রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

দেড় শ কোটি মানুষের কল্যাণের অনুষঙ্গ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নতুন মাত্রা দান করেছে। করোনাকালে দুনিয়ার সব রাষ্ট্রনেতা যখন বিদেশ সফর থেকে বিরত থাকছেন তখন প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হাজির হয়েছেন সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসবে। দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে এসে স্মৃতিচারণা করে বলেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনিও অংশ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতার সমর্থনে সত্যাগ্রহ করে গ্রেফতার এবং কারাভোগও করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১৩০ কোটির বেশি ভারতীয় ভাইবোনের শুভেচ্ছা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি ভারতের প্রতিটি কোনা থেকে, প্রতিটি দল থেকে সমর্থন মিলেছিল। এ বিষয়ে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াস ও মাহাত্ম্যপূর্ণ ভূমিকা সর্বজনবিদিত। ওই সময়ে একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর অটল বিহারি বাজপেয়ি বলেছিলেন, আমরা কেবল মুক্তিসংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারীদের সঙ্গে লড়াই করছি, সেই সঙ্গে আমরা ইতিহাসকে একটি নতুন দিশা দেওয়ার প্রচেষ্টাও করছি। আজ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনারাও নিজেদের রক্ত বিসর্জন দিচ্ছে। এ রক্ত একটি নতুন বন্ধন সৃষ্টি করবে যা কোনো অবস্থাতেই ভাঙবে না, কোনো কূটনীতিরও শিকার হবে না। একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রই নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং ভৌগোলিক সেতুবন্ধ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার এবং সে দেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা মুক্তিবাহিনীর পাশাপাশি পাকিস্তানি দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। মিত্রবাহিনীর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য শহীদ হয়েছেন। দুই বন্ধুদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশ ও ভারতের মেলবন্ধনের বাস্তবতাই তুলে ধরেছে। রক্তের রাখিতে আবদ্ধ এ মৈত্রী দুই দেশের দেড় শ কোটি মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর