শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
উপাচার্যরা আজ ডুবেছে পাপাচার্যে, ছাত্রলীগ গুণ্ডামিতে

মঙ্গলবার অফিসে কাজ করতে করতে যখন টিভিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার অপসারণ দাবিতে শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের নির্লজ্জ হামলার ঘটনার খবর দেখছিলাম, তখন মন বিষাদে ভরে গেছে। সংঘর্ষের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলে দুর্ভোগের মুখে অনেক ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। অন্যদিকে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে ছাত্রীদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে এ দেশের সব অগণতান্ত্রিক, অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, অপশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদের সূতিকাগার। দেশের রাজনীতি মরে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্রোহের কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে যায়নি। আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর মহান ছয় দফা, স্বাধিকার, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ইতিহাসের সবচেয়ে বর্ণময় গণঅভ্যুত্থানের কিংবদন্তিগাথা ’৬৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ ও ছাত্ররাজনীতির হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের তারুণ্যের শক্তিকে সংগঠিত করে গণজাগরণ ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাতে ছাত্রসমাজ ও ছাত্রনেতারা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্ররাজনীতির সেই ঐতিহ্যের গৌরব বহু আগেই ধূসর হয়ে গেছে। ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসের ঐতিহ্য বহু আগেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। একটা অসুস্থ রাজনীতি ছাত্ররাজনীতিকে ক্রমশ রাক্ষসের মতো গিলে খেয়েছে।

একসময় ছাত্ররাজনীতি জাতির দিকনির্দেশনা ও স্বপ্নের দুয়ার খুলে দিত। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি জাতিকে আলোকিত বীর নেতৃত্ব উপহার দিত। সেই পথ বেশ আগেই রুদ্ধ হয়ে গেছে। এখন আর ছাত্ররাজনীতি জাতীয় রাজনীতিতে কোনো নেতৃত্ব উপহার দিতে পারে না। ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা-কর্মীদের কাছেই নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছেই নয়, দেশের মানুষের কাছেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন জ্ঞানের আলোর বাতিঘর। একেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন নির্মোহ চিত্তের মুক্তচিন্তা ও চেতনার লালন ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। নেতৃত্ব, দক্ষতা ও পান্ডিত্যের মাধুর্যে মানুষের কাছেও তারা ছিলেন শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত।

দলকানা, দলদাস, ক্ষমতালোভী শিক্ষকদের একটা বড় অংশ ছাত্ররাজনীতির কর্মীদের চেয়েও আজ বড় দলবাজ হতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যেমন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন, তেমনি জ্ঞানের আঁধার বা বাতিঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থের ক্ষমতার লোভে অন্ধ কুৎসিত চেহারায় জাতির সামনে আবির্ভূত হয়েছেন। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পুলিশ প্রবেশ করতে পারত না। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সব ছাত্র সংগঠনের নেতাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও ছাত্ররাজনীতি এবং শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির অবাধ চর্চার নিরাপত্তা দিতেন। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের যে ঐতিহাসিক আত্মার বন্ধন, পিতা-পুত্রের সম্পর্ক সেই সুতোটি বহু আগে কুৎসিত রাজনীতির আগ্রাসনে ছিঁড়ে গেছে।

জাহাঙ্গীরনগরের যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে তারা উপাচার্যের অপাসারণ দাবিতে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলনরত। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম চলমান এই আন্দোলন নিরসনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তেমনি তাদের অভিভাবকত্বের মর্যাদা রক্ষায়ও দেউলিয়াত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাই ছাত্রলীগের হামলার পর যেখানে শিক্ষক ও ছাত্রীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন, শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তখন তিনি বিকারগ্রস্ত উন্মাদের মতো সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, আজকের এই দিন তার জীবনের এক আনন্দের দিন। তিনি হামলাকারী ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেননি, বলেছেন, তারা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যখন নির্লজ্জ বেহায়া হয়ে পড়েন, তখন সেই ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা যেমন থাকতে পারে না, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশও থাকতে পারে না, তেমনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মন্দিরে পরিণত হতে পারে না। জাবি উপাচার্য গণঅভ্যুত্থানের সংজ্ঞা বদলে দম্ভ করেছেন। গণঅভ্যুত্থান হয় শাসকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে যেটি হচ্ছে সেটি ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন। তার পক্ষে যেটি হয়েছে সেটি সন্ত্রাস। নির্লজ্জ কলঙ্ক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের কাছে উন্নয়ন বরাদ্দের কমিশন চাইতে গিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠন থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। শাস্তির খড়্গ নেমে এসেছে। আমরা মনে করি, এমন অপরাধের জন্য তাদের আইনের আওতায় নেওয়া উচিত। একই সময়ে বহুল বিতর্কিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের কোটি টাকার ঈদ বোনাস দানের অভিযোগও সারা দেশে ছড়িয়েছে। মানুষকে ব্যথিত করেছে। কিন্তু এমন কলঙ্কজনক অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করা রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে দলবাজির রাজনীতিতে নিমজ্জিত হবেন, ক্ষমতালোভী উপাচার্য থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করবেন। ছাত্ররা দেশের গরিব জনগণের টাকায় উচ্চশিক্ষা লাভ করবেন, অথচ গণমানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ না করে গুণ্ডামি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজিতে নিমজ্জিত হবেনÑ আর রাষ্ট্র নির্বাক বসে থাকবে এটি হতে পারে না। দেশের এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই, যার দুয়েকজন উপাচার্য ছাড়া কেউ বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ হচ্ছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগ থেকে ছাত্র ভর্তিতে অনিয়ম ও নীতিহীন পথ গ্রহণ করেছেন। জাতির মেধাবী সন্তানরা ছিটকে পড়ে তাদের দলবাজির দারিদ্র্য মানসিক নীতির কারণে। তাদের ব্যক্তিত্ব, আত্মমর্যাদাবোধ, নীতিবোধ ও মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের কারণে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় তার অতীতের গৌরব হারাতে বসেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একসময় উপাচার্য শব্দটি যেখানে দেশের ছাত্রসমাজ থেকে সাধারণ মানুষের মনে দেবতার আসন নিয়ে গভীর শ্রদ্ধা অর্জন করেছে, সেখানে আজ সোশ্যাল মিডিয়া বলছে, তারা পাপাচার্যে নিমজ্জিত হয়েছেন। আজ তারা উপাচার্য নন, পাপাচার্য। আর যে ছাত্রলীগ তার জন্মলগ্ন থেকে বাঙালি জাতির মহত্তম নেতা আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নির্লোভ আদর্শের পথ অবলম্বন করে গণতান্ত্রিক চেতনায় গভীর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আত্মত্যাগের নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, সেই ছাত্রলীগ আজ কমিশন বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী অবস্থানে অবতীর্ণ হয়েছে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে বিতর্কিত করছেন, তাদের ক্ষমতার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। মাঝখানে কলঙ্কিত হচ্ছে ছাত্রলীগ। উপাচার্যরা যেমন পাপাচারে নিমজ্জিত হচ্ছেন, তেমনি ছাত্রলীগ আজ তার ইতিহাসের সব বর্ণাঢ্য গৌরব ও ঐতিহ্যের মুকুট ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে গুণ্ডামিতে ডুবে যাচ্ছে।

রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে ছাত্রলীগ উল্লাস করে গুণ্ডামির নজির স্থাপন করেছে। এই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দিয়েই নিয়মতান্ত্রিক ধারায় যে ফিরিয়ে আনা যাবে না, সেটি এর মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়ে নতুন করে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে হবে। মাঝখানে অনেকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মতামত তুলেছিলেন। ছাত্ররাজনীতির কলঙ্কিত ঘটনাপ্রবাহে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটলেও মন বেদনায় বিধুর হলেও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে আমি কখনো নই। লেজুড়বৃত্তি ও বাণিজ্যিকীকরণের পাপাচার থেকে মুক্ত করে ছাত্ররাজনীতিকে তার আদর্শের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ এবং সারা দেশে প্রতিযোগিতামূলক সুস্থধারার সৃজনশীলতার দুয়ার খুলে দিতে হবে। জাতির জীবনে যখন মহাদুর্যোগ নেমে আসে, তখন এ দেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক আশা-ভরসার স্থল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রসমাজ। গভীর দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের ঐতিহ্যের পথেই ছাত্ররাজনীতিকে ফিরিয়ে আনার দায় সব মহলকেই অভিন্ন অবস্থান থেকে নিতে হবে। একসময় একজন ছাত্রনেতার প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ও সম্মান ছিল, আজকের জাতীয় রাজনীতিতে বিচরণ করা অনেক মন্ত্রী-এমপির প্রতি সেই শ্রদ্ধা নেই কেন? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যে মর্যাদা ছিল আজ ভিসির সে মর্যাদা নেই কেন? তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হবে। একসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অগ্নিকন্যা খ্যাতি নিয়ে ফৌজি শাসক আইয়ুবের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মতিয়া চৌধুরীরা রাজনীতিকে আলোকিত করে উঠে আসতেন। এককালে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত করে লৌহমানব খ্যাত সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়ে গোটা বাংলার ছাত্রসমাজ ও গণমানুষের মহাপ্রলয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে তোফায়েল আহমেদরা ইতিহাস সৃষ্টি করে রাজনীতির আলোকিত সন্তান হিসেবে বেরিয়ে আসতেন। আজ সেই রাজনীতির পথ কেন অবরুদ্ধ? কেন ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কিত? কেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের ইতিহাসের পরিপূরক ছাত্রলীগের ইমেজ গু-ামিতে নিমজ্জিত? তাদের অভিভাবকদের এটি মূল্যায়ন করার সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক উপাচার্য পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যুগের পর যুগ কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে হাঁটেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাতিঘর হতে কখনো দেখা যায়নি, সেই তারাই ঢাকার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। গণমাধ্যমে সেই ভয়ঙ্কর খবর উঠে এলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

কিছুদিন আগে অনুজপ্রতিম অধ্যাপক জাকির হোসেন চঞ্চল আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। জাকির হোসেন চঞ্চল এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই মেধাবী ছাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি মহাদুর্দিনে রাজপথের সাহসী মিছিলের কর্মী ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু পেশাদারিত্বের জায়গায় দলবাজিকে প্রশ্রয় দেননি। একজন সাদা মনের সৎ মানুষ হিসেবে তার একটা নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার নিঃশর্ত আনুগত্য থাকলেও তার কাছে শিক্ষকের মর্যাদাই বড়। তিনি টেলিফোন করে আমাকে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধুর ওপর স্মারক বক্তৃতা আয়োজনের। পাহাড়ঘেরা ওই মনোরম বিশ্ববিদ্যালয় একসময় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবিরের ভয়ঙ্কর ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে তারা কাফনের টুকরা পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। ’৯১ সালে চট্টগ্রামে রিপোর্ট করতে গিয়ে আমি অধ্যাপক আবদুল মান্নানের পাহাড়ের ওপরে ছোট্ট বাড়িতে গিয়ে তার সাক্ষাৎকার নিয়ে সেই আলামত নিয়ে এসেছিলাম। প্রগতিশীল সব ছাত্রসংগঠন সম্মিলিতভাবে চাকসু নির্বাচনে নাজিমুদ্দিনকে ভিপি ও আজিমুদ্দিনকে জিএস নির্বাচিত করে শিবিরের পতন ঘটিয়েছিল। চাকসু ভিপি নাজিমুদ্দিন ষাটোর্ধ্ব হয়ে গেছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিবিরমুক্ত হলেও ছাত্রসমাজ আজও চাকসু নির্বাচনের অধিকার ভোগ করতে পারেনি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রাখা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে বা প্রতিবাদী ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র কিনা এ নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

যাক, যে কথা বলছিলাম, জাকির হোসেন চঞ্চলকে টেলিফোনে জাতীয় নেতা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম। রাজনীতিতে বিচক্ষণ তোফায়েল আহমেদ একক স্মারক বক্তৃতার প্রস্তাব পেয়ে ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়কের জীবন ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে আপনার যাওয়া উচিত। তিনি দুই দিন সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিজেরা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে তোফায়েল আহমেদ তো রাজি হননি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আর স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেনি। মাঝখানে একটি শুভ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি করার অধিকার, দলবাজি করার ক্ষমতা আর দেওয়া যায় কিনা, সেটি এখন দায়িত্বশীলদের উপলব্ধি করতে হবে। উপাচার্যের নামে পাপাচার্য আর ছাত্রলীগের নামে গুণ্ডাবাহিনী বহাল রাখবেন নাকি সংশোধন করবেন, সেটি মূল্যায়ন করতে হবে। সব শিক্ষক যেমন আদর্শহীন নন, লোভী ও ব্যক্তিত্বহীন নন, আত্মমর্যাদাহীন নন, তেমনি সব ছাত্রলীগ কর্মীই চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী নন। অধমদের বাদ দিয়ে উত্তমদের বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দায়িত্বশীলদের। আমরা আশা করব, দায়িত্বশীলরা উত্তম পথটিই গ্রহণ করবেন। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করুন। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবারে সংঘটিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস ও তার নেপথ্যে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য এখনই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেছেন
ভাসানী স্বাধীনতা ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করেছেন

নগর জীবন

জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি
জুলাই সনদের বৈধতা সময়ের দাবি

নগর জীবন