শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

মঙ্গলবার অফিসে কাজ করতে করতে যখন টিভিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার অপসারণ দাবিতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের নির্লজ্জ হামলার ঘটনার খবর দেখছিলাম, তখন মন বিষাদে ভরে গেছে। সংঘর্ষের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলে দুর্ভোগের মুখে অনেক ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। অন্যদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে ছাত্রীদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে এ দেশের সব অগণতান্ত্রিক, অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, অপশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদের সূতিকাগার। দেশের রাজনীতি মরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্রোহের কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর মহান ছয় দফা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণময় গণঅভ্যুত্থানের কিংবদন্তিগাথা ’৬৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ও ছাত্ররাজনীতির হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের তারুণ্যের শক্তিকে সংগঠিত করে গণজাগরণ ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাতে ছাত্রসমাজ ও ছাত্রনেতারা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্ররাজনীতির সেই ঐতিহ্যের গৌরব বহু আগেই ধূসর হয়ে গেছে। ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসের ঐতিহ্য বহু আগেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। একটা অসুস্থ রাজনীতি ছাত্ররাজনীতিকে ক্রমশ রাক্ষসের মতো গিলে খেয়েছে।

একসময় ছাত্ররাজনীতি জাতির দিকনির্দেশনা ও স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিত। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি জাতিকে আলোকিত বীর নেতৃত্ব উপহার দিত। সেই পথ বেশ আগেই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন আর ছাত্ররাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে কোনো নেতৃত্ব উপহার দিতে পারে না। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা-কর্মীদের কাছেই নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছেই নয়, দেশের মানুষের কাছেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন জ্ঞানের আলোর বাতিঘর। একেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন নির্মোহ চিত্তের মুক্তচিন্তা ও চেতনার লালন ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। নেতৃত্ব, দক্ষতা ও পান্ডিত্যের মাধুর্যে মানুষের কাছেও তারা ছিলেন শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত।

দলকানা, দলদাস, ক্ষমতালোভী শিক্ষকদের একটা বড় অংশ ছাত্ররাজনীতির কর্মীদের চেয়েও আজ বড় দলবাজ হতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যেমন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন, তেমনি জ্ঞানের আঁধার বা বাতিঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ক্ষমতার লোভে অন্ধ কুৎসিত চেহারায় জাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছেন। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ প্রবেশ করতে পারত না। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও ছাত্ররাজনীতি এবং শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির অবাধ চর্চার নিরাপত্তা দিতেন। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের যে ঐতিহাসিক আত্মার বন্ধন, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক সেই সুতোটি বহু আগে কুৎসিত রাজনীতির আগ্রাসনে ছিঁড়ে গেছে।

জাহাঙ্গীরনগরের যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে তারা উপাচার্যের অপাসারণ দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলনরত। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম চলমান এই আন্দোলন নিরসনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি তাদের অভিভাবকত্বের মর্যাদা রক্ষায়ও দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাই ছাত্রলীগের হামলার পর যেখানে শিক্ষক ও ছাত্রীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন, শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তখন তিনি বিকারগ্রস্ত উন্মাদের মতো সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, আজকের এই দিন তার জীবনের এক আনন্দের দিন। তিনি হামলাকারী ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেননি, বলেছেন, তারা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যখন নির্লজ্জ বেহায়া হয়ে পড়েন, তখন সেই ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা যেমন থাকতে পারে না, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশও থাকতে পারে না, তেমনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মন্দিরে পরিণত হতে পারে না। জাবি উপাচার্য গণঅভ্যুত্থানের সংজ্ঞা বদলে দম্ভ করেছেন। গণঅভ্যুত্থান হয় শাসকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে যেটি হচ্ছে সেটি ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন। তার পক্ষে যেটি হয়েছে সেটি সন্ত্রাস। নির্লজ্জ কলঙ্ক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে উন্নয়ন বরাদ্দের কমিশন চাইতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠন থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। শাস্তির খড়্গ নেমে এসেছে। আমরা মনে করি, এমন অপরাধের জন্য তাদের আইনের আওতায় নেওয়া উচিত। একই সময়ে বহুল বিতর্কিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের কোটি টাকার ঈদ বোনাস দানের অভিযোগও সারা দেশে ছড়িয়েছে। মানুষকে ব্যথিত করেছে। কিন্তু এমন কলঙ্কজনক অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে দলবাজির রাজনীতিতে নিমজ্জিত হবেন, ক্ষমতালোভী উপাচার্য থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন। ছাত্ররা দেশের গরিব জনগণের টাকায় উচ্চশিক্ষা লাভ করবেন, অথচ গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ না করে গুণ্ডামি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিতে নিমজ্জিত হবেনÑ আর রাষ্ট্র নির্বাক বসে থাকবে এটি হতে পারে না। দেশের এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যার দুয়েকজন উপাচার্য ছাড়া কেউ বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ হচ্ছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগ থেকে ছাত্র ভর্তিতে অনিয়ম ও নীতিহীন পথ গ্রহণ করেছেন। জাতির মেধাবী সন্তানরা ছিটকে পড়ে তাদের দলবাজির দারিদ্র্য মানসিক নীতির কারণে। তাদের ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদাবোধ, নীতিবোধ ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের কারণে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীতের গৌরব হারাতে বসেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একসময় উপাচার্য শব্দটি যেখানে দেশের ছাত্রসমাজ থেকে সাধারণ মানুষের মনে দেবতার আসন নিয়ে গভীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছে, সেখানে আজ সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, তারা পাপাচার্যে নিমজ্জিত হয়েছেন। আজ তারা উপাচার্য নন, পাপাচার্য। আর যে ছাত্রলীগ তার জন্মলগ্ন থেকে বাঙালি জাতির মহত্তম নেতা আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্লোভ আদর্শের পথ অবলম্বন করে গণতান্ত্রিক চেতনায় গভীর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আত্মত্যাগের নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, সেই ছাত্রলীগ আজ কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী অবস্থানে অবতীর্ণ হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে বিতর্কিত করছেন, তাদের ক্ষমতার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। মাঝখানে কলঙ্কিত হচ্ছে ছাত্রলীগ। উপাচার্যরা যেমন পাপাচারে নিমজ্জিত হচ্ছেন, তেমনি ছাত্রলীগ আজ তার ইতিহাসের সব বর্ণাঢ্য গৌরব ও ঐতিহ্যের মুকুট ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে গুণ্ডামিতে ডুবে যাচ্ছে।

রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে ছাত্রলীগ উল্লাস করে গুণ্ডামির নজির স্থাপন করেছে। এই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দিয়েই নিয়মতান্ত্রিক ধারায় যে ফিরিয়ে আনা যাবে না, সেটি এর মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়ে নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাঝখানে অনেকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মতামত তুলেছিলেন। ছাত্ররাজনীতির কলঙ্কিত ঘটনাপ্রবাহে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটলেও মন বেদনায় বিধুর হলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে আমি কখনো নই। লেজুড়বৃত্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের পাপাচার থেকে মুক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে তার আদর্শের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং সারা দেশে প্রতিযোগিতামূলক সুস্থধারার সৃজনশীলতার দুয়ার খুলে দিতে হবে। জাতির জীবনে যখন মহাদুর্যোগ নেমে আসে, তখন এ দেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক আশা-ভরসার স্থল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রসমাজ। গভীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ঐতিহ্যের পথেই ছাত্ররাজনীতিকে ফিরিয়ে আনার দায় সব মহলকেই অভিন্ন অবস্থান থেকে নিতে হবে। একসময় একজন ছাত্রনেতার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ও সম্মান ছিল, আজকের জাতীয় রাজনীতিতে বিচরণ করা অনেক মন্ত্রী-এমপির প্রতি সেই শ্রদ্ধা নেই কেন? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যে মর্যাদা ছিল আজ ভিসির সে মর্যাদা নেই কেন? তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে। একসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অগ্নিকন্যা খ্যাতি নিয়ে ফৌজি শাসক আইয়ুবের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মতিয়া চৌধুরীরা রাজনীতিকে আলোকিত করে উঠে আসতেন। এককালে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করে লৌহমানব খ্যাত সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়ে গোটা বাংলার ছাত্রসমাজ ও গণমানুষের মহাপ্রলয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে তোফায়েল আহমেদরা ইতিহাস সৃষ্টি করে রাজনীতির আলোকিত সন্তান হিসেবে বেরিয়ে আসতেন। আজ সেই রাজনীতির পথ কেন অবরুদ্ধ? কেন ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কিত? কেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের ইতিহাসের পরিপূরক ছাত্রলীগের ইমেজ গু-ামিতে নিমজ্জিত? তাদের অভিভাবকদের এটি মূল্যায়ন করার সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উপাচার্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যুগের পর যুগ কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে হাঁটেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর হতে কখনো দেখা যায়নি, সেই তারাই ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। গণমাধ্যমে সেই ভয়ঙ্কর খবর উঠে এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

কিছুদিন আগে অনুজপ্রতিম অধ্যাপক জাকির হোসেন চঞ্চল আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। জাকির হোসেন চঞ্চল এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি মহাদুর্দিনে রাজপথের সাহসী মিছিলের কর্মী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পেশাদারিত্বের জায়গায় দলবাজিকে প্রশ্রয় দেননি। একজন সাদা মনের সৎ মানুষ হিসেবে তার একটা নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার নিঃশর্ত আনুগত্য থাকলেও তার কাছে শিক্ষকের মর্যাদাই বড়। তিনি টেলিফোন করে আমাকে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ওপর স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের। পাহাড়ঘেরা ওই মনোরম বিশ্ববিদ্যালয় একসময় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের ভয়ঙ্কর ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে তারা কাফনের টুকরা পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। ’৯১ সালে চট্টগ্রামে রিপোর্ট করতে গিয়ে আমি অধ্যাপক আবদুল মান্নানের পাহাড়ের ওপরে ছোট্ট বাড়িতে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়ে সেই আলামত নিয়ে এসেছিলাম। প্রগতিশীল সব ছাত্রসংগঠন সম্মিলিতভাবে চাকসু নির্বাচনে নাজিমুদ্দিনকে ভিপি ও আজিমুদ্দিনকে জিএস নির্বাচিত করে শিবিরের পতন ঘটিয়েছিল। চাকসু ভিপি নাজিমুদ্দিন ষাটোর্ধ্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত হলেও ছাত্রসমাজ আজও চাকসু নির্বাচনের অধিকার ভোগ করতে পারেনি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে বা প্রতিবাদী ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র কিনা এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

যাক, যে কথা বলছিলাম, জাকির হোসেন চঞ্চলকে টেলিফোনে জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম। রাজনীতিতে বিচক্ষণ তোফায়েল আহমেদ একক স্মারক বক্তৃতার প্রস্তাব পেয়ে ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়কের জীবন ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে আপনার যাওয়া উচিত। তিনি দুই দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তোফায়েল আহমেদ তো রাজি হননি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেনি। মাঝখানে একটি শুভ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি করার অধিকার, দলবাজি করার ক্ষমতা আর দেওয়া যায় কিনা, সেটি এখন দায়িত্বশীলদের উপলব্ধি করতে হবে। উপাচার্যের নামে পাপাচার্য আর ছাত্রলীগের নামে গুণ্ডাবাহিনী বহাল রাখবেন নাকি সংশোধন করবেন, সেটি মূল্যায়ন করতে হবে। সব শিক্ষক যেমন আদর্শহীন নন, লোভী ও ব্যক্তিত্বহীন নন, আত্মমর্যাদাহীন নন, তেমনি সব ছাত্রলীগ কর্মীই চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী নন। অধমদের বাদ দিয়ে উত্তমদের বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দায়িত্বশীলদের। আমরা আশা করব, দায়িত্বশীলরা উত্তম পথটিই গ্রহণ করবেন। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করুন। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবারে সংঘটিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস ও তার নেপথ্যে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য এখনই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৩৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

৪৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

৫১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ