মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিচিত্রতা

বীরত্বের ইতিহাস

বাঙালির ইতিহাস বীরত্বের ইতিহাস। ৫ হাজার বছর আগেও বাঙালির পরিচয় ছিল বীরের জাতি হিসেবে। গাঙ্গেয় বদ্বীপের অধিবাসীদের তখন বলা হতো গঙ্গারিড জাতি। রোমান কবি ভার্জিল গঙ্গারিড বা আজকের বাঙালি জাতির বীরত্ব নিয়ে ২ হাজার বছর আগে কবিতা লিখেছেন। সেই প্রাচীন যুগেও বাঙালি যে বীরত্বের জন্য বিশ্বজোড়া সুনামের অধিকারী ছিল, ভার্জিলের কবিতা তারই প্রমাণ। গ্রিক বীর আলেকজান্ডার তাঁর ভারতবর্ষ জয়ের আশা সংবরণ করেন বাঙালির ভয়ে। আলেকজান্ডারের সফরসঙ্গীরা তাঁর বিশ্বজয়ের যে ইতিহাস লেখেন, তাতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের এই বীর জাতির কথা বেশ সম্মানের সঙ্গেই উল্লেখ আছে। গাঙ্গেয় বদ্বীপ বা আজকের বাংলাদেশে মানবসভ্যতা কখন গড়ে ওঠে তা ঠিক ঠিক বলার উপায় নেই। তার পরও বলা যায়, বাঙালি এক প্রাচীন জাতি। আর্যরা যখন ভারতীয় উপমহাদেশে হানা দেয়, তখন তাদের হাতে পতন হয় একের পর এক জনপদের। সুসভ্য সিন্ধু উপত্যকার মানুষ যাযাবর যুদ্ধবাজ আর্যদের সঙ্গে শক্তিতে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। শুধু ভারতবর্ষ নয়, শ্রীলঙ্কায়ও আগ্রাসন চালায় তারা। আর্যরা বাংলাদেশ জয়ের জন্য বারবার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। প্রতিবারই তারা পরাজিত হয় গাঙ্গেয় বদ্বীপের বীর জাতির কাছে। যে কারণে আর্যদের ধর্মগ্রন্থ বেদে বাঙালি জাতি সম্পর্কে রয়েছে নানা ধরনের অবজ্ঞাপ্রসূত উক্তি। ‘ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে মন্তব্য করা হয়েছে ‘বয়াংসি বঙ্গাবগধাশ্চের পাদা’ অর্থাৎ বাঙালি পক্ষিবিশেষ। বাঙালি যে আর্য সংস্কৃতির বাইরে তা এ মন্তব্যের দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। মহাভারতে এ দেশের মানুষকে ম্লেচ্ছ বলে প্রচ্ছন্নভাবে গালি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর