শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

এসবের শেষ কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এসবের শেষ কোথায়?

চার-পাঁচ মাস ধরে কয়েকটি বই নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা করছি। কেন যেন বার বার একের পর এক সমসাময়িক ঘটনার কারণে কিছুতেই বইগুলো নিয়ে লিখতে পারছি না। বইগুলো পড়ে বেশ শিহরণ জেগেছে, অপার তৃপ্তি পেয়েছি, উজ্জীবিত হয়েছি দারুণভাবে। কিন্তু লেখাগুলো পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। সমসাময়িক ঘটনার শক্তি এত তীব্র ও প্রবল যে অন্য কিছু খড়কুটোর মতো যেন ভেসে যাচ্ছে। তিন-চার বছর আগে মুহাম্মদ আতাউর রহমান খানের ‘আমার জীবন ও রাজনীতি’ এক শ কয়েক পৃষ্ঠার একটি বই পড়েছিলাম। মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান প্রখ্যাত রাজনৈতিক আতোয়ার রহমান খান নন, সিলেটের লন্ডনপ্রবাসী আতাউর রহমান খান। ঠিক একই রকম ‘রাজনীতি আমার জীবন’ রংপুরের কাজী মহাম্মদ এহিয়া কোনো লেখক নন, আজীবনের একজন রাজনৈতিক নেতা/কর্মী। তার অসাধারণ লেখা আমাকে অভিভূত করেছে। একসময়ের বাংলাদেশ টিভি ও বেতারের মহাপরিচালক, নাট্যকার, লেখক, সাহিত্যিক কাজী মাহমুদুর রহমান - সামিয়া রহমানের বাবা - কয়েক মাস আগে বেশ কটি বই নিয়ে হঠাৎই আমার মোহাম্মদপুরের বাড়ি এসেছিলেন। সব কটি পড়তে পারিনি। ‘মুক্তিযুদ্ধের দশটি নাটক’-এর ‘সাত আসমানের সিঁড়ি’ মুক্তিযুদ্ধের ওপর খুবই ছোট্ট একটি নাটক লেখক তার মতো করে সাজিয়েছেন। দুষ্ট চরিত্রের নাদের আলীকে উপস্থাপন আমার কাছে খুব একটা হৃদয়গ্রাহী হয়নি। কিন্তু তার ‘লাইফ অব এ রিস্ক পেইন্টার’ খুবই সাড়া জাগানো লেখা। অন্যদিকে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘রচনাসমগ্র’ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে অন্য জগতে চলে গেছি। বইটি দিয়েছিলেন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। বলেছিলেন, ‘চমৎকার বই’। এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু যতটুকু পড়েছি অসাধারণ। পাকিস্তান আমলের বঞ্চনা, আইয়ুব-মোনায়েমের অত্যাচার, রাস্তায় মিছিল, একের পর এক জীবনদান, রিকশার বস্তির পরিবেশ, আবার বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের উত্তেজনা অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক নোংরা শব্দ এত সহজে ব্যবহার করেছেন যা বস্তিতে ব্যবহার করে। তাই নোংরামি মনে হয়নি বরং শিল্প হয়ে ফুটে উঠেছে। এসব নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু পারছি কই?

ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিতাড়িত হতে হতেই যুবলীগের পালা; আবার কবে আওয়ামী লীগ আসবে সে শুধু আলেমুল গায়েবই জানেন। বিস্মিত হই জি কে শামীমের বাড়িতে টাকা আর টাকা। একজনের কোম্পানির ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ভাবতে অবাক লাগে। ’৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সুপারিশে সোনার বাংলা প্রকৌশলিক সংস্থা (প্রা.) লি. জয়েনস্টকের রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আমলে তিন বছর আর খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনার আমলে ১৫ বছরে ২৫০-৩০০ কোটি টাকার কাজ করেছে। তাতে আমাদের লাভ হয়েছিল ৩৫-৪০ কোটি। তা-ই অনেকের চোখে লেগেছে। ব্যাংকের জালিয়াতির শেষ নেই। ’৯৪ সালে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলাম। তখন এমডি-চেয়ারম্যানরা পীর মানতেন। অগ্রণী ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বমোট টাকা নিয়েছি ২ কোটি ৯৪ লাখ। আমরা এ পর্যন্ত ব্যাংকে সাড়ে ৯ কোটির বেশি ফেরত দিয়েছি। ২০১৪ সালে তারাই বলেছিল তাদের মূল পাওনা ৩ কোটি ১৯ লাখ। ২০১৮ সালে আমরা একবারে ৩ কোটি ২৫ লাখ পরিশোধ করেছি। তার পরও খাই মেটেনি। সে এক অভাবনীয় ব্যাপার। বাংলাদেশ ব্যাংক অতিসম্প্রতি ২% ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ হার সুদে ১০ বছরের জন্য যে কোনো ঋণ পুনঃ তফসিলের একটি পরিপত্র জারি করেছে। তঞ্চকতার শেষ নেই। আমরা ব্যাংকের ঋণ স্থিতি হিসেবে তাদের চাওয়ামতো ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণটি পুনঃ তফসিলের অনুরোধ করেছি। সেখানে ডিজিএম পদের কয়েকজন একত্র হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের অস্পষ্টতা স্পষ্ট করে চিঠি দিয়েছেন। ব্যাংকের স্থিতি অনুসারে নয়, অনারোপিত সুদ ধরে ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রের ২-এর (ক)-তে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘ঋণ স্থিতির উপরে ২% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে আবেদনকারীর অনারোপিত সুদ সুদবিহীন ব্লকড থাকবে এবং ঋণ শোধ হয়ে গেলে তা আপনাআপনি মওকুফ বা বাতিল বলে গণ্য হবে। ব্যাংকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতি অনুসারে অনারোপিত সুদ যদি ব্লকড থাকে তাহলে তার ওপর ডাউন পেমেন্ট হবে কী করে? মর্জির শেষ নেই। তার পরও তাদের মর্জিমতোই চলবে। এ রকম দুরবস্থায় যখন জি কে শামীমের মায়ের নামে ১৬৫ কোটি, বাড়িতে নগদ ২ কোটি, ১০ হাজার কোটির চলতি কাজ তার মধ্যে ৫৫০ কোটি র‌্যাব সদর দফতরে, ৪৫০ কোটি পূর্তভবনে, ৫০০-৭০০ কোটি রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে তখন বিস্মিত না হয়ে পারি না। পত্রিকায় দেখলাম, তিনি নাকি ২-৩ হাজার কোটি টাকা লোকজনকে ঘুষ দিয়েছেন। পূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলীকেই দিয়েছেন ৪০০ কোটি। ৪ কোটি হলে আমরা উতরে যাই। অথচ স্বাধীনতা না এলে যারা পায়ে জুতা পরতে পারত না, তারা আজকাল হাজার কোটি ঘুষ দেয়। রাজনীতির শত্রুতায় পড়ে কত কথা শুনেছি, এখনো শুনি। ভরসা করি একমাত্র আল্লাহকে। তিনিই এসবের বিচার করবেন। করছেন না যে তেমনও নয়। এই জগৎ সংসারে তিনি অনেক কিছুর বিচার করেন, করছেন। তবে বর্তমান এই উত্তেজনায় বড় অস্বস্তিতে পড়েছি। আওয়ামী লীগ করি না প্রায় ২০-২২ বছর। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে পারিনি, পারবও না। কারণ তিনিই আমার ধ্যান-জ্ঞান-সাধনা। সেদিন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘ক্যাসিনো চালু করেছে জিয়াউর রহমান।’ জিয়াউর রহমান করেছেন তাতে মাহবুব-উল আলম হানিফের কী। জিয়াউর রহমানের খারাপ কাজ কি তাকে বয়ে বেড়াতে হবে? জনাব হানিফের বড় ভাই আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করতেন। বেশ ভালো মানুষ ছিলেন। তার ভাই হিসেবে মাহবুব-উল আলম হানিফকে অবশ্যই ভালো চোখে দেখি। কিন্তু এসব কথায় তো গুরুত্ব দিতে পারি না। মাহবুব-উল আলম হানিফ তো বিএনপি করেন না, জিয়াউর রহমানের অনুসারী নন; তাহলে তার কাজ কেন বয়ে বেড়াবেন? ক্যাসিনো অপরাধের কাজ এটা কি পুলিশ জানে না, তারা সহযোগিতা করেনি, সহযোগিতা নেয়নি? যুবলীগ-ছাত্রলীগ কতল হলে কিছু পুলিশেরও তো কতল হওয়া উচিত। অন্তত ঢাকার ২০-২৫টি থানার ওসির গ্রেফতার হওয়া উচিত। যে যাই বলুক, পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া এখন আর তেমন কোনো কুকাজ হয় না বা করা যায় না। ছোট হোক বড় হোক, সব কাজেই পুলিশের সহায়তা লাগে। কিছু পুলিশ রাস্তাঘাটে যে অমানুষিক কষ্ট করে তার রহমতেই হয়তো এখনো পুলিশ বিভাগ টিকে আছে। ব্যক্তিপর্যায়ে পুলিশরা হাজার কোটির মালিক হতে পারে। কিন্তু মানুষের আস্থার মূল্য তার চেয়ে বেশি। তাই তাদের সুনামের কথা মনে রাখতে হবে। পুলিশ বাহিনীর সুনাম একেবারে শেষ হয়ে গেলে তারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না।

যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক এক দিনেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন এটা কেন? দুর্নীতিবাজ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া-জি কে শামীমদের পক্ষ নেওয়া যেমন ঠিক হয়নি, এখন ঘুরে যাওয়াও ঠিক হয়নি। সম্রাট আকবর-শাহজাহান-হুমায়ুন-বাবরের মতো ঢাকা সিটির ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট যদি এ রকম হাজার হাজার কোটি টাকার অপরাধ করতে পারেন তাহলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকেরা কত করেছেন? আর এটা তো এখন ওপেন সিক্রেট। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের কোনো মর্যাদা নেই। সিভিল প্রশাসনের কথা অতটা বলতে পারব না, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কোনো আওয়ামী লীগ নেতা-এমপি-মন্ত্রীর কথা শোনে না। মন্ত্রীদেরও তেমন গুরুত্ব ও সম্মান নেই। সত্যিই একটা অস্বস্তিকর অবস্থা। বড় তুফানের আগে গুমোট ভাব। অন্যদের জন্য তেমন ভাবী না, সভানেত্রীর জন্য ভাবী। তাদের কষ্ট, দুর্ভাবনা, দুশ্চিন্তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই বড় বেশি বুকে বাজে। আমরা কোথায় যাচ্ছি আর দু-চার দিনের মধ্যে কোথায় যাব। বিজোড় বছর বাঙালি জাতির জন্য সব সময় একটা ঝঞ্ঝা-বিক্ষোভের। ব্রিটিশ গেছে ’৪৭-এ, আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ’৭১-এ, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি ’৭৫-এ। তাই বিজোড় বছরে আমার বড় ভয় হয়।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রফিকুল ইসলামের আগে পূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন আমার বাসাইলের টিপু মুন্সী। যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে চিনি-জানি তাই তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তিনিও চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন। তখন এই রফিকুল ইসলামকে প্রধান প্রকৌশলী করার জন্য রবিউল আলম চৌধুরী অনেক চেষ্টা করেছেন। শোনা যায়, তারই চেষ্টায় নাকি প্রধান প্রকৌশলী হয়েছিলেন। আর তিনি যদি একজনের কাছ থেকেই ৪০০ কোটি ঘুষ নিতে পারেন তাহলে অন্যদের কাছ থেকেও তো যৎকিঞ্চিৎ নিয়েছেন। এ রকম একটি লোককে আমাদের রবিউল আলম চৌধুরী, যে সারা জীবন ছাত্রলীগ করেছেন, আমার চাইতেও কঠিন মুজিবভক্ত তিনি কী করে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার, গোলাম আযমের শিষ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের জন্য তদবির করেন ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে। শত্রুর জন্য জীবনদানের অনেক ইতিহাস আছে আমাদের। আগে ছাত্রলীগে-আওয়ামী লীগে অনেকে ঢুকেছে, ভিতরে ঢুকে চরম ক্ষতি করেছে। কেন জানি শিকড় কাটার শেষ হলো না। জি কে শামীমের যে কর্মকা- এ কি আজকের ব্যাপার? যে লোকটি একসময় অবলীলায় বিএনপি করেছেন, নানা পদ-পদবি অলঙ্কিত করেছেন, তিনি কী করে যুবলীগের এত বড় নেতা হলেন? আমি কিন্তু বিএনপি করা কোনো দোষের মনে করি না। আমার কথা হলো দিন-রাত সংগঠনের জন্য পরিশ্রম করা নেতা-কর্মীরা তাদের বউয়ের জন্য শাড়ি কিনতে পারে না, ছেলেমেয়ে ভালো স্কুলে পাঠাতে পারে না অথচ উড়ে এসে জুড়ে বসে তাদের এমন পাখনার বাড়ি এ তো ভিরমি খাওয়ার অবস্থা। বছর ২০-২২ আগে এক সেনা দিবসে ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে গিয়েছিলাম। মনে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ সালাউদ্দিনের নামে তখনো ঘাটাইল সেনানিবাসের নামকরণ করা হয়নি। গিয়ে দেখি গোলাম আযমের ছেলে স্টেশন কমান্ডার অথবা সহকারী কমান্ডার। আমি তখনো তাকে চিনতাম না। সেখানেই প্রথম পরিচয়। আমার হৃদয় কেঁপে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত গোলাম আযমের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তারা যদি পরাজিত হতাম আমাদের কী হতো। ফাঁসি ছাড়া তো কোনো বিকল্প ছিল না। তাহলে পাকিস্তানের পক্ষে যারা ছিল যারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে চেয়ে লাখো মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে, জীবনহানি করেছে, ঘর-দুয়ার জ্বালিয়েছে তাদের জন্য এত ভালোবাসা কেন? নিশ্চয় জামায়াতিদের ছেলেমেয়ে বাংলাদেশকে মেনে সুন্দর জীবনযাপন করবে তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তাই বলে গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে জোর করে শাসনক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানিরা যা করেছিল তাই করবে এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। অথচ তাই কিন্তু হতে চলেছিল। কয়েক বছর আগে তাকে অবসরে না পাঠালে এখন তিনিই হয়তো সেনাপ্রধান থাকতেন এবং অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করতেন। ভাবতে চাই না তবু কীভাবে কীভাবে যেন এসব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। ঝেড়ে ফেলতে চাই, কিন্তু পারি না। যে যত কথাই বলুন, দেশের অবস্থা ভালো নয়, প্রশাসনের অবস্থা আরও খারাপ। সেদিন কালিহাতী থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা বল্লার নজরুলের ছোট ভাই বজলুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নিয়ে বল্লা ইউপি চেয়ারম্যান হাশেম ও কমান্ডার মজনু বা মিন্টু কারও নাম শুনিনি- তারা একসময় টাকা চেয়েছে। পরে এসে কালিহাতী সমাজকল্যাণ অফিসারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে। তারা বজলুর বাড়ি গিয়ে টাকা চেয়েছে এবং রবিবারে অফিসে আসতে বলেছিল। কিন্তু সমাজকল্যাণ অফিসার তাদের সারা দিন অফিসে বসিয়ে রেখে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন। যাদের জন্য চকিদারি, এখন দেখছি চকিদারই মনিবের চাইতে বেশি বাহাদুরি করে; উপায় কী। ভাবছি নিজেই একদিন গিয়ে ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করব। শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলা হয় অথচ মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে অফিসের পিয়ন-কর্মচারীরা যে অসম্মানজনক আচরণ করে, তা বলার মতো নয়। আমার তো মনে হয় এজন্য শুধু নিরীহ মুক্তিযোদ্ধাই অসম্মানিত হন না, অসম্মান হয় দেশের, অসম্মান হয় স্বাধীনতার। কোথায় এসবের প্রতিকার ভেবে পাই না। বজলু মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়েছে সেই শুরু থেকে। বজলুর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ভাতা তুলেছে নির্বিবাদে। মাঝে কিছু টাউট কিছু কিছু টাকা নিয়েছে। এখন তাদের দাবি দেড় লাখ। একজন মুক্তিযোদ্ধার বৃদ্ধ স্ত্রী ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে দেড় লাখ ঘুষ দেবেন কীভাবে- তাই এসেছিলেন আমার কাছে। সত্যিই আমি সব মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি না। কিন্তু নজরুল, তার ছোট ভাই বজলু এদের চিনি সেই যুদ্ধের সময় থেকে। ওদের বাড়ির বিড়ালটাও যদি মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমার আপত্তি করার কোনো উপায় নেই। এতটা ওতপ্রোতভাবে বল্লার নজরুলের পরিবার-পরিজন মুক্তিযুদ্ধে জড়িত ছিল। অযথাই বেঁচে আছি তাই এসব দেখে বড় কষ্ট হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়েক আলম চন্দনের এখনো মুক্তিযোদ্ধা প্রশংসাপত্র নেই। অথচ রক্ষীবাহিনী গঠনের প্রথম ব্যাচে ছিল লায়েক আলম চন্দন। প্রথম ব্যাচে প্রথম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে বুকে চেপে অনেক প্রশংসা করেছিলেন। সাভারের সেই রক্ষীবাহিনীর কুচকাওয়াজে সেদিন বঙ্গবন্ধু আমাকেও অনেক প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বার বার আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘তুই জিনিয়াস, তোর দলের সব জিনিয়াস। দেখ, রক্ষীবাহিনীর অফিসার্স কোর্সে প্রথম ব্যাচে তোর দলের যোদ্ধা প্রথম হয়েছে।’ নাদানের অপবাদ পেতে পেতে সেই ছোটকাল থেকে কোনো শাবাশি বা প্রশংসা গায়ে মাখতাম না। কিন্তু পিতার সেদিনের সেই স্নেহভরা প্রশংসা আমাকে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত বা আলোড়িত করেছিল। কাদেরিয়া বাহিনী থেকে লায়েক আলম রক্ষীবাহিনীতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তিতাসের জিএমের দায়িত্ব পালন করে হঠাৎই পরপারে চলে যায়। তার স্ত্রী তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। আমি মন্ত্রী মহোদয়কে তিন-চার বার বলেছি। কাকের মাংস কাকে খায় না। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতারিত করে মুক্তিযোদ্ধারা টাকা খায়। লায়েক আলম চন্দনের স্ত্রীর কাছ থেকেও কেউ কেউ টাকা খেয়েছে। যারা খেয়েছে তাদের অনেকেই এখন পরপারে। তাই বেঁচে থাকার এই জ্বালা থেকে মুক্তি কোথায়? পথ খুঁজি কিন্তু পাই না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে উপহার বিতরণ
কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে উপহার বিতরণ

৪৯ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে হঠাৎ ভাঙনে বসতঘরসহ গাছপালা নদীগর্ভে
বরিশালে হঠাৎ ভাঙনে বসতঘরসহ গাছপালা নদীগর্ভে

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকার চাপে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করলেন মুকেশ আম্বানি
আমেরিকার চাপে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করলেন মুকেশ আম্বানি

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের গণসংযোগ

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ফের ইনজুরিতে মাঠের বাইরে পালমার
ফের ইনজুরিতে মাঠের বাইরে পালমার

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত চর বিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত চর বিজয়

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেড় যুগ পর বাগেরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাটির নির্বাচন
দেড় যুগ পর বাগেরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাটির নির্বাচন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৪৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

চ্যাটজিপিটির গ্রুপ চ্যাট এখন সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত
চ্যাটজিপিটির গ্রুপ চ্যাট এখন সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত

৪৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’
‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাগড়াছড়িতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
খাগড়াছড়িতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল
ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার
আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত
দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে
বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা
ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা