শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

মঙ্গলবার অফিসে কাজ করতে করতে যখন টিভিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার অপসারণ দাবিতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের নির্লজ্জ হামলার ঘটনার খবর দেখছিলাম, তখন মন বিষাদে ভরে গেছে। সংঘর্ষের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলে দুর্ভোগের মুখে অনেক ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। অন্যদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে ছাত্রীদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে এ দেশের সব অগণতান্ত্রিক, অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, অপশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদের সূতিকাগার। দেশের রাজনীতি মরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্রোহের কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর মহান ছয় দফা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণময় গণঅভ্যুত্থানের কিংবদন্তিগাথা ’৬৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ও ছাত্ররাজনীতির হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের তারুণ্যের শক্তিকে সংগঠিত করে গণজাগরণ ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাতে ছাত্রসমাজ ও ছাত্রনেতারা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্ররাজনীতির সেই ঐতিহ্যের গৌরব বহু আগেই ধূসর হয়ে গেছে। ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসের ঐতিহ্য বহু আগেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। একটা অসুস্থ রাজনীতি ছাত্ররাজনীতিকে ক্রমশ রাক্ষসের মতো গিলে খেয়েছে।

একসময় ছাত্ররাজনীতি জাতির দিকনির্দেশনা ও স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিত। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি জাতিকে আলোকিত বীর নেতৃত্ব উপহার দিত। সেই পথ বেশ আগেই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন আর ছাত্ররাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে কোনো নেতৃত্ব উপহার দিতে পারে না। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা-কর্মীদের কাছেই নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছেই নয়, দেশের মানুষের কাছেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন জ্ঞানের আলোর বাতিঘর। একেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন নির্মোহ চিত্তের মুক্তচিন্তা ও চেতনার লালন ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। নেতৃত্ব, দক্ষতা ও পান্ডিত্যের মাধুর্যে মানুষের কাছেও তারা ছিলেন শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত।

দলকানা, দলদাস, ক্ষমতালোভী শিক্ষকদের একটা বড় অংশ ছাত্ররাজনীতির কর্মীদের চেয়েও আজ বড় দলবাজ হতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যেমন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন, তেমনি জ্ঞানের আঁধার বা বাতিঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ক্ষমতার লোভে অন্ধ কুৎসিত চেহারায় জাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছেন। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ প্রবেশ করতে পারত না। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও ছাত্ররাজনীতি এবং শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির অবাধ চর্চার নিরাপত্তা দিতেন। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের যে ঐতিহাসিক আত্মার বন্ধন, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক সেই সুতোটি বহু আগে কুৎসিত রাজনীতির আগ্রাসনে ছিঁড়ে গেছে।

জাহাঙ্গীরনগরের যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে তারা উপাচার্যের অপাসারণ দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলনরত। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম চলমান এই আন্দোলন নিরসনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি তাদের অভিভাবকত্বের মর্যাদা রক্ষায়ও দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাই ছাত্রলীগের হামলার পর যেখানে শিক্ষক ও ছাত্রীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন, শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তখন তিনি বিকারগ্রস্ত উন্মাদের মতো সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, আজকের এই দিন তার জীবনের এক আনন্দের দিন। তিনি হামলাকারী ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেননি, বলেছেন, তারা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যখন নির্লজ্জ বেহায়া হয়ে পড়েন, তখন সেই ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা যেমন থাকতে পারে না, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশও থাকতে পারে না, তেমনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মন্দিরে পরিণত হতে পারে না। জাবি উপাচার্য গণঅভ্যুত্থানের সংজ্ঞা বদলে দম্ভ করেছেন। গণঅভ্যুত্থান হয় শাসকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে যেটি হচ্ছে সেটি ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন। তার পক্ষে যেটি হয়েছে সেটি সন্ত্রাস। নির্লজ্জ কলঙ্ক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে উন্নয়ন বরাদ্দের কমিশন চাইতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠন থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। শাস্তির খড়্গ নেমে এসেছে। আমরা মনে করি, এমন অপরাধের জন্য তাদের আইনের আওতায় নেওয়া উচিত। একই সময়ে বহুল বিতর্কিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের কোটি টাকার ঈদ বোনাস দানের অভিযোগও সারা দেশে ছড়িয়েছে। মানুষকে ব্যথিত করেছে। কিন্তু এমন কলঙ্কজনক অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে দলবাজির রাজনীতিতে নিমজ্জিত হবেন, ক্ষমতালোভী উপাচার্য থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন। ছাত্ররা দেশের গরিব জনগণের টাকায় উচ্চশিক্ষা লাভ করবেন, অথচ গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ না করে গুণ্ডামি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিতে নিমজ্জিত হবেনÑ আর রাষ্ট্র নির্বাক বসে থাকবে এটি হতে পারে না। দেশের এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যার দুয়েকজন উপাচার্য ছাড়া কেউ বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ হচ্ছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগ থেকে ছাত্র ভর্তিতে অনিয়ম ও নীতিহীন পথ গ্রহণ করেছেন। জাতির মেধাবী সন্তানরা ছিটকে পড়ে তাদের দলবাজির দারিদ্র্য মানসিক নীতির কারণে। তাদের ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদাবোধ, নীতিবোধ ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের কারণে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীতের গৌরব হারাতে বসেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একসময় উপাচার্য শব্দটি যেখানে দেশের ছাত্রসমাজ থেকে সাধারণ মানুষের মনে দেবতার আসন নিয়ে গভীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছে, সেখানে আজ সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, তারা পাপাচার্যে নিমজ্জিত হয়েছেন। আজ তারা উপাচার্য নন, পাপাচার্য। আর যে ছাত্রলীগ তার জন্মলগ্ন থেকে বাঙালি জাতির মহত্তম নেতা আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্লোভ আদর্শের পথ অবলম্বন করে গণতান্ত্রিক চেতনায় গভীর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আত্মত্যাগের নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, সেই ছাত্রলীগ আজ কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী অবস্থানে অবতীর্ণ হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে বিতর্কিত করছেন, তাদের ক্ষমতার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। মাঝখানে কলঙ্কিত হচ্ছে ছাত্রলীগ। উপাচার্যরা যেমন পাপাচারে নিমজ্জিত হচ্ছেন, তেমনি ছাত্রলীগ আজ তার ইতিহাসের সব বর্ণাঢ্য গৌরব ও ঐতিহ্যের মুকুট ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে গুণ্ডামিতে ডুবে যাচ্ছে।

রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে ছাত্রলীগ উল্লাস করে গুণ্ডামির নজির স্থাপন করেছে। এই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দিয়েই নিয়মতান্ত্রিক ধারায় যে ফিরিয়ে আনা যাবে না, সেটি এর মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়ে নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাঝখানে অনেকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মতামত তুলেছিলেন। ছাত্ররাজনীতির কলঙ্কিত ঘটনাপ্রবাহে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটলেও মন বেদনায় বিধুর হলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে আমি কখনো নই। লেজুড়বৃত্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের পাপাচার থেকে মুক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে তার আদর্শের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং সারা দেশে প্রতিযোগিতামূলক সুস্থধারার সৃজনশীলতার দুয়ার খুলে দিতে হবে। জাতির জীবনে যখন মহাদুর্যোগ নেমে আসে, তখন এ দেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক আশা-ভরসার স্থল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রসমাজ। গভীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ঐতিহ্যের পথেই ছাত্ররাজনীতিকে ফিরিয়ে আনার দায় সব মহলকেই অভিন্ন অবস্থান থেকে নিতে হবে। একসময় একজন ছাত্রনেতার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ও সম্মান ছিল, আজকের জাতীয় রাজনীতিতে বিচরণ করা অনেক মন্ত্রী-এমপির প্রতি সেই শ্রদ্ধা নেই কেন? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যে মর্যাদা ছিল আজ ভিসির সে মর্যাদা নেই কেন? তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে। একসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অগ্নিকন্যা খ্যাতি নিয়ে ফৌজি শাসক আইয়ুবের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মতিয়া চৌধুরীরা রাজনীতিকে আলোকিত করে উঠে আসতেন। এককালে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করে লৌহমানব খ্যাত সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়ে গোটা বাংলার ছাত্রসমাজ ও গণমানুষের মহাপ্রলয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে তোফায়েল আহমেদরা ইতিহাস সৃষ্টি করে রাজনীতির আলোকিত সন্তান হিসেবে বেরিয়ে আসতেন। আজ সেই রাজনীতির পথ কেন অবরুদ্ধ? কেন ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কিত? কেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের ইতিহাসের পরিপূরক ছাত্রলীগের ইমেজ গু-ামিতে নিমজ্জিত? তাদের অভিভাবকদের এটি মূল্যায়ন করার সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উপাচার্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যুগের পর যুগ কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে হাঁটেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর হতে কখনো দেখা যায়নি, সেই তারাই ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। গণমাধ্যমে সেই ভয়ঙ্কর খবর উঠে এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

কিছুদিন আগে অনুজপ্রতিম অধ্যাপক জাকির হোসেন চঞ্চল আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। জাকির হোসেন চঞ্চল এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি মহাদুর্দিনে রাজপথের সাহসী মিছিলের কর্মী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পেশাদারিত্বের জায়গায় দলবাজিকে প্রশ্রয় দেননি। একজন সাদা মনের সৎ মানুষ হিসেবে তার একটা নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার নিঃশর্ত আনুগত্য থাকলেও তার কাছে শিক্ষকের মর্যাদাই বড়। তিনি টেলিফোন করে আমাকে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ওপর স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের। পাহাড়ঘেরা ওই মনোরম বিশ্ববিদ্যালয় একসময় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের ভয়ঙ্কর ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে তারা কাফনের টুকরা পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। ’৯১ সালে চট্টগ্রামে রিপোর্ট করতে গিয়ে আমি অধ্যাপক আবদুল মান্নানের পাহাড়ের ওপরে ছোট্ট বাড়িতে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়ে সেই আলামত নিয়ে এসেছিলাম। প্রগতিশীল সব ছাত্রসংগঠন সম্মিলিতভাবে চাকসু নির্বাচনে নাজিমুদ্দিনকে ভিপি ও আজিমুদ্দিনকে জিএস নির্বাচিত করে শিবিরের পতন ঘটিয়েছিল। চাকসু ভিপি নাজিমুদ্দিন ষাটোর্ধ্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত হলেও ছাত্রসমাজ আজও চাকসু নির্বাচনের অধিকার ভোগ করতে পারেনি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে বা প্রতিবাদী ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র কিনা এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

যাক, যে কথা বলছিলাম, জাকির হোসেন চঞ্চলকে টেলিফোনে জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম। রাজনীতিতে বিচক্ষণ তোফায়েল আহমেদ একক স্মারক বক্তৃতার প্রস্তাব পেয়ে ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়কের জীবন ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে আপনার যাওয়া উচিত। তিনি দুই দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তোফায়েল আহমেদ তো রাজি হননি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেনি। মাঝখানে একটি শুভ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি করার অধিকার, দলবাজি করার ক্ষমতা আর দেওয়া যায় কিনা, সেটি এখন দায়িত্বশীলদের উপলব্ধি করতে হবে। উপাচার্যের নামে পাপাচার্য আর ছাত্রলীগের নামে গুণ্ডাবাহিনী বহাল রাখবেন নাকি সংশোধন করবেন, সেটি মূল্যায়ন করতে হবে। সব শিক্ষক যেমন আদর্শহীন নন, লোভী ও ব্যক্তিত্বহীন নন, আত্মমর্যাদাহীন নন, তেমনি সব ছাত্রলীগ কর্মীই চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী নন। অধমদের বাদ দিয়ে উত্তমদের বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দায়িত্বশীলদের। আমরা আশা করব, দায়িত্বশীলরা উত্তম পথটিই গ্রহণ করবেন। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করুন। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবারে সংঘটিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস ও তার নেপথ্যে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য এখনই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
আফগানদের দরকার ১৮ বলে ৩১, বাংলাদেশের দরকার ৪ উইকেট
আফগানদের দরকার ১৮ বলে ৩১, বাংলাদেশের দরকার ৪ উইকেট

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক
অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা
কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট
কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন
ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার
ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি
বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস
কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

২১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা
গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা

৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

প্রিন্ট সর্বাধিক