শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

মঙ্গলবার অফিসে কাজ করতে করতে যখন টিভিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার অপসারণ দাবিতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের নির্লজ্জ হামলার ঘটনার খবর দেখছিলাম, তখন মন বিষাদে ভরে গেছে। সংঘর্ষের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলে দুর্ভোগের মুখে অনেক ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। অন্যদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে ছাত্রীদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে এ দেশের সব অগণতান্ত্রিক, অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, অপশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদের সূতিকাগার। দেশের রাজনীতি মরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্রোহের কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর মহান ছয় দফা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণময় গণঅভ্যুত্থানের কিংবদন্তিগাথা ’৬৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ও ছাত্ররাজনীতির হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের তারুণ্যের শক্তিকে সংগঠিত করে গণজাগরণ ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাতে ছাত্রসমাজ ও ছাত্রনেতারা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্ররাজনীতির সেই ঐতিহ্যের গৌরব বহু আগেই ধূসর হয়ে গেছে। ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসের ঐতিহ্য বহু আগেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। একটা অসুস্থ রাজনীতি ছাত্ররাজনীতিকে ক্রমশ রাক্ষসের মতো গিলে খেয়েছে।

একসময় ছাত্ররাজনীতি জাতির দিকনির্দেশনা ও স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিত। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি জাতিকে আলোকিত বীর নেতৃত্ব উপহার দিত। সেই পথ বেশ আগেই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন আর ছাত্ররাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে কোনো নেতৃত্ব উপহার দিতে পারে না। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা-কর্মীদের কাছেই নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছেই নয়, দেশের মানুষের কাছেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন জ্ঞানের আলোর বাতিঘর। একেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন নির্মোহ চিত্তের মুক্তচিন্তা ও চেতনার লালন ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। নেতৃত্ব, দক্ষতা ও পান্ডিত্যের মাধুর্যে মানুষের কাছেও তারা ছিলেন শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত।

দলকানা, দলদাস, ক্ষমতালোভী শিক্ষকদের একটা বড় অংশ ছাত্ররাজনীতির কর্মীদের চেয়েও আজ বড় দলবাজ হতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যেমন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন, তেমনি জ্ঞানের আঁধার বা বাতিঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ক্ষমতার লোভে অন্ধ কুৎসিত চেহারায় জাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছেন। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ প্রবেশ করতে পারত না। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও ছাত্ররাজনীতি এবং শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির অবাধ চর্চার নিরাপত্তা দিতেন। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের যে ঐতিহাসিক আত্মার বন্ধন, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক সেই সুতোটি বহু আগে কুৎসিত রাজনীতির আগ্রাসনে ছিঁড়ে গেছে।

জাহাঙ্গীরনগরের যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে তারা উপাচার্যের অপাসারণ দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলনরত। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম চলমান এই আন্দোলন নিরসনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি তাদের অভিভাবকত্বের মর্যাদা রক্ষায়ও দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাই ছাত্রলীগের হামলার পর যেখানে শিক্ষক ও ছাত্রীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন, শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তখন তিনি বিকারগ্রস্ত উন্মাদের মতো সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, আজকের এই দিন তার জীবনের এক আনন্দের দিন। তিনি হামলাকারী ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেননি, বলেছেন, তারা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যখন নির্লজ্জ বেহায়া হয়ে পড়েন, তখন সেই ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা যেমন থাকতে পারে না, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশও থাকতে পারে না, তেমনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মন্দিরে পরিণত হতে পারে না। জাবি উপাচার্য গণঅভ্যুত্থানের সংজ্ঞা বদলে দম্ভ করেছেন। গণঅভ্যুত্থান হয় শাসকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে যেটি হচ্ছে সেটি ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন। তার পক্ষে যেটি হয়েছে সেটি সন্ত্রাস। নির্লজ্জ কলঙ্ক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে উন্নয়ন বরাদ্দের কমিশন চাইতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠন থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। শাস্তির খড়্গ নেমে এসেছে। আমরা মনে করি, এমন অপরাধের জন্য তাদের আইনের আওতায় নেওয়া উচিত। একই সময়ে বহুল বিতর্কিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের কোটি টাকার ঈদ বোনাস দানের অভিযোগও সারা দেশে ছড়িয়েছে। মানুষকে ব্যথিত করেছে। কিন্তু এমন কলঙ্কজনক অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে দলবাজির রাজনীতিতে নিমজ্জিত হবেন, ক্ষমতালোভী উপাচার্য থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন। ছাত্ররা দেশের গরিব জনগণের টাকায় উচ্চশিক্ষা লাভ করবেন, অথচ গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ না করে গুণ্ডামি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিতে নিমজ্জিত হবেনÑ আর রাষ্ট্র নির্বাক বসে থাকবে এটি হতে পারে না। দেশের এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যার দুয়েকজন উপাচার্য ছাড়া কেউ বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ হচ্ছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগ থেকে ছাত্র ভর্তিতে অনিয়ম ও নীতিহীন পথ গ্রহণ করেছেন। জাতির মেধাবী সন্তানরা ছিটকে পড়ে তাদের দলবাজির দারিদ্র্য মানসিক নীতির কারণে। তাদের ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদাবোধ, নীতিবোধ ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের কারণে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীতের গৌরব হারাতে বসেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একসময় উপাচার্য শব্দটি যেখানে দেশের ছাত্রসমাজ থেকে সাধারণ মানুষের মনে দেবতার আসন নিয়ে গভীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছে, সেখানে আজ সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, তারা পাপাচার্যে নিমজ্জিত হয়েছেন। আজ তারা উপাচার্য নন, পাপাচার্য। আর যে ছাত্রলীগ তার জন্মলগ্ন থেকে বাঙালি জাতির মহত্তম নেতা আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্লোভ আদর্শের পথ অবলম্বন করে গণতান্ত্রিক চেতনায় গভীর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আত্মত্যাগের নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, সেই ছাত্রলীগ আজ কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী অবস্থানে অবতীর্ণ হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে বিতর্কিত করছেন, তাদের ক্ষমতার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। মাঝখানে কলঙ্কিত হচ্ছে ছাত্রলীগ। উপাচার্যরা যেমন পাপাচারে নিমজ্জিত হচ্ছেন, তেমনি ছাত্রলীগ আজ তার ইতিহাসের সব বর্ণাঢ্য গৌরব ও ঐতিহ্যের মুকুট ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে গুণ্ডামিতে ডুবে যাচ্ছে।

রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে ছাত্রলীগ উল্লাস করে গুণ্ডামির নজির স্থাপন করেছে। এই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দিয়েই নিয়মতান্ত্রিক ধারায় যে ফিরিয়ে আনা যাবে না, সেটি এর মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়ে নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাঝখানে অনেকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মতামত তুলেছিলেন। ছাত্ররাজনীতির কলঙ্কিত ঘটনাপ্রবাহে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটলেও মন বেদনায় বিধুর হলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে আমি কখনো নই। লেজুড়বৃত্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের পাপাচার থেকে মুক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে তার আদর্শের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং সারা দেশে প্রতিযোগিতামূলক সুস্থধারার সৃজনশীলতার দুয়ার খুলে দিতে হবে। জাতির জীবনে যখন মহাদুর্যোগ নেমে আসে, তখন এ দেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক আশা-ভরসার স্থল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রসমাজ। গভীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ঐতিহ্যের পথেই ছাত্ররাজনীতিকে ফিরিয়ে আনার দায় সব মহলকেই অভিন্ন অবস্থান থেকে নিতে হবে। একসময় একজন ছাত্রনেতার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ও সম্মান ছিল, আজকের জাতীয় রাজনীতিতে বিচরণ করা অনেক মন্ত্রী-এমপির প্রতি সেই শ্রদ্ধা নেই কেন? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যে মর্যাদা ছিল আজ ভিসির সে মর্যাদা নেই কেন? তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে। একসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অগ্নিকন্যা খ্যাতি নিয়ে ফৌজি শাসক আইয়ুবের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মতিয়া চৌধুরীরা রাজনীতিকে আলোকিত করে উঠে আসতেন। এককালে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করে লৌহমানব খ্যাত সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়ে গোটা বাংলার ছাত্রসমাজ ও গণমানুষের মহাপ্রলয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে তোফায়েল আহমেদরা ইতিহাস সৃষ্টি করে রাজনীতির আলোকিত সন্তান হিসেবে বেরিয়ে আসতেন। আজ সেই রাজনীতির পথ কেন অবরুদ্ধ? কেন ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কিত? কেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের ইতিহাসের পরিপূরক ছাত্রলীগের ইমেজ গু-ামিতে নিমজ্জিত? তাদের অভিভাবকদের এটি মূল্যায়ন করার সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উপাচার্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যুগের পর যুগ কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে হাঁটেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর হতে কখনো দেখা যায়নি, সেই তারাই ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। গণমাধ্যমে সেই ভয়ঙ্কর খবর উঠে এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

কিছুদিন আগে অনুজপ্রতিম অধ্যাপক জাকির হোসেন চঞ্চল আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। জাকির হোসেন চঞ্চল এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি মহাদুর্দিনে রাজপথের সাহসী মিছিলের কর্মী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পেশাদারিত্বের জায়গায় দলবাজিকে প্রশ্রয় দেননি। একজন সাদা মনের সৎ মানুষ হিসেবে তার একটা নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার নিঃশর্ত আনুগত্য থাকলেও তার কাছে শিক্ষকের মর্যাদাই বড়। তিনি টেলিফোন করে আমাকে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ওপর স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের। পাহাড়ঘেরা ওই মনোরম বিশ্ববিদ্যালয় একসময় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের ভয়ঙ্কর ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে তারা কাফনের টুকরা পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। ’৯১ সালে চট্টগ্রামে রিপোর্ট করতে গিয়ে আমি অধ্যাপক আবদুল মান্নানের পাহাড়ের ওপরে ছোট্ট বাড়িতে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়ে সেই আলামত নিয়ে এসেছিলাম। প্রগতিশীল সব ছাত্রসংগঠন সম্মিলিতভাবে চাকসু নির্বাচনে নাজিমুদ্দিনকে ভিপি ও আজিমুদ্দিনকে জিএস নির্বাচিত করে শিবিরের পতন ঘটিয়েছিল। চাকসু ভিপি নাজিমুদ্দিন ষাটোর্ধ্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত হলেও ছাত্রসমাজ আজও চাকসু নির্বাচনের অধিকার ভোগ করতে পারেনি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে বা প্রতিবাদী ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র কিনা এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

যাক, যে কথা বলছিলাম, জাকির হোসেন চঞ্চলকে টেলিফোনে জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম। রাজনীতিতে বিচক্ষণ তোফায়েল আহমেদ একক স্মারক বক্তৃতার প্রস্তাব পেয়ে ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়কের জীবন ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে আপনার যাওয়া উচিত। তিনি দুই দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তোফায়েল আহমেদ তো রাজি হননি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেনি। মাঝখানে একটি শুভ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি করার অধিকার, দলবাজি করার ক্ষমতা আর দেওয়া যায় কিনা, সেটি এখন দায়িত্বশীলদের উপলব্ধি করতে হবে। উপাচার্যের নামে পাপাচার্য আর ছাত্রলীগের নামে গুণ্ডাবাহিনী বহাল রাখবেন নাকি সংশোধন করবেন, সেটি মূল্যায়ন করতে হবে। সব শিক্ষক যেমন আদর্শহীন নন, লোভী ও ব্যক্তিত্বহীন নন, আত্মমর্যাদাহীন নন, তেমনি সব ছাত্রলীগ কর্মীই চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী নন। অধমদের বাদ দিয়ে উত্তমদের বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দায়িত্বশীলদের। আমরা আশা করব, দায়িত্বশীলরা উত্তম পথটিই গ্রহণ করবেন। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করুন। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবারে সংঘটিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস ও তার নেপথ্যে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য এখনই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা
কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া
ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ
খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে
শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে
অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পকলায় ভাসানে উজান
শিল্পকলায় ভাসানে উজান

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

সম্পাদকীয়

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন

সম্পাদকীয়

দুই দাবিতে রেললাইন অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের
দুই দাবিতে রেললাইন অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক
খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর
রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর

খবর