শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১

টিকা নিয়ে হরেক মজার কাহিনি

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
টিকা নিয়ে হরেক মজার কাহিনি

যদিও কলেরা, পোলিও, ওলাওঠা, বসন্ত প্রভৃতি মহামারী ভারতবর্ষের এ অঞ্চলগুলোয় দাপিয়ে বেড়িয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মহামারীর বড় ধরনের আঘাতের কথা যদি বলতে হয় তবে সেটা ছিল ১৮৯৮ সালের প্লেগ। এ প্লেগ মহামারীর মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর সহসন্ন্যাসীরা সেবা করেছিলেন পীড়িতদের। ভগিনী নিবেদিতা মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ব্যাধিগ্রস্তদের মৃত্যুমুখ থেকে বাঁচিয়ে তুলতে। সে কথা আমি আমার গত কিস্তির লেখা ‘মানুষের জন্য মানুষ’-এ বিস্তারিত লিখেছি। ১৮৯৮ সালের প্লেগ রোগটি আসলে শুরু হয়েছিল মুম্বাই শহরে এবং ক্রমে এর ঢেউ আছড়ে পড়ে এ বাংলায়। পরে তা মহামারী আকার ধারণ করে। এ মহামারীর বিশদ বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যের যশস্বী লেখক প্রেমাঙ্কুর আতর্থী তাঁর ‘মহাস্থবির জাতক’ গ্রন্থে। সমকালীন পাঠকের অনেকেরই হয়তো অজানা কী এক অসামান্য উপন্যাস এ ‘মহাস্থবির জাতক’। প্রবীণ পাঠককুলের মধ্যেও কেউ কেউ হয়তো বিস্মৃত হয়েছেন এ গ্রন্থটি সম্পর্কে। প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার বিশাল এ উপন্যাসখানার প্রকাশকাল ১৯৪৫-৪৭। সেকালে উপন্যাসখানা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে সে সময়কার লেখক অনেকের হৃদয়েই সেটা গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল। বর্তমান সময়ের কিংবদন্তিতুল্য সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কথা প্রসঙ্গে একদিন আমাকে বলেছিলেন, কৈশোরে এ উপন্যাসটি পড়ে তিনি নাকি দারুণভাবে আলোড়িত হয়েছিলেন। ওটা তখন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল কোনো একটি পত্রিকায়। সে সময় তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন পরবর্তী কিস্তি পড়ার জন্য। সে সময়কার মহামারীর বিশদ বর্ণনা প্রেমাঙ্কুর আতর্থী লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁর ‘মহাস্থবির জাতক’ উপন্যাসটিতে। যে সময়ের কথা লেখক লিখেছেন সে সময় তিনি বালকমাত্র। কিন্তু স্মৃতি থেকে তিনি যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ভয়াবহ। মহাস্থবিরের ভাষ্যানুযায়ী প্লেগ ঠেকাতে সে সময় করপোরেশন থেকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, টিকার জন্য জনসাধারণের কোনো পয়সা খরচ করতে না হলেও সহজে কেউ টিকা নিতে চাইত না। বর্তমান সময়ে করোনার টিকা নিতে যে সাড়া জেগেছে সে সময়ের অবস্থা ছিল বিপরীত। সে সময় গুজব রটেছিল- প্লেগ থেকে বাঁচার টিকা নিলে অচিরেই নাকি মানুষের মৃত্যু ঘটবে। এর ফলে যা ঘটার তা-ই ঘটে। রোগটি দ্রুত বিস্তার লাভ করে চারদিকে। সেকালে শিক্ষাদীক্ষা, জ্ঞানবিজ্ঞানে হিন্দু ও মুসলমানের চেয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাহ্মসমাজ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায় প্রভৃতি আলোকিত মানুষ ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিভূ। ফলে দেখা গেল ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী মানুষজনই সর্বপ্রথম টিকা নিতে এগিয়ে আসেন। করোনা রোগটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল প্রায় ১৪ মাস আগে। তখন পৃথিবীর তাবৎ লোক কায়মনোবাক্যে শুধু কামনা করত কবে আবিষ্কৃৃত হবে একটি কার্যকর টিকা। টিকার জন্য মানুষের হাহুতাশের কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। অথচ বছরখানেক পরে যখন একটি দুটি নয়, পরপর বেশ কটি টিকা আবিষ্কৃত হলো তখন দেখা গেল অনেকের মধ্যেই টিকা নেওয়ার প্রতি রয়েছে কিছুটা অনীহা ও আস্থার অভাব। যেহেতু আমার কিছুটা ইতিহাসচর্চা আছে সেজন্য আমি জানি, নতুন যে কোনো জিনিসের প্রতিই মানুষের ঈষৎ ভয় ও অনীহা কাজ করে আর সব সময়। সে কারণেই আমি বিখ্যাত লেখক প্রেমাঙ্কুর আতর্থীর ‘মহাস্থবির জাতক’ উপন্যাসটি থেকে ১৮৯৮ সালে মানুষের টিকা নেওয়ার ঘটনাটি এখানে তুলে ধরেছি। তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ১০০ বছরের বেশি সময় পরও বেশির ভাগ মানুষের মানসিকতায় আসলে তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। এজন্য দরকার ব্যাপক প্রচার। করোনার টিকা আবিষ্কার মানব জাতির জন্য এক বিরাট সাফল্য। যে কোনো একটি টিকা আবিষ্কার বেশ কিছুটা সময়সাপেক্ষ। একটি টিকা সাধারণত দু-তিন বছরের আগে তৈরি করা বেশ দুরূহ। কোনো কোনো টিকা আবিষ্কারে তো ১০-২০ বছরও লেগে যায়। কিন্তু কভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে বছর ঘোরার আগেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ভালো করে শেষ হতে না হতেই টিকা তৈরি। বর্তমানে বাংলাদেশে যে টিকাটি দেওয়া হচ্ছে তার নাম অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর এর আবিষ্কারক অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী ড. সারাহ গিলবার্ট। সারাহর নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের একদল বিজ্ঞানী জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। সারাহ ও তাঁর দলের সংক্রমণজনিত রোগের ভ্যাকসিন তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে এ টিকা আবিষ্কারের আগে ইবোলা রোগের টিকাও তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন। করোনার যেসব টিকা আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকাটি অন্যতম নিরাপদ বলেও ভাবা হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ সরকার ও ব্রিটেনের কয়েকটি দাতব্য সংস্থার অর্থায়নে ২০০৫ সালে গড়ে তোলা হয় জেনার ইনস্টিটিউট। উদ্দেশ্য, সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ে গবেষণা আর টিকা তৈরি। এডওয়ার্ড জেনারকে বলা হয় ভ্যাকসিনের জনক। প্রায় ২০০ বছর আগে গুটিবসন্তের টিকার অন্যতম আবিষ্কারক ছিলেন বিজ্ঞানী জেনার।

এ মুহূর্তে আমার আরেক প্রাতঃস্মরণীয় বিজ্ঞানীর নাম মনে পড়ছে যিনি দুটি টিকা আবিষ্কার করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। উনিশ শতকের শেষ ভাগে ওয়ালডেমার মোরডেকাই হাফকিন প্যারিস ও ভারতবর্ষে গবেষণা চালিয়ে কলেরা ও প্লেগ রোগের প্রথম ভ্যাকসিন তৈরি করেছিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় বসন্ত রোগের টিকা আবিষ্কারক ডা. এডওয়ার্ড জেনার কিংবা তার পরে পোলিও রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারক জোনাস সাল্কর মতো ওয়ালডেমার হাফকিন ভারতে কিংবা ইউরোপে তেমন একটা পরিচিতি পাননি। দীর্ঘদিন কলেরার জীবাণু নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানী হাফকিন প্যারিসে গিনিপিগের ওপর পরীক্ষায় সাফল্যের পর খরগোশ ও কবুতরের ওপর একই ধরনের পরীক্ষা চালান। এর পরও সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হলেন না হাফকিন। ১৮৯২ সালের ১৮ জুলাই ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের দেহে সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন তিনি। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি প্রায় মরতে বসেছিলেন বলা চলে। সম্ভবত ডোজের পরিমাণ বেশি হয়ে গিয়েছিল। প্রচন্ড জ্বর নিয়ে বেশ কয়েক দিন শয্যাশায়ী ছিলেন। পরে অবশ্য সেরে ওঠেন।

যুগে যুগে নানা ধরনের টিকা আবিষ্কারের ফলে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে, এ কথা যেমন সত্য তেমনি ভুল টিকা আবিষ্কার কিংবা প্রয়োগের ফলে নিশ্চিত মৃত্যু ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত সহস্র সাধারণ মানুষ। বড় ধরনের টিকা বিপর্যয়ের ইতিহাস পাওয়া যায় আমেরিকায়, ১৯৭৬ সালে। সে সময় সোয়াইন ফ্লু বিস্তার রোধে যে টিকা দেওয়া হয়েছিল তা ছিল ত্রুটিযুক্ত। সে সময় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি লোককে টিকা দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৫০ জন ‘গুইলাইন ব্যারে সিনড্রোম’ (Guillain-Barre Syndrome)-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। অনেকে হয়তো ভাবছেন এ গুইলাইন ব্যারে সিনড্রোম আবার কী বস্তু! এটা হলো এমন এক রোগ যা একজন মানুষের নার্ভ সিস্টেমকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। ফলে সোয়াইন ফ্লু টিকা নেওয়া মানুষগুলো পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রতি এক লাখ রোগীর মধ্যে একজন করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এর আগেও যে টিকা বিপর্যয়ের কথা জানা যায় তা হলো ‘দ্য কাটার ইনসিডেন্ট’। পোলিও এ টিকাটি তৈরি হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার কাটার ল্যাবরেটরিতে। ১৯৫৫ সালের এপ্রিলে আমেরিকার পশ্চিম ও মধ্য পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ২ লাখ শিশুকে এ কাটার পোলিও টিকা দেওয়া হয়। কিন্তু এ টিকাটি এতটাই ত্রুটিযুক্ত ছিল যে এ ২ লাখ শিশুর মধ্যে ৪০ হাজার শিশু পোলিওতে আক্রান্ত হয়েছিল। ২ শতাধিক শিশু পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয় ও ১০ শিশু মৃত্যুবরণ করে। এ ছাড়া এই তো সেদিন ২০০৯ সালে হিনি নামের একটি ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা প্রয়োগের ফলে বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তারা পরে নারকোলেপসিতে আক্রান্ত হয়েছে। নারকোলেপসি অর্থ হচ্ছে সময়-অসময়ে নিদ্রাভাব কিংবা ঝিমুনি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, টিকা শুধু ত্রুটিমুক্ত হওয়াটাই যথেষ্ট নয়, এর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণও পর্যাপ্ত গুরুত্ব বহন করে। তা না হলে যে কোনো সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হাফকিনের কথা আমি আগেই বলেছি যিনি কলেরা ও প্লেগের দুটি রোগের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন। তো হয়েছে কী, সেই হাফকিন মহাশয়ের টিকা নেওয়ার পর ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের মালকোয়াল গ্রামে ১৯০২ সালের মার্চে ১৯ জন  ধনুষ্টঙ্কারে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় তা থেকে জানা যায় যে পারেল গবেষণাগারে ৪১ দিন আগে তৈরি একটি বিশেষ বোতলের ভ্যাকসিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়ে ভারত সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। তারা দেখতে পায় বোতল শুদ্ধি করার জন্য কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার না করে তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তা বিশুদ্ধ করা হয়েছিল। আর এটা করা হয়েছিল মি. হাফকিনের নির্দেশে। কারণ এভাবে বেশিসংখ্যক বোতল দ্রুততম সময়ে বিশুদ্ধ করা যেত। এ তাপমাত্রা প্রয়োগের পদ্ধতি তার দুই বছর আগে অর্থাৎ ১৯০০ সাল থেকেই বিশ্বখ্যাত লুই পাস্তুর ইনস্টিটিউটে ব্যবহার হয়ে আসছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের তা অজানা ছিল। তদন্তের পর মি. হাফকিনকে প্লেগ গবেষণাগারের প্রধানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং ভারতীয় সিভিল সার্ভিস থেকে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। পরবর্তীকালে প্রতিবেদনের দলিল-দস্তাবেজ ঘাঁটাঘাঁটি করে লন্ডনের কিংস কলেজের অধ্যাপক ডব্লিউ জে সিম্পসন ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে লেখা এক চিঠিতে যুক্তি তুলে ধরেন যে ভ্যাকসিনের বোতলটি পারেল গবেষণাগারে নষ্ট হয়নি। সেটি নষ্ট হয়েছিল পাঞ্জাবের সেই গ্রামে যেখানে টিকা কর্মসূচি চলছিল।

টিকা গ্রহণকারী জনসাধারণের মধ্যে আরও কয়েকটি বিষয়ে বেশ ধন্দ রয়েছে। কারণ কোনো টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানই স্পষ্ট করে বলছে না তাদের এ টিকাগুলো আসলে কতটা সময় কার্যকর থাকবে। ছয় মাস, এক বছর, দুই বছর। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বলছে কমপক্ষে এ টিকা ছয় মাসের জন্য কার্যকর হবে আর এজন্যই বোধহয় আমার এক বন্ধু পরিহাস করে আমাকে একদিন বললেন, তাহলে কি আমরা এখন টিকা পকেটে নিয়ে ঘুরব। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃৃত চারটি টিকা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার বায়োএনটেক, মডার্না টিকা ও সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের টিকা। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই জোর গলায় বলছে না যে এটা শতভাগ কার্যকর। কেউ বলছে ৯০% আবার কেউ বলছে ৯৫% কার্যকর।

বিশ শতকের মাঝামাঝি জোনাস সাল্ক আবিষ্কার করে ফেললেন পোলিওর টিকা। মানবসভ্যতায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের সে এক যুগান্তকারী অবদান। সাল্ককে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, টিকাটির পেটেন্ট কার? উত্তরে সাল্ক বলেছিলেন, জনগণের। অর্থাৎ কোনো পেটেন্ট নেই। সূর্যের কি পেটেন্ট নেওয়া সম্ভব? ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১২ সালের এক নিবন্ধে হিসাব কষে দেখানো হয়েছে, পোলিও টিকার পেটেন্ট না নিয়ে সাল্ক হারিয়েছেন প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার!

টিকা আতঙ্কের আরেকটি প্রধান কারণ ‘সুচভীতি’ যেটাকে ইংরেজিতে নিডেল ফোবিয়া বলে। বাংলাদেশেও কারও কারও মধ্যে সুচ আতঙ্ক প্রকটভাবে কাজ করে। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার কথা মনে পড়ল। ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের একজন বিশিষ্ট লেখক সচ্চিদানন্দ দত্ত রায়ের লেখা ‘পুরানো বালাম চালের ভাত’ গ্রন্থটিতে আমি পড়েছিলাম বেশ কিছু বছর আগে। লেখকের আদিবাড়ি বরিশাল জেলায়। তিনি লিখেছেন, মনে আছে, একবার এত বেশি ইলিশ মাছ উঠতে লাগল যে ইলিশ মাছই লোকজনের প্রধান খাদ্য হয়ে উঠল। ফলে পেট ছেড়ে দিল। কলেরায় মানুষের অবস্থা করুণ। খবর পেয়ে থানা (হিজলা) থেকে ইনস্পেক্টর সাহেব সাইকেলে পাইক পেয়াদা নিয়ে বাজারে ঢোল শহরত দিয়ে ইলিশ মাছ বিক্রি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করে দিলেন আর বাজারের সব মাছ মাটিতে পুঁতে দিলেন। কলেরার ইঞ্জেকশন দিতে আরম্ভ হতেই লোকজনের ইলিশ কেনায় ভাটা পড়ল। কেউ ‘টুঁ’ শব্দটি করলেন না, সবাই মেনে নিলেন। সুচের ফোঁড় না ইলিশ? ফোঁড়ের ভয়ই জয়ী হলো।

হাস্যকর হলেও সত্য, পশ্চিমা দেশগুলোতেও এ সুচভীতি মানুষের সংখ্যা অনেক। একটি জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকার ১০ শতাংশ মানুষ সুচভীতি আতঙ্কে ভোগেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো, এ সংখ্যা আরও অধিক। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা জাকি চ্যানকে চেনেন। তো হয়েছে কী, একবার অভিনয়ের অংশ হিসেবে স্টান করতে গিয়ে তার একটি আঙুল ভেঙে যায়। ভাঙা আঙুল ঠিক করতে হাত অবশ করা প্রয়োজন আর সেজন্য ডাক্তার যে-ই না জাকি চ্যানের শরীরে ইনজেকশন পুশ করতে উদ্যত হলেন অমনি জাকি চ্যান ভয়ে কুঁকড়ে বললেন, দাঁড়ান ইনজেকশন দিতে হবে না। আমি নিজেই ভেঙে উল্টে যাওয়া আঙুল স্বস্থানে ফিরিয়ে আনছি। এই বলে ভেঙে যাওয়া আঙুলটি মুঠো করে ধরে সজোরে ঘুরিয়ে স্বস্থানে ফিরিয়ে আনলেন।

উল্টে যাওয়া আঙুল স্বস্থানে ফিরিয়ে আনাতে তার কী পরিমাণ ব্যথা হওয়ার কথা একটু ভেবে দেখুন তো। তার পরও সুইয়ের অল্প একটু ব্যথা সহ্য করার মতো ক্ষমতাও তার নেই। তবে এর উল্টোচিত্রও আছে। সাঁওতাল কিংবা যে কোনো আদিবাসী ইনজেকশন নেওয়ার সময় ব্যথা না পেলে নাকি তারা মনে করে সে ওষুধের কোনো কার্যক্ষমতা নেই। ১৯৭৩ সালে আমার শ্বশুর সদ্য ডাক্তারি পাস করে সিলেটের জাফলং অঞ্চলে বদলি হয়েছেন। সেখানে অনেক সাঁওতালের বাস। আমার শ্বশুরের এমন হাতযশ যে তিনি ইনজেকশন পুশ করলে কেউ ব্যথা পায় না। একদিন এক সাঁওতাল মহিলা আমার শ্বশুরকে বলল, আপনার ওষুধের মনে হয় কোনো কার্যক্ষমতা নেই। আমার শ্বশুর অবাক হয়ে বললেন, আপনার কেন মনে হলো যে আমার ইনজেকশনে কার্যক্ষমতা নেই? তখন সেই সাঁওতাল মহিলাটি বললেন, আপনি যখন ইনজেকশন দেন একটু ব্যথাও পাই না। অথচ আপনার অমুক ডাক্তার বন্ধু যখন ইনজেকশন দেয় প্রচন্ড ব্যথা পাই আর তাতেই মনে হয় যেন তার ইনজেকশন বেশি কার্যকর। সাঁওতাল ওই মহিলার কথা শুনে আমার শ্বশুর সাহেবের আক্কেল গুড়ুম। বলে কী মেয়েটি! একদিন কাছে পেয়ে আমার শ্বশুর যখন তার সেই সতীর্থ ডাক্তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন- কীরে! ইনজেকশন দিতে গিয়ে রোগী ব্যথা পায় কী করে? আমার শ্বশুরের সেই বন্ধুটি তখন বলল, কী করব হুমায়ুন! ইনজেকশন দিতে গিয়ে ব্যথা না পেলে ওরা মনে করে যে এ ওষুধের কোনো কার্যকারিতা নেই। সেজন্য ইনজেকশন দেওয়ার আগে সুচের ডগাটি মেঝেতে ঘঁষে খানিকটা অমসৃণ করে নিই। এ কথা শুনে আমার শ্বশুর তো বিস্ময়ে একেবারে থ। আমার ধারণা, বাঙালির চেয়ে সাঁওতাল, খাসিয়া, মগ, মুরং প্রভৃতি উপজাতি বেশি সচেতন, কারণ যে বছর মি. হাফকিন কলকাতার বস্তিতে তার টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়ে দিলেন, তার পরের বছর আসামের চা বাগানের মালিকরা তাকে আমন্ত্রণ জানান সেখানে গিয়ে বাগানের শ্রমিকদের ওপর তার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে। তিনি সেখানে হাজার হাজার শ্রমিককে টিকা দেন।

টিকাদানে উৎসাহিত করার জন্য দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার ছবি টেলিভিশন ও সোশ্যাল যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। এটি বেশ ভালো টেকনিক। সেকালে মি. হাফকিনও একই কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। তিনি ব্রিটিশ শ্বেতাঙ্গ ডাক্তারদের বাদ দিয়ে কলকাতার সব বড় বড় স্থানীয় লোকজন যেমন ডা. চৌধুরী, ডা. ঘোষ, ডা. চ্যাটার্জি এবং ডা. দত্তদের মতো ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতেন। তিনি আরও একটা কৌশল অবলম্বন করলেন তা হলো, তার উদ্ভাবিত টিকা জনসমক্ষে তিনি নিজের দেহে প্রয়োগ করতেন। উদ্দেশ্য এটা দেখানো যে এটা নিরাপদ। ভারতীয় ডাক্তারদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দিনরাত বস্তিতে বস্তিতে ঘুরতেন। বস্তির মজদুররা কাজে বেরোনোর আগে তিনি তাদের টিকা দিতেন। সন্ধ্যায় ঘরে ফেরার সময়ও লোকজন দেখতে পেত মি. হাফকিন তেলের বাতি জ্বালিয়ে বস্তিতে এক মনে কাজ করে যাচ্ছেন।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
পোশাক খাতে অস্থিরতা
পোশাক খাতে অস্থিরতা
চাপে নতি স্বীকার নয়
চাপে নতি স্বীকার নয়
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
তিন দেশের বিমানবন্দরে তিন ধরনের ব্যবহার
তিন দেশের বিমানবন্দরে তিন ধরনের ব্যবহার
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি
নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি
বড় শত্রু ভুয়া তথ্য
বড় শত্রু ভুয়া তথ্য
নির্বাচনি দায়িত্ব
নির্বাচনি দায়িত্ব
সূর্য দেখুক ঐতিহ্যের সূর্যঘড়ি
সূর্য দেখুক ঐতিহ্যের সূর্যঘড়ি
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
সর্বশেষ খবর
অসময়ে দেখা কনকচাঁপা, কদম ও কৃষ্ণচূড়ার
অসময়ে দেখা কনকচাঁপা, কদম ও কৃষ্ণচূড়ার

এই মাত্র | প্রকৃতি ও পরিবেশ

দৌলতপুরে সৎ ভাইকে হত্যা
দৌলতপুরে সৎ ভাইকে হত্যা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ৭ মাস ধরে বন্ধ ডোপ টেস্ট, বিপাকে সনদপ্রত্যাশীরা
গাইবান্ধায় ৭ মাস ধরে বন্ধ ডোপ টেস্ট, বিপাকে সনদপ্রত্যাশীরা

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জেমিনি থেকে প্রম্পটিং, বিনামূল্যে ৫ কোর্সে এআই শেখার সুযোগ
জেমিনি থেকে প্রম্পটিং, বিনামূল্যে ৫ কোর্সে এআই শেখার সুযোগ

৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অ্যালগরিদম বদলে গেছে, তাই পথও বদলাচ্ছেন ইউটিউবাররা
অ্যালগরিদম বদলে গেছে, তাই পথও বদলাচ্ছেন ইউটিউবাররা

৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য?
ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য?

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪৬৮
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪৬৮

১৭ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কেন পৃথিবীর সুখী দেশ ভুটান
কেন পৃথিবীর সুখী দেশ ভুটান

১৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

সুরমা নদীর ভাঙন ঠেকাতে সুনামগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
সুরমা নদীর ভাঙন ঠেকাতে সুনামগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় মাদক ও বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণায় বসুন্ধরা শুভসংঘ
গাইবান্ধায় মাদক ও বাল্যবিবাহবিরোধী প্রচারণায় বসুন্ধরা শুভসংঘ

২০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘রোবট আর্মি’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পারিশ্রমিক চান মাস্ক
‘রোবট আর্মি’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশাল পারিশ্রমিক চান মাস্ক

২১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘দেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমানের ৩১ দফার বিকল্প নেই’
‘দেশ পুনর্গঠনে তারেক রহমানের ৩১ দফার বিকল্প নেই’

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দুবলার চরে শুরু শুটকি মৌসুম, সাগরে নামছেন ১০ হাজার জেলে
দুবলার চরে শুরু শুটকি মৌসুম, সাগরে নামছেন ১০ হাজার জেলে

৩০ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত–আহতদের পরিবারে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত–আহতদের পরিবারে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে সাজেক যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে
অবশেষে সাজেক যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হচ্ছে

৪৬ মিনিট আগে | পর্যটন

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭২৬
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭২৬

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড
রশিদ খানকে টপকে রিশাদের বিশ্বরেকর্ড

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ল্যাবে তৈরি হচ্ছে মানুষের দাঁত
ল্যাবে তৈরি হচ্ছে মানুষের দাঁত

৫৮ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

রাশিয়ার আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের
রাশিয়ার আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলা ইউক্রেনের

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ
ইউক্রেনকে তহবিল দিতে ইইউ’র রুশ সম্পদ ব্যবহারের পদক্ষেপ ব্যর্থ

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত তিন হাজার কর্মী নেবে জাপান
বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত তিন হাজার কর্মী নেবে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ইমামের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী ইমামের পাশে দাঁড়াল বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক থেকে যে তিন সিদ্ধান্ত এলো
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক থেকে যে তিন সিদ্ধান্ত এলো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি কোন শর্তে হতে পারে?
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি কোন শর্তে হতে পারে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প ও শি জিন পিং
দক্ষিণ কোরিয়ায় মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প ও শি জিন পিং

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের ক্যাম্পেইন
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের ক্যাম্পেইন

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রুশ তেল কেনা ‘স্থগিত’ করল চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো
রুশ তেল কেনা ‘স্থগিত’ করল চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে ডোমের স্বীকারোক্তি
হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে ডোমের স্বীকারোক্তি

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে দেবেন না নেতানিয়াহু
গাজায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে দেবেন না নেতানিয়াহু

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!
উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপি
৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপি

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফের ‘পরমাণু স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা’ নিয়ে যা বলল ইরান
ফের ‘পরমাণু স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা’ নিয়ে যা বলল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ
ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চাই না আমার কথায় শাহরুখের সংসারে ঝড় উঠুক’
‘চাই না আমার কথায় শাহরুখের সংসারে ঝড় উঠুক’

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে ভূমি অফিসের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
দেশজুড়ে ভূমি অফিসের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি খুবই হতাশ: স্যামি
আমি খুবই হতাশ: স্যামি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন

১৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের সমস্যা দূর করা হবে’
‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের সমস্যা দূর করা হবে’

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭১২
সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৭১২

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন লিটন, বাদ সাইফউদ্দিন
টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন লিটন, বাদ সাইফউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত
৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌম্য ফর্মে ফিরে আবারও দেখালেন আশার আলো
সৌম্য ফর্মে ফিরে আবারও দেখালেন আশার আলো

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী
এক মাস আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে : নীলা চৌধুরী

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনকে ১৫০ যুদ্ধবিমান দেবে সুইডেন
ইউক্রেনকে ১৫০ যুদ্ধবিমান দেবে সুইডেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল
এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বেলারুশের মডেলের ‘রহস্যজনক মৃত্যু’
মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বেলারুশের মডেলের ‘রহস্যজনক মৃত্যু’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব
দায়িত্ব শেষ করে যত তাড়াতাড়ি যেতে পারি বাঁচব

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯ মাস পর সিরিজ জিতে দলের প্রশংসায় মিরাজ
১৯ মাস পর সিরিজ জিতে দলের প্রশংসায় মিরাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এক রাতে কোটি রুপি আয় শিল্পার রেস্তোরাঁয়, তবু দিচ্ছেন না জরিমানা
এক রাতে কোটি রুপি আয় শিল্পার রেস্তোরাঁয়, তবু দিচ্ছেন না জরিমানা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
মুখ্য সমন্বয়কের পদ ছাড়লেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
মুখ্য সমন্বয়কের পদ ছাড়লেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা
বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা

নগর জীবন

স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর
স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল
বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল

নগর জীবন

সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান’
সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান’

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বাংলাদেশের সিরিজ জয়
বাংলাদেশের সিরিজ জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামায় ত্রিভুজ প্রেমের নাটক
ক্যাপিটাল ড্রামায় ত্রিভুজ প্রেমের নাটক

শোবিজ

শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই
শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বুনো শূকরের হানায় ফসলের ক্ষতি
বুনো শূকরের হানায় ফসলের ক্ষতি

দেশগ্রাম

সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

নগর জীবন

মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল
মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল

মাঠে ময়দানে

গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী-শ্বশুর পলাতক
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী-শ্বশুর পলাতক

দেশগ্রাম

দৃশ্যমান রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
দৃশ্যমান রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা সহযোগীরা এগিয়ে নিতে পারেননি
প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা সহযোগীরা এগিয়ে নিতে পারেননি

প্রথম পৃষ্ঠা

একই পরিবারের সাতজন সারের ডিলার
একই পরিবারের সাতজন সারের ডিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে
একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে

প্রথম পৃষ্ঠা

হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা
হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচার কাজ শেষ আসছে রায়
বিচার কাজ শেষ আসছে রায়

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম
তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম

প্রথম পৃষ্ঠা

লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন
লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

১৯ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি খালাশপীর কয়লাখনি
১৯ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি খালাশপীর কয়লাখনি

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি
ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

থমকে গেল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ
থমকে গেল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ

নগর জীবন

১০ নির্মাতার সেরা ১০ ছবি
১০ নির্মাতার সেরা ১০ ছবি

শোবিজ

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি

মাঠে ময়দানে

কাবাডিতে এলো দুই পদক
কাবাডিতে এলো দুই পদক

মাঠে ময়দানে

ফেবারিটদের জয়ের রাত
ফেবারিটদের জয়ের রাত

মাঠে ময়দানে

কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস
কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস

মাঠে ময়দানে