শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

পাপীদের ক্ষমতার দরজা খুলে দিয়েছে কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পাপীদের ক্ষমতার দরজা খুলে দিয়েছে কারা?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অপরাধে জেল খাটছেন তার দুর্দিনের রাজপথের কর্মী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একসময়ের দেহরক্ষী লোকমান। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়- শেখ হাসিনাকেই এটা করতে হয়। বাকিদের কোনো দায়িত্ব নেই। যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত মক্ষীরানী পাপিয়া পাঁচ তারকা হোটেলে অবাধ যৌন ও তদবির বাণিজ্যের হেরেম বসিয়েছিলেন। তাকে ধরা হয়। বিএনপির মির্জা আব্বাসের দু’আনি পথের কর্মী জি কে শামীম গণপূর্তের একচ্ছত্র ঠিকাদারি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনেছেন। সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে সাইরেন বাজানো গাড়িতে ঘুরতেন। বিপুল অর্থ মদ অস্ত্রসহ ধরা খেয়ে জেলে। ক্যাসিনোর দুই ভাই বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা পুরান ঢাকার এনু ও রূপন জেলে। তাদের দুই বাসা থেকে পাওয়া গেছে ৩২ কোটি টাকা। টাকার খনি! দুই ভাইয়ের ব্যাংকে পাওয়া গেছে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। ঢাকায় ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে ১২৮টি।

লক্ষ্মীপুরের কুয়েতি পাপুল কোনো দিন রাজনীতির পাঠ না নিয়ে আজ নিজেই নয়, বউয়ের জন্যও এমপি কিনে রাজনীতি ও সংসদকে অপবিত্র করেছেন। দুদক তলব করেছে। ২১ কোটি টাকার এমপি বাণিজ্যের ভাগ কারা পেলেন? কেনাবেচার হাটের দালাল, দূতিয়াল ও ভাগীদার ধরবে না? কুয়েতের জেনারেল পর্যন্ত বরখাস্ত তার মানব পাচার দুর্নীতিতে। দেশে তার বিচার শাস্তি হবে তো? অবৈধ পথে অর্জিত অর্থের দম্ভে মূর্খ পাপুল দম্পতিও সামাজিক মর্যাদা কিনেছেন। আইনপ্রণেতার পদ পেয়েছেন। তার মেয়ে এক এমপি কন্যার বিয়েতে রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেয়। বক্তৃতায় বলে, ‘মেঘনার জল শেষ হয়ে যাবে, আমার বাপের টাকা শেষ হবে না’।

সমাজ কতটা নষ্ট হলে সামাজিক মর্যাদা টাকায় কেনাবেচা হয়! বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কর্মীদের রক্তঝরা, শেখ হাসিনাসহ কত নেতানেত্রী, কর্মীর জীবনবাজি যুদ্ধে গড়া সংগ্রামের আওয়ামী লীগে আজ এত পাপী কোথা থেকে কারা আনল! কারা খুলে দিল বিষাক্ত পাপীদের ক্ষমতার দরজা, কারা দিল সিঁড়ি? কারা দিল পাহারা? গোটা সমাজ এখন সীমাহীন সর্বগ্রাসী লোভের বিষে বিষাক্ত। দেশজুড়ে চলছে রুচির দুর্ভিক্ষ! সুচিন্তা নেই, আছে কুচিন্তা! আমরা উত্তরের মঙ্গা নির্বাসনে দিলেও রুচির ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি নেই।

সমালোচনা নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেই চাওয়া বেশি। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা। বলেছেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে কাউকে দেখছি না। দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের ধরছি বলেই কথা হচ্ছে। দুঃখজনক, আমরা চোর ধরার পর আমাদের চোর বলা হয়।’ হ্যাঁ, মুজিবকন্যা ধরছেন। ধরলেই মানুষ খুশি হয়। কিন্তু ভয় আশঙ্কা অবিশ্বাস সন্দেহ যে, শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না, তবে অনেককেই কেনা যায়! ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দলের ও প্রশাসনের যেসব ক্ষমতাবান এত পাপ ও পাপী তৈরি করেছেন তাদের না ধরলে আমরা পাপমুক্ত হব কি? আটক পাপীরা তো মডেল মাত্র। সমাজে সহস্র পাপী দাপটে চলছে। এদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় শক্তি সাহায্য দিয়েছেন সেসব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহালোভীর কোমর ভেঙে না দিলে লোভের লকলকে জিব টানা যাবে না। পাপুল, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, আরিফ, নারী পাচারকারী আজম খানরা দেশের ইজ্জত পৃথিবীতেও শেষ করেছে। কতজন নিরাপদে প্রতারণা লুটপাট করছে।

বাইরের দুনিয়ায় খবর হয়েছে বাংলাদেশে করোনার জাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। জাল রিপোর্ট হয়। পৃথিবীর পথ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। ইমেজের বারোটা!

প্রতারক সাহেদ এখনো গ্রেফতার হয়নি কেন? করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তার অবৈধ রিজেন্ট হাসপাতাল চুক্তি করে। ৬ হাজারের বেশি টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। প্রতারণা করে ৩ কোটি টাকা হাতিয়েছে। রোগী ও সরকার থেকে টাকা লুটেছে! বেরিয়েছে তার প্রতারণার পিলে চমকানো ইতিহাস। ওয়ান-ইলেভেনে হাওয়া ভবনের গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্যের অপরাধে দুই বছর জেল খাটার কাহিনি। এসএসসি পাস এমন চতুর বাটপার সম্পর্কে আগে জানিনি সংবাদকর্মী হয়ে এটা আমার ব্যর্থতা ও লজ্জা।

ওয়ান-ইলেভেন শেষে জেলমুক্ত হয়ে এমএলএম কোম্পানি বিডিএস ক্লিক ওয়ান খুলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় দুটি, বরিশালে একটি, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় আটটিসহ ৩২ মামলা রয়েছে। সে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক বিমানবন্দর শাখা থেকে ৩ কোটি টাকা লোন নেয় নিজেকে কর্নেল (অব.) পরিচয়ে কাগজপত্র দাখিল করে। দুটি মামলা আদালতে চলমান।

সাহেদের কুকর্ম ফাঁস হলে এখন সবাই কার সঙ্গে তার ছবি তাই ট্রল করতেই ব্যস্ত। কিন্তু প্রশ্ন রাষ্ট্রীয়, সরকারি ও সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠানে অনেকের সঙ্গে অনেকে ছবি তোলেন। আমরাও যেখানে যাই অনেকে ছবি তোলেন। এটা নিয়ে বিতর্ক করে পাপীদের রক্ষা করব নাকি তাদের পাপের বিচার চাইব? সব অপরাধীর গডফাদার, সহযোগীদের মুখোশ খুলে আইনের আওতায় এনে বিচার চাইব কিনা তা ঠিক করতে হবে। আমরা না হয় কারও বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে কারও সঙ্গে ছবি আর নাই ওঠালাম। কিন্তু এক সাহেদে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই তো বেকুব বনে গেল। কারা দাওয়াত করত তাকে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ও গোয়েন্দা সংস্থা কি খবর রাখেনি! গণমাধ্যমের চোখেও কেন আসেনি! পুলিশ প্রটোকল কেন পেত সাহেদ! কারা দিত? আমাদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট কত দুর্বল! প্রতারণার শিকারদের কেউ প্রেস কনফারেন্স করে জানায়নি কেন?

সে গেছে বঙ্গভবন থেকে গণভবন, সেনাকুঞ্জ হয়ে সব রাষ্ট্রীয়, সরকারি-বেসরকারি সামাজিক অনুষ্ঠানে। সবার সঙ্গেই ছবি তুলেছে। গিয়েছে আইজিপির অনুষ্ঠানেও। কোথায় নেই সাহেদ? কারা তাকে ক্ষমতার দরজায় প্রবেশাধিকার দিয়েছিল? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা তাকে সুযোগ দিয়েছেন? কীসের বিনিময়ে? টকশোর কোন কোন অসৎ অ্যাংকর কীসের লোভে তাকে আলোচক বানান? বহুবার টকশোয় বলেছি, সামরিক শাসকরা ওপর থেকে নেতা তৈরি করতেন, আওয়ামী লীগের ১১ বছরে দেখেছি বুদ্বিজীবী তৈরি করতে! তাই বলে অসৎ ভিখিরি অ্যাংকরের টেবিলে এত সস্তা প্রতারককে রাজনীতি বিশ্লেষক বানাল যারা তাদের মুখে আজ মানুষের ঘেন্না। এখনো কত কিসিমের বিজ্ঞ আনে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ দায় এড়াতে পারে না। সবার সতর্কতা সংশোধন অনিবার্য।

রাষ্ট্রপতি তাকে চিনতেন না, প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, আইজিপি ও সমাজের বিশিষ্টজনরাও নন। তবু কীভাবে কারা তাকে সুযোগ করে দেন? সে তো ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানির সঙ্গেও দেখা করেছে। তার সঙ্গে ছবি নেই এমন মানুষ সমাজে নেই! অথচ কঠিন দুঃসময়ের কত নির্লোভ আদর্শিক মাঠকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে না! গণভবন বঙ্গভবনে ঢুকতে পারেন না। ক্ষমতাবানদের কাছে যেতে পারে না কত অসহায় মানুষ। সমাজের কত মর্যাদাবান খ্যাতিমানরা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দাওয়াত কার্ড পান না! ছবি সেল করা বাটপাড়দের দেওয়া হয় সুবর্ণ সুযোগ। এদের ধরতে হবে।

সাহেদ কার হাতে আওয়ামী লীগের মতো পোড় খাওয়া দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির ২৪ নম্বর সদস্য হলো? এ দলে কি আকাল পড়েছে যোগ্য লোকের? ছাত্রলীগ করে উঠে আসা কত মেধাবী সমাজে। তাদের খবর কেউ রাখে না! নাকি দলে আজ পুরনো আদর্শিক মার খাওয়া ত্যাগীরা বাতিল, নব্য বাটপাড়রা দুধকলায়? দলের নেতাদের জবাবদিহি কেন করতে হবে না? তদন্ত কেন হবে না? সবার আজ চোখ-কান খোলার সময়। সাহেদের স্ত্রী রিম্মি আরও বড় অভিনেত্রীর মতো কথা বলেছে। বিবেকহীনরা তার পক্ষে সাফাইও গাইছেন ফেসবুকে! রিম্মি নাকি নিজের জীবন নষ্ট করে ফেরাতে চেয়েছে! বিটিভির একসময়ের প্রযোজক, ’৭১-এ জামালপুরের পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে গান গাওয়া শাহিদা আরাবীর কন্যা রিম্মি পাপের সম্পদ দেখে লোভে বিয়ে করে ভোগবিলাস করে। দেহরক্ষী নিয়ে সবার সঙ্গে ছবি তুলে এখন সতী! স্বামীর পাপের সম্পদ, নীতিহীন জীবনভোগে গর্ব, আনন্দ! নারী কেলেঙ্কারিতেই কেবল জ্বালা! সাহেদ এসএসসি পাস হলে, এত মামলা থাকলে কারা কোন আইনে দিলেন পত্রিকার ডিক্লারেশন?

সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর পোশাক বিতর্ক হতো না, তিনি যদি ক্যাবারে ড্যান্সার, নায়িকা বা মডেল হতেন। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জনের যৌন আবেদনময়ী অর্ধনগ্ন যত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রয়েছে, পেশার সঙ্গে যায় না। গ্রেফতার হওয়ার সময় ঠিকই সম্মানের সাদা অ্যাপ্রোন গায়ে ধরা দিয়েছেন। বেচতে হবে পেশা, শরীর বাজারে চলছে না। তার স্বামী প্রতারক আরিফ চৌধুরী দোসরদের সঙ্গে আগেই জেলবন্দী। দুজনেরই হালি হালি বিয়ে। এমন বহুবিয়েতে আসক্তদের খপ্পরে কত নর-নারী প্রতারিত হয়েছে। হয়তো তাদের গ্লানি লজ্জাও আছে। জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা রূপের ঝলকানিতে শরীরের দাপটে আধিপত্য বিস্তার করেন। বিভাগীয় প্রধান বেহুঁশ ছিলেন। প্রতারক জীবনসঙ্গী মাদকাসক্ত আরিফকে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করেন। জেকেজি ২৭ হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ছাড়াই ১৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। আরিফ ধরা খেয়ে সব বলেছে। অনেকে সাবরিনাকে বাঁচাতে চাইলেও পারেননি। সাময়িক বরখাস্ত নয়, প্রতারণার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। চিকিৎসক সনদ বাতিল চাই।

স্বাস্থ্য খাতের একচ্ছত্র মাফিয়াডন মিঠুকে ধরা হয় না। তার গডফাদাররা সবখানে বহাল, তার দুর্নীতির চেইন সচল! কেউ ধরা পড়ে না। কি অবস্থা! সব অপরাধীকে ধরতে হবে। সাহেদের সঙ্গে চুক্তিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকই নয়, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব কেন পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন? সাহেদ তাদের বুকের ধন মানিক? লজ্জা করেনি? স্বাস্থ্য অধিদফতর ওপরের নির্দেশে চুক্তি বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা তাদের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ। মহাপরিচালককে শোকজ করলেই হবে না। অথর্ব মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের সিন্ডিকেটের কর্মকর্তাদের ওএসডি করলেই হয়।

এদিকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইয়ে পাচার করে ‘যৌনকর্ম ও ক্যাবারে ড্যান্সে বাধ্য করার’ অভিযোগে আটক হলেন চট্টগ্রামের আজম খান। সেখানে চারটি হোটেলে আয়ের উৎস হলো ড্যান্সবার। গত আট বছরে সহস্রাধিক তরুণীকে আরব আমিরাতে পাচার করেছে। ছয়টি হত্যা মামলাসহ আজম খানের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।

আজ সমাজে বহুরূপী বাস করে বেশি। কে ডাক্তার, কে মক্ষীরানী না রাজনৈতিক নেত্রী, কে চোর বাটপাড় প্রতারক নাকি তদবিরবাজ, কমিশনভোগী দালাল, প্রতারক না দলের নেতা, কে সৎ কে লোভী অসৎ, কে আদর্শিক সত্যবাদী, কে চরম মিথ্যুক, কে সৃজনশীল নাগরিক কে বিকৃত, রুচিহীন, কে টিভির অ্যাংকর কে অসৎ সস্তা ভিখিরি, কে দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক, কে সৎ কমিটেড, কে চিটার কে পেশাদার, কে সৎ পাবলিক সার্ভেন্ট, কে দুর্নীতিবাজ দাম্ভিক নব্য দলবাজ আমলা, কে রাজনৈতিক কর্মী, কে অনুপ্রবেশকারী বা বেশ্যার দালাল কে শিল্পী, কে রক্ষিতা, কে মডেল, অভিনেত্রী, কে দেহপসারিণী, কে দেশপ্রমিক ব্যবসায়ী, কে ব্যাংক ডাকাত অর্থ পাচারকারী, কে আইনজীবী, কে আদালতপাড়ার টাউট, কে প্রেমিক, কে নির্দয় চতুর প্রতারক বোঝা যায় না, চেনা যায় না! সমাজকে কতিপয় চরিত্রহীন চরম লোভী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এমন করেছে যে চেনা বড় দায়! এ সমাজে বিচরণ করতে বড় ভয়! এ সমাজ মেনে নেওয়ার নয়! এ দায় বিভিন্ন পেশার ক্ষমতাবান বা দায়িত্বশীলরা এড়াতে পারেন না। মানুষেরও চরিত্র নষ্ট হচ্ছে। এই পাপীদের দায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তিকে নিতে হবে। বের করতে হবে মোড়লদের। সমাজের মানুষেরও দায় নিতে হবে। জাগতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। সমাজের ভারসাম্য রক্ষাকারী মধ্যবিত্তের একটা অংশও লোভে ভেসে যাচ্ছে। লোভের পথ রুখতে হবে।

চাণক্য ছিলেন ভারত উপমহাদেশের নামকরা অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও কূটনীতির গুরু, দার্শনিক। তিনি ছিলেন চন্দ্রগুপ্তের মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীই নন সফল চালিকাশক্তিও। প্রায় ২৩০০ বছর আগে তিনি তাঁর শিক্ষাদান ও কর্মকা- চালিয়েছেন। কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামেও তিনি পরিচিত।

ভারতের কূটনীতিকে এখনো চাণক্যনীতি ও দিল্লির মনোরম কূটনৈতিক পল্লীকে চাণক্যপাড়া বলা হয়। চাণক্য বলেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই বিষ, যার একটি লোভ। লোভ আজ গোটা বাংলাদেশের রাজনীতি অর্থনীতি প্রশাসন সমাজ পরিবার সবকিছুকেই কলুষিত তছনছ করে দিয়েছে। লোভের বিষাক্ত সমাজকে বাঁচাতে হবে সবাই মিলে। ক্লাইভ জেমসের উক্তি, ‘বিখ্যাত না হয়ে জীবন কাটালেও সুন্দর জীবন কাটানো সম্ভব, কিন্তু জীবনের মতো জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া কখনো সুন্দর জীবন হতে পারে না’Ñ এটা ভুলতে বসেছি। সবাই রাতারাতি যেনতেন টাকা চাই, ক্ষমতা বাহাদুরি চাই। পরিবার সমাজ সেই সহজ সরল সৎ নিরাভরণ জীবনের আদর্শিক মায়ামমতার বন্ধন ছিন্ন করে বেপরোয়া অশান্ত হিংসা বিদ্বেষ সীমাহীন লোভের রাহুগ্রাসে পতিত।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি দার্শনিক এপিজে আবদুল কালাম চমৎকার বলেছেন, যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারেন। তারা হলেনÑ বাবা, মা এবং শিক্ষক। আমাদের মায়েদের আদর্শলিপি কি এখন হৃদয় দিয়ে পাঠ হয়? অনেক বাবা ছেলের দলীয় পদবাণিজ্যে বিনিয়োগ করেন! শিক্ষকরা জ্ঞানের আলো নয়, গুরু নয়, দলকানা লোভ মোহে অন্ধ। তারা কি বদলাবেন?

যেখানে পদবাণিজ্য, কমিটিবাণিজ্য, মনোনয়নবাণিজ্য হয় সেখানে আদর্শ আর রাজনীতি থাকে কোথায়? যেখানে নিয়োগবাণিজ্য, কমিশনবাণিজ্য, ফাইল আটকে ঘুষবাণিজ্য রমরমা হয় সেখানে মানবসেবা, জনসেবা আইন সংবিধান থাকে কোথায়? যেখানে বঙ্গবন্ধুর নামে এমপি মন্ত্রী হয়ে, শেখ হাসিনার নামে দলের পদবি, রাজনৈতিক নিয়োগ নিয়ে অবৈধ অর্থবিত্ত অর্জন করে সেখানে রাজনীতি কতটা অন্তঃসারশূন্য? কতটা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা? বিশ্বাসঘাতক অসৎ লম্পট চরিত্রহীন লোভী প্রতারক দিয়ে দেশপ্রেম নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ নয়, নষ্ট সমাজ তৈরি করা যায়। এ নষ্ট সমাজ আজ মানুষের বসবাস উপযোগী নয়, প্রতারক বাটপাড় অসৎদের বিচরণ ভূমিতে পরিণত। লাজলজ্জা মূল্যবোধ নীতি আদর্শ শালীনতা সততার মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছে। সমাজটাকে মেরুদন্ডহীন লোভী, লম্পট, দালাল, পেশাদার তদবিরবাজ, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, ব্যাংক ডাকাত, বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের অভয়াশ্রমে পরিণত করেছে।

একটা সময় লোভহীন সমাজে সবাই যার যার আত্মমর্যাদা নিয়ে সামাজিক মর্যাদায় বাস করতেন। আদর্শিক মূল্যবোধের রক্ষণশীল মধ্যবিত্তের ভারসাম্য রক্ষা করা সমাজে সবাই সৎ ছিলেন। সমাজে অসৎ টাউট বাটপাড় দুর্নীতিগ্রস্ত চরিত্রহীন নর-নারীর কেবল মর্যাদা ছিল না। লোভের পাপ সব কেড়ে নিয়েছে।

’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হারানোর জখম বুকে আমরা সয়েছি দীর্ঘ পথে খুনিদের দম্ভ। ঘৃণা খুনি ও তার পরিবারের জন্য। কি কঠিন অন্ধকার দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে! এখন তো গোটা দেশ আওয়ামী লীগ। সেদিন আজকের অজস্র মোনাফেক যেন আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ করেছিল! এখন চেনা যাবে না। তখন যাবে। যেমন দেখেছি আমরা সেই সময়, এখন দেখছে বিএনপি! তাদের হৃষ্টপুষ্ট বিড়াল এখন আওয়ামী লীগ সরকারের দুধের হাঁড়িতে। ক্ষমতা গেলে মুখ মুছে ধীর পায়ে হেঁটে যাবে নিরাপদে। এখন ক্ষমতার লোভে যারা বাহাদুর তখন হবেন ইঁদুর।

পুনশ্চ : দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির প্রতিষ্ঠাতা, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, শিল্পপতি নুরুল ইসলাম বাবুলও করোনার থাবায় চলে গেলেন! আমরা জানি না আরও কতজনের মৃত্যু কত শূন্যতার সৃষ্টি করবে। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতে ঠাঁই দিন।

 

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব

২২ সেকেন্ড আগে | ভোটের হাওয়া

নারায়ণগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
নারায়ণগঞ্জে তিতাসের পাইপলাইনে ফাটল, গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষণা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে দল ঘোষণা

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা তরুণীসহ আটক ২

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ
সাত কলেজে ক্লাস শুরুর তারিখ জানাল কর্তৃপক্ষ

৩৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন
কলাপাড়ায় মহিলা দলের সম্মেলন

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম
শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি জাতি গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার: ড. ওবায়দুল ইসলাম

৪৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো
আইসিসিবিতে চার দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো

৪৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?

৫৬ মিনিট আগে | শোবিজ

টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার

৫৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে বাড়ির উঠানের গর্তে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ
চট্টগ্রামে বাড়ির উঠানের গর্তে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুমকীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
দুমকীতে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন
‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব
গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ
ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা