয়ন-কর্মচারীরা যে অসম্মানজনক আচরণ করে, তা বলার মতো নয়। আমার তো মনে হয় এজন্য শুধু নিরীহ মুক্তিযোদ্ধাই অসম্মানিত হন না, অসম্মান হয় দেশের, অসম্মান হয় স্বাধীনতার। কোথায় এসবের প্রতিকার ভেবে পাই না। বজলু মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়েছে সেই শুরু থেকে। বজলুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ভাতা তুলেছে নির্বিবাদে। মাঝে কিছু টাউট কিছু কিছু টাকা নিয়েছে। এখন তাদের দাবি দেড় লাখ। একজন মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ স্ত্রী ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে দেড় লাখ ঘুষ দেবেন কীভাবে- তাই এসেছিলেন আমার কাছে। সত্যিই আমি সব মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি না। কিন্তু নজরুল, তার ছোট ভাই বজলু এদের চিনি সেই যুদ্ধের সময় থেকে। ওদের বাড়ির বিড়ালটাও যদি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমার আপত্তি করার কোনো উপায় নেই। এতটা ওতপ্রোতভাবে বল্লার নজরুলের পরিবার-পরিজন মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিল। অযথাই বেঁচে আছি তাই এসব দেখে বড় কষ্ট হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলম চন্দনের এখনো মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নেই। অথচ রক্ষীবাহিনী গঠনের প্রথম ব্যাচে ছিল লায়েক আলম চন্দন। প্রথম ব্যাচে প্রথম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে বুকে চেপে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। সাভারের সেই রক্ষীবাহিনীর কুচকাওয়াজে সেদিন বঙ্গবন্ধু আমাকেও অনেক প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বার বার আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘তুই জিনিয়াস, তোর দলের সব জিনিয়াস। দেখ, রক্ষীবাহিনীর অফিসার্স কোর্সে প্রথম ব্যাচে তোর দলের যোদ্ধা প্রথম হয়েছে।’ নাদানের অপবাদ পেতে পেতে সেই ছোটকাল থেকে কোনো শাবাশি বা প্রশংসা গায়ে মাখতাম না। কিন্তু পিতার সেদিনের সেই স্নেহভরা প্রশংসা আমাকে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত বা আলোড়িত করেছিল। কাদেরিয়া বাহিনী থেকে লায়েক আলম রক্ষীবাহিনীতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তিতাসের জিএমের দায়িত্ব পালন করে হঠাৎই পরপারে চলে যায়। তার স্ত্রী তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। আমি মন্ত্রী মহোদয়কে তিন-চার বার বলেছি। কাকের মাংস কাকে খায় না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতারিত করে মুক্তিযোদ্ধারা টাকা খায়। লায়েক আলম চন্দনের স্ত্রীর কাছ থেকেও কেউ কেউ টাকা খেয়েছে। যারা খেয়েছে তাদের অনেকেই এখন পরপারে। তাই বেঁচে থাকার এই জ্বালা থেকে মুক্তি কোথায়? পথ খুঁজি কিন্তু পাই না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ

৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২২ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২২ নভেম্বর ২০২৫

১৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত : জাতিসংঘ
যুদ্ধবিরতির পর থেকে ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত : জাতিসংঘ

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ লুইস দিয়াস
তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ লুইস দিয়াস

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া
ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া
ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার
সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট
কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক
যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন