শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

ষড়যন্ত্রের টার্গেট শেখ হাসিনা, এত আওয়ামী লীগ কোথায়

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
ষড়যন্ত্রের টার্গেট শেখ হাসিনা, এত আওয়ামী লীগ কোথায়

কাতার সরকারের টেলিভিশন আলজাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ বহুল বিতর্কিত প্রতিবেদন বা ডকুমেন্টারির মূল টার্গেট গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে মিথ্যাচারের নির্লজ্জ অসৎ প্রচারণা। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রধানকেও সমালোচিত করার অপপ্রয়াস। এক বছরের বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার সরকার, সেনাবাহিনী এবং দেশের বিচার বিভাগ থেকে বিভিন্ন মহলের বিরুদ্ধে লন্ডন সদর দফতর পরিচালিত জঘন্য মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও আষাঢ়ে গল্প আর তথাকথিত নির্বাসিতদের উপস্থাপিত ইউটিউব টকশোর চেনা ব্যক্তিদের প্রতিহিংসার বয়ানের সিনেমাটিক কল্পকাহিনিই এসেছে আলজাজিরার প্রতিবেদনে। এত দিন ধরে যা ইউটিউব বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশুমার অপপ্রচার চলছিল তারই ধারাবাহিক অংশে যুক্ত হয়েছে আলজাজিরা। একটি টেলিভিশনের প্রতিবেদন মান কতটা নিম্ন হতে পারে তা উপস্থাপিত চরিত্রগুলো দেখলেই বোঝা যায়। ইউটিউব ফ্রিস্টাইল প্রতিবেদনে সরকার, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি এমনকি চরম ভারতবিদ্বেষী থেকে সাম্প্রদায়িক উসকানি কোনো কিছুই বাদ যায়নি। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অনেক সংবাদকর্মী গ্রেফতার, নাজেহাল হলেও এসব প্রতিহিংসাপরায়ণের বিকৃত প্রচারণার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা কখনই গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি আলজাজিরার এমন প্রতিবেদনের শিরোনামের পক্ষে কোনো যুক্তিতথ্য উপস্থাপন করতে না পারলেও প্রতিবেদন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের পক্ষে প্রত্যাখ্যান-নিন্দা জানালেও মিথ্যা তথ্য খন্ডনের চেষ্টা হয়নি। ঢালাও বিবৃতি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন মামলা করবেন। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে আলজাজিরার মিথ্যাচারের ডকুমেন্টারি যা তারা অনুসন্ধানী রিপোর্ট বলছে অথচ সেখানে অনুসন্ধানের কোনো নীতি বা তথ্য-যুক্তিই নেই, সেই মিথ্যাচারের আরও কিছু পর্ব প্রচার হবে।

আলজাজিরার মিথ্যাচারের নাটকে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের অন্যতম একজন বার্গম্যান। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া এ মানুষটি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি নেওয়া একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিটস এবং সংবাদকর্মী হিসেবে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল ফোরে কাজ করলেও, একসময় ঝুলিতে পুরস্কার তুললেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে তার নেতিবাচক কর্মকান্ড, আদালতে হাঙ্গামা ও লেখালেখির কারণে বারবার তিরস্কৃত হয়েছেন। শাস্তি পেয়েছেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে তিনি এতটাই অবস্থান নিয়েছিলেন যে তখন থেকেই তাকে জামায়াতের পেইড লবিস্ট হিসেবে পর্যবেক্ষকরা বিবেচনা করেন। তিনি ঢাকায় ঢাকা ট্রিবিউন, ডেইলি স্টার, নিউএইজ এবং নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজেও কাজ করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য, বৈবাহিক সূত্রে তিনি বঙ্গবন্ধুর সহচর, সংবিধানপ্রণেতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমানসম্পন্ন আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের জামাতা ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেনের স্বামী হয়েও জাতির আবেগ-অনুভূতির ওপর আঘাত করে ’৭১-এর শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং আদালত দ্বারা শাস্তি পান। একপর্যায়ে ব্রিটেনে চলে গেলেও জামায়াতি সম্পর্কটা তার রয়ে যায়- যার পথ ধরেই এবার আলজাজিরার প্রতিহিংসার কল্পকাহিনির চিত্রনাট্যে চেহারা আবার উন্মোচন হয়েছে।

আরেক চরিত্র তাসনিম খলিল সম্পর্কে জানা যায়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত অবস্থায় শিক্ষানবিস হিসেবে ডেইলি স্টারে কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে একটি বিতর্কিত প্রতিবেদনের কারণে জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ১১ মে তাকে যৌথবাহিনী আটক করে। অনেকের জোর তদবিরে ছাড়া পেয়ে সুইডেন চলে যান। তার পিতা কাশেমী একাত্তরে আলবদর ছিলেন। জামায়াতি কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত আলবদর কাশেমীর বাড়িতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াত নেতারা সিলেট গেলে নিয়মিত যেতেন। তাসনিম খলিল রাজনৈতিক আশ্রয়ে সুইডেনে আছেন।

অন্যতম চরিত্র সামি যত মনগড়া কল্পকাহিনি বলেছেন তার গুরুদের নির্দেশনায় আলজাজিরার পেইড এজেন্ট হিসেবে। আসল নাম জুলকার নাইন সেরবান। মাদকাসক্তির কারণে মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কারের পর বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের খাস লোক হন। হাওয়া ভবনে ছিল অবাধ যাতায়াত। কাজ করতেন চ্যানেল ওয়ানে। প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। মোটা অঙ্কের অর্থে আলজাজিরার শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী অপপ্রচারের মিশনে এরাই চরিত্র হয়েছেন। আরও চরিত্র সামনে বেরিয়ে আসতে পারে।

মূল টার্গেট যেখানে দেশে-বিদেশে মিথ্যাকে বারবার নানাভাবে গোয়েবলসীয় কায়দায় এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কিত করাই নয়, সরকারকে বিদায় করা, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন মহলে এমনকি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা, সেখানে তারা ব্যর্থ হলেও এমন গভীর ষড়যন্ত্রের কারণে আলজাজিরাকে এ দেশে নিষিদ্ধ কেন করা হবে না সেটিই বুঝতে পারছি না। আর বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রে যারা জড়িয়েছেন তারা রাষ্ট্রের হাতের নাগালের কতটা বাইরে যে তাদের ধরা যাবে না? এসব বিশাল বাজেটের অনুদানের মনগড়া মতলবি প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচারে যারা অর্থের জোগান দিচ্ছেন তাদের কেন চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। অর্থদাতাদের অংশটাই গত এক যুগ আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক সুবিধা নিলেও চিন্তা-চেতনায় তারা বিএনপি ও জামায়াতপন্থি। বর্ণচোরা বা সুবিধাবাদীর চেহারায় এক যুগ দেশের ব্যাংক-বীমাসহ নানা খাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অর্থ লুট, অর্থ পাচার করে তারা সমাজেও প্রতাপশালী হয়েছেন। লাখ লাখ, হাজার কোটি টাকা লুটেরাদের কেউ কমিটেড আওয়ামী লীগ নয়, এটি সরকার বুঝতেও পারল না। সুযোগ দিল। সরকারের খেয়ে-পরে এক যুগের মাথায় এসে তারা আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অর্থ ঢালছে লন্ডন, নিউইয়র্কভিত্তিক নির্বাসিত পোষ্যদের ষড়যন্ত্রে। সবাই অর্থলোভী। তাদের লক্ষ্য দেশের মানুষকে এবং নানা মহলকে অস্থির-অশান্ত কর। শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় কর যেনতেনভাবে। আন্তর্জাতিকভাবে দেশের শাসনব্যবস্থাকে চরম বিতর্কিত কর এবং বিশ্বমোড়লদের হস্তক্ষেপ আনো। এগুলো রাষ্ট্রবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র নতুন নয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই শুরু হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতাই চলছে। গণতান্ত্রিক পথে শেখ হাসিনার সরকারকে সহিংস আন্দোলন, হরতাল, অবরোধের পথে সরাতে গিয়ে এ শক্তি নিজেরা পঙ্গু হয়ে এখন মিথ্যাচারের অপপ্রচারের সেই পুরনো নীলনকশায়ই হাঁটছে, যদিও এসব বিকৃতি দেখতে দেখতে মানুষ ক্লান্তই নয়, চরম ত্যক্ত-বিরক্ত। তবু তারা থেমে নেই। অর্থের জোগান যেখানে মোটা অঙ্কের সেখানে নির্বাসিত পোষ্যরা লন্ডন সদর দফতরের নির্দেশনায় কাজ করে আরাম-আয়েশেই আছে। জামায়াতের শিক্ষিত শ্রেণিটা আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটাকে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে। আন্তর্জাতিক মহলের দুয়ারে পৌঁছে দিতে। আর এদিকে দেশে এত সুবিধাবাদী হাইব্রিডে ভরে গেছে আওয়ামী লীগ বা অনেকে নিজেদের নিয়ে এতটা আখের গোছাতে ব্যস্ত যে এমন জঘন্য মিথ্যাচারের জবাব দিতেও সময় পাচ্ছেন না। বিগত নির্বাচনে যারা এত পার্টি করেছেন বা মনোনয়নের জন্য যেসব নর-নারী ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হলেও তা কম হতো না। আসলে কমিটমেন্টের অভাব থাকলে যা হয় তাই হয়েছে। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে চলমান এমন গভীর ষড়যন্ত্র, নোংরা অপপ্রচারের মুখে জানতে ইচ্ছা করে এত আওয়ামী লীগ আজ গেল কোথায়? সবাই নয়, একটি ক্ষুদ্র অংশও যদি তৎপর হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো ওদের ভাসিয়ে দিতে পারে। নীরব কেন?

আলজাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামের মিথ্যাচারের বিকৃত প্রতিবেদন নিয়ে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম কী মন্তব্য করেছেন সম্পাদকীয়তে, সাংবাদিক নির্মাতা সৈয়দ বোরহান কবীর কী পোস্টমর্টেম করেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনে, কিংবা দুলাল আহমেদ চৌধুরী চরিত্রগুলোর পরিচয় কীভাবে তুলে ধরেছেন তাও পড়েছেন বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের একাংশ ও সুবিধাভোগীরা এক যুগে খেয়ে-পরে এতটা নাদুসনুদুস যে ষড়যন্ত্রের কালনাগ যখন ফণা তুলছে তারা তখন ভাতঘুম দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটাও ব্যবহার করতে পারছেন না। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার যারা এক যুগ ধরে বড় আওয়ামী লীগ, তাদের তো সাড়াই নেই!

মাহফুজ আনাম নিজের মতামতসহ বিস্তর লিখতে গিয়ে বলেছেন, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হিসেবে আলজাজিরার এ প্রতিবেদন সর্বোচ্চ মানের বলা যায় না। প্রতিবেদনটির কিছু শক্তিশালী দিক থাকলেও দুর্বলতা রয়েছে বিস্তর। আমি মনে করি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনুমান ও কটাক্ষ করে দাবি করার চেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ তুলে ধরাটা বেশি জরুরি। প্রতিবেদনটিতে যত জোর দিয়ে দাবি করা হয়েছে তত তথ্য দিয়ে সব বিষয়ের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।’ তার মানে তথ্য-প্রমাণহীন একটি অর্ধসত্যও নয়, পূর্ণ মিথ্যাচারের চিত্রায়ণ। অতিনিম্নমানের দুর্বলতায় তৈরি। একটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত টেলিভিশনের দীনতাকেই সামনে এনেছে বলা যায়। কারণ দরিদ্র থেকে তেলের ওপর ধনাঢ্য হওয়া কাতারের সরকারি টেলিভিশন আলজাজিরা আমাদের জাতির রক্তাক্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের সময় থেকেই সিরিজ প্রতিবেদন করে আসছে। এটা নতুন কিছু নয়। নিজের দেশসহ আরবে বসন্ত বা গণতন্ত্র নেই সেদিক তাদের ক্যামেরার চোখ কখনো পড়েনি। আলজাজিরা বিশ্বসন্ত্রাসী লাদেনকেও নায়কের আসন দিতে চেয়েছিল।

সৈয়দ বোরহান কবীর প্রতিবেদনের প্রতিটি বিষয় যুক্তি-তথ্য দিয়ে খন্ডন করে দেখিয়েছেন, এটা কতটা পূর্ণ অসত্য। শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া ’৭৫-পরবর্তী সব শাসক কীভাবে বিদেশি গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করেছিলেন তার খতিয়ানও দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় একজন হারিছকে সাইকোপ্যাথ বলে আবার তার সব কথার ওপর দাঁড় করিয়ে আলজাজিরা তার নাটকের বিশ্বাসযোগ্যতার মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলে থাকতে সেই এরশাদ শাসনামলে মোহাম্মদপুরের এক জনসভার মঞ্চের পেছনে দাঁড়ানো হারিছকে তার দেহরক্ষী বানিয়ে দেয়। আর কোনো দেখা-সাক্ষাতের বা ছবি দিতে পারেনি। প্রতিহিংসায় ইউটিউবে যেমন প্রচারণা চালানো হয়, তেমনি এটি চালানো হয়েছে। এ দেশে সব দলের জনসভায় নেতা-নেত্রীর পেছনে অনেক কর্মী-সমর্থক দাঁড়ান। তখন হারিছ আসামিও ছিল না। আর শেখ হাসিনার কখনো দেহরক্ষীই ছিল না ক্ষমতায় আসার আগে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর সামরিক শাসনকবলিত বাংলাদেশে তাদের পেটোয়া বাহিনীর আক্রমণে, সাম্প্রদায়িক জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রায় সব আদর্শিক ছাত্র সংগঠনও অস্তিত্বের লড়াইয়ে প্রতিরোধে কমবেশি অস্ত্র ব্যবহার করেছে আমরা জানি। সামরিক শাসনামলে বঙ্গবন্ধু ভবনে তার খুনিদের দ্বারা পরিচালিত দলের অস্ত্রবাজরা কীভাবে গুলিবর্ষণ করেছে তাও আমরা ভুলে যাইনি। সেনাশাসক জিয়াউর রহমান থেকে গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল পর্যন্ত ’৭৫-এর বর্বর হত্যকান্ডের বিচারই বন্ধ রাখা হয়নি। খুনিদের বিদেশের কূটনৈতিক মিশনের চাকরিতে পুরস্কৃত করেই রাখা হয়নি, ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে ১৫ দিনের সংসদেও আনা হয়েছিল। বিএনপির জন্মের সঙ্গে নিষিদ্ধ জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির পুনর্বাসনের ঋণ জড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি নিয়ে বিএনপির জন্ম হওয়ায় শুরু থেকেই দলে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা। এখনো সেই ধারা বহাল। একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সম্পর্কটাই প্রবল।

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জাতির ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল ছাত্রলীগের ভাঙনের মধ্য দিয়ে। প্রকাশ্যে-গোপনে মুজিব উৎখাতের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল ওপেন সিক্রেট। অতি-বাম, অতি-বিপ্লবী, উগ্রপন্থি হঠকারী রাজনৈতিক শক্তি ও গোপন সশস্ত্র নিষিদ্ধ শক্তি তো ছিলই, ষড়যন্ত্র ছড়িয়েছিল চারদিকে। কত অপপ্রচার ছিল, কত মিথ্যাচার-কুৎসা ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাসই করতেন না দেশের কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারে! একজন উদার গণতন্ত্রী হিসেবে তিনি জাতির পিতার আসন থেকে সবকিছু দেখেছেন। অথচ ১৫ আগস্ট কালরাতে বিশ্বাসঘাতক মোশতাকসহ অনেকে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে খুনিচক্র দিয়ে যে বর্বর হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল তার পরিণতি জাতি এখনো ভোগ করছে। মুজিবকন্যার হাত ধরে দেশ হরতাল-অবরোধ মুক্ত হয়েছে। কৃষি থেকে শিল্প কলকারখানার উৎপাদন সরবরাহ বেড়েছে। ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে। এত অর্থ পাচার, এত ব্যাংক লুট, এত ঘুষ-দুর্নীতি তবু দেশ অর্থনীতিতে বিস্ময়কর উত্থান ঘটিয়েছে। দুনিয়াজুড়ে তারিফ। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া গণমাধ্যমসহ সিভিল সোসাইটির কণ্ঠ দুর্বল যেমন হয় তেমনি ভঙ্গুর হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। বিরোধী দলই হঠকারিতায় নিজেদের দুর্বল করেছে। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করে এসেছি। সুশাসন নিশ্চিত চাইছি। ব্যাংক লুটেরা, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, মাদক বাজিকরদের বিচার-শাস্তি চাইছি। দলের বেপরোয়া উন্নাসিকদেরও লাগাম টানতে বলছি। কিন্তু আর কোনো জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন হতে দিতে পারি না। চারদিকে চলমান গভীর ষড়যন্ত্রের খলনায়কদের সফল হতে দিতে পারি না। যত দুর্বল হোক গণতন্ত্রই উত্তম। নির্বাচন অবাধ গ্রহণযোগ্য হোক আগামীতে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের পথে শেখ হাসিনার সরকারের বিদায় দেখতে পারি না। জাতির জীবনে সাংবিধানিক সরকারের পতন বা অঘটন অথবা মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতীক শেখ হাসিনাকে ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হতে দেখতে পারি না। ষড়যন্ত্রের কাছে সংবিধান ও জনগণের আশা পরাজিত হতে পারে না। সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় জনগণকে সুসংহত ঐকবদ্ধ করতে হলে বারবার বলি আওয়ামী লীগকে তার আদর্শিক ধারায় ফিরতে হবে। ১৪ দল ও মহাজোটের ঐক্যকে সুসংগঠিত করতে হবে। শেখ হাসিনার পাশে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদের মতো বর্ষীয়ান সিনিয়র অভিজ্ঞ নেতাদের নিয়ে পুরো পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈঠক জরুরি। ১৪ দল ও মহাজোটকে সক্রিয় করার সময়।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৩০ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার
চট্টগ্রামে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজন গ্রেফতার

৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নীলফামারীতে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাইকেল বিতরণ
নীলফামারীতে ক্রীড়া সামগ্রী ও সাইকেল বিতরণ

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ড্র করেও বিশ্বকাপে স্পেন-অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড
ড্র করেও বিশ্বকাপে স্পেন-অস্ট্রিয়া-সুইজারল্যান্ড

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র‌্যালি
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র‌্যালি

১৬ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

রংপুর বইমেলাসহ প্রশাসনের সাংস্কৃতিক আয়োজন বয়কট
রংপুর বইমেলাসহ প্রশাসনের সাংস্কৃতিক আয়োজন বয়কট

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া দলে এনগিডি
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রোটিয়া দলে এনগিডি

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প পুত্র
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতে যাচ্ছেন ট্রাম্প পুত্র

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উলিপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি
উলিপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি

২৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলন
নীলফামারীতে নতুন আলু উত্তোলন

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে
সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

২৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বাউবির এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাউবির এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিএসটিআই-এর সব সেবা এখন অনলাইনে
বিএসটিআই-এর সব সেবা এখন অনলাইনে

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

১০০ টেস্টের ক্লাবে মুশফিক, পন্টিং-করুনারত্নের অভিনন্দন
১০০ টেস্টের ক্লাবে মুশফিক, পন্টিং-করুনারত্নের অভিনন্দন

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলে প্রবেশ নিষেধ
জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলে প্রবেশ নিষেধ

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের
দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন, বর্জন যুক্তরাষ্ট্রের

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৬ বছরের ইতিহাস ভেঙে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে মিচেল
৪৬ বছরের ইতিহাস ভেঙে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে মিচেল

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের একাংশের
ব্রাকসু নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান শিক্ষার্থীদের একাংশের

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ
চাপের মুখে ডিজিটাল নীতিমালা শিথিল করতে যাচ্ছে ইইউ

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লালমনিরহাটে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কেরাত প্রতিযোগিতা
লালমনিরহাটে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কেরাত প্রতিযোগিতা

৫৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

টেস্টে ৩ হাজার রানের মাইলফলকে লিটন
টেস্টে ৩ হাজার রানের মাইলফলকে লিটন

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ওমানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত
ওমানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে শক্ত অবস্থানে থাকার আহ্বান মঈন খানের

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

রংপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
রংপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন