বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

টাইগারদের বড় জয়

এ ধারা ধরে রাখতে হবে

টেস্টে টানা ছয় ম্যাচে হারার পর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এক অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে টাইগাররা। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তারা সফররত জিম্বাবুয়ে দলকে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফিরে এসেছে জয়ের ধারায়। আশা করা হচ্ছে, এই জয় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস সৃষ্টিতে অবদান রাখবে। আসন্ন পাকিস্তান সফরে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জোগাবে। এক সময়ের শক্তিমান জিম্বাবুয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রিকেটের পেছনের কাতারের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টাও যে করছে তা স্পষ্ট। যে কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ে ভালো করবে এমনটিই আশা করেছিল আফ্রিকান দলটি। কিন্তু টাইগাররা সেটি হতে দেয়নি। গত ছয়টি ম্যাচে লজ্জাজনক হার মানলেও জিম্বাবুয়েকে তারা হারিয়েছে বড় ব্যবধানে। জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সোমবার ৯ রান করতেই ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। মঙ্গলবার নাঈম হাসান ও তাইজুলের ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি দলটির ব্যাটসম্যানরা। সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৮৯ রানেই। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া নাঈমের দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ৫ উইকেট। দুর্দান্ত তাইজুল তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ডাবল সেঞ্চুরি করায় ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুমিনুলের কণ্ঠে ছিল স্বস্তির সুর। বলেছেন, দল হিসেবে তারা খুবই ভালো খেলেছেন। ব্যাটসম্যানরা যেমন বড় ইনিংস  খেলেছেন তেমন বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছেন। নাঈমের কথা আলাদা করেই বলতে হবে। অন্যরাও যার যার জায়গা থেকে সেরা পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। চমৎকার ছিল দলীয় সমন্বয়। এই জয়ে টাইগাররা অনেক আত্মবিশ্বাসী। আশা করা যায়, ওয়ানডে সিরিজেও জিতবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরমেটে বেশ এগিয়ে গেলেও টেস্টে তাদের অবস্থান এখনো স্থিতিশীল নয়। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বড় জয় অনুপ্রেরণা জোগাবে। টেস্টে জিততে হলে অটুট আস্থার প্রয়োজন হয়। পর পর ছয় ম্যাচে হেরে টাইগাররা যে আস্থাহীনতায় ভুগছিল তা থেকে সরে আসার জন্য এমন একটি জয়েরই প্রয়োজন ছিল। টাইগারদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর