শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

এসবের শেষ কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এসবের শেষ কোথায়?

চার-পাঁচ মাস ধরে কয়েকটি বই নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা করছি। কেন যেন বার বার একের পর এক সমসাময়িক ঘটনার কারণে কিছুতেই বইগুলো নিয়ে লিখতে পারছি না। বইগুলো পড়ে বেশ শিহরণ জেগেছে, অপার তৃপ্তি পেয়েছি, উজ্জীবিত হয়েছি দারুণভাবে। কিন্তু লেখাগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। সমসাময়িক ঘটনার শক্তি এত তীব্র ও প্রবল যে অন্য কিছু খড়কুটোর মতো যেন ভেসে যাচ্ছে। তিন-চার বছর আগে মুহাম্মদ আতাউর রহমান খানের ‘আমার জীবন ও রাজনীতি’ এক শ কয়েক পৃষ্ঠার একটি বই পড়েছিলাম। মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান প্রখ্যাত রাজনৈতিক আতোয়ার রহমান খান নন, সিলেটের লন্ডনপ্রবাসী আতাউর রহমান খান। ঠিক একই রকম ‘রাজনীতি আমার জীবন’ রংপুরের কাজী মহাম্মদ এহিয়া কোনো লেখক নন, আজীবনের একজন রাজনৈতিক নেতা/কর্মী। তার অসাধারণ লেখা আমাকে অভিভূত করেছে। একসময়ের বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের মহাপরিচালক, নাট্যকার, লেখক, সাহিত্যিক কাজী মাহমুদুর রহমান - সামিয়া রহমানের বাবা - কয়েক মাস আগে বেশ কটি বই নিয়ে হঠাৎই আমার মোহাম্মদপুরের বাড়ি এসেছিলেন। সব কটি পড়তে পারিনি। ‘মুক্তিযুদ্ধের দশটি নাটক’-এর ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’ মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুবই ছোট্ট একটি নাটক লেখক তার মতো করে সাজিয়েছেন। দুষ্ট চরিত্রের নাদের আলীকে উপস্থাপন আমার কাছে খুব একটা হৃদয়গ্রাহী হয়নি। কিন্তু তার ‘লাইফ অব এ রিস্ক পেইন্টার’ খুবই সাড়া জাগানো লেখা। অন্যদিকে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রচনাসমগ্র’ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে অন্য জগতে চলে গেছি। বইটি দিয়েছিলেন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। বলেছিলেন, ‘চমৎকার বই’। এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু যতটুকু পড়েছি অসাধারণ। পাকিস্তান আমলের বঞ্চনা, আইয়ুব-মোনায়েমের অত্যাচার, রাস্তায় মিছিল, একের পর এক জীবনদান, রিকশার বস্তির পরিবেশ, আবার বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের উত্তেজনা অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক নোংরা শব্দ এত সহজে ব্যবহার করেছেন যা বস্তিতে ব্যবহার করে। তাই নোংরামি মনে হয়নি বরং শিল্প হয়ে ফুটে উঠেছে। এসব নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পারছি কই?

ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিতাড়িত হতে হতেই যুবলীগের পালা; আবার কবে আওয়ামী লীগ আসবে সে শুধু আলেমুল গায়েবই জানেন। বিস্মিত হই জি কে শামীমের বাড়িতে টাকা আর টাকা। একজনের কোম্পানির ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ভাবতে অবাক লাগে। ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সুপারিশে সোনার বাংলা প্রকৌশলিক সংস্থা (প্রা.) লি. জয়েনস্টকের রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আমলে তিন বছর আর খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনার আমলে ১৫ বছরে ২৫০-৩০০ কোটি টাকার কাজ করেছে। তাতে আমাদের লাভ হয়েছিল ৩৫-৪০ কোটি। তা-ই অনেকের চোখে লেগেছে। ব্যাংকের জালিয়াতির শেষ নেই। ’৯৪ সালে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলাম। তখন এমডি-চেয়ারম্যানরা পীর মানতেন। অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বমোট টাকা নিয়েছি ২ কোটি ৯৪ লাখ। আমরা এ পর্যন্ত ব্যাংকে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ফেরত দিয়েছি। ২০১৪ সালে তারাই বলেছিল তাদের মূল পাওনা ৩ কোটি ১৯ লাখ। ২০১৮ সালে আমরা একবারে ৩ কোটি ২৫ লাখ পরিশোধ করেছি। তার পরও খাই মেটেনি। সে এক অভাবনীয় ব্যাপার। বাংলাদেশ ব্যাংক অতিসম্প্রতি ২% ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ হার সুদে ১০ বছরের জন্য যে কোনো ঋণ পুনঃ তফসিলের একটি পরিপত্র জারি করেছে। তঞ্চকতার শেষ নেই। আমরা ব্যাংকের ঋণ স্থিতি হিসেবে তাদের চাওয়ামতো ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণটি পুনঃ তফসিলের অনুরোধ করেছি। সেখানে ডিজিএম পদের কয়েকজন একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের অস্পষ্টতা স্পষ্ট করে চিঠি দিয়েছেন। ব্যাংকের স্থিতি অনুসারে নয়, অনারোপিত সুদ ধরে ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের ২-এর (ক)-তে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘ঋণ স্থিতির উপরে ২% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদনকারীর অনারোপিত সুদ সুদবিহীন ব্লকড থাকবে এবং ঋণ শোধ হয়ে গেলে তা আপনাআপনি মওকুফ বা বাতিল বলে গণ্য হবে। ব্যাংকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতি অনুসারে অনারোপিত সুদ যদি ব্লকড থাকে তাহলে তার ওপর ডাউন পেমেন্ট হবে কী করে? মর্জির শেষ নেই। তার পরও তাদের মর্জিমতোই চলবে। এ রকম দুরবস্থায় যখন জি কে শামীমের মায়ের নামে ১৬৫ কোটি, বাড়িতে নগদ ২ কোটি, ১০ হাজার কোটির চলতি কাজ তার মধ্যে ৫৫০ কোটি র‌্যাব সদর দফতরে, ৪৫০ কোটি পূর্তভবনে, ৫০০-৭০০ কোটি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে তখন বিস্মিত না হয়ে পারি না। পত্রিকায় দেখলাম, তিনি নাকি ২-৩ হাজার কোটি টাকা লোকজনকে ঘুষ দিয়েছেন। পূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীকেই দিয়েছেন ৪০০ কোটি। ৪ কোটি হলে আমরা উতরে যাই। অথচ স্বাধীনতা না এলে যারা পায়ে জুতা পরতে পারত না, তারা আজকাল হাজার কোটি ঘুষ দেয়। রাজনীতির শত্রুতায় পড়ে কত কথা শুনেছি, এখনো শুনি। ভরসা করি একমাত্র আল্লাহকে। তিনিই এসবের বিচার করবেন। করছেন না যে তেমনও নয়। এই জগৎ সংসারে তিনি অনেক কিছুর বিচার করেন, করছেন। তবে বর্তমান এই উত্তেজনায় বড় অস্বস্তিতে পড়েছি। আওয়ামী লীগ করি না প্রায় ২০-২২ বছর। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পারিনি, পারবও না। কারণ তিনিই আমার ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। সেদিন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ক্যাসিনো চালু করেছে জিয়াউর রহমান।’ জিয়াউর রহমান করেছেন তাতে মাহবুব-উল আলম হানিফের কী। জিয়াউর রহমানের খারাপ কাজ কি তাকে বয়ে বেড়াতে হবে? জনাব হানিফের বড় ভাই আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। বেশ ভালো মানুষ ছিলেন। তার ভাই হিসেবে মাহবুব-উল আলম হানিফকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখি। কিন্তু এসব কথায় তো গুরুত্ব দিতে পারি না। মাহবুব-উল আলম হানিফ তো বিএনপি করেন না, জিয়াউর রহমানের অনুসারী নন; তাহলে তার কাজ কেন বয়ে বেড়াবেন? ক্যাসিনো অপরাধের কাজ এটা কি পুলিশ জানে না, তারা সহযোগিতা করেনি, সহযোগিতা নেয়নি? যুবলীগ-ছাত্রলীগ কতল হলে কিছু পুলিশেরও তো কতল হওয়া উচিত। অন্তত ঢাকার ২০-২৫টি থানার ওসির গ্রেফতার হওয়া উচিত। যে যাই বলুক, পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এখন আর তেমন কোনো কুকাজ হয় না বা করা যায় না। ছোট হোক বড় হোক, সব কাজেই পুলিশের সহায়তা লাগে। কিছু পুলিশ রাস্তাঘাটে যে অমানুষিক কষ্ট করে তার রহমতেই হয়তো এখনো পুলিশ বিভাগ টিকে আছে। ব্যক্তিপর্যায়ে পুলিশরা হাজার কোটির মালিক হতে পারে। কিন্তু মানুষের আস্থার মূল্য তার চেয়ে বেশি। তাই তাদের সুনামের কথা মনে রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সুনাম একেবারে শেষ হয়ে গেলে তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না।

যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক এক দিনেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এটা কেন? দুর্নীতিবাজ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া-জি কে শামীমদের পক্ষ নেওয়া যেমন ঠিক হয়নি, এখন ঘুরে যাওয়াও ঠিক হয়নি। সম্রাট আকবর-শাহজাহান-হুমায়ুন-বাবরের মতো ঢাকা সিটির ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট যদি এ রকম হাজার হাজার কোটি টাকার অপরাধ করতে পারেন তাহলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকেরা কত করেছেন? আর এটা তো এখন ওপেন সিক্রেট। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের কোনো মর্যাদা নেই। সিভিল প্রশাসনের কথা অতটা বলতে পারব না, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-এমপি-মন্ত্রীর কথা শোনে না। মন্ত্রীদেরও তেমন গুরুত্ব ও সম্মান নেই। সত্যিই একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। বড় তুফানের আগে গুমোট ভাব। অন্যদের জন্য তেমন ভাবী না, সভানেত্রীর জন্য ভাবী। তাদের কষ্ট, দুর্ভাবনা, দুশ্চিন্তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই বড় বেশি বুকে বাজে। আমরা কোথায় যাচ্ছি আর দু-চার দিনের মধ্যে কোথায় যাব। বিজোড় বছর বাঙালি জাতির জন্য সব সময় একটা ঝঞ্ঝা-বিক্ষোভের। ব্রিটিশ গেছে ’৪৭-এ, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ’৭১-এ, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ’৭৫-এ। তাই বিজোড় বছরে আমার বড় ভয় হয়।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রফিকুল ইসলামের আগে পূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আমার বাসাইলের টিপু মুন্সী। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে চিনি-জানি তাই তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তিনিও চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। তখন এই রফিকুল ইসলামকে প্রধান প্রকৌশলী করার জন্য রবিউল আলম চৌধুরী অনেক চেষ্টা করেছেন। শোনা যায়, তারই চেষ্টায় নাকি প্রধান প্রকৌশলী হয়েছিলেন। আর তিনি যদি একজনের কাছ থেকেই ৪০০ কোটি ঘুষ নিতে পারেন তাহলে অন্যদের কাছ থেকেও তো যৎকিঞ্চিৎ নিয়েছেন। এ রকম একটি লোককে আমাদের রবিউল আলম চৌধুরী, যে সারা জীবন ছাত্রলীগ করেছেন, আমার চাইতেও কঠিন মুজিবভক্ত তিনি কী করে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার, গোলাম আযমের শিষ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের জন্য তদবির করেন ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে। শত্রুর জন্য জীবনদানের অনেক ইতিহাস আছে আমাদের। আগে ছাত্রলীগে-আওয়ামী লীগে অনেকে ঢুকেছে, ভিতরে ঢুকে চরম ক্ষতি করেছে। কেন জানি শিকড় কাটার শেষ হলো না। জি কে শামীমের যে কর্মকা- এ কি আজকের ব্যাপার? যে লোকটি একসময় অবলীলায় বিএনপি করেছেন, নানা পদ-পদবি অলঙ্কিত করেছেন, তিনি কী করে যুবলীগের এত বড় নেতা হলেন? আমি কিন্তু বিএনপি করা কোনো দোষের মনে করি না। আমার কথা হলো দিন-রাত সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করা নেতা-কর্মীরা তাদের বউয়ের জন্য শাড়ি কিনতে পারে না, ছেলেমেয়ে ভালো স্কুলে পাঠাতে পারে না অথচ উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের এমন পাখনার বাড়ি এ তো ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। বছর ২০-২২ আগে এক সেনা দিবসে ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে গিয়েছিলাম। মনে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ সালাউদ্দিনের নামে তখনো ঘাটাইল সেনানিবাসের নামকরণ করা হয়নি। গিয়ে দেখি গোলাম আযমের ছেলে স্টেশন কমান্ডার অথবা সহকারী কমান্ডার। আমি তখনো তাকে চিনতাম না। সেখানেই প্রথম পরিচয়। আমার হৃদয় কেঁপে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত গোলাম আযমের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তারা যদি পরাজিত হতাম আমাদের কী হতো। ফাঁসি ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। তাহলে পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল যারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়ে লাখো মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে, জীবনহানি করেছে, ঘর-দুয়ার জ্বালিয়েছে তাদের জন্য এত ভালোবাসা কেন? নিশ্চয় জামায়াতিদের ছেলেমেয়ে বাংলাদেশকে মেনে সুন্দর জীবনযাপন করবে তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তাই বলে গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে জোর করে শাসনক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানিরা যা করেছিল তাই করবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। অথচ তাই কিন্তু হতে চলেছিল। কয়েক বছর আগে তাকে অবসরে না পাঠালে এখন তিনিই হয়তো সেনাপ্রধান থাকতেন এবং অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করতেন। ভাবতে চাই না তবু কীভাবে কীভাবে যেন এসব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। ঝেড়ে ফেলতে চাই, কিন্তু পারি না। যে যত কথাই বলুন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, প্রশাসনের অবস্থা আরও খারাপ। সেদিন কালিহাতী থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা বল্লার নজরুলের ছোট ভাই বজলুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নিয়ে বল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হাশেম ও কমান্ডার মজনু বা মিন্টু কারও নাম শুনিনি- তারা একসময় টাকা চেয়েছে। পরে এসে কালিহাতী সমাজকল্যাণ অফিসারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে। তারা বজলুর বাড়ি গিয়ে টাকা চেয়েছে এবং রবিবারে অফিসে আসতে বলেছিল। কিন্তু সমাজকল্যাণ অফিসার তাদের সারা দিন অফিসে বসিয়ে রেখে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। যাদের জন্য চকিদারি, এখন দেখছি চকিদারই মনিবের চাইতে বেশি বাহাদুরি করে; উপায় কী। ভাবছি নিজেই একদিন গিয়ে ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করব। শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলা হয় অথচ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অফিসের পিয়ন-কর্মচারীরা যে অসম্মানজনক আচরণ করে, তা বলার মতো নয়। আমার তো মনে হয় এজন্য শুধু নিরীহ মুক্তিযোদ্ধাই অসম্মানিত হন না, অসম্মান হয় দেশের, অসম্মান হয় স্বাধীনতার। কোথায় এসবের প্রতিকার ভেবে পাই না। বজলু মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়েছে সেই শুরু থেকে। বজলুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ভাতা তুলেছে নির্বিবাদে। মাঝে কিছু টাউট কিছু কিছু টাকা নিয়েছে। এখন তাদের দাবি দেড় লাখ। একজন মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ স্ত্রী ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে দেড় লাখ ঘুষ দেবেন কীভাবে- তাই এসেছিলেন আমার কাছে। সত্যিই আমি সব মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি না। কিন্তু নজরুল, তার ছোট ভাই বজলু এদের চিনি সেই যুদ্ধের সময় থেকে। ওদের বাড়ির বিড়ালটাও যদি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমার আপত্তি করার কোনো উপায় নেই। এতটা ওতপ্রোতভাবে বল্লার নজরুলের পরিবার-পরিজন মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিল। অযথাই বেঁচে আছি তাই এসব দেখে বড় কষ্ট হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলম চন্দনের এখনো মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নেই। অথচ রক্ষীবাহিনী গঠনের প্রথম ব্যাচে ছিল লায়েক আলম চন্দন। প্রথম ব্যাচে প্রথম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে বুকে চেপে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। সাভারের সেই রক্ষীবাহিনীর কুচকাওয়াজে সেদিন বঙ্গবন্ধু আমাকেও অনেক প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বার বার আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘তুই জিনিয়াস, তোর দলের সব জিনিয়াস। দেখ, রক্ষীবাহিনীর অফিসার্স কোর্সে প্রথম ব্যাচে তোর দলের যোদ্ধা প্রথম হয়েছে।’ নাদানের অপবাদ পেতে পেতে সেই ছোটকাল থেকে কোনো শাবাশি বা প্রশংসা গায়ে মাখতাম না। কিন্তু পিতার সেদিনের সেই স্নেহভরা প্রশংসা আমাকে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত বা আলোড়িত করেছিল। কাদেরিয়া বাহিনী থেকে লায়েক আলম রক্ষীবাহিনীতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তিতাসের জিএমের দায়িত্ব পালন করে হঠাৎই পরপারে চলে যায়। তার স্ত্রী তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। আমি মন্ত্রী মহোদয়কে তিন-চার বার বলেছি। কাকের মাংস কাকে খায় না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতারিত করে মুক্তিযোদ্ধারা টাকা খায়। লায়েক আলম চন্দনের স্ত্রীর কাছ থেকেও কেউ কেউ টাকা খেয়েছে। যারা খেয়েছে তাদের অনেকেই এখন পরপারে। তাই বেঁচে থাকার এই জ্বালা থেকে মুক্তি কোথায়? পথ খুঁজি কিন্তু পাই না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

৯ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ