শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

খুনি মাজেদ গ্রেফতার

মুজিববর্ষে জাতির জন্য সেরা উপহার

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে অবশেষে ধরা পড়তে হলো। আত্মস্বীকৃত এই খুনি বঙ্গবন্ধু হত্যায় সরাসরি অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির দন্ড কার্যকর হলেও বাকি সাতজন পলাতক থাকায় তারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর মধ্যে আজিজ পাশা নামের এক খুনি জিম্বাবুয়েতে মারা যান। অন্য ছয়জনের মধ্যে মাজেদ ছিলেন অন্যতম। দীর্ঘ দুই দশক যাবৎ তিনি ভারতে লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু একদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক অন্যদিকে এনআরসিতে ধরা পড়ার ভয়ে মাজেদ দেশে পালিয়ে আসেন। ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না’ প্রবাদের যথার্থতা প্রমাণে জাতির পিতার হত্যাকারী আবদুল মাজেদকে যে কোনো সময় ফাঁসিতে ঝুলতে হবে। তার মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরুও হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান কেবল বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই বিচার রুদ্ধ করতে দায়মুক্তির অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বছরের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ’৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেয়। এরপর ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজন আপিল বিভাগে আপিল করেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ছয় বছর আপিল শুনানি না হওয়ায় আটকে যায় বিচার প্রক্রিয়া। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে শুরু হয় আপিল শুনানি। ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ পাঁচ আসামির আপিল খারিজ করে। হাই কোর্টের রায় বহাল থাকায় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি ফারুক, শাহরিয়ার মহিউদ্দিন (ল্যান্সার), হুদা, মহিউদ্দিনের (আর্টিলারি) মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হয়। কাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদের গ্রেফতার ও মৃত্যুদন্ডাদেশ মুজিববর্ষে জাতির জন্য এক বিরাট উপহার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর