বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা বিড়ম্বনা

ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট রোধ করুন

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি পাসপোর্টে সৌদি আরবে অবস্থান করে একের পর এক আইন ভঙ্গের কাজ করছে। তাদের অপকর্মের দায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। যেহেতু বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে তারা সে দেশে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে সেহেতু তাদের অস্বীকারের কোনো সুযোগ থাকছে না। ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করলেও রোহিঙ্গারা সৌদি আরবে নিজেদের বাংলাদেশির বদলে বার্মিজ বা বরমাইয়া বলে পরিচয় দেয়। স্মর্তব্য, নব্বইয়ের দশকে ৩ লাখ রোহিঙ্গা সৌদি আরবে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পায়। তারা শরণার্থীর মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। এরপর দেশটিতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা গিয়েছে, যারা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদিতে পাড়ি জমিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের পরবর্তী প্রজন্মও সৌদি আরবে থেকেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের ভাষ্য- কেউ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদিতে এলে তাকে বাংলাদেশি বলেই মেনে নিতে হয় দূতাবাসকে। প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা যে সহায়তা পায়, রোহিঙ্গাদেরও তা দিতে হয়। বাংলাদেশি পরিচয়ে রোহিঙ্গাদের সৌদি যাওয়া ঠেকাতে হলে তারা যেন অবৈধভাবে পাসপোর্ট না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সৌদি আরবের মক্কায় বিভিন্ন বাজারের দোকানি ও বাসিন্দার অনেকে জাতিতে রোহিঙ্গা হলেও কাগজে-কলমে তারা বাংলাদেশি। সবার হাতেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট। মক্কার পাহাড়ি এলাকাগুলোয় রোহিঙ্গাদের বাস। হাতে গোনা কিছু শরণার্থী ছাড়া বাকি সবার রয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীকে একজন নাগরিকের অধীনে থাকতে হয়। যিনি বিদেশি নাগরিকের নিয়োগকারী তার অধীনেই বিদেশি কর্মীকে কাজের অনুমতি দেয় সৌদি সরকার। রোহিঙ্গারা সৌদিতে এসে কফিলের অধীনে থাকে না। আকামা অনুযায়ী যে কাজ করার কথা তা না করে বাকি রোহিঙ্গার সঙ্গে মিলে কাজ করে। আকামা নবায়নও করে না। ফলে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে সৌদিতে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। সে দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার পেছনে যা অন্যতম দায়ী। ফলে রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায় তা নিশ্চিত করা জরুরি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর