শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০ আপডেট:

পাপীদের ক্ষমতার দরজা খুলে দিয়েছে কারা?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
পাপীদের ক্ষমতার দরজা খুলে দিয়েছে কারা?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ক্যাসিনো বাণিজ্যের অপরাধে জেল খাটছেন তার দুর্দিনের রাজপথের কর্মী ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একসময়ের দেহরক্ষী লোকমান। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়- শেখ হাসিনাকেই এটা করতে হয়। বাকিদের কোনো দায়িত্ব নেই। যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত মক্ষীরানী পাপিয়া পাঁচ তারকা হোটেলে অবাধ যৌন ও তদবির বাণিজ্যের হেরেম বসিয়েছিলেন। তাকে ধরা হয়। বিএনপির মির্জা আব্বাসের দু’আনি পথের কর্মী জি কে শামীম গণপূর্তের একচ্ছত্র ঠিকাদারি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনেছেন। সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে সাইরেন বাজানো গাড়িতে ঘুরতেন। বিপুল অর্থ মদ অস্ত্রসহ ধরা খেয়ে জেলে। ক্যাসিনোর দুই ভাই বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা পুরান ঢাকার এনু ও রূপন জেলে। তাদের দুই বাসা থেকে পাওয়া গেছে ৩২ কোটি টাকা। টাকার খনি! দুই ভাইয়ের ব্যাংকে পাওয়া গেছে ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। ঢাকায় ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে ১২৮টি।

লক্ষ্মীপুরের কুয়েতি পাপুল কোনো দিন রাজনীতির পাঠ না নিয়ে আজ নিজেই নয়, বউয়ের জন্যও এমপি কিনে রাজনীতি ও সংসদকে অপবিত্র করেছেন। দুদক তলব করেছে। ২১ কোটি টাকার এমপি বাণিজ্যের ভাগ কারা পেলেন? কেনাবেচার হাটের দালাল, দূতিয়াল ও ভাগীদার ধরবে না? কুয়েতের জেনারেল পর্যন্ত বরখাস্ত তার মানব পাচার দুর্নীতিতে। দেশে তার বিচার শাস্তি হবে তো? অবৈধ পথে অর্জিত অর্থের দম্ভে মূর্খ পাপুল দম্পতিও সামাজিক মর্যাদা কিনেছেন। আইনপ্রণেতার পদ পেয়েছেন। তার মেয়ে এক এমপি কন্যার বিয়েতে রোলেক্স ঘড়ি উপহার দেয়। বক্তৃতায় বলে, ‘মেঘনার জল শেষ হয়ে যাবে, আমার বাপের টাকা শেষ হবে না’।

সমাজ কতটা নষ্ট হলে সামাজিক মর্যাদা টাকায় কেনাবেচা হয়! বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কর্মীদের রক্তঝরা, শেখ হাসিনাসহ কত নেতানেত্রী, কর্মীর জীবনবাজি যুদ্ধে গড়া সংগ্রামের আওয়ামী লীগে আজ এত পাপী কোথা থেকে কারা আনল! কারা খুলে দিল বিষাক্ত পাপীদের ক্ষমতার দরজা, কারা দিল সিঁড়ি? কারা দিল পাহারা? গোটা সমাজ এখন সীমাহীন সর্বগ্রাসী লোভের বিষে বিষাক্ত। দেশজুড়ে চলছে রুচির দুর্ভিক্ষ! সুচিন্তা নেই, আছে কুচিন্তা! আমরা উত্তরের মঙ্গা নির্বাসনে দিলেও রুচির ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি নেই।

সমালোচনা নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেই চাওয়া বেশি। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কথা। বলেছেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে কাউকে দেখছি না। দুর্নীতিবাজ অপরাধীদের ধরছি বলেই কথা হচ্ছে। দুঃখজনক, আমরা চোর ধরার পর আমাদের চোর বলা হয়।’ হ্যাঁ, মুজিবকন্যা ধরছেন। ধরলেই মানুষ খুশি হয়। কিন্তু ভয় আশঙ্কা অবিশ্বাস সন্দেহ যে, শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না, তবে অনেককেই কেনা যায়! ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দলের ও প্রশাসনের যেসব ক্ষমতাবান এত পাপ ও পাপী তৈরি করেছেন তাদের না ধরলে আমরা পাপমুক্ত হব কি? আটক পাপীরা তো মডেল মাত্র। সমাজে সহস্র পাপী দাপটে চলছে। এদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় শক্তি সাহায্য দিয়েছেন সেসব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহালোভীর কোমর ভেঙে না দিলে লোভের লকলকে জিব টানা যাবে না। পাপুল, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, আরিফ, নারী পাচারকারী আজম খানরা দেশের ইজ্জত পৃথিবীতেও শেষ করেছে। কতজন নিরাপদে প্রতারণা লুটপাট করছে।

বাইরের দুনিয়ায় খবর হয়েছে বাংলাদেশে করোনার জাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। জাল রিপোর্ট হয়। পৃথিবীর পথ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। ইমেজের বারোটা!

প্রতারক সাহেদ এখনো গ্রেফতার হয়নি কেন? করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তার অবৈধ রিজেন্ট হাসপাতাল চুক্তি করে। ৬ হাজারের বেশি টেস্ট না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। প্রতারণা করে ৩ কোটি টাকা হাতিয়েছে। রোগী ও সরকার থেকে টাকা লুটেছে! বেরিয়েছে তার প্রতারণার পিলে চমকানো ইতিহাস। ওয়ান-ইলেভেনে হাওয়া ভবনের গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্যের অপরাধে দুই বছর জেল খাটার কাহিনি। এসএসসি পাস এমন চতুর বাটপার সম্পর্কে আগে জানিনি সংবাদকর্মী হয়ে এটা আমার ব্যর্থতা ও লজ্জা।

ওয়ান-ইলেভেন শেষে জেলমুক্ত হয়ে এমএলএম কোম্পানি বিডিএস ক্লিক ওয়ান খুলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় দুটি, বরিশালে একটি, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় আটটিসহ ৩২ মামলা রয়েছে। সে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক বিমানবন্দর শাখা থেকে ৩ কোটি টাকা লোন নেয় নিজেকে কর্নেল (অব.) পরিচয়ে কাগজপত্র দাখিল করে। দুটি মামলা আদালতে চলমান।

সাহেদের কুকর্ম ফাঁস হলে এখন সবাই কার সঙ্গে তার ছবি তাই ট্রল করতেই ব্যস্ত। কিন্তু প্রশ্ন রাষ্ট্রীয়, সরকারি ও সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠানে অনেকের সঙ্গে অনেকে ছবি তোলেন। আমরাও যেখানে যাই অনেকে ছবি তোলেন। এটা নিয়ে বিতর্ক করে পাপীদের রক্ষা করব নাকি তাদের পাপের বিচার চাইব? সব অপরাধীর গডফাদার, সহযোগীদের মুখোশ খুলে আইনের আওতায় এনে বিচার চাইব কিনা তা ঠিক করতে হবে। আমরা না হয় কারও বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে কারও সঙ্গে ছবি আর নাই ওঠালাম। কিন্তু এক সাহেদে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানই তো বেকুব বনে গেল। কারা দাওয়াত করত তাকে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ও গোয়েন্দা সংস্থা কি খবর রাখেনি! গণমাধ্যমের চোখেও কেন আসেনি! পুলিশ প্রটোকল কেন পেত সাহেদ! কারা দিত? আমাদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট কত দুর্বল! প্রতারণার শিকারদের কেউ প্রেস কনফারেন্স করে জানায়নি কেন?

সে গেছে বঙ্গভবন থেকে গণভবন, সেনাকুঞ্জ হয়ে সব রাষ্ট্রীয়, সরকারি-বেসরকারি সামাজিক অনুষ্ঠানে। সবার সঙ্গেই ছবি তুলেছে। গিয়েছে আইজিপির অনুষ্ঠানেও। কোথায় নেই সাহেদ? কারা তাকে ক্ষমতার দরজায় প্রবেশাধিকার দিয়েছিল? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা তাকে সুযোগ দিয়েছেন? কীসের বিনিময়ে? টকশোর কোন কোন অসৎ অ্যাংকর কীসের লোভে তাকে আলোচক বানান? বহুবার টকশোয় বলেছি, সামরিক শাসকরা ওপর থেকে নেতা তৈরি করতেন, আওয়ামী লীগের ১১ বছরে দেখেছি বুদ্বিজীবী তৈরি করতে! তাই বলে অসৎ ভিখিরি অ্যাংকরের টেবিলে এত সস্তা প্রতারককে রাজনীতি বিশ্লেষক বানাল যারা তাদের মুখে আজ মানুষের ঘেন্না। এখনো কত কিসিমের বিজ্ঞ আনে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ দায় এড়াতে পারে না। সবার সতর্কতা সংশোধন অনিবার্য।

রাষ্ট্রপতি তাকে চিনতেন না, প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, আইজিপি ও সমাজের বিশিষ্টজনরাও নন। তবু কীভাবে কারা তাকে সুযোগ করে দেন? সে তো ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানির সঙ্গেও দেখা করেছে। তার সঙ্গে ছবি নেই এমন মানুষ সমাজে নেই! অথচ কঠিন দুঃসময়ের কত নির্লোভ আদর্শিক মাঠকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারে না! গণভবন বঙ্গভবনে ঢুকতে পারেন না। ক্ষমতাবানদের কাছে যেতে পারে না কত অসহায় মানুষ। সমাজের কত মর্যাদাবান খ্যাতিমানরা রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দাওয়াত কার্ড পান না! ছবি সেল করা বাটপাড়দের দেওয়া হয় সুবর্ণ সুযোগ। এদের ধরতে হবে।

সাহেদ কার হাতে আওয়ামী লীগের মতো পোড় খাওয়া দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির ২৪ নম্বর সদস্য হলো? এ দলে কি আকাল পড়েছে যোগ্য লোকের? ছাত্রলীগ করে উঠে আসা কত মেধাবী সমাজে। তাদের খবর কেউ রাখে না! নাকি দলে আজ পুরনো আদর্শিক মার খাওয়া ত্যাগীরা বাতিল, নব্য বাটপাড়রা দুধকলায়? দলের নেতাদের জবাবদিহি কেন করতে হবে না? তদন্ত কেন হবে না? সবার আজ চোখ-কান খোলার সময়। সাহেদের স্ত্রী রিম্মি আরও বড় অভিনেত্রীর মতো কথা বলেছে। বিবেকহীনরা তার পক্ষে সাফাইও গাইছেন ফেসবুকে! রিম্মি নাকি নিজের জীবন নষ্ট করে ফেরাতে চেয়েছে! বিটিভির একসময়ের প্রযোজক, ’৭১-এ জামালপুরের পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে গান গাওয়া শাহিদা আরাবীর কন্যা রিম্মি পাপের সম্পদ দেখে লোভে বিয়ে করে ভোগবিলাস করে। দেহরক্ষী নিয়ে সবার সঙ্গে ছবি তুলে এখন সতী! স্বামীর পাপের সম্পদ, নীতিহীন জীবনভোগে গর্ব, আনন্দ! নারী কেলেঙ্কারিতেই কেবল জ্বালা! সাহেদ এসএসসি পাস হলে, এত মামলা থাকলে কারা কোন আইনে দিলেন পত্রিকার ডিক্লারেশন?

সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর পোশাক বিতর্ক হতো না, তিনি যদি ক্যাবারে ড্যান্সার, নায়িকা বা মডেল হতেন। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জনের যৌন আবেদনময়ী অর্ধনগ্ন যত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রয়েছে, পেশার সঙ্গে যায় না। গ্রেফতার হওয়ার সময় ঠিকই সম্মানের সাদা অ্যাপ্রোন গায়ে ধরা দিয়েছেন। বেচতে হবে পেশা, শরীর বাজারে চলছে না। তার স্বামী প্রতারক আরিফ চৌধুরী দোসরদের সঙ্গে আগেই জেলবন্দী। দুজনেরই হালি হালি বিয়ে। এমন বহুবিয়েতে আসক্তদের খপ্পরে কত নর-নারী প্রতারিত হয়েছে। হয়তো তাদের গ্লানি লজ্জাও আছে। জেকেজির চেয়ারম্যান সাবরিনা রূপের ঝলকানিতে শরীরের দাপটে আধিপত্য বিস্তার করেন। বিভাগীয় প্রধান বেহুঁশ ছিলেন। প্রতারক জীবনসঙ্গী মাদকাসক্ত আরিফকে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করেন। জেকেজি ২৭ হাজার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ছাড়াই ১৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। আরিফ ধরা খেয়ে সব বলেছে। অনেকে সাবরিনাকে বাঁচাতে চাইলেও পারেননি। সাময়িক বরখাস্ত নয়, প্রতারণার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। চিকিৎসক সনদ বাতিল চাই।

স্বাস্থ্য খাতের একচ্ছত্র মাফিয়াডন মিঠুকে ধরা হয় না। তার গডফাদাররা সবখানে বহাল, তার দুর্নীতির চেইন সচল! কেউ ধরা পড়ে না। কি অবস্থা! সব অপরাধীকে ধরতে হবে। সাহেদের সঙ্গে চুক্তিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকই নয়, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব কেন পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন? সাহেদ তাদের বুকের ধন মানিক? লজ্জা করেনি? স্বাস্থ্য অধিদফতর ওপরের নির্দেশে চুক্তি বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা তাদের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ। মহাপরিচালককে শোকজ করলেই হবে না। অথর্ব মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তাসহ বিভাগীয় পর্যায়ের সিন্ডিকেটের কর্মকর্তাদের ওএসডি করলেই হয়।

এদিকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইয়ে পাচার করে ‘যৌনকর্ম ও ক্যাবারে ড্যান্সে বাধ্য করার’ অভিযোগে আটক হলেন চট্টগ্রামের আজম খান। সেখানে চারটি হোটেলে আয়ের উৎস হলো ড্যান্সবার। গত আট বছরে সহস্রাধিক তরুণীকে আরব আমিরাতে পাচার করেছে। ছয়টি হত্যা মামলাসহ আজম খানের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।

আজ সমাজে বহুরূপী বাস করে বেশি। কে ডাক্তার, কে মক্ষীরানী না রাজনৈতিক নেত্রী, কে চোর বাটপাড় প্রতারক নাকি তদবিরবাজ, কমিশনভোগী দালাল, প্রতারক না দলের নেতা, কে সৎ কে লোভী অসৎ, কে আদর্শিক সত্যবাদী, কে চরম মিথ্যুক, কে সৃজনশীল নাগরিক কে বিকৃত, রুচিহীন, কে টিভির অ্যাংকর কে অসৎ সস্তা ভিখিরি, কে দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক, কে সৎ কমিটেড, কে চিটার কে পেশাদার, কে সৎ পাবলিক সার্ভেন্ট, কে দুর্নীতিবাজ দাম্ভিক নব্য দলবাজ আমলা, কে রাজনৈতিক কর্মী, কে অনুপ্রবেশকারী বা বেশ্যার দালাল কে শিল্পী, কে রক্ষিতা, কে মডেল, অভিনেত্রী, কে দেহপসারিণী, কে দেশপ্রমিক ব্যবসায়ী, কে ব্যাংক ডাকাত অর্থ পাচারকারী, কে আইনজীবী, কে আদালতপাড়ার টাউট, কে প্রেমিক, কে নির্দয় চতুর প্রতারক বোঝা যায় না, চেনা যায় না! সমাজকে কতিপয় চরিত্রহীন চরম লোভী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এমন করেছে যে চেনা বড় দায়! এ সমাজে বিচরণ করতে বড় ভয়! এ সমাজ মেনে নেওয়ার নয়! এ দায় বিভিন্ন পেশার ক্ষমতাবান বা দায়িত্বশীলরা এড়াতে পারেন না। মানুষেরও চরিত্র নষ্ট হচ্ছে। এই পাপীদের দায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তিকে নিতে হবে। বের করতে হবে মোড়লদের। সমাজের মানুষেরও দায় নিতে হবে। জাগতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। সমাজের ভারসাম্য রক্ষাকারী মধ্যবিত্তের একটা অংশও লোভে ভেসে যাচ্ছে। লোভের পথ রুখতে হবে।

চাণক্য ছিলেন ভারত উপমহাদেশের নামকরা অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও কূটনীতির গুরু, দার্শনিক। তিনি ছিলেন চন্দ্রগুপ্তের মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীই নন সফল চালিকাশক্তিও। প্রায় ২৩০০ বছর আগে তিনি তাঁর শিক্ষাদান ও কর্মকা- চালিয়েছেন। কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামেও তিনি পরিচিত।

ভারতের কূটনীতিকে এখনো চাণক্যনীতি ও দিল্লির মনোরম কূটনৈতিক পল্লীকে চাণক্যপাড়া বলা হয়। চাণক্য বলেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই বিষ, যার একটি লোভ। লোভ আজ গোটা বাংলাদেশের রাজনীতি অর্থনীতি প্রশাসন সমাজ পরিবার সবকিছুকেই কলুষিত তছনছ করে দিয়েছে। লোভের বিষাক্ত সমাজকে বাঁচাতে হবে সবাই মিলে। ক্লাইভ জেমসের উক্তি, ‘বিখ্যাত না হয়ে জীবন কাটালেও সুন্দর জীবন কাটানো সম্ভব, কিন্তু জীবনের মতো জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া কখনো সুন্দর জীবন হতে পারে না’Ñ এটা ভুলতে বসেছি। সবাই রাতারাতি যেনতেন টাকা চাই, ক্ষমতা বাহাদুরি চাই। পরিবার সমাজ সেই সহজ সরল সৎ নিরাভরণ জীবনের আদর্শিক মায়ামমতার বন্ধন ছিন্ন করে বেপরোয়া অশান্ত হিংসা বিদ্বেষ সীমাহীন লোভের রাহুগ্রাসে পতিত।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি দার্শনিক এপিজে আবদুল কালাম চমৎকার বলেছেন, যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারেন। তারা হলেনÑ বাবা, মা এবং শিক্ষক। আমাদের মায়েদের আদর্শলিপি কি এখন হৃদয় দিয়ে পাঠ হয়? অনেক বাবা ছেলের দলীয় পদবাণিজ্যে বিনিয়োগ করেন! শিক্ষকরা জ্ঞানের আলো নয়, গুরু নয়, দলকানা লোভ মোহে অন্ধ। তারা কি বদলাবেন?

যেখানে পদবাণিজ্য, কমিটিবাণিজ্য, মনোনয়নবাণিজ্য হয় সেখানে আদর্শ আর রাজনীতি থাকে কোথায়? যেখানে নিয়োগবাণিজ্য, কমিশনবাণিজ্য, ফাইল আটকে ঘুষবাণিজ্য রমরমা হয় সেখানে মানবসেবা, জনসেবা আইন সংবিধান থাকে কোথায়? যেখানে বঙ্গবন্ধুর নামে এমপি মন্ত্রী হয়ে, শেখ হাসিনার নামে দলের পদবি, রাজনৈতিক নিয়োগ নিয়ে অবৈধ অর্থবিত্ত অর্জন করে সেখানে রাজনীতি কতটা অন্তঃসারশূন্য? কতটা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা? বিশ্বাসঘাতক অসৎ লম্পট চরিত্রহীন লোভী প্রতারক দিয়ে দেশপ্রেম নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ নয়, নষ্ট সমাজ তৈরি করা যায়। এ নষ্ট সমাজ আজ মানুষের বসবাস উপযোগী নয়, প্রতারক বাটপাড় অসৎদের বিচরণ ভূমিতে পরিণত। লাজলজ্জা মূল্যবোধ নীতি আদর্শ শালীনতা সততার মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছে। সমাজটাকে মেরুদন্ডহীন লোভী, লম্পট, দালাল, পেশাদার তদবিরবাজ, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, ব্যাংক ডাকাত, বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের অভয়াশ্রমে পরিণত করেছে।

একটা সময় লোভহীন সমাজে সবাই যার যার আত্মমর্যাদা নিয়ে সামাজিক মর্যাদায় বাস করতেন। আদর্শিক মূল্যবোধের রক্ষণশীল মধ্যবিত্তের ভারসাম্য রক্ষা করা সমাজে সবাই সৎ ছিলেন। সমাজে অসৎ টাউট বাটপাড় দুর্নীতিগ্রস্ত চরিত্রহীন নর-নারীর কেবল মর্যাদা ছিল না। লোভের পাপ সব কেড়ে নিয়েছে।

’৭৫ সালে জাতির পিতাকে হারানোর জখম বুকে আমরা সয়েছি দীর্ঘ পথে খুনিদের দম্ভ। ঘৃণা খুনি ও তার পরিবারের জন্য। কি কঠিন অন্ধকার দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে! এখন তো গোটা দেশ আওয়ামী লীগ। সেদিন আজকের অজস্র মোনাফেক যেন আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ করেছিল! এখন চেনা যাবে না। তখন যাবে। যেমন দেখেছি আমরা সেই সময়, এখন দেখছে বিএনপি! তাদের হৃষ্টপুষ্ট বিড়াল এখন আওয়ামী লীগ সরকারের দুধের হাঁড়িতে। ক্ষমতা গেলে মুখ মুছে ধীর পায়ে হেঁটে যাবে নিরাপদে। এখন ক্ষমতার লোভে যারা বাহাদুর তখন হবেন ইঁদুর।

পুনশ্চ : দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির প্রতিষ্ঠাতা, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, শিল্পপতি নুরুল ইসলাম বাবুলও করোনার থাবায় চলে গেলেন! আমরা জানি না আরও কতজনের মৃত্যু কত শূন্যতার সৃষ্টি করবে। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতে ঠাঁই দিন।

 

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
পাচার টাকা উদ্ধার
পাচার টাকা উদ্ধার
গুমে মৃত্যুদণ্ড
গুমে মৃত্যুদণ্ড
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও রসুল (সা.)-এর সুপারিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার
গণসংযোগে গুলি
গণসংযোগে গুলি
মহান ৭ নভেম্বর
মহান ৭ নভেম্বর
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
আত্মশুদ্ধি অবহেলিত ফরজ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
মামদানির বিজয় : ইসরায়েলের জন্য দুঃসংবাদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ঐক্য মুক্তি আর সমৃদ্ধির বাংলাদেশ
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
৭ নভেম্বর সংস্কারের নবযাত্রা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
পোশাক রপ্তানিতে মন্দা
সর্বশেষ খবর
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী
নির্বাচন : একই প্রত্যাশায় জনতা ও সেনাবাহিনী

১৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

১৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
সীমান্তবর্তী নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

২৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টিভিতে আজকের যত খেলা
টিভিতে আজকের যত খেলা

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
পশ্চিম তীরে দুই কিশোরকে হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই
নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন আর নেই

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তরায় গাড়িচাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
উত্তরায় গাড়িচাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

৪৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ৮ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ৮ নভেম্বর ২০২৫

৫২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

কুমিল্লায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
কুমিল্লায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন
যেভাবে বুঝব আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মৃত্যু-পরবর্তী রহস্যময় এক জগৎ
মৃত্যু-পরবর্তী রহস্যময় এক জগৎ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে খাবেন আদা চা
যে কারণে খাবেন আদা চা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ১৭ রেফারিকে গ্রেফতারের নির্দেশ
ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ১৭ রেফারিকে গ্রেফতারের নির্দেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাইজুলের বদলি হিসেবে উইলিয়ামসনকে দলে টানল ডারবান
তাইজুলের বদলি হিসেবে উইলিয়ামসনকে দলে টানল ডারবান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি
রামগতিতে এক ইলিশ ১০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা
ইসলামে পরিবার নিয়ে ভাবনা ও পরিকল্পনা

৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

শেষ ভালো যার সব ভালো তার
শেষ ভালো যার সব ভালো তার

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
রাজধানীর বনানীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা
পারিবারিক কলহের জেরে চকবাজারে গৃহবধূর আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার
মাছ চুরির অপরাধে দুই যুবককে মারধর, গ্রাম্য বিচারক গ্রেপ্তার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব
জামায়াতের আলোচনার প্রস্তাব, যা বললেন বিএনপির মহাসচিব

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের
জাহানারার মতো ভুক্তভোগীদের মুখ খোলার অনুরোধ তামিমের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা
এক ওভারে আব্বাস আফ্রিদির ৬ ছক্কা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন : প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য
পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল চুরি, বরখাস্ত আনসার সদস্য

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক
আলোচিত সেই বিড়াল হত্যাকারী নারী আটক

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প
অবসরের ঘোষণার পর ন্যান্সি পেলোসিকে ‘শয়তান মহিলা’ বললেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু
‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফিরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে মাঠে মাজেদ বাবু

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল
শাহজালাল বিমানবন্দরে জুতা-প্যান্ট-শার্টে লুকানো ১৫ মোবাইল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার
রাজধানীতে সবজি স্থিতিশীল, অস্থির পেঁয়াজের বাজার

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন
বিধানসভায় হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না: মিঠুন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর
চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৭ ভেন্যু চূড়ান্ত

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম

হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন
হারলে রাজ্যে বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না : মিঠুন

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা
রাজনীতি থেকে ন্যান্সি পেলোসির অবসরের ঘোষণা

পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিক তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী
সাংবাদিক তুহিনের বাবার মৃত্যুবার্ষিকী

খবর